শেখ হাসিনার কারণেই পাহাড়ে
সবাই শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০
২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বর্ষপূতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত একটা প্যাগমেটিক ও ইউনিক শান্তিচুক্তি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং অন্য কোনো দুরভিসন্ধির কবলে যাতে না পড়ে সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ কথা সবাই জানেন বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক পক্ষ এই চুক্তির বাস্তবায়ন চায় না। শুধু চায় না বললে কম বলা হবে, তারা অপকৌশলে এই চুক্তি যাতে ব্যর্থ হয় সে প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে।
তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্তিকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি বহু সুবিধাভোগী এনজিও এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে, যারা নিজেদের এনজিও ব্যবসা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য চুক্তির বাস্তবায়ন ঝুলন্ত অবস্থায় রাখতে চায়। কারণ, চুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়িত হলে অনেকেরই এনজিও ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে এবং মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা আর পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্বের ভূরাজনৈতিক দুরভিসন্ধি এখন আর কারও অজানা নয়।
পূর্বতিমুর এবং দক্ষিণ সুদানের কথা আমাদের সদা স্মরণে রাখতে হবে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ২১ বছরের ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত এবং রক্তক্ষরণের অবসান ঘটে। শুধু তাই নয়, ছোট রাষ্ট্র বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে সব ধরনের হুমকি ও আশঙ্কা থেকে আমরা মুক্ত হই। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাত্র দেড় বছরের মাথায় এত বড় একটা জাতীয় প্রাণঘাতী সমস্যার সমাধান, তাও আবার অন্য কোনো তৃতীয়পক্ষের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া, এটা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল উদাহরণ।
তাছাড়া শেখ হাসিনা সবেমাত্র প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার জন্য এটা ছিল বিরাট অগ্নিপরীক্ষা। তবে বাবা বঙ্গবন্ধুর মতো দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার শক্তির বলেই শেখ হাসিনা এতবড় রাজনৈতিক সাহস দেখাতে পেরেছেন বলে মানুষ মনে করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দুয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহের ইতিহাস ও তার পরিণতির দিকে তাকালে বোঝা যায় কী অসাধ্য শেখ হাসিনা সাধন করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র সংগ্রামেরত বিদ্রোহী সংগঠনের নাম দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার ফার্ক, অর্থাৎ রেভিউলুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া।
দীর্ঘ ৬০ বছর পর এই সবেমাত্র ২০১৬ সালে এসে কিউবার মধ্যস্থতায় গত ২৫ আগস্ট প্রথমবার তারা কলম্বিয়ান সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু সরকার চুক্তিটিকে গণভোটে দিলে কলম্বিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটে তা বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার পুনরায় গত ২৪ নভেম্বর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এবার আর গণভোটে না দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন নিয়ে কলম্বিয়ান সরকার সেটি চূড়ান্ত করেছে। চুক্তির বাস্তবায়ন এখনো শুরু হয়নি।
তাই বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সশস্ত্র বিদ্রোহের সমাধান ও মীমাংসার সঙ্গে তুলনা করলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরের শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ সাফল্য। এই চুক্তির গুরুত্ব এবং অনন্যতার জন্যই শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পান। চুক্তি যারা বাস্তবায়ন করবেন এবং এ বিষয়ে যারা উচ্চবাচ্য করেন তাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে কোনো চুক্তিই রাষ্ট্রের সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
১৯৭৮ সালে মিসর-ইসরায়েল ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করার ফলে মিসর ১১ বছর পর সম্পূর্ণ সিনাই অঞ্চল আবার ফেরত পায়। মিসরের জন্য এটা ছিল বিরাট অর্জন। মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেগিন ১৯৭৮ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। কিন্তু ১৯৮১ সালে চুক্তিবিরোধী একজন চরমপন্থির গুলিতে আনোয়ার সাদাত নিহত হন। প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে ১৯৯৩ সালে পিএলও এবং ইসরায়েলের মধ্যে অসলো শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর।
চুক্তি স্বাক্ষরকারী ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন পেয়ারস, তিনজন সম্মিলিতভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। ১৯৯৫ সালে চুক্তিবিরোধী একজন চরমপন্থি ইহুদির গুলিতে আইজ্যাক রবিন নিহত হন। সবাইকে ইতিহাস এবং সমসাময়িক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন আবশ্যক। দিন যত যাবে ততই আরও বহুরকম স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সৃষ্টি হবে। চুক্তির ১৯ বছরের মাথায় এসে বলা যায় সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং পিছিয়ে পড়া জায়গা থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে উপরে তোলার জন্য সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশাসনিক সুবিধা তৃণমূল পর্যন্ত বর্ধিতকরণসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সুযোগ ও সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে শান্তিচুক্তির ফলে। ১৯ বছর আগের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং বর্তমানের পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পার্থক্য সহজেই সবারই চোখে ধরা পড়ে। তাই ভূমি সমস্যার মতো একটা অত্যাবশ্যকীয় এবং চুক্তির জটিল অংশ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় সমাধানের পথকে আরও পিচ্ছিল করে দিতে পারে, এমন উসকানিমূলক কথাবার্তা থেকে সবারই বিরত থাকা উচিত।
১৯৭৬ সালে সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এমন অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোকে উল্টিয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার বাস্তবসম্মত কোনো পথ এখন আর খোলা নেই। কয়েক লাখ বাঙালি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছে। প্রথমদিকে এটি যেভাবে ঘটেছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের পথ পরিক্রমায় এটা এখন কঠিন বাস্তবতা। এই বাঙালিদেরও মানবাধিকার রয়েছে এবং সমঅধিকার পাওয়ার হক আছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে বাস্তবতা এবং চুক্তির মূল স্পিরিট পাহাড়ি-বাঙালি সবারই সমঅধিকারের বিষয়টিকে প্রধান বিবেচ্য ধরে অ্যাকোমোডেটিভ ও ইনক্লুুসিভ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিতে হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- দেশের আরও পাঁচ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
- গতি আসছে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পে
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি- মেয়র আতিক
- ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- আজ বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- রোহিঙ্গা গণহত্যা: দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর সরকারীকরণ হচ্ছে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- পদ্মা রেল করিডোর সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- প্রধানমন্ত্রী
আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? - খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রতীক বরাদ্দ
- মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা