বান্দরবানের ‘দার্জিলিং’ ও সাঙ্গু নদীতে একদিন
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
ছবি- সংগৃহীত।
বান্দরবান, স্রষ্টা এই জেলাতে উজাড় করে ঢেলেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড়, নদী ও বন—কোনোটিরই অভাব নেই। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যের বুকে জেগে আছে গাছ-গাছালি ও বিশাল এক প্রাণীজগৎ। এখানকার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে আছে ভিন্ন ভিন্ন জীবনকথা। কয়েকদিন আগেই ঘুরে এলাম বান্দরবানের দার্জিলিং পাড়া থেকে। তবে গল্পের শুরুটা হয়েছিল একটা নদী নিয়ে।
বান্দরবান শহর থেকে কিছুটা ভেতরে যেতেই দেখা পেলাম সুন্দর একটি নদীর। পাহাড়, সবুজ আর বিশাল আকাশে ভেসে থাকা শুভ্র মেঘের সৌন্দর্যের ভিড়েও এই নদীটির রূপ উপেক্ষা করার কোনো উপায় ছিল না। সবুজ জল বুকে ধারণ করা নদীটির পাশ ঘেঁষা পাহাড় ও সবুজের চাদর সৌন্দর্য ঢাকেনি নদীটির, বরং আরো বাড়িয়েছে। পাহাড়ি পথে চলতে চলতে অদ্ভুত এক প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছিলাম সবুজ জলের এই নদীটির দেখা পেয়ে। অসাধারণ সৌন্দর্যের এই নদীর নাম সাঙ্গু।
নদীটির আরেক নাম ‘শঙ্খ’; এর অপার রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। অপূর্ব এই নদীর দুইদিকে পাহাড়ের সারি। বর্ষায় পাহাড় বেয়ে নামে ছোট-বড় অসংখ্য ছড়া। ছল ছল শব্দে ছড়ার চঞ্চল জল এসে মেশে নদীতে। পাহাড়ের ওপরে ভেসে বেড়ায় মেঘ। মনে হয়, ওই চূড়ায় উঠলেই বুঝি ছোঁয়া যাবে! বান্দরবানে গিয়ে এমনটা মনে হওয়াটা মোটে বেশি নয়। সাঙ্গুর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় সত্যিই জমে থাকে মেঘ। গাছের ফাঁকে আটকে যায়। সেখানেই ঝরে যায় বৃষ্টি হয়ে।
সাঙ্গু নদী
পাহাড়ের কোল বেয়ে এঁকে-বেঁকে চলছে কোথাও উন্মত্ত আবার কোথাও বা শান্ত এই নদী। দুই তীরের পাহাড়, বন, নদী ও ঝরনার সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হবেন। এক কথায় এই নদীটির সৌন্দর্যে আপনি শুধু অবাকই হবেন না বরং মুগ্ধতা আপনাকে গ্রাস করবে। এই সৌন্দর্য সত্যিই ভুবন ভোলানো। শীতকালে এই নদীটিতে তেমন স্রোত না থাকলেও বর্ষাকালে এখানে প্রবল স্রোত থাকে।
বান্দরবান থেকে কেওক্রাডংয় যাত্রায় আপনি চাইলে সাঙ্গু নদী, চিংড়ি ঝরনাসহ আরো কিছু প্রাকৃতিক মুগ্ধতার সঙ্গে যোগ করতে পারেন দারুণ একটি গ্রামের সৌন্দর্যও। নাম- দার্জিলিং পাড়া। এই গ্রামটি অনেকের কাছে বাংলাদেশের দার্জিলিং। অনেকেই শুনে থাকবেন এই গ্রামের নামটি, সঙ্গে এর মন ভোলানো সৌন্দর্যের কথাও। কেওক্রাডং পাহাড়ে যাওয়ার পথে রয়েছে এই গ্রামটি। পাহাড়ের চূড়ার অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছালেই দেখা মিলবে ছোট্ট এই গ্রামের। পুরো পথের তুলনায় জায়গাটি ব্যতিক্রম। দূর থেকেই দৃষ্টি কাড়ে এখানকার রঙিন বাড়িগুলো। তাছাড়া এখানে দেখা পাবেন জানা, অজানা অনেক রঙিন ফুলের।
পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত ছোট্ট গ্রামটি যেন প্রাকতিক সৌন্দর্যে আঁধার। সবুজের সমারোহে সাজানো চারপাশ। কিছুটা দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন হাত বাড়ালেই মেঘ ছোঁয়া যাবে। তবে মেঘেরা এখানে বাড়িগুলোর চেয়েও অনেকটা নিচে থাকে। ভোরে পাহাড়ের মাঝখানে ঝুলে থাকা মেঘের দৃশ্য দেখতে বেশ লাগবে। এছাড়া দূর পাহাড়ের কোলঘেঁষে সূর্যটা যখন আলো ফেলে এই গ্রামে সেই দৃশ্যটিও আপনাকে মুগ্ধতায় ঘিরে ফেলবে। আমরা যখন পাহাড়ের বুকে বেশ পথ হেঁটে এই গ্রামে পৌঁছেছিলাম তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল। মাথার ওপর ঝলমলে রোদে এই গ্রামটি তখন শান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল আমাদের কাছে।
মুগ্ধকর পাহাড়
সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়, এটি বেশ পরিচ্ছন্ন ও গোছানো একটি গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরো বেশি মুগ্ধ হতে হয় এখানকার মানুষের ব্যবহার ও আচরণে। গ্রামটিতে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেশ কম। ৩০টির মতো পরিবার বসবাস করে এখানে। এদের অধিকাংশই বম জাতি। আমাদের চেয়ে তাদের জীবনযাপন যেমন ভিন্ন, তেমনি ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য ভাষার বেলাতেও।
দার্জিলিং পাড়া থেকে ফেরার পথে আবারো চোখে পড়লো সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী। অপরূপ এই নদীর জলে আপনি স্বল্প খরচে দারুণ নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এই নদীর উদার সৌন্দর্য যেমন আপনাকে মুগ্ধ করবে তেমনি মনে এনে দেবে অনাবিল প্রশান্তি। অপূর্ব জলের বুকে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে আপনি হারিয়ে যাবেন সৌন্দর্যের জগতে। নদীর দুপাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবেই। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণের পাশাপাশি নদীর আশেপাশে পিকনিকের সুব্যবস্থা আছে। তাই চাইলে সদলবলে পিকনিকের আনন্দেও মেতে উঠতে পারবেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব- মন্ত্রী
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি
- ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- কেএনএন ইস্যুতে থমকে গেছে পাহাড়ের জীবন-যাত্রা
- ইউপিডিএফ কি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কেএনএফকে সহায়তা করছে?
- পাহাড়ে শান্তি কেড়ে নিয়েছে কেএনএফ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, প্রাথমিকের ক্লাস ৮টায়
- প্রত্যাহার হতে পারে মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত
- আজ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন
- উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- পৌরসভা-ইউপিসহ প্রায় শত পদে ভোট আজ
- সেনাবাহিনীর জয়ে শুরু মেয়েদের লিগ
- সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা
- স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে
- শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ উদ্বোধন
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- শেষ হলো জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন, হয়নি কমিটি ঘোষনা
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- ২ লাখ টিআইএনধারী বেড়েছে আড়াই মাসে
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান