পার্বত্য শান্তিচুক্তি
শেখ হাসিনার এক অসাধারণ অর্জন
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে এই বাস্তবতাটি উপলব্ধি করেন যে দেশের এক-দশমাংশ এলাকা অস্থিতিশীল রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শুরু থেকেই এ সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করার চেষ্টা করেন। শান্তিবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। তিনি আরো একটি কাজ করেন, যা প্রশংসাযোগ্য। কিছু নাগরিককে নিয়ে তিনি একটি দল গঠন করেন, যারা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় গিয়ে পাহাড়িদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন এবং তাদের মধ্যে একটি আস্থার বোধ সৃষ্টি করবেন।
এমন একটি দলে আমারও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বাহন ছিল হেলিকপ্টার। সেই হেলিকপ্টারে যেতে হয়েছিল দুর্গম অঞ্চল ঘুনধুম, আলীকদম, কালাপাহাড়, মারিশ্যা প্রভৃতি স্থানে। কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। নিচ থেকে হেলিকপ্টারে গুলি করার ঝুঁকি ছিল। যেসব মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল তারা অত্যন্ত সহজ সরল কিন্তু বেশ স্বাধীনচেতা। তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, পাহাড়ি অঞ্চলে তারাও শান্তি চায়, কিন্তু কোনো সরকারের ওপরই তারা আস্থা রাখতে পারেনি। তাদের বলি, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যার পক্ষে এসেছি এবং তিনি নিজেই এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন চান এবং শান্তি ছাড়া এই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মনে হলো তারা আমাদের কথায় কিছুটা হলেও আস্থা রাখতে পেরেছে। এরই মধ্যে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমার (এরই মধ্যে মানবেন্দ্র লারমার মৃত্যু হয়েছে) সঙ্গে আলোচনা চলতে থাকে। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা শেষে উভয় পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে একমত হয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই চুক্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদে বিরোধী দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা করেন, এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে ফেনী নদী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তাঁর উপস্থিতিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আর সন্তু লারমা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি ছিল একটি আদর্শ চুক্তি। কারণ তা ছিল উভয় পক্ষের জন্য বিজয়ের (উইন-উইন) চুক্তি। এই চুক্তিতে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোকে পৃথক সত্তা বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়। এবং তাদের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থার কথা বলা হয়, যার অন্যতম ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার কাউন্সিল ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৯৯৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে অস্ত্র সমর্পণ শুরু করে। সেদিনের অনুষ্ঠানেও আমার উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তারা তাত্ক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করে দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন চায়। তবে তাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা, যেকোনো অবস্থায়ই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসুক। অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানের সময় দেখা গেছে অনুষ্ঠান চলাকালে স্টেডিয়ামের এক কোণে কিছু তরুণ-তরুণী চুক্তিবিরোধী ব্যানার নিয়ে বসে ছিল। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ২০ বছর পরও এই গোষ্ঠী এখনো সক্রিয় এবং তারা বহুধাবিভক্ত। এলাকায় চাঁঁদাবাজি আর হানাহানি করা ছাড়া তাদের অন্য কোনো কাজ নেই।
যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একসময় স্থানীয় জনগণের একটা চরম বৈরী সম্পর্ক ছিল, দেখা গেছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের সেই সম্পর্ক বর্তমানে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে স্কুল, কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের নাগালের মধ্যে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। যেকোনো মানুষ স্বীকার করবে ২৩ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। তবে এখনো চুক্তির অনেক শর্ত বাস্তবায়ন বাকি আছে বলে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন সন্তু লারমা প্রায়ই অভিযোগ করেন। সেসব দিকে সরকারের আরো দৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এই সম্পদ যেমন স্থানীয়দের কাজে লাগবে, ঠিক একইভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শেখ হাসিনা তিন মেয়াদে দেশ ও জনগণের কল্যাণে অনেক যুগান্তকারী অর্জন করেছেন। তবে যে কাজটি দিয়ে তাঁর সাফল্যের কীর্তি শুরু হয়েছে তা হচ্ছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। এবং এই চুক্তিটি কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া করা হয়েছে। এটি তাঁর জন্য এক বিরল কৃতিত্ব।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান
- সশস্ত্র বাহিনীকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য- প্রধানমন্ত্রী
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- কারাগারে বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ
- কারাগারে বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে মাতারবাড়ীর দ্বিতীয় ইউনিট
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- দেশের আরও পাঁচ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
- গতি আসছে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পে
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি- মেয়র আতিক
- ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- আজ বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- রোহিঙ্গা গণহত্যা: দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার