জীবিত মুজিবের চেয়ে অন্তরালের মুজিব শক্তিশালী
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ১৫ আগস্ট বর্বরোচিত ঘটনা কেবল বাঙালির ইতিহাসের নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘাতকচক্র কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি আইন’ পাস করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার নীতি ও আদর্শ মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু তাদের সে চক্রান্ত এ দেশের মুক্তিকামী জনগণ সফল হতে দেয়নি। তাই তো জীবিত মুজিবের চেয়ে অন্তরালের মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশ ভালোবেসে গেছেন। তিনি কখনও ভাবতেও পারেননি যে, কোনো বাঙালি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে বা তাকে হত্যা করতে পারে।
সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সে সময় ঘটা অনেক ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে ২৫ বছর জেলবন্দি রাখার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আমি ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করি। বক্তৃতায় বলেছিলাম, হিটলার-মুসোলিনি থেকে শুরু করে কোনো স্বৈরাচারই টেকেনি, এ দেশেও স্বৈরাচার টিকবে না। এই অপরাধেই বোধহয় কিছুদিন পর আমি গ্রেফতার হই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জেলখানার ভেতরেই জিয়াউর রহমান তার সামরিক সচিব কর্নেল মাহফুজুর রহমানের মাধ্যমে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পাঠান। বলা হয়েছিল, প্রস্তাবটি না মানলে ২৫ বছর জেলে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারিনি বলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই। জীবনভর বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে তার আদর্শ আঁকড়ে ধরেই থাকতে চেয়েছি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, ’৭৪-৭৫ সালে এমপি হোস্টেলে থেকে প্রায়ই ক্যান্টনমেন্টে যেতাম মামাশ্বশুর ড. মাহবুবুর রহমানের বাসায়। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিস খুব কাছাকাছি। শ্যালক মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ওদের অনেকেরই হাবভাব, চালচলন পর্যবেক্ষণ করতাম। ভালো লাগত না। বারবারই মনে হতো খারাপ কিছু ঘটবে। কিন্তু ওরা যে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলবে, এটা কল্পনাই করতে পারিনি। তারপরও সিদ্ধান্ত নিলাম ডিজিএফআই অফিসের লোকজনের কথাবার্তা ও রহস্যজনক আচরণের বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধুকে জানাব। যতদূর মনে পড়ে, পঁচাত্তরের ১১ আগস্ট বিকালে গণভবনে গিয়েছি। তৎকালীন মন্ত্রী কোরবান আলী তখন সেখানে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বললাম আমার কিছু একান্ত কথা আছে। তিনি আমাকে ইশারায় বসতে বলে অন্যান্য কাজ সারতে থাকলেন। সন্ধ্যার পর আমাকে নিয়ে বের হলেন। গণভবনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে আমার কাছে জানতে চাইলেন, ‘কী বলতে চাস’। আমি ডিজিএফআই অফিসের বিষয়গুলো জানিয়ে বললাম, ওদের হাবভাব ও চলাফেরা আমার ভালো ঠেকছে না। বঙ্গবন্ধু হেসে বললেন, ‘একটু ঝামেলা ছিল, সব ঠিক হয়ে গেছে, চিন্তা করিস না।’ ফিরে এলাম আশ্বস্ত হয়ে। এটাই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা, শেষ কথা। এখন বুঝতে পারি, কোনো কিছুই ঠিক ছিল না তখন। আমাদের অগোচরেই জাতির পিতার রক্তে কালো হাত রঞ্জিত করতে প্রস্তুত হচ্ছিল ঘাতকরা।
তিনি বলেন, ১৪ আগস্ট রাতে নানা জায়গায় আড্ডা দিয়ে এমপি হোস্টেলে ফিরি। ৩টা-৪টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও একাধিক আওয়াজ শুনেছি। ভেবেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-উল্লাস হচ্ছে, পটকা ফুটছে। সকাল ৭টার দিকে পাশের রুমের খন্দকার নুরুল ইসলাম (রাজবাড়ীর এমপি) এসে দরজা ধাক্কানো শুরু করলেন। রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছি, তাই বেশ বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতেই তার মুখে শুনলাম ‘সর্বনাশ হয়ে গেছে’। তিনি দৌড়ে রেডিও নিয়ে এলেন। সেখানে বারবার বাজছে, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি...’। এর পরের কথাগুলো আমি আর শুনতে পারি না। আমার কান বন্ধ হয়ে আসে। মাথা ঘুরতে থাকে। আমার নেতাকে, আমার বঙ্গবন্ধুকে, বাঙালির জাতির পিতাকে ওরা মেরে ফেলেছে, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায়। খবরটি শুনে কত যে কেঁদেছি! আক্ষেপ জেগেছে, বঙ্গবন্ধুকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাবধান করেছিলাম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা চেয়ে দেখি এমপি হোস্টেলের বাইরেও ট্যাঙ্ক ঘুরছে। অনেক এমপি এবং নেতাকে ফোন করি, অনেককেই পাই না। এমপি হোস্টেলে হামলা হতে পারে- এই আশঙ্কার মধ্যেই বের হই। স্যান্ডেল পায়ে হেঁটে হেঁটে ফার্মগেটে যাই। তারপর সেখান থেকে মহাখালীতে এক আত্মীয়ের বাসায়। কিশোরগঞ্জে গিয়েছি আরও পরে।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছি। আমার জীবনে আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি শুধু চাই, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চিরঞ্জীব থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এজন্য তাকে বহুবার কারাবরণসহ অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এদেশের জনগণকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এজন্য পুনরায় তাকে কারাবরণ করতে হয়, যেতে হয় ফাঁসির মঞ্চে। তবুও তিনি শত্রুর সঙ্গে আপস করেননি। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সারাজীবন সমুন্নত রেখেছেন। দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাই ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার আদর্শ ও নীতিকে ধ্বংস করতে পারেনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি: রাষ্ট্রপতি
- যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী
- জিয়া আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- খাগড়াছড়িতে শাশুড়িকে হত্যার দায়ে জামাতা গ্রেপ্তার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ
- শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- মিঠাপানির ঝিনুকে তৈরি মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে!
- স্কোয়াড্রন লিডার জাওয়াদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানির চেষ্টার নিন্দা শেখ হাসিনার
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার, খসড়া নীতিমালার অনুমোদন
- জুনে চালু হবে বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ঢাকার বাইরেও নো হেলমেট
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির সম্ভাবনা
- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন
- নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, অস্ত্র-সরঞ্জাম উদ্ধার
- কাল খাগড়াছড়ির ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা
- খাগড়াছড়িতে নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ কালে আটক ১
- মাটিরাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম
- বিশ্বাসের ঘাটতি হটিয়ে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ফের হিট অ্যালার্ট জারি
- রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল
- জনসংখ্যা বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধ হবে র্যাপিড পাসে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- লক্ষ্মছড়িতে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত, এগিয়ে চাইথোয়াই
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াল মাটিরাঙ্গা জোন