• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি: রাষ্ট্রপতি যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী জিয়া আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি নাতালিয়ার সাক্ষাৎ নারীকে গড়তে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে : শেখ হাসিনা ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা- নানক ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর: সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড লু তার দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা করবে ছাত্রলীগ বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষাথীদের দক্ষতা অর্জনে সহযোগিতায় আগ্রহী ফ্রান্স: পলক হোটেল-রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা এশিয়ার বাণিজ্যে প্রবেশদ্বার হবে বাংলাদেশ ও তুরস্ক: এফবিসিসিআই হজ ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী কিশোর গ্যাংয়ে জড়ানোর কারণ খুঁজতে হবে- প্রধানমন্ত্রী আইএলওর সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী কোরবানি: চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ পশু বেশি আছে দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এআইয়ের অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে: পরিবেশমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে লাভ হয়নি- সমাবেশে কাদের হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না : প্রধানমন্ত্রী নারী-শিশু মামলায় বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো- পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দাম : প্রতিমন্ত্রী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সরকারের সব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশে গরিব থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী বোনকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সীমান্ত হত্যার ঘটনায় ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ জনগণই আমার শক্তি কাউকে পরোয়া করি না : প্রধানমন্ত্রী গুলশান-বারিধারায় লোডশেডিং দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে: প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে : প্রধানমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন : প্রেসিডেন্ট ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ আজ বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ- পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী আজ বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ : প্রধানমন্ত্রী দেশে মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ বেকার : প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে ৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের বৈঠক আজ প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ উপজেলা নির্বাচন: পাঁচদিন মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলেই জেল: ইসি হাবিব রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না- স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই- প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন আজ থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব- স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- রাষ্ট্রপতি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্যাটেলাইট ব্যবহারে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের আলোচনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি- শক্তিশালী হয়ে উঠছে সূচকগুলো

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

 

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস মিলছে। অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর অন্যতম আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্স সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠার মাধ্যমে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার সুফল মিলবে পুরো অর্থনীতিতেই। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি খাত শক্তিশালী হলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সাহায্য করবে। রেমিটেন্স দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সহায়তা করবে। আর রফতানি আয় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। আর আমদানি বাড়তে থাকায় আশা করা হচ্ছে দেশে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুই-ই বাড়বে।

জানা যায়, গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয়ও বেশি হয়েছে তিন কোটি মার্কিন ডলার। আর গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও আশানুরূপ অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে, রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতির অন্যান্য সূচকও ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার সুফল মিলবে পুরো অর্থনীতিতে। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি খাত শক্তিশালী হলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সাহায্য করবে। রেমিটেন্স দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সহায়তা করবে। ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করবে। আর রফতানি আয় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা ছিল রফতানি বাড়ার কারণে সেটা হবে না।’

একমাত্র রাজস্ব আয় ছাড়া অর্থনীতির সবগুলো সূচকই এখন উর্ধমুখী। আমদানি, রফতানি, রেমিটেন্স, রিজার্ভ, প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির এই পাঁচটি সূচক অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালভাবে কার্যকর রয়েছে। তবে করোনার কারণে সরকারের রাজস্ব আদায়ও মন্থর হয়ে পড়েছে। ফলে গত মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমে প্রায় ৩৫ শতাংশ। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রিও কমে গেছে। ফলে ব্যাংক ঋণমুখী হয়ে পড়েছে সরকার। এখন সরকারের উচিত যে কোন উপায়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধে বিশেষ নজর দিতে হবে। করোনার কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব আয় সরকারের হওয়া উচিত তা যেন দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের পকেটে না গিয়ে সরকারের ঘরে যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সরকারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে এবং ব্যাংকনির্ভরতা কমে যাবে।

করোনার ধাক্কায় সব দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে জানাই ছিল। কিন্তু মাত্রা কতটা হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের পূর্বাভাস ছিল। ছিল নানা আলোচনা। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ নিজেদের এপ্রিল-জুনের জিডিপির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংকোচন হয়েছে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ইতিহাসে সর্বাধিক। আবার ইতালির ক্ষেত্রে মুছে গেছে প্রায় ৩০ বছরের প্রবৃদ্ধিই। সেই তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

