বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান দর্শন দেশকে এগিয়ে দিয়েছে অনেক দূর
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
বিবিসির জরিপে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আজন্ম শিক্ষানুরাগী। নিজের জীবনে শৈশব ও কৈশোরে শারীরিক অসুস্থতা, অধিকার আদায়ের আন্দোলনের হাজারও চড়াই-উতরাই, বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে তিনি নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছেন। একটি উন্নত ও স্বাবলম্বী জাতি গঠনের জন্য তার ছিল দৃঢ়প্রত্যয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এক আধুনিক, স্বনির্ভর জাতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের যে চিত্র, তা আমি দুটো বিষয়ে আলোকপাত করব।
১. শিক্ষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে ভালোবাসা ও একাগ্রতা ছিল, তা প্রতিফলিত হয়েছে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই দেশসেরা বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদাকে নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করার মাধ্যমে। ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশন পরবর্তী সময়ে যে রিপোর্ট দেয় তাতে আমাদের সচরাচর পড়াশোনার মধ্যেও বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার নজির মেলে। এ রিপোর্ট পুরোটাই ছিল বিজ্ঞানবান্ধব।
২. বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত ভিশনারি ছিলেন। স্বাধীনতার পর যখন আমাদের সম্পদ, আমাদের অর্থ অত্যন্ত সীমিত, তখন ১৯৭৫ সালে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ স্টেশন চালু করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর যখন একটি দেশ অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন দেবদূতের মতো এসে হাল ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি জাতি যখন সবে যুদ্ধ শেষ করে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সে সময়টাতে তিনি দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেন, যেখানে তার শিক্ষাগত প্রজ্ঞার পরিচয় মেলে। এমনকি স্বাধীনতার পর তার বিভিন্ন ভাষণ, বক্তব্যে আমরা বিজ্ঞানবান্ধব না হলে যে অগ্রগতি লাভ করতে পারব না, তা পদে পদে সর্বক্ষেত্রে তুলে ধরেছেন।
বঙ্গবন্ধু কতটা শিক্ষানুরাগী ছিলেন তা তিনি দেশের দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাসের মধ্যেই প্রমাণ করে দেন। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের ঘোষিত ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের চেয়ে বেশি জোর দেয়া হয় শিক্ষা ও কৃষি খাতে। প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৪০ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লাখ লাখ স্কুল-কলেজকে স্বাধীনতার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুনর্গঠিত করেন তিনি। কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছিলেন, যদিও সময়টা সেভাবে পাননি তিনি। ’৭২-৭৫-এ অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিয়েছেন, দেশকে একটা জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন, তা ইতিহাসে খুব একটা দেখা মেলে না।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে আমরা আজ কৃষিতে অনেক বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে বিপ্লব বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অবদান। এ ছাড়া স্বাধীনতার আগে তিনি তার জীবনে ১৪ বছর জেলে ছিলেন; কিন্তু তারপরও তার সন্তানদের শিক্ষানুরাগী করতে পিছপা হননি। এক্ষেত্রে বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, প্রচেষ্টা, আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য যে সময়ের দরকার ছিল, ঘাতকদের কারণে সেটা তিনি পাননি ঠিকই; কিন্তু একটি দেশের প্রতিটি স্তরে তার স্বপ্নের জাল বিছিয়ে গেছেন, যা আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে স্পষ্ট অনুধাবন করতে পারছি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিলে বাংলাদেশ এগোতে পারবে না। তিনি শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সবসময়ই তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকটা সেরকমই গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা ২০১৭ সালে যেখানে গবেষণায় বাজেট পেয়েছি ৯০ লাখ টাকা, সেখানে এখন পাচ্ছি ৪ কোটি টাকা। এমনকি গতবার ১৩ কোটি টাকা আমরা গবেষণায় খরচ করেছি। দেশে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ছে, যা প্রকারান্তরে দেশের উন্নয়ন বয়ে আনবে গবেষণায়।
শিক্ষা ও গবেষণা ল্যাব থাকার কারণে আমরা দেশের এ সংকট মুহূর্তে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানোর সাহস করতে পেরেছি। দুই বছর আমরা প্রযুক্তির জন্য ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এ ধরনের পুরস্কার আগে ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রযুক্তিতে উৎকর্ষের জন্য প্রতিযোগিতায় ফেলছেন, যা প্রকৃতপক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বয়ে আনবে বলেই আমার বিশ্বাস। মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সামনে রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আরও বেশি উৎকর্ষ লাভ করার। আমরা ‘জেনোম সিকোয়েন্সিং’ করার চেষ্টা চালাচ্ছি, এ কাজে আমরা সর্বমহলের সহযোগিতা পাচ্ছি।
সবশেষে বলতে চাই, শিক্ষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে ভালোবাসা, বিজ্ঞানের প্রতি যে একাগ্রতা ছিল, তার ধারাবাহিকতায় দেশে বিজ্ঞানশিক্ষার প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে। কারণ আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষা ও গবেষণায় জোর দিতে হবে। এ জোর দেয়ার ফলাফল আমরা নিশ্চয়ই পাব সামনের দিনগুলোতে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় বিজ্ঞান শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ : উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
(আগামীকাল প্রকাশিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূরের লেখা)
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- মিঠাপানির ঝিনুকে তৈরি মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে!
- স্কোয়াড্রন লিডার জাওয়াদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানির চেষ্টার নিন্দা শেখ হাসিনার
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার, খসড়া নীতিমালার অনুমোদন
- জুনে চালু হবে বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ঢাকার বাইরেও নো হেলমেট
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির সম্ভাবনা
- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন
- নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, অস্ত্র-সরঞ্জাম উদ্ধার
- কাল খাগড়াছড়ির ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা
- খাগড়াছড়িতে নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ কালে আটক ১
- মাটিরাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম
- বিশ্বাসের ঘাটতি হটিয়ে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ফের হিট অ্যালার্ট জারি
- রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল
- জনসংখ্যা বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
- বাংলাদেশ-ভারত আর্মি টু আর্মি সংলাপ শুরু
- মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবায় আরও আন্তরিক হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- নারীকে গড়তে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে: শেখ হাসিনা
- পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে- প্রতিমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে নিখোঁজের ৫ দিন পর ত্রিপুরা নারীর মরদেহ উদ্ধার
- মানিকছড়ি কৃষি ব্যাংকে মধু মেলায় ৬৯ লাখ ৪১ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ
- ব্যবস্থাপক-শ্রমিক দ্বন্ধে থমথমে রামগড় চা বাগান
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- লক্ষ্মছড়িতে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত, এগিয়ে চাইথোয়াই
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াল মাটিরাঙ্গা জোন