খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৪
ছবি- সংগৃহীত।
উপকূলীয় খুলনা অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অভিশাপ ছিল মাটির অতিরিক্ত লবণাক্ততা। মিঠাপানির অভাবে বছরের অধিকাংশ সময় পতিত থাকত ফসলি জমি। লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে একসময় শুধু বর্ষা মৌসুমেই আমন ধান উৎপাদন হতো। সেই লবণাক্ত মাটি থেকে এখন বছরজুড়ে ফসল ঘরে তুলছেন উপকূলীয় এ অঞ্চলের কৃষক।
কৃষক বলছেন, পরপর কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর শুধু ধান চাষ করে তেমন লাভবান হতো না। লবণসহিষ্ণু ফসল আবাদের পদ্ধতি শিখে নিয়েছেন তারা। মৌসুমভেদে তরমুজ, শিম, কিনোয়া, সূর্যমুখী, সরিষা, বেগুন, করলা, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গোল আলু, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন তারা। পাশাপাশি বিনাচাষে রসুন ও ভুট্টাও উৎপাদন করছেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় চার উপজেলা দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা ও পাইকগাছায় লবণাক্ততা বেড়েছে। বছরের পর বছর কৃষি জমিতে লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষ করতেন এখানকার কৃষক। শুধু বর্ষা মৌসুমে আমন ধান উৎপাদন হতো। বাকি সময় এসব জমি পতিত থাকত। শুষ্ক মৌসুমে উপকূলের মাটিতে লবণাক্ততা বেড়ে যায়। চার বছর আগেও জমিগুলো আমন ধান চাষের পর অনাবাদি পড়ে থাকত। এখন সেই জমিগুলোই স্বপ্ন দেখাচ্ছে উপকূলের কয়েক উপজেলার চাষীদের। অল্প সময়ে বিনিয়োগে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ লাভ হওয়ায় কৃষক ঝুঁকছেন তরমুজ চাষে। উপকূলীয় এলাকার তরমুজ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বাড়ছে সারা দেশে। লাভ বেশি হওয়ায় চাষও বাড়ছে। গত কয়েক বছর এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে নতুনমাত্রা যোগ করেছে তরমুজ।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা ও পাইকগাছায় এবার ১২ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ টন। যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
খুলনার দক্ষিণে সুন্দরবনঘেরা উপজেলা কয়রা। এ জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। পুকুর, খাল, নদ-নদীতেও লবণ পানি। গভীর বা অগভীর নলকূপ এখানে অকার্যকর। সেচ সংকটে কৃষক ফসল আবাদ করতে পারতেন না।
কয়রার নাকশা গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের, হারুন গাজী, আবদুল আজিজ, যোগেশ মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন জানান, উপকূলীয় কৃষকের জন্য মাটির অতিরিক্ত লবণাক্ততা ছিল অভিশাপ। চোখের সামনে বিস্তীর্ণ জমি থাকলেও চাষের জমির জন্য ছিল হাহাকার। লবণাক্ত মাটি থেকেই এখন ফসল ঘরে তুলছেন তারা। কৃষিকাজ করে তারা এখন স্বাবলম্বী। এসব ফসল বিক্রি করে তাদের আয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ।
কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ উপজেলায় বিগত দিনের তুলনায় ফসল ও সবজি চাষ বেড়েছে। কৃষকদের ফসল ও সবজি চাষে প্রদর্শনী এবং প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে ধানের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে তরমুজ। ২০২০ সালে এ উপজেলায় মাত্র ৬৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। চাষীরা লাভবান হওয়ায় চার বছরের ব্যবধানে আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৬০ টন।’
তরমুজ চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পুরোদমে তরমুজ তোলা ও বিক্রির কাজ চলছে। পাকিজা, সুইট ড্রাগন, মারভেলাস, আনারকলিসহ কয়েকটি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তারা। ফলনও ভালো হয়েছে, দামও পাচ্ছেন ভালো। বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) তাদের খরচ হয়েছে ১৮-২২ হাজার টাকা। আর আয় হচ্ছে ৬০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে তরমুজের বীজ, কীটনাশক, সার ও ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে লাভ কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলনা কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুনর রশীদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী ও সবজিসহ কয়েকটি ফসলের লবণসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে পেরেছি। উপকূলীয় জমিতে এসব ফসল উৎপাদন বেড়েছে। তবে ধানের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে তরমুজ।’
দাকোপ উপজেলায় এ বছর ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি তরমুজের গড় উৎপাদন হয়েছে ৪২ টন। ১ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত তরমুজ ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে
- রাঙামাটিতে জেএসএসের গুলিতে দুই ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
- সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- পাহাড়ের কৃষিতে বাড়ছে শিক্ষিত, তরুণ উদ্যোক্তা
- ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকের এমডিরা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
- জামাতুল আনসারের ‘প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী’ গ্রেপ্তার
- বান্দরবানে কেএনএর নারী ইউনিট সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
- উপজেলা নির্বাচন: বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ ইসির
- নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত
- তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দেশে জাগরণ তৈরি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি: রাষ্ট্রপতি
- যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী
- জিয়া আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে শাশুড়িকে হত্যার দায়ে জামাতা গ্রেপ্তার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ
- শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- মিঠাপানির ঝিনুকে তৈরি মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে!
- স্কোয়াড্রন লিডার জাওয়াদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানির চেষ্টার নিন্দা শেখ হাসিনার
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার, খসড়া নীতিমালার অনুমোদন
- জুনে চালু হবে বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ঢাকার বাইরেও নো হেলমেট
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- লক্ষ্মছড়িতে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত, এগিয়ে চাইথোয়াই
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াল মাটিরাঙ্গা জোন