করোনা মোকাবেলায় জানুয়ারি থেকেই চীনে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। একসময় সেই সংক্রমণ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে মার্চের মাঝামাঝি থেকে প্রায় সব দেশেই মোটামুটি বন্ধ ছিল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিশেষত স্পেন, ইতালি, ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় দেশে সংক্রমণ যত ছড়িয়েছে, ততই ঘরবন্দী হয়েছে মানুষ। সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস। সে কারণে এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিক প্রান্তিকে আমদানি-রফতানি ও কলকারখানার উৎপাদন ধাক্কা খেয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটননির্ভর দেশগুলোর হোটেল, পর্যটন, বিমান ও রেস্তরাঁ পরিষেবা। যার জেরে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ফ্রান্সের জিডিপি কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ, ইতালির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ, স্পেনের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ও ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানির ১০ দশমিক ১ শতাংশ। আর ১৯টি দেশের ইউরোপীয় অঞ্চল (যাদের মুদ্রা ইউরো) ধরলে সেই অঙ্ক ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি কমেছে ১২ শতাংশের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি-মার্চেই ধাক্কা খেয়েছিল অর্থনীতি। তখন জিডিপি কমেছিল ৫ শতাংশ। তার পরেই করোনার হানায় গত বছরের এপ্রিল থেকে জুনের তুলনায় এ বছর ওই তিন মাসে মার্কিন জিডিপি কমেছে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগে ১৯৫৮ সালে জিডিপি কমেছিল ১০ শতাংশের বেশি। সেটাই ছিল রেকর্ড।

বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর। তবে আশার কথা হচ্ছে, জুন মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ মাসে (জুন) সর্বোচ্চ ৪৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর জুলাইয়ে হয়েছে ১৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। অথচ এপ্রিলে বেকারের হার স্বাভাবিক সময়ের সাড়ে তিন শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৪.৭০ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানে এই হার ১০.২০ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও এ কারণে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে প্রণোদনা ঘোষণার চিন্তাভাবনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গতিশীল হতে শুরু করায় বাংলাদেশের রফতানি আয়ও বাড়তে শুরু করেছে। এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ অবস্থান থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। চীন ও ভিয়েতনামের পরই এখন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক রফতানি করছে বাংলাদেশ। পোশাক রফতানিতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫ম এবং ২০১৭ সালে ছিল ৭ম। ইউএস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএফএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব দিলওয়ারের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। অতি সম্প্রতি এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, প্রতিযোগী মূল্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ অবস্থান থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। সস্তার মধ্যে মানসম্পন্ন পণ্য তৈরির কারণে বিশ্বজুড়েই বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। আর করোনার কারণে বৈশ্বিক মন্দার সময়ে এই সস্তা পণ্যের চাহিদাই বেড়ে যায়। ২০০৭-২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার সময় এই চিত্রটিই দেখা গেছে। যে কারণে ওই সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পোশাক রফতানি কমে গেলেও বাংলাদেশের বেড়েছে। এবারও করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট মন্দায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়ছে।

আমদানি ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর অনেক আগ থেকেই প্রবাসী আয় ছাড়া অর্থনীতির সব সূচক খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন করোনার মধ্যেও হঠাৎ করে আমদানিতে ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুন মাসে আমদানিতে প্রায় ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

যদিও ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ। এর ফলে অর্থনীতির ভাল সূচকে প্রবাসী আয়ের সঙ্গে যুক্ত হলো আমদানিও। করোনাভাইরাসের কারণে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে অনেক দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিশেষ করে চীনের বাজার। এর ফলে ঋণপত্র খোলা হলেও পণ্য আসেনি। এসব পণ্য জুন মাসে এসেছে। আবার করোনাভাইরাসের কারণে সুরক্ষাসামগ্রী আমদানিও বেড়েছে।

জুন মাসে আমদানি বাড়ায় মনে হচ্ছে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর তেমনটি মনে করেন না। তিনি বলেন, করোনা শুরুর পর অনেক দেশ থেকে পণ্য আসেনি। আবার বন্দরে এসেও পড়ে ছিল। চীনসহ অনেক দেশের বাজার খুলে যাওয়ায় জুন মাসে এসব পণ্য এসেছে। এর ফলে আমদানি বেড়েছে।

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলো চালু আছে, অর্ডারও আসছে। তাই আমদানি বাড়বে। তবে আগের মতো চাহিদা এখন হবে না, ফলে আমদানিতে তেমন প্রবৃদ্ধি হবে না। এ জন্য নতুন বাজার নতুন পণ্য রফতানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাহলে আমদানিও বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৮০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুন মাসে ৩৮৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। আর গত মে মাসে এসেছিল ৩৫৩ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে মে মাসের চেয়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে জুন মাসে। আর এপ্রিলে এসেছিল মাত্র ২৮৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা এক মাসের হিসাবে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

জানা গেছে, গত অর্থবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ৫ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। ওই অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ৫ হাজার ৯৯১ কোটি ডলারের। যদিও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানিতে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ২৫ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে ব্যাংকাররা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশে রফতানি বন্ধ ছিল, যা এখন খুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে কাঁচামাল আমদানি বাড়ছে, রফতানিও বাড়বে। এ ছাড়া সুরক্ষাসামগ্রী তৈরির বিভিন্ন কাঁচামালও আমদানি হচ্ছে। এ কারণে আমদানি বেড়ে গেছে। তবে আগের মতো মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে না।

রফতানি ॥ করোনা মহামারীর মধ্যে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের (২০১৯ সালের স্বাভাবিক সময়ে) একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেশি হয়েছে অন্তত তিন কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, করোনার বাস্তবতা সামনে রেখে রফতানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তার চেয়েও ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪৪ কেটি ৯০ লাখ ডলার। অথচ এই খাতে আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। একই সঙ্গে অর্জিত রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৮৮ কোটি মার্কিন ডলার।

জুলাই মাসে রফতানি আয় বাড়ার মধ্য দিয়ে নেতিবাচক ধারা থেকে বেড়িয়ে এলো এই খাত। অর্থাৎ সাত মাস পর বাংলাদেশ রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল রফতানি আয়ে। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি কমছিল।

গত মার্চ থেকে করোনা মহামারীর ধাক্কা বাংলাদেশে লাগতে শুরু করে। এপ্রিলে রফতানি কমে ৫২ কোটি ডলারে নেমে আসে। এপ্রিল মাসে আগের বছরের এপ্রিলের চেয়ে রফতানি আয় কমেছিল ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অবশ্য মে মাসে রফতানি বেড়ে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। তবে প্রবৃদ্ধি কমে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ নেমে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রফতানি আয় বেড়ে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে উঠলেও প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘স্রোতের বিপরীতে সাধারণ ছুটির মধ্যেও কারখানা খুলে দেয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত নেয়ার সুফল এখন রফতানি খাত পাচ্ছে। রফতানি খাত অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতের সঙ্গে আরও অনেকগুলো খাত সম্পৃক্ত। রফতানি খাত শক্তিশালী হলে অর্থনীতির অন্যান্য খাতও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এ কারণে রফতানি খাতে যেসব সমস্যা এখনও বিদ্যামান রয়েছে, তা দূর করা সম্ভব হলে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়বে। একইভাবে রফতানির পরিমাণও বাড়বে।’

এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘রফতানি আয় বেড়ে যাওয়ার খবর খুবই আশাব্যঞ্জক এবং ভাল খবর। তবে সঙ্কট কেটে যাচ্ছে এর মানে তা নয় কিন্তু। জুলাই মাসে যে রফতানি আয় দেশে এসেছে তা মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের অর্ডারের। বাস্তবতা হলো আমাদের হাতে নতুন অর্ডার কম আসছে। ফলে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রফতানির চিত্র খুব ভাল হবে বলে মনে হচ্ছে না।’

করোনায় একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় গত এপ্রিলে তৈরি পোশাকের রফতানি মাত্র ৩৭ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। পরের মাসে তা বেড়ে ১২৩ কোটি ডলার হয়। জুনে রফতানির প্রধান পণ্য পোশাক খাত বেশ ঘুরে দাঁড়ায়, ওই মাসে রফতানি হয় ২২৫ কোটি ডলারের পোশাক। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে ৩২৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ শতাংশের মতো কম।

এপ্রিলে কারখানা বন্ধের সময় শ্রমিকরা মজুরি পেয়েছেন ৬৫ শতাংশ। যদিও এপ্রিল, মে ও জুনের মজুরি দেয়ার জন্য মার্চে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল করেছিল সরকার। সেই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানা তিন মাসের মজুরি দিয়েছে। গত জুলাইয়ের মজুরি দেয়ার জন্য নতুন করে তহবিলের অর্থ পাচ্ছেন পোশাক মালিকরা।

আবার করোনায় অন্য বড় খাতের রফতানি কমলেও ওষুধ এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে। জুলাইয়ে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। আর জুলাই মাসে ওষুধ রফতানি বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। আগের বছরের জুলাই ১ কোটি ১৪ লাখ ডলার থেকে এ বছর জুলাই রফতানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ ডলারে।

এ ছাড়া জুলাইয়ে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৪ কোটি ২৫ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। যা রফতানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘তিন মাসের ভেতরে আমাদের প্রধান রফতানি খাত নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে, এটা অবশ্যই ভাল খবর। এতে বিদেশী ক্রেতাদের কাছেও ইতিবাচক বার্তা যাবে। আশা করি, পরের মাসগুলোতেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, কয়েক মাস ধরে শ্রমিকদের সীমিত মজুরি ও কর্মঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সরকারী সহযোগিতা ছাড়াই ধীরে ধীরে কারখানার মালিকরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দিতে পারবেন।

