হাতের টাকা ফিরছে ব্যাংকে
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি- সংগৃহীত।
উচ্চমূল্যস্ফীতি ও আস্থা সংকটের কারণে মানুষের হাতে নগদ টাকা ধরে রাখার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, সেই প্রবণতা চলতি অর্থবছরে এসে কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ জুলাই মাসে মানুষের হাতে রাখা টাকার পরিমাণ কমেছে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১ মাসেই এই পরিমাণ টাকা ব্যাংকে ফিরেছে। একই সময়ে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে ব্যাংক খাতে তারল্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে। চারটি কারণে মানুষের হাতের টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। এগুলো হলো- আমানতের সুদের হার বৃদ্ধি, নির্বাচন সামনে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে মন্দা, ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাসায় টাকা রাখার নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, প্রথম কারণ হতে পারে- আমানতের সুদের হার কিছুটা বৃদ্ধি। কারণ জুলাই থেকে নয়ছয় সুদের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন স্মার্ট পদ্ধতিতে ঋণের সুদের হার নির্ধারণ হচ্ছে। এতে আমানতের সুদের হারও বাড়তে শুরু করেছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এতে বেসরকারি খাতে ঋণে ধীরগতি এসেছে। ফলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের টাকা বিনিয়োগে ব্যবহার না হয়ে ব্যাংকে ঢুকতে পারে। তৃতীয়ত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন খরচ বাড়ানো হয়েছে। ফলে ফ্ল্যাট ও প্লটের দামও বেড়ে গেছে। তাই মানুষ এসব জায়গায় টাকা না খাটিয়ে ব্যাংকে এফডিআর করে রাখছেন। আর চতুর্থত, বাসাবাড়ি ও অফিস-আদালতে নগদ টাকা রাখা নিরাপদ নয়। চুরি-ডাকাতির ঝুঁকি থাকে। ফলে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেও মানুষ ব্যাংকেই টাকা রাখছেন।
জানা যায়, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চমূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চমূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকে টাকা রেখে প্রকৃত অর্থে মুনাফা পাচ্ছিলেন না আমানতকারীরা। ফলে গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে মানুষের মধ্যে নগদ টাকা হাতে রাখার প্রবণতা ছিল অস্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকের বাইরের তথা মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা, যা ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে মানুষের হাতে নগদ টাকা বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে জুন মাসেই ব্যাংকের বাইরে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বা ১৪ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে এসে এই চিত্র বদলে গেছে। ব্যাংকে এক মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নগদ টাকা ফিরেছে।
দেশের মোট প্রচলনে থাকা মুদ্রা থেকে ব্যাংকে জমানো টাকা বাদ দিয়ে প্রতিমাসে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল জুলাই মাসের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, গত জুলাই শেষে দেশের মানুষের হাতে নগদ টাকা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা, যা গত জুনেও ছিল প্রায় ২ লাখ ৯১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ কমেছে ২৫ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে এক বছর আগে মানুষের হাতে নগদ টাকা ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ২৬ কোটি টাকা। এতে দেখা যায়, গত এক বছরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছে প্রায় ২৪ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ০৫ শতাংশ। অথচ গত বছরের জুন থেকে গত জুন পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ছিল রেকর্ড ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, ব্যাংকের বাইরে বেশি অর্থ থাকার মূল কারণ হলো- উচ্চমূল্যস্ফীতি ও আস্থার সংকট। গত এক বছরে সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ সেভাবে বাড়ায়নি। এ ছাড়া গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের অনিয়মের জেরেও মানুষের মধ্যে নতুন করে আস্থার সংকট তৈরি হয়। ফলে ওই সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে রেকর্ড পরিমাণ আমানত তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব আমানতের একটি অংশ এখনো ব্যাংকে ফেরেনি।
বাড়ছে আমানতও : গত জুন শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা, যা গত জুলাই শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মানে, গত এক মাসে ব্যাংক খাতে সার্বিক আমানত বেড়েছে প্রায় ১২ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। যদিও মেয়াদি আমানত বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ১৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে একই সময়ে চাহিদা আমানত কমেছে প্রায় ৭ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। এক মাসে আমানত বৃদ্ধির কারণে গত জুলাইয়ে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধিও বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত জুনে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, সেটি জুলাইয়ে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
কমছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি : চলতি অর্থবছরের শুরুতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও ধীর হয়ে পড়েছে। গত জুলাইয়ে এ খাতে ব্যাংকঋণের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের মাস জুনে এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। আর গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি ঋণস্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানেই ঋণ বিতরণ ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা কমেছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি ঋণ কমে যাওয়া কাক্সিক্ষত নয়। বেসরকারি খাতের ঋণ কমে যাওয়া মানে আগামীতে বিনিয়োগ কমে যাবে। আর বিনিয়োগ কমলে কর্মসংস্থানও কমে যাবে। এতে করে দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
আমাদের সময় (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩)
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- কেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ
- ঢাকায় আসছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পিআইবির মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
- জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- সুযোগ পেলেই ওরা ছোবল মারতে চায়: রাষ্ট্রপতি
- যে জাতি গুণীজনকে সম্মান দিবে, সে জাতি তত উন্নত হবে- প্রতিমন্ত্রী
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে
- রাঙামাটিতে জেএসএসের গুলিতে দুই ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
- সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- পাহাড়ের কৃষিতে বাড়ছে শিক্ষিত, তরুণ উদ্যোক্তা
- ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকের এমডিরা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
- জামাতুল আনসারের ‘প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী’ গ্রেপ্তার
- বান্দরবানে কেএনএর নারী ইউনিট সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
- উপজেলা নির্বাচন: বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ ইসির
- নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত
- তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দেশে জাগরণ তৈরি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি: রাষ্ট্রপতি
- যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী
- জিয়া আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে শাশুড়িকে হত্যার দায়ে জামাতা গ্রেপ্তার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ
- শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- মিঠাপানির ঝিনুকে তৈরি মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে!
- স্কোয়াড্রন লিডার জাওয়াদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- লক্ষ্মছড়িতে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত, এগিয়ে চাইথোয়াই
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াল মাটিরাঙ্গা জোন