মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৫ ১৪৩০
|| ০৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।
দাম কমায় স্বস্তি ফিরে এসেছে পেঁয়াজের বাজারে। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে পাতা পেঁয়াজ। প্রতিকেজি পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০-৭০ টাকায়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ। এছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। টিসিবির ট্রাকগুলো ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি করছে মাত্র ১৫০ টাকায়। সেখানেও পেঁয়াজ কেনার ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। দাম কমে প্রতিকেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসেছে। টিসিবির ট্রাকগুলোতে ভিড় না থাকায় নগরীর মধ্যবিত্তরা এখন ইচ্ছেমতো কম দামের পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় ভোক্তারাও খুশি।
জানা গেছে, চাহিদার তুলনায় এবার পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় এবার রেকর্ড সংখ্যক প্রায় ৫ শতাধিক আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারী অনুমতি নেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি সরাসরি আমদানির পাশাপাশি আরও চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে পেঁয়াজ নিচ্ছে। ফলে দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব ব্যবসায়ী দাম বাড়ার প্রথম পর্যায়ে বেশি মুনাফা করে নিয়েছেন। ফলে আমদানিকৃত পেঁয়াজ কিছুটা ছাড়ে বিক্রি করলেও সাধারণ মানুষ কিছুটা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, অনেক ব্যবসায়ী মানহীন ও নিম্নমানের পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। তারা বেশি মুনাফা করার আশায় আমদানি করেন। কিন্তু এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসবে বাজারে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাজারে পাতা পেঁয়াজ উঠে গেছে। দামও কম। মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে এবার পেঁয়াজের ফলন ভাল হবে। এছাড়া দেশী পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম ভাল হওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে এগিয়ে আসছেন। ফলে আগাম পেঁয়াজ আসবে বাজারে।
এছাড়া মাঠ পর্যায়ের কৃষকরাও এবার আগাম পেঁয়াজ উঠার খবর দিচ্ছেন। ফরিদপুরের সদরপুরের শৈলডুবির পেঁয়াজ চাষী আবুল হাশেম জনকণ্ঠকে বলেন, দাম ভাল হওয়ায় এবার কৃষকরা আগাম পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ফলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাবে সারাদেশের বাজারে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ চাষী ফসল পরিবর্তন করে পেঁয়াজ চাষাবাদে এগিয়ে আসছেন। এখন ন্যায্য দাম পাওয়ার বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর বাজারে শুক্রবার প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে পেঁয়াজ নিয়ে ভোক্তাদের আর কোন উদ্বেগ নেই।
পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করে বাজারে নিয়ে আসার পরামর্শ ॥ আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করে সেগুলো বাজারে নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে আমদানিকারকরা টিসিবিকে পেঁয়াজ কেনার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারকে। কিন্তু এবার সরাসরি টিসিবি আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া আরও চারটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পেঁয়াজ কিনছে সরকার। ওই পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে পেঁয়াজবাহী জাহাজের কারণে বন্দরে জট তৈরি হচ্ছে। জাহাজেই পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ॥ সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির। ফুলকপি-বাঁধাকপি, লাউ, শিম ও মুলাসহ প্রতিকেজি সবজি গড়ে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম এখনও কমেনি। প্রতিকেজি গোল আলু ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়