• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

মানবমুক্তির ব্রতে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা পরিকল্পনা

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১  

ছবি- সংগৃহিত।

ছবি- সংগৃহিত।

 

পরাধীন বাংলায় বাঙালি চরিত্রের ছিদ্রান্বেষণে মেকলে সাহেবরা মস্করার হাট বসাতেন। তাদের গোত্রের ফ্রান্সিস বেকনের আপ্তবাক্য ‘শিক্ষাই শক্তি’। এই শিক্ষা কীভাবে মানুষের জীবনচর্চার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, তা আমরা এখানে ব্যাখ্যা করব না। তবে বাংলা তথা ভারত অধিকারের পর ধূর্ত বেনিয়া শাসকরা এই আপ্তবাক্যের তেলেসমাতিতে দীর্ঘসময় এদেশ শোষণ করেছে। এই শিক্ষা যদি দিগভ্রান্ত হয়, তাহলে মানব সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির ক্ষমতা এর চেয়ে বেশি নেই। এই কাজটি তারা দক্ষতার সঙ্গে করে গেছে।

আমাদের দেশে গুরুগৃহে শিক্ষার আয়োজন দীর্ঘকালের প্রাচীন। স্বর্গের ভাগ্যবানরা মর্ত্যের পর্ণকুটিরে জ্ঞান অন্বেষণে আসত একদা। নিকট অতীতে বাংলা-বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দূরদেশের মানুষ কৃতি হয়ে ফিরে গেছেন। এর নজির ইতিহাসে আছে। যেমন চীনের হিউয়েন সাঙ্ সপ্তম শতকে এ দেশে এসে বাঙালি পণ্ডিত আচার্য শীলভদ্রের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

মুসলিম আগমনের পর অবস্থার হেরফের হলেও টোল-মক্তবের লেখাপড়ায় মানববিদ্বেষ ছড়ায়নি। চতুর বেনিয়ারা বাংলা তথা ভারত অধিকারের পর প্রথম থেকেই এ অঞ্চলের মানুষকে ধর্মকেন্দ্রিক বিভাজনের উদ্দেশ্যে সরকারিভাবে সংস্কৃত কলেজ এবং অ্যাংলো অ্যারাবিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। এই বিভেদভাবনা কার্যকর করার জন্য ‘টড’ আর ‘হান্টার’কে দিয়ে কল্পকাহিনিকে হারমানার মতো গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমান পরস্পরের মননে বিদ্বেষ বীজ প্রোথিত করার ব্যবস্থা নেয়, সেই থেকে শুরু। যার অবসান সুদূরপরাহত। বঙ্গবন্ধু সেই অচলায়তন ভাঙতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন সুশিক্ষার ব্যবস্থা করে দেশ এবং মানুষকে মুক্ত করতে।

ভাষা-সংস্কৃতি আর দূরত্বের ব্যবধানে ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়েছে। শিক্ষার্থীর মগজে সাবেকিধারা এবং পাকিস্তানি জজবা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ভাষা ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চলমান। অনেকের দেখা ঘটনা, আইউব খানের ভাষাকৃষ্টি বিষয় প্রবর্তনের বিরুদ্ধে কী উত্তাল আন্দোলন হয়েছিল! আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ এখন সরকারের শিক্ষা বিষয়টির দেখভাল করেন।

বঙ্গবন্ধু বাংলার ইতিহাস অবহিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। বাঙালির দুঃখজয়ের ইতিহাসে বিজয়ের প্রতীক তিনি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বকালের সকল বঞ্চনাকে হার মানিয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালায়। এজন্য শিক্ষাকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া হয়। একদা ‘শান্তির নীড়’ বাঙালির উঠোনে সম্প্রদায়িক শিক্ষা ব্যবস্থা হানা দেয়। যার সূচনা করেছিল দখলদার বেনিয়া সরকার।

বঙ্গবন্ধু মানবমুক্তির ব্রতে নিজের জীবনে ভোগের বিষয়টি বিসর্জন দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে বাঙালির বাসযোগ্যরূপে গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে যাবতীয় বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীর মননের মুক্তির জন্য কাজ শুরু করেন।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষার ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে জাতি-গঠনের আওতায় শিক্ষাকে প্রাধান্য দেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বালক খোকা শিক্ষার অবমানিত অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছেন ব্রিটিশ বাংলায়। কিছু সরকারি ও মিশনারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর ভাগ্যবানদের সন্তানদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয়, যা সাধারণ জনগণের সাধ্যের অতীত ছিল। এগুলো ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য গড়ে তোলা শিক্ষালয়গুলো চলত যুগের পর যুগ ধরে লাঞ্ছনার বোঝা মাথায় নিয়ে।

জনগণের মৌলিক অধিকার শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের (১৯৭২) বাহাত্তরের সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে “সবার জন্য শিক্ষা’কে গুরুত্ব দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র (ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য, (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য, (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।”

সংবিধানকে কাগুজে করে না রেখে তাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ১৯৭২ সালের ২৫ জুলাই জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠিত হয় এবং একই বছরে ২৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিক্ষা-কমিশন উদ্বোধন করেন। উদ্দেশ্য ছিল জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রূপায়ণ ও ভবিষ্যৎ সমাজ নির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, জাতীয় মূলনীতিগুলো সামনে রেখে। এই শিক্ষা কমিশনের প্রধান নিয়োগ করা হয় ধীমান শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদাকে। সেই থেকে এই কমিশনের নাম হয়ে যায় কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট ১৯৭৪ সালের ৪ মে সরকারের কাছে পেশ করা হয়। বঙ্গবন্ধু এতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ১৯৭৩ সালেই বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করে ফেললেন। কেবল তাই নয়, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণেরও ব্যবস্থা করলেন। তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল, ৪৭ হাজার দুশোর কাছাকাছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার কাঠির পরশে অবহেলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সরকারি কর্মচারীর মর্যাদায় ভূষিত হলেন। এ অঞ্চলের জ্ঞাত ইতিহাসের পাতায় এমন অভূতপূর্ব শিক্ষানুরাগ বাঙালির অশ্রুতপূর্ব।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারের আওতায় নিয়ে আসতে। এটা তিনি অবশ্যই করতেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক বঙ্গবন্ধুকে বোঝালেন, তাদের স্বায়ত্বশাসন দেয়ার জন্য। মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তাকে জীবনের অর্ধেক সময় কারান্তরীণ থাকতে হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিলেন ওই ১৯৭৩ সালেই। যাকে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ’৭৩-এর অ্যাক্ট।

কিছু আত্মঘাতী বাঙালি চরিত্রের বহুচারিতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর ধারণা ছিল। সুযোগ পেলে তারা শিক্ষার উন্নয়নের পরিবর্তে আত্মন্নোয়নে ব্যাপৃত হবেন, সে অনুমান তার চেতনায় উঁকি দিলেও বিশাল হৃদয় বঙ্গবন্ধু বঞ্চিত শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ছিলেন বাঙালির শির উন্নত করার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তির সুশিক্ষায় মানবমুক্তির দীক্ষা দিতে। আমরা কী করেছি, ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে নিরন্তর। যুদ্ধবিদ্ধস্ত রাজকোষশূন্য দেশে এমন বৈপ্লবিক পদক্ষেপ ইতিহাসে বিরল।

আমরা শিশুরাষ্ট্র বাংলাদেশের শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের কথা বলতে গিয়ে কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেছি। মাঝে ওই ধারাবাহিকতার প্রয়োজনে অন্যত্র দৃষ্টি ফেরাতে হয়েছে।

শিক্ষাকে মানবমুক্তির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্টিত করার জন্য খুদা কমিশনে জাতীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র; ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে মানবতা ও বিশ্বনাগরিকত্ব, নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজ রূপান্তরের বিষয়াবলি, প্রয়োগমুখী অর্থনেতিক অগ্রগতির অনুকূল শিক্ষা, কায়িক শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নেতৃত্ব ও সংগঠনের গুণাবলি ইত্যাদি সংযোজিত করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় পরিচিত করতে। সে সুযোগ বঙ্গবন্ধু পাননি। কেন পাননি, ইতিহাস তার অনেক সত্য উদঘাটন করেছে।

শিক্ষার অধিকার-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাংবিধানিক মর্যাদা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাদানে নিরত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে তিনি ভাবিত হতেন। যেন-তেন প্রকারের শিক্ষক নিয়োগ করে নিজের আসন পোক্ত করতে চাননি।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অধিকতর বিপর্যস্ত করে তোলে কিছু লুটেরা, বিজ্ঞানওয়ালা, তাদের কৃত্রিমদোসর, পাকিস্তানি পদলেহী দেশি-বিদেশি পরাজিত চক্রান্তকারী। এ সময়ে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণের দাবিতে একযোগে ধর্মঘট শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু সুশিক্ষাদানকারী প্রকৃত শিক্ষকের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও তিনি এ সত্য বোধকরি অনুমান করতে পেরেছিলেন, যারা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য সমর্থনের ভাব দেখিয়ে এগিয়ে আসে, তারাই আবার ক্ষমতাদখলকারীদের কাছে হাঁটু গাড়তে লজ্জাবোধ করে না। তিনি শিক্ষকদের বুঝিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত করেন।

তাছাড়া এ সত্য সর্বজনবিদিত, কিছু ব্যক্তির আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক মর্যাদার ব্যবস্থা করলেই রাতারাতি শিক্ষার উন্নয়ন হয়ে যাবে, তা বোধকরি সত্য নয়।
সংবিধানে ‘যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’ মেধাবী ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনে বিষয়টির সর্বাধিকার দেয়া আছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্র ঐতিহ্য অনুসরণ করেন। রাবীন্দ্রনাথ আবার দৃষ্টি প্রসারিত করেন বিদ্যাসাগর পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথের ভাষ্য: “আমাদের এই অবমানিত দেশে ঈশ্বরচন্দ্রের মতো এমন অখণ্ড পৌরুষের আদর্শ কেমন করিয়া জন্মগ্রহণ করিল, আমরা বলিতে পারি না। কাকের বাসায় কোকিলে ডিম পাড়িয়া যায়, মানব-ইতিহাসের বিধাতা সেইরূপ গোপনে কৌশলে বঙ্গভূমির প্রতি বিদ্যাসাগরকে মানুষ করিবার ভার দিয়েছিলেন।” রবীন্দ্রনাথ এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রতী শিক্ষাগুরুদের খুঁজে ফিরেছেন। তিনি জানতেন, কৃতিশিক্ষক দুর্লভ; কিন্তু কেবল সনদধারী শিক্ষাজীবী ভয়ঙ্কর। রবীন্দ্রানুরাগে অভিষিক্ত বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন করে সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার ভাবনা কার্যকর করতে চেয়েছিলেন। সবার সঙ্গে এক হয়ে থেকেও প্রকৃত শিক্ষকসমাজ মানবমুক্তির মিছিলে অগ্রণীর ভূমিকা পালন করতে পারেন, এ সত্য তার জানা ছিল। তাই তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেন।

সাধারণ শিক্ষা, চিকিৎসা শিক্ষা, আইন শিক্ষা, কৃষিশিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অনেককে সুবিধা দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য, সম্মিলিতভাবে সবাই এক হয়ে দেশ ও জাতির গৌরব প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তানের শেষের দিকে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন, অনেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী নিয়োগ পান, নানা দেনদরবার করে। শোনা যায়, এদের কেউ কেউ কাঁধে জায়নামাজ আর মাথায় টুপি পরে খাঁটি পাকিস্তানি সেজে অস্থায়ী চাকরি জোগাড় করেন। শর্ত ছিল যথাসময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে তারা স্থায়ী হবেন। সে শর্ত তারা পূরণ করতে পারেননি। বাঙালি জননীর মতো কোমল হৃদয় বঙ্গবন্ধু এদের নিয়মিতকরণের নির্দেশ দেন।

এলএমএফ পাস করা চিকিৎসকবৃন্দ মেডিক্যাল স্কুল পর্যন্ত লেখা পড়া করেছিলেন। তাদের বছরখানেক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করেন। মেডিক্যাল শিক্ষার অপ্রতুল দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও সাময়িক ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক ভেদ তুলে দিতে চেয়েছিলেন। চিকিৎসার মতো আইন শিক্ষার ব্যাপক প্রসার আগে ছিল না। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে অনেকে মোক্তারি পড়ে আইন ব্যবসায়ে যুক্ত হতেন। বঙ্গবন্ধু এদের অ্যাডভোকেট পরিচয়ে সম্মানিত করলেন। তার দুঃখ ছিল, বাংলার মানুষ পুরুষানুক্রমে মামলার ধারাবাহিকতা বহন করে যায়। মোক্তারদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করে বাংলার জনগণের মামলায় সর্বস্বান্ত হওয়ার দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন, সবাইকে এক কাতারে সন্নিবেশ করে শিক্ষা-চিকিৎসা-সামাজিকন্যায়বোধে উদ্বুদ্ধ করতে। সে মর্যাদা আমরা কতটুকু বহন করেছি? ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করছে। এ ছাড়াও কৃষিশিক্ষার অপরিহার্যতা স্মরণে রেখে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির চাকরির পদমর্যাদা দেন তিনি। আগে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির ছিলেন।

মানুষের মন কম্পাসের কাঁটার মতো নয় যে, সব সময় একমুখী হয়ে থাকবে। তবে রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের প্রয়োজনে কোনো কোনো সময় কিছু বিষয়ে একমুখিতার প্রয়োজন আছে। বঙ্গবন্ধু নানা কিসিমের শিক্ষাব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে এক ছাতার তলে আনতে চেয়েছিলেন। তাই বলে ভাষা শিক্ষা কিংবা ধর্মশিক্ষার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাননি। তবে ভাষা ও ধর্মের মাধ্যমে বিদ্বেষবিষ ছড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করার চিন্তা কম করেননি।

সুষ্ঠু পরীক্ষা গ্রহণ শিক্ষার অপরিহার্য স্তম্ভ। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, জেনারেল আইউব খান ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য পোষা পেটোয়া বাহিনী গঠন করেন। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য নৈরাজ্যের সঙ্গে পরীক্ষায় নকল করার ছাড়পত্র পায়। এই প্রবণতা সংক্রমিত হয়ে দেশময় ছড়িয়ে পড়ে।

দেশ স্বাধীন হলে ছাত্র-শিক্ষক মিলে নকলের উৎসবে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধু কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে নকল-নৈরাজ্য প্রশমিত করেন। শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ফিরে আসতে থাকে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রণীত শিক্ষা-সংক্রান্ত নিবিড় পরিকল্পনা পূর্ণ বাস্তবায়নের আগেই কুচক্রীমহল পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেয়।

বলা হয়ে থাকে আলেকজান্ডারের দেশজয়ের নেপথ্যে ছিলো মানবমুক্তির অভিলাষ। রবীন্দ্রনাথ সুশিক্ষার মাধ্যমে মানবমুক্তির বন্ধুর পথ অতিক্রমের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের উত্তরসাধক বঙ্গবন্ধু সুশিক্ষার সুষ্ঠু কর্মপন্থাকে মানব-মুক্তির সোপান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা পরিকল্পনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত খতিয়ান আমরা ফিরে দেখলাম। এসবের যথাযথ বাস্তবায়নে আমরা নিজেরাই ধন্য হবো এবং সুশিক্ষা মানবমুক্তির সত্যিকার দিশারি হয়ে উঠবে।

লেখক: গোলাম কবির, সাবেক শিক্ষক, রাজশাহী কলেজ।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]