ইপিবি’র তথ্য বলছে, জুলাইয়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেখানে আয় হয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেশি হয়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের বড় অংশ (৮৫ শতাংশ) জোগায় তৈরি পোশাক। আর এই খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক সরাসরি যুক্ত রয়েছেন।

রেমিটেন্স ॥ করোনার এই সময়ে প্রতিদিনই প্রবাসীরা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে এ বছরের জুলাইয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত জুন মাসের চেয়ে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুলাইতে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এই হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিটেন্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের মতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিটেন্স আসেনি। গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। জুন মাসে এটি ছিল রেকর্ড। তবে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে জুলাইতে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন হুণ্ডি, স্বর্ণ চোরাচালান কমে গেছে। এর ফলে বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে। এর মানে এটা না যে, অভিবাসীরা ভাল আছেন। কিছুদিন পরে আর এত আয়ও আসবে না। ফলে এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দুই কারণে করোনাকালে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। একটি হলো- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে যারা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, তারা মূলত দেশে ফিরে আসার জন্য দিন গুনছেন। এই দিন গোনা প্রবাসীরা সেখানে যে টাকা সঞ্চয় করেছিলেন তার সবই দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ফলে রেমিটেন্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে।’ তিনি মনে করেন দ্বিতীয় আরেকটি কারণে রেমিটেন্স প্রবাহে রেকর্ড হয়েছে, তা হলো- এই করোনাকালে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকেও আগের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। এটা দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভাল লক্ষণ।

ইউরোপ-আমেরিকা থেকে রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেশগুলোর প্রবাসীরা ওইসব দেশে টাকা রেখে এখন কোন মুনাফা পাচ্ছেন না। অথচ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এই করোনাকালেও ৬ শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে। আবার জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে ১১ শতাংশের বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ইউরোপ আমেরিকার অনেকেই লাভের আশায় বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এর সঙ্গে ২ শতাংশ প্রণোদনা সুবিধা তো আছেই।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপ আমেরিকার প্রবাসীরা বাংলাদেশে বেশি বেশি টাকা পাঠানোর পেছনে আরেকটি কারণ হলো, বাংলাদেশে এখন সস্তায় ফ্ল্যাট পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে কালো টাকা বিনিয়োগ করারও সুযোগ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেদার ফ্ল্যাট কিনছেন।’ তিনি মনে করেন দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় হুণ্ডি কমে যাওয়ার কারণেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেড়ে গেছে।

রিজার্ভ ॥ রফতানি আয় ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। গত অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। আর পুরো অর্থবছরে আয় আসে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। আবার জুলাই মাসে রেকর্ড প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় (রেমিটেন্স) দেশে পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ঠিক আগের মাসেই ১৮৩ কোটি ডলার।

২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রফতানি আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আবার অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। সেই সঙ্গে করোনার সঙ্কটের সময় উন্নয়ন সহযোগীরাও জরুরী ভিত্তিতে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে গত ২৯ জুলাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭১৮ কোটি ডলার, যা দিয়ে প্রায় ৭ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এত আয় আসায় ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকা কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। দীর্ঘদিন ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় প্রতি ডলারের দাম আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এখন কমে হয়েছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ॥ শেষ পর্যন্ত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ীই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে যখন অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, তখনও বাংলাদেশে এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরে জন্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

যদিও করোনার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতেও ধস নামার আশঙ্কা করেছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। তবে সরকার দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২০ শতাংশই পুনর্নির্ধারণ করে। অথচ বাংলাদেশের বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশের বেশি হবে না। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতো সংস্থাগুলোও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত নেমে আসার আভাস দিয়েছিল। অবশ্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল। যদিও তাদের আশঙ্কাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ এই করোনা পরিস্থিতিতেও সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২০ শতাংশ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ, করোনার মধ্যেও কৃষিতে উৎপাদন ভাল হয়েছে। রফতানিও মন্দের ভাল ছিল। রেমিটেন্সও ভাল ছিল। অবশ্য জিডিপিতে সরাসরি রেমিটেন্সের প্রভাব খুব বেশি না থাকলেও এই রেমিটেন্স বিভিন্নভাবে প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

সূত্র জানায়, ২০০৫-০৬ ভিত্তি বছর ধরে গত অর্থবছরের বাজেটে টাকার অঙ্কে প্রবৃদ্ধির আকারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেই লক্ষ্য থেকে কিছুটা সরে আসে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই প্রাক্কলন অনুযায়ী, অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]