সাজেকের বুকে এক টুকরো লুসাই গ্রাম
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩
ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।
গ্রাম শব্দটা শোনার সাথে সাথে আমাদের চোখের সামেন ভেসে উঠে দীগন্তজোড়া সবুজ ধানক্ষেত, মেঠো পথ, শান বাঁধানো পুকুর আর বাতাসে সোঁদা মাটির গন্ধ। কিন্তু বাংলাদেশের সব গ্রামই তেমন নয়। এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে গেলে চোখে পড়বে গাছবাড়ি, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, আর মাচাং ঘর। বলছি মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালীর ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রামের কথা। পাহাড়ে বসবাসরত অন্যতম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লুসাইদের জীবনযাত্রা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তুলে ধরে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম এই গ্রাম।
মেঘের রাজ্য হিসেবে সাজেক ভ্যালীর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠা ছোট্ট এই নগরী যেন কল্পনার রাজ্যের কোন কল্পনগরী। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে সাজেক রয়েছে পছন্দের শীর্ষে। তাই সারাবছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। সাজেক মূলত লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। সাজেক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠার আগে এখানে লুসাই জনগোষ্ঠীদের বসবাসের আধিক্য ছিল। সেই লুসাইদের জীবনযাত্রা, পোশাক, কৃষ্টি, সংস্কৃতিসহ তাদের জীবনধারাকে সাজেকে আগত পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রাম।
সাজেক রুইলুই পাড়া হ্যালিপ্যাডের খুব কাছেই ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রামের অবস্থান। ৩০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়েই প্রবেশ করা যায় এই গ্রামে। যদি লুসাইদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে প্রবেশ করতে চান তখন ফি হয় ১০০ টাকা। এই গ্রামে দাঁড়িয়েই উপভোগ করা যায় দূরের লুসাই পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য। লুসাই গ্রামের প্রবেশের সাথে সাথে আপনাকে স্বাগত জানাবে সাজেকের একমাত্র ‘ট্রি-হাউস’ বা গাছবাড়ি। গাছবাড়িতে উঠে অনেক দূরের পাহাড় পর্যন্ত দেখা যায়। গাছবাড়ি থেকেই নেমেই সামনে পড়বে দোকানদার বিহীন একটি দোকান । যেখান থেকে পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে মূল্য রেখে যেতে পারবেন। নিচের দিকে যেতে থাকলে সামনে আরো কিছু মাচাং ঘর পড়বে। যেখানে লুসাইদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। গ্রামের একেবারে শেষে রয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ। তবে মঞ্চটি লুসাইদের নিজস্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী তৈরি করা। মঞ্চের সামনেই রয়েছে দর্শকদের বসার স্থান। বড় বড় গাছের গুড়ি দিয়ে গ্যালারীর আদলে তৈরি করা এই বসার স্থান নজর কাড়বে যে কোন কারোরই।
মুক্তমঞ্চের কিছুটা পাশেই রয়েছে একটি বড় মাচাং ঘর, যার নাম জলবুক। জলবুক এমন একটি স্থান যেখানে সকল অবিবাহিত লুসাই পুরুষদের প্রথাগত আবাসিক থাকার জায়গা। যা গ্রামের নিরাপত্তার স্বার্থে রাত্রিযাপনের জন্য ব্যবহৃত হতো। এখান থেকে তারা কুস্তি, শিক্ষা, শিকার, বিনোদন, ব্যক্তিগত দক্ষতা, নিরাপত্তা শিক্ষা, এবং গ্রাম সরকার ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নিতেন। ১৫ বছরের বেশি হলেই জলবুকে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হতো। নারী ও শিশুদের জলবুকের ভেতর প্রবেশের অনুমতি ছিলোনা। ব্রিটিশ শাসন আর্বিভূত হওয়ার পরপরই জলবুকের গুরুত্ব কমতে থাকে। প্রথাগত শিক্ষা ও খ্রিস্ট্রীয় ধর্মে দীক্ষা দান শুরু হওয়ার পর থেকেই জলবুকের জৌলুস কমতে থাকে।
সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে এই ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রাম সবসময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। লুসাইদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক গায়ে চাপিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও লুসাইদের জীবনকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন পর্যটকরা।
চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে লুসাই গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটক তাসফিয়া বিনতে হাবিবা বলেন, সাজেক এবং লুসাই গ্রাম দুটোই খুব সুন্দর। যেহেতু এটি পাহাড়ি এলাকা এবং এখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের বসবাস বেশি, এই লুসাই গ্রামের মাধ্যমে আমরা তাদের জীবনযাত্রা, পোশাক-পরিচ্ছেদ ও ঐতিহ্যকে অনেকটাই উপলব্দি করতে পারলাম।
আরেক পর্যটক কাইমুল ইসলাম বলেন, সাজেকের অন্যতম আকর্ষণ হলো এই লুসাই গ্রাম। যারা সাজেক বেড়াতে আসবেন আমি তাদের অবশ্যই এই লুসাই গ্রাম ভ্রমণের পরামর্শ দিব। আর লুসাইদের ঐতিহ্যবাহী এই পোশাকটা পড়ে খুবই ভালো লাগছে। এটি দেখতেও সুন্দর এবং পড়তেই খুবই আরামদায়ক।
ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রামের ম্যানেজিং পার্টনার সুলতান মাহমুদ বলেন, লুসাইদের কালচারকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার ধারণা থেকেই আমরা এটি তৈরি করেছি। এখানে এসে পর্যটকরা খুবই আনন্দ উপভোগ করেন। বিশেষ করে তারা লুসাইদের পোশাকটা পড়তে চান। লুসাইদের ঐতিহ্যগত যেসব বিষয় আছে আমরা তাঁর বেশিরভাগই এখানে সংযোজনের চেষ্টা করেছি। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে ভালো একটা সময় কাটাতে পারেন সেজন্য আমরা আরো কিছু বিষয় সংযোজনের চেষ্টা করছি।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের কমতি নেই- প্রতিমন্ত্রী
- মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস
- ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদি কর্তৃপক্ষের
- সব ধরনের অনলাইন সেবা আইনের আওতায় আসবে
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- আরও বিস্তৃত হবে তাপপ্রবাহ, তবে সিলেটে হতে পারে বৃষ্টি
- ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
- শেখ হাসিনা ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন না
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি
- উপজেলা নির্বাচন: সচিব-আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইসি
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- উপজেলা ভোট নিয়ে ডিসি-এসপিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালায় প্রধান শিক্ষক শূন্য ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজ
- মাটিরাঙ্গায় নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন গৃহকর্মীর
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- নতুন করে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট