• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি

লাহোরের ব্যাটিংস্বর্গে বোলিং চ্যালেঞ্জ

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

কোনটা বেশি ভয়ংকর? শাহিনের ইনসুইং ইয়র্কার, নাকি রউফের দেড়শ কিলোমিটারে পাঁজর লক্ষ্য করে ধেয়ে আসা গোলা? নাসিমের তো গতি-সুইং দুটিই আছে! আজ লাহোরে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই এ তিন পেসারের কাকে রেখে কাকে সামলাব অবস্থায় পড়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এই পেসত্রয়ীর যে কোনো একজনই বিশ্বসেরা ব্যাটিংলাইনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন।

পাকিস্তানি পেসাররা কতটা ভয়ংকর, সে নজির গত শনিবারই রেখেছেন তারা। ভারতের তথা সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। পাল্লেকেলেতে তাদের দু’জনকে রীতিমতো ফাঁদ পেতে আউট করেছেন শাহিন আফ্রিদি। প্রথমে রোহিত শর্মাকে পর পর দুটি আউট সুইং দিলেন। বাঁহাতি পেসারের আউট সুইং বেরিয়ে যাওয়ার মুখে দেখেশুনে ছেড়ে দেন রোহিত। তিন নম্বর বলটি ঠিক একই লেন্থে ফেলে ইনসুইং করান শাহিন। এতেই বোকা বনে যান রোহিত। ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন, বল তাঁর অফস্টাম্প উড়িয়ে নিয়ে যায়। বিরাট কোহলিকেও পর পর দুটি আউট সুইং দিয়েছিলেন শাহিন। পরের বলটি ফোর্থ স্টাম্পে গুড লেন্থে ফেলেন। এমন বল থার্ডম্যানে পাঠানো কোহলির কাছে ডাল-ভাতের মতো। কিন্তু গতির তারতম্যের কারণে একটু আগে শট খেলে ফেলেন ভারতীয় তারকা। বল তাঁর ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে প্যাডে আঘাত হানে, সেখান থেকে চলে যায় স্টাম্পে। এরপর লোয়ার অর্ডারের দুই উইকেট নেন শাহিন। তাঁর পাশাপাশি হারিস রউফ ও নাসিম শাহ তিনটি করে উইকেট নেন। তিন পেসার মিলে ভারতের ১০ উইকেট তুলে নেন। 

বাংলাদেশের জন্য একটু স্বস্তির বিষয় হলো, ভারতীয় ব্যাটাররা নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন পাল্লেকেলেতে। সেখানকার উইকেটে বল প্রত্যাশার চেয়ে দেরিতে ব্যাটে আসে। যে কারণে শট খেলা কঠিন। সে তুলনায় গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংস্বর্গ। এখানে গত চার ম্যাচের (শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান বাদে) তিনটিতেই অন্তত এক ইনিংসে তিনশর ওপরে রান হয়েছে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন, সেটা গত রোববার সেঞ্চুরি করার পর বর্ণনা করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘শান্ত উইকেটে যাওয়ার পর আমি তাকে বলি, এত ভালো ব্যাটিং উইকেট সচরাচর দেখা যায় না। এখানে ভুল না করলে আউট করা কঠিন। তাই সে যেন স্বাভাবিক খেলাটা খেলে।’ 

তার পরও একটা ভয় তো থাকেই। পাকিস্তানি বোলাররা হাতের তালুর মতো এ মাঠ চেনেন। এখানে খেলে তারা অভ্যস্ত। আর শুরুতে উইকেট নেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত ফেলেছেন শাহিন আফ্রিদি। তবে মিরাজ কাউকেই ভয় পাচ্ছেন না। 

রোববার ম্যাচসেরা হওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পাকিস্তানি পেস আক্রমণ সামলাতে তিনি প্রস্তুত কিনা? হাসতে হাসতে মিরাজ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি যে কোনো বোলারের মুখোমুখি হতে সবসময় প্রস্তুত।’ 

পুরো বাংলাদেশ দলও প্রস্তুত। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সুপার ফোর। সেটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় এখন নির্ভার ক্রিকেট খেলবে টাইগাররা। এমনকি দুরন্ত ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরও দুশ্চিন্তায় নেই বাংলাদেশ শিবির।
 

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]