জুমের বদলে বেড়েছে রসাল আনারস চাষ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
একটা সময় পাহাড়ের টিলা ভূমিতে জুম চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকত সাধারণ জুমিরা। কিন্তু সেই টিলাতে এখন আগাম আনারস চাষ হচ্ছে। এতে করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। টিলা ভূমিতে চাষ করা আনারস রসাল ও সুমিষ্ট হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে সমতলে।
জানা গেছে, পাহাড়ি জেলাগুলোতে আনারসের মৌসুম ছাড়াই বিগত কয়েক বছর ধরে আগাম ফলনের আনারস চাষ হচ্ছে। এতে করে মৌসুমে উৎপাদিত আনারসের থেকে আগাম আনারসে বাড়তি লাভ করছেন চাষিরা।
মহালছড়ির মধ্য আদাম গ্রামের চাষি সুলক্ষণ চাকমা জানান, আগাম ১৬ হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি ফল পেয়েছি। এই আনারসগুলো রসাল এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাগান থেকেই ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আগাম আনারস চাষে খরচ অনেক বেশি। প্রতি পিস আনারস ১৪-২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি। এতে আমার বেশি লাভ হয় না।
আনারস চাষি রিপন চাকমা বলেন, এই এলাকায় এখন অনেকেই আগাম আনারসের চাষ শুরু করেছে। আগাম ফল আসলে ভালো লাভে বিক্রি করা যায়। এই আনারসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে সমতলে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে কিনে নিয়ে যায়। এতে চাষিদের কোনো প্রকার ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আনারস চাষিরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আনারস নিয়ে যাচ্ছেন মহালছড়ি ভাসমান পাইকারি বাজারে
নোয়াখালী থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, আমি মহালছড়িতে এসে মৌসুমি ফল নিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। বাগান থেকে কেনার কারণে একটু কম দামে কিনে নিতে পারি। মৌসুমে প্রতি পিস আনারস ৪-৫ টাকায় কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১৪-২০ টাকায়। সব খরচ দিয়ে খুব বেশি লাভ করতে পারি না।
ব্যবসায়ী মো. সোহেল জানান, আগাম আনারসের দাম মৌসুমের থেকে অনেক বেশি। বাগান থেকে আনারস কিনে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। আনারস রসাল ও সুস্বাদু হওয়ায় ভালো চাহিদা আছে।
নানিয়ারচরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনারস চাষিরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আনারস নিয়ে যাচ্ছেন মহালছড়ি ভাসমান পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা আনারস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে।
শ্রমিক জাকির হোসেন জানান, চাষিদের বাগানের আনারসগুলো পাইকাররা কিনে নেওয়ার সময় ট্রাকে উঠানোর কাজটি করে থাকি। এরপর ট্রাকে করে আনারসগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু আনারসই নয়, পাহাড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমি ফল লোড-আনলোডের কাজ আমরা করে থাকি।
পাহাড়ের টিলায় জুম চাষের বদলে আগাম জাতের আনারস চাষ হচ্ছে
শ্রমিক মো. রশিদ বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই কাজ করে থাকি। ১০০ পিস আনারস গাড়িতে লোড করে ৪০ টাকা পায়। সারাদিনে ১০ থেকে ১২ গাড়ি লোড করতে পারি।
আনারস বাগানে কাজ করা মো. শফিকুল বলেন, আগাম আনারসের চাষ বেড়ে গেছে পাহাড়ে। যার ফলে আমাদের কাজের তেমন বেশি সমস্যা হয় না। প্রায় প্রতিদিনই কাজ থাকে বাগানে। কাজ করে ভালোভাবে সংসার চালাতে পারছি।
মহালছড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে খুচরা বাজারে প্রতি জোড়া মাঝারি আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। বড় আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা জোড়া।
মহালছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্দুল জব্বার জানান, আগাম আনারস চাষে কৃষকরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। পাইকারদের কাছে তারা এখন ১৪-২০ টাকা দরে আনারস বিক্রি করছেন। পাইকাররা বাইরে নিয়ে সেই আনারস ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এখানকার আনারস এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। এতে করে চাষিরা আনারস চাষে ঝুঁকছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- দেশের আরও পাঁচ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
- গতি আসছে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পে
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি- মেয়র আতিক
- ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- আজ বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- রোহিঙ্গা গণহত্যা: দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর সরকারীকরণ হচ্ছে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- পদ্মা রেল করিডোর সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- প্রধানমন্ত্রী
আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? - খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রতীক বরাদ্দ
- মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা