• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী Copied from: https://www.rtvonline.com/bangladesh/270750 রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

বন-পাহাড়ের দেশে

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

 

“আমার হাতের তালুতে আকাশ
রাতের গভীরে ঢাকা সপ্তর্ষি
কে আমাকে খুঁজে পাবে?” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

ছোটবেলা থেকেই বনে ও পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে আমার। আদিম মানুষদের মতো। একদম প্রাগৈতিহাসিক আমাজন রেইন ফরেস্টের মতো হবে সেই বন। ঢুকলে আর বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না কোনোদিন। আর পাহাড়গুলো হবে আমাদের বাড়ির উঠোন থেকে দৃশ্যমান দূরদিগন্তের ওপারের গারো পাহাড়ের মতো। এই নিবিড় বন-পাহাড়ের ভেতরে পথ হারিয়ে আমি ঘুরতে থাকবো অনন্তকাল!

ইচ্ছেটার সুত্রপাত একজন বালকের তীব্র ব্যক্তিগত ঔৎসুক্য ও স্বাধীনতার অপ্রতুলতা থেকে। আমাদের বাড়ির কাছেই ঝাড় কাটা নদী। নদী পেরিয়ে মেঠোপথ ধরে নয় মাইল গেলেই মেলান্দহ বাজার রেল স্টেশন। এখান থেকে লোকাল ট্রেনে করে আট মাইল দূরে জামালপুর শহর। পাশেই ব্রহ্মপুত্র নদী। ডিঙি নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র পেরুলেই শেরপুর। শেরপুরের উত্তরে ঝিনাইগাতি থানা। এই থানার শেষ সীমান্ত বাংলাদেশেরও সীমান্ত। এখানেই গারো পাহাড়। বিস্তৃত হয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ভেতরে। আমাদের বাড়ির উঠোন থেকে বর্ষাকাল এবং শীতকাল ভিন্ন অবশিষ্ট সকল ঋতুতেই গারো পাহাড়ের গাঢ় নীলাভ রিজলাইন দৃশ্যমান। এতো কাছে! অথচ শুধুমাত্র আমি শিশু হবার কারণেই সেখানে যাবার কোন স্বাধীনতা নেই আমার।

আবার ধরুন যেমন, প্রতিদিন আমাকে স্কুলে যেতে হতো। কিন্তু ঐ সময়ে আমি খোলা প্রান্তরের ভেতরে দৌড়াদৌড়ি করতে অথবা ঘুড়ি উড়াতে পারতাম। সূর্য ডুবে যাবার পূর্বেই আমাকে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করতে হতো। অতঃপর হারিকেনের কাঁচের চিমনি পরিস্কার করে একান্ত বাধ্যগতের মতো সন্ধ্যার অব্যবহিত পরেই পড়তে বসতে হতো। হারিকেনের টিমটিমে মৃদু আলোতে। অন্যথা হলে বকা এমনকি চড় থাপ্পড়ও ছিলো নৈমিত্তিক। অথচ পৃথিবীর সকল বালকদের মতো আমার অন্তর্গত স্বত্বা ছিলো পরাধীনতার ঘোর বিরোধী। আমার ইচ্ছে করতো গোধূলির আলো মিলিয়ে যাবার পরও খোলা মাঠের ভেতরে শুয়ে থাকতে। তৃণ শয্যায় চিৎ হয়ে সন্ধ্যা তারা এবং আরো গভীর রাতে সপ্তর্ষিমন্ডল অথবা কালপুরুষ অবলোকন করতে। অথবা নিদেনপক্ষে উঠোনের প্রায়ান্ধকারে ঘুরে বেড়ানো জোনাকিদের সঙ্গ দিতে। কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ শিশুর মতনই আমার এই ন্যূনতম মানবিক স্বাধীনতাগুলো ছিলনা।

 

 

সুতরাং রাতের বেলায় পরিবারের সবাই যখন গভীর ঘুমে অচেতন, তীব্র অভিমানে আমি খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতাম। ইচ্ছে হতো সিদ্ধার্থের মতন বেরিয়ে যাই একদিন রাতের আঁধারে। আর কখনোই ফিরে না আসার জন্যে।

১৯৮৫/৮৬ সাল। আমি একজন পূর্ণ যুবক। ছয় বছর ক্যাডেট কলেজে পড়ার পর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার। জল, স্থল, অন্তরীক্ষে যাবার শপথ নিয়েছি আমি। অথচ আমার জীবনে স্বাধীনতা আসেনি। বন বা পাহাড় কোথাও যাওয়া হয়নি আমার এখনো। পূর্বে আমি নিয়ন্ত্রিত হতাম পরিবার দ্বারা। বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি প্রতিষ্ঠান দ্বারা। ইউনিটে আমার দায়িত্ব কোয়ার্টার মাস্টারের। চাল, ডাল, চিনি, তেল আর মাছ মাংশের হিসাব রাখতেই প্রাণান্তকর অবস্থা।

তবে সেই রবীন্দ্র সংগীতের মতন বসন্তের মাতাল সমীরণে সত্যি সত্যিই আমার জীবনে বনে যাবার সুযোগ এসেছে। একটা অবিচ্ছিন্ন-নিবিড় বন-পাহাড়ের জীবনের! সেনাবাহিনী সদর দপ্তর থেকে রাজধানী ঢাকা হতে বিচ্ছিন্ন করে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জোনের একটা রাইফেল ব্যাটালিয়নের সাথে (বর্তমানে বিজিবি ব্যাটালিয়ন) অনূর্ধ্ব এক বছর সময়কালের জন্যে।

আমার এই আনন্দ যাত্রা শুরু হল রাঙ্গামাটি সদর হতে। গভীর নিশীথে। অর্ধ রাত এবং পুরো একদিন দল বেঁধে পায়ে হেঁটে পেট্রোলিং করার মধ্য দিয়ে। গন্তব্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নতুন স্থাপিত কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশন ক্যাম্পে (সিআইও ক্যাম্প)।ক্যাম্পটির নাম দেয়া হয়েছে ‘দশরথ’ ক্যাম্প। ‘রামায়ণ’ এ উল্লেখিত রাম, লক্ষণ এবং ভরতের পিতা রাজা দশরথ।

 

 

চট্টগ্রাম শহর থেকে অদূরে সীতাকুণ্ডের কাছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ওপরে একটা মন্দির আছে। নাম চন্দ্রনাথ মন্দির। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে অন্যতম বিখ্যাত শক্তিমন্দির। সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী দেহত্যাগ করলে মহাদেব তার মৃতদেহ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। তখন বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে তার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হলে এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। হিন্দু পবিত্র গ্রন্থসমূহ অনুসারে সতীর দক্ষিণ হস্ত পতিত হয়েছিল সীতাকুণ্ডের আশেপাশে। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির তাই তীর্থযাত্রীদের জন্য এক পবিত্র স্থান।এর পুরনো নাম ছিলো ‘সীতার কুন্ড মন্দির’। ১৯৪৭ সনে ইংরেজদের কর্তৃক ভারত বিভক্তি উপমহাদেশকে ভারত এবং পাকিস্তান দুই খণ্ডে এবং ১৯৭১ সনে পাকিস্তান পুনঃ বিভক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটলে তিন দেশের মধ্যে সতীর শরীরের দেহাংশ সমুহ ভাগ হয়ে পড়ে।

‘সংখ্যা তত্ত্ব’ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই বললেই চলে। তবুও ‘তিন’ সংখ্যাটিকে আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়! জেরুজালেমের ওপরে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল ইহুদী, খৃস্টান এবং মুসলমান এই তিন ধর্মের মানুষ। তিন ধর্মের মানুষেরাই জেরুজালেমকে পবিত্র স্থান মনে করে। এই জেরুজালেম নিয়ে পৃথিবীতে অযুত সংখ্যক ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আমার প্রায়ই মনে হয় ধর্ম মানুষের মধ্যে অনেক মানবিকতার বিকাশ ঘটালেও ধর্মকে কেন্দ্র করেই সুযোগসন্ধানী বা সুবিধাবাদীরা যুগে যুগে মানুষের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করার প্রয়াস পেয়েছে। ধর্ম মানুষের দুর্বলতম স্থান। এই দুর্বলতম স্থানকেই সবসময়ে শক্তিশালীরা, সুবিধাবাদীরা সবাই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করতে উন্মুখ হয়ে থেকেছে। ধর্ম কেন্দ্রিক যুদ্ধে পরাজিত হয় একটা শক্তিই। মানবিকতা। মানব জগতের চালিকাশক্তি।

দশরথ ক্যাম্পের নাম শুনে আমি যুগপৎ ভাবে অবাক হয়েছিলাম এবং হয়তবা মজাও পেয়েছিলাম। বন-পাহাড়ের প্রতি বাল্যকাল থেকে আমার আকর্ষণ থাকলেও সত্য যুগের বিপরীতে কলি যুগে এসে এর প্রকৃতি কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। রামায়ণে দশরথের নির্দেশে তার দুই পুত্র রাম এবং লক্ষণ সীতাকে নিয়ে বনবাসে গমন করেছিলেন। কিন্তু আমাদের সময়ে দশরথরাই যান বনবাসে। মনে হয়েছিল আমার রাজধানী ছাড়ার মতন রাম, লক্ষণ, ভরত, সীতা সবাইকে অযোধ্যার রাজবাড়িতে রেখে রাজা দশরথ নিজেই বাণপ্রস্থে গমন করে এই নিবিড় বনভূমিতে এসেছেন। তাঁর সমস্ত রাজ্যপাল ছেড়ে। বৃদ্ধ পিতামাতার ‘ওল্ড হোম’–এ যাবার মতন!

ইউনিট অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন এবং উপ অধিনায়ক ক্যাপ্টেন সাইফ এর নেতৃত্বে যথারীতি মধ্যরাতের পর লিঙ্ক পেট্রোল শুরু করে পথিমধ্যে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পের সাময়িক আতিথেয়তা গ্রহন করতে করতে দুপুরের আগে আন্দরমানিক ক্যাম্পে পৌঁছলাম। লাঞ্চ করে পুনরায় পদব্রজে উঁচু নিচু সবুজ পাহাড়গুলোকে অতিক্রম করে দশরথ ক্যাম্পে পৌঁছাতেই সূর্য ডুবে গিয়েছিল পাহাড়ের অপরদিকে। পথিমধ্যে আমি দেখেছি পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্য। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন পাহাড়ের পর পাহাড়ের সারি। দুই সারি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে জঙ্গলের বুকে গভীর ক্ষতচিহ্নের মতো বিসর্পিত রেখায় বয়ে যাওয়া ঝর্ণার স্বচ্ছ জল। ঝর্ণার দুপাশ ঘিরে ঘন-বিন্যস্ত ঝোপের ভেতর বুনো ফুলের গন্ধ। এলিফেন্ট গ্রাসের সবুজ ঢেউয়ে আবৃত সমস্ত চরাচর!

আমার ক্যাম্পের উচ্চতা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ৩০০ ফুটেরও বেশি। পাশাপাশি কয়েকটা উঁচু পাহাড়ের মাথা বা টিলার ওপরে ক্যাম্পটা স্থাপন করা হয়েছে। আমার কুঁড়ে ঘরটা সবচেয়ে উঁচু টিলার ওপরে। এখান থেকে ক্যাম্পের অন্যান্য টিলার ওপরে স্থাপিত লোকেশনগুলো ছাড়াও সমস্ত বিশ্বচরাচর পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব!প্রতিটি টিলা আবার পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে প্রতিটা থেকে আসা রিজলাইন দিয়ে। কেন্দ্রে কোম্পানি সদর দপ্তর। কেন্দ্র থেকে একটা রিজলাইন উত্তরের দিকে প্রবাহিত হয়ে গোলাকৃতি হেলিপ্যাডে যেয়ে মিলেছে।

 

 

হ্যালিপ্যাডের চারপাশ ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোর মাথা রঙ-বেরঙের গাছপালায় ছেয়ে থাকে। আমি প্রতিদিন সকালে এখানে দৌড়াতে আসি একাকী। যদিও আমার ক্যাম্পের উপ অধিনায়ক বি ডি আর জেসিও আমাকে বেশ কয়েকবার আমাকে নিষেধ করেছেন এখানে একাকী না আসার জন্য। নিরাপত্তাজনিত কারন দেখিয়ে বলেছেন, “স্যার, আপনি দৌড়াতে গেলে আপনার রানার এবং আরও দুই তিন জনকে সাথে নিয়ে যাবেন অস্ত্রসহ”। কিন্তু সকালের ওই সময়টাতে আমার একাকী থাকতেই ভাল লাগে। সকালের নরম আলোতে আমি হেলিপ্যাডের কেন্দ্রে যেয়ে দাঁড়াই। তখন একটু দূরেই আমার পায়ের নিচে সমস্ত গাছ গাছালির মাথা। রঙিন হয়ে আছে হাজারো বুনো ফুলের ছড়াছড়িতে। আমার মনে হয় ফুলরুপী এক নক্ষত্রের বাগানের ভেতরে আমি যিশু খ্রিস্টের মতন দাঁড়িয়ে আছি!

একটু পর সামনের রিজলাইনকে অপরূপ সোনালী আভায় রাঙিয়ে দিয়ে পূর্ব দিগন্তে উদীয়মান হয় দিবাকর। হলুদ নরম আলোয় ভরে যায় চারদিকের প্রকৃতি। প্রতিটা মুহূর্তকে মনে হয় প্রাচীন স্ফটিকের মতন উজ্জ্বল–মনোহর!

ক্যাম্প থেকে তিন লাইন পরস্পরের সমান্তরাল পাহাড়ের ওপারে উঁচু নীলাভ একটা পাহাড়ের পাদদেশে একটা ভারতীয় শহর। এই বিশাল চরাচরের মধ্যে ঐ শহরেই শুধুমাত্র বিদ্যুতের অস্তিত্ব আছে। বোঝা যায় শুধুমাত্র সূর্যাস্তের পর। রাতের অন্ধকারে মনে হয় হাজার হাজার জোনাকিরা খেলছে। আমার ছোটবেলার সেই অন্ধকার মাঠের ওপরে জোনাকির মেলার মতন। প্রতিদিন সকালে সূর্য বেড়ে ওঠার সাথে সাথে এই শহরটা কুয়াশার মতন অস্পষ্ট হয়ে যায়। তখন পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় এর ওপরের পিচের রাস্তার পারদের আঁকাবাঁকা স্রোত ছুটে চলেছে ক্ষুধার্ত কোন অজগরের মতো অনির্দেশ্য কোন গন্তব্যের পানে। যেন মুখ থেকে ছিটকে পালিয়ে যাওয়া শিকারের সন্ধানে তার এই অভিযান।

আমার ক্যাম্পের তলা দিয়ে প্রথমে ঝর্ণা সৃষ্ট একটা জলাভূমি। স্বচ্ছ জল। গ্রীক মিথলজির নার্সিসাসের মতন এই স্বচ্ছ জলের আয়নাতে নিজের মুখ দেখে নিতে পারেন। একটু দূরেই অনেকগুলো ছোট ছোট পাহাড় যাদের মাথা ঢেকে আছে ছেদহীন অরন্যে। এই বিশাল অরন্যে বসবাস করে চিতাবাঘ, চিত্রল হরিন, শম্বর হরিন। হয়ত নীলগাইও !

প্রতিদিন আমাকে স্নান করতে নামতে হয় ক্যাম্পের নিচের ঝর্ণাতে। এই ঝর্ণাটা প্রবাহিত হয়ে এসেছে আমার ক্যাম্পের মাথার দিক থেকে অদৃশ্য কোন উৎস হতে। এর প্রবাহটা নিচের দিকেই প্রবল। এই ঝর্ণার জলেই আমি প্রতিনিয়ত অবগাহন করি। ঝর্ণার ঠিক উলটোদিকের পাহাড়ের পাদদেশে একটা কাল রঙের অতিকায় প্যান্থার সকাল বিকাল বিচরন করে। এর কারণে আমাদেরকে পানি সংগ্রহ অথবা স্নান করার জন্যে দল বেঁধে নীচে নামতে হয়।সশস্ত্র এস্কর্ট নিয়ে।

আমার ক্যাম্প আর সামনের পাহাড়ের মাঝখানে জলজ ‘ডেড গ্রাউনড’। এ ধরনের ভূমির উপস্থিতি দূরত্ব সম্পর্কে আপনার ভেতরে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করতে পারে।মধ্যবর্তী দূরত্বকে প্রকৃত দূরত্বের চেয়ে কম মনে হতে পারে। ফলে আমরা প্যান্থারটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেও গুলি তার সামনের স্বচ্ছ জলের ভেতরেই পতিত হয়। কখনই প্যান্থারের ধার-পাশ পর্যন্ত পৌছায়না। ফলে প্যান্থার আমাদের গুলির বিপরীতে কোন প্রতিক্রিয়াই প্রদর্শন করেনা।মাঝে মধ্যে অবজ্ঞা ভরে আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকায়। আমাদের নিক্ষিপ্ত গুলির শব্দই পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হতে হতে আমাদের কাছে ফিরে আসে!

দুই-একবার প্যান্থারটাকে শিকার করার জন্য পেট্রোল নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু জলাভূমি অতিক্রম করে ওটার ধারে কাছে পৌঁছানোর আগেই ওটা তালেবান জঙ্গিদের মতন প্রতিবারই গহীন অরন্যের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। আবার কোন নিরাপদ মুহূর্তে পুনঃ প্রত্যাবর্তনের জন্য!

আমি প্রায় প্রতি জ্যোৎস্না রাতেই পেট্রোল নিয়ে ক্যাম্প থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে যাই। আমার দুধারে শালের বন আর জংলী কলার গাছগুলো কাঁপতে থাকে ভূতের মতন। জ্যোৎস্নার আলোয় এদেরকে অলীক মনে হয়। অন্ধকারে পাশের পাহাড়ের ওপরে বুনো হরিণগুলো আমলকী গাছের নীচে সারারাত ধরে আমলকী খায়। আমরা পাশ দিয়ে যাবার সময়ে মাঝে মধ্যে মাথা তুলে আমাদের দিকে তাকায়। তবে বেশির ভাগ সময়ে ভ্রুক্ষেপই করেনা আমাদের দিকে।

একটু পর পর ঝর্ণা পার হতে হয়। ছোট ছোট ঝর্ণা। সবাই ডাকে ছরা বলে। তির তির করে স্বচ্ছ জল বয়ে যায় এদের ভেতর দিয়ে। জলের পরিমান খুবই কম। হাটুঁ পর্যন্তও ডুবেনা। হেঁটেই পার হওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি বাদলের দিনে এই ছরা গুলোই ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। তখন এর প্রবল স্রোতকে এড়িয়ে সাঁতার কেটেও পার হওয়া অসম্ভব। ঘণ্টায় বিশ ত্রিশ মাইল বেগে দুর্দান্ত স্রোতে প্রবল শব্দ করে জল নেমে আসতে থাকে তখন এই ছরা গুলোর ভেতর দিয়ে। অনেকটা স্বপ্ন থেকে হঠাৎ-জাগা নির্ঝরের বজ্র-গর্জনের মতন। ঝর্ণার স্বপ্নভঙ্গের কলরোল তখন মাইল মাইল দূর থেকেও কানে আসে! পাখির কাকলীর মতন।

মাঝে মধ্যে রাতে প্রবল চাঁদ ওঠে। অর্ধতন্দ্রায়, অথবা পরিপূর্ণ স্বপ্নের মধ্যেই আমি দেখি। হয়তবা ক্যাম্পের অন্য সকলেও দেখে যে, চাঁদের আলোয়, জল-কল্লোলে আর বনের মর্মরে সমস্ত পৃথিবীটাই অবাস্তব হয়ে গেছে। আমরা কেউই অবাক হই না! কারণ আমরা সবাই জানি এমন একটা আশ্চর্য পটভূমিতে সবই সম্ভব। সবই স্বাভাবিক। পাশের পাহাড় থেকে কানে ভেসে আসে হরিনের মিষ্টি ডাক। অথবা বিরহের আর্তনাদ।

এমন অপরূপ বন-জ্যোৎস্নায় হরিণ সম্ভবত তার হরিণীকেই সন্ধান করে ফিরছে। যেমন করে আমরা পুরো দেশবাসী নিরন্তর খুঁজে ফিরি হিংসা- হানাহানিমুক্ত স্বদেশ!

লেখক: মেজর (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]