এক বছরে বিদেশে যাবে ১০ লাখ কর্মী
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২
ছবি- সংগৃহীত।
আগামী এক বছরে কমপক্ষে দশ লাখ লোক বিদেশ যাবে। করোনা মহামারীতে ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শ্রমবাজারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন চলছে শ্রমিক নিবন্ধনের কাজ। জনশক্তি রফতানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছরে দশ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো বিলাসী স্বপ্ন নয়। এটা বাস্তবায়নযোগ্য। আগামী বছর হবে শ্রমবাজারের নতুন অধ্যায়। কেননা চলতি অর্থ বছরে-(জুলাই থেকে জুন) দশ লাখের টার্গেট পূরণ হওয়ার পথে। মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী শ্রমবাজারের পাশাপাশি বন্ধ থাকা দেশগুলো খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাহরাইন ঘোষণা দিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার জন্য ভিসা প্রদান শুরু করা হবে। এছাড়া নতুন নতুন শ্রমবাজার আবিষ্কার করারও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রুমানিয়া পোল্যান্ড ও বলিভিয়াসহ ইউরোপে বৈধভাবে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মালদ্বীপে থাকা অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দেশটিতে উল্লেখযোগ্য শ্রমিক পাঠানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব মিলিয়ে এবার টার্গেট পূরণের নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস হিসেবে চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ লাখ পাঠিয়েছি। মাস এখনও শেষ হয়নি। বাকি দিনগুলোতেই দশ লাখের টার্গেট পূরণ করে ফেলব।
জনশক্তি রফতানি এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, আগামী অর্থ বছর হবে সব দিক থেকেই উজ্বল সম্ভাবনার। একদিকে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য গোটা বিশ্বে যেভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করার ওপর জোর দিয়েছে, তাতে উন্নত দেশগুলো সস্তা দরে শ্রমিক নেয়ার ওপর জোর দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। আবার বাংলাদেশও এখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বাজেট অধিবেশনের আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালও আগামী এক বছরে কমপক্ষে দশ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এখন সেটা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ অভিবাসন ব্যবস্থার ওপর। এ জন্য ম্যানুয়ালের পরিবর্তে যত বেশি ডিজিটালাইজেশন করা হবে- তত বেশিই অভিবাসন খাতে আরও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। তবেই সম্ভব এখন থেকে ঠিক আগামী এক বছরে দশ লাখেরও বেশি শ্রমিক পাঠানো।
বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেছেন, সরকার যদি শুধু মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার স্বচ্ছ পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে এ টার্গেট পূরণের পাশাপাশি অতিক্রম করে যাবে বহুগুণে। গোটা বিশ্বেই বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাহিদা রয়েছে। সরকার যদি সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরি করে স্বচ্ছতা বজায় রেখে সহযোগিতা করে তবে অতীতের রেকর্ড ভাঙ্গাও সম্ভব হবে। বিদ্যমান শ্রমবাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার খোলার দায়িত্ব কিন্তু ব্যবসায়ীরাই করে। সরকার শুধু নীতিমালা তৈরি করে। তবে আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী প্রতি উপজেলা থেকে একহাজার শ্রমিককে বিনা খরচে বিদেশ পাঠানোর যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন ছিল না। মালয়েশিয়া তো ঘোষণাই দিয়েছে বিনা পয়সায় শ্রমিক নেয়ার কথা। কিন্তু মাঝপথের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সেটাও এখনো সন্দিহান।
এদিকে জনশক্তি রফতানি প্রশিক্ষণ ব্যুরো জানিয়েছে, সরকার নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি বন্ধ থাকা শ্রমবাজারগুলোকে চালু করার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই ফলস্বরূপ বাহরাইনের শ্রমবাজার দীর্ঘ চার বছর পর চালু হতে যাচ্ছে। দেশে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশী কর্মীরা আবারও সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সম্প্রতি দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এক ফেসবুক লাইভে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে দেশে এসে আটকেপড়া ১৬১ জনকে প্রথম দফায় ভিসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাহরাইন সরকার। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাহরাইন সরকার ২০১৮ সালে বাংলাদেশীদের নতুন করে ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে যারা করোনা মহামারীকালে দেশে এসেছিলেন, তারাও ফিরতে পারছিলেন না কর্মস্থলে। এ সমস্যা সমাধানে বাহরাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে বাংলাদেশ সরকার ও সেখানে থাকা দূতাবাস। এতে মানামার ইতিবাচক ইঙ্গিত মিললে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নিবন্ধন করতে বলা হয়। রাষ্ট্রদূত নজরুল ফেসবুক লাইভে বলেন, বাহরাইনে ফেরার জন্য ৯৬৭ জন নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মালিকপক্ষ ফিরিয়ে নিতে রাজি আছেন। মালিকপক্ষের সাড়া পাওয়ার ওপর ভিত্তি করে ১৬১ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথমে বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ভিজিট ভিসা ইস্যু করবে। এরপর বাহরাইনে গেলে তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ওই ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করা যাবে।
বিদেশে শ্রম বাজার সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় সুখবর দিয়েছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। বিএমইটি জানায়, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শুধু ঢাকায় নয়Ñ জেলা কর্মসংস্থান অফিস কিংবা অনলাইনে ‘আমি প্রবাসী’ এ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন করা যাবে। মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন অনুযায়ী, বিএমইটি ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীর তালিকা থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যারা বিদেশ গমনের জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। তবে নিবন্ধনকালে কাক্সিক্ষত দেশ ও পেশা নির্বাচন করা না থাকলে আপডেট করা যাবে। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি), অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত দক্ষতা সনদ আপলোড করলে দক্ষ কর্মীরা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
বিদেশের শ্রমবাজার চাঙ্গা করার ইস্যুতে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এক সময় অনেক দেশে বৈধভাবে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশী শ্রমিক যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই বাজার অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। তার ওপর করোনা মহামারীতে গোটা বিশ্বে শ্রমবাজার আরও চাপে পড়ে। অথচ বাংলাদেশের শ্রমবাজারটি গোটা দুনিয়াজুড়ে বিস্তৃত। বিশ্বের ১৭২টি দেশে বৈধভাবে কাজ নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশীরা। বছরে গড় পড়তায় বাংলাদেশে থেকে সরকারীভাবেই আট থেকে ১০ লাখ শ্রমিক বিদেশে যান। এদের বেশিরভাগই যান অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে। তবে অন্যান্য ভিসা মিলিয়ে ২০ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে যান।
এদিকে নতুন অর্থবছরে কিভাবে এ টার্গেট পূরণ করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে বিএমইটি মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেন, করোনার সময়ে মাত্র ২ লাখ ৭১ হাজার লোক বিদেশে গেছেন। তারপরের বছর অর্থাৎ চলতি বছর টার্গেট ছিল ৪ লাখ। সে লক্ষ্য অতিক্রম করে দশ লাখ ছুঁই ছুঁই। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানত তিন কারণে। প্রথমত, গণহারে টিকা প্রদান, দ্বিতীয়ত বিএমইটি পদ্ধতি সহজীকরণ ও তৃতীয়ত প্রবাসী গমনেচ্ছুদের ৭০০ কোটি টাকা লোন প্রদান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শ্রমিকদের জন্য বিদেশমুখী করার নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন আগে রোমানিয়ার ভিসা নিতে হতো দিল্লী থেকে। এখন এটা কাকরাইলের জনশক্তি অফিসেই ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জাপান ও কোরিয়া যাওয়ার প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশের যুব সমাজকে বিদেশ যাওয়ার আগে ন্যূনতম মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কোন রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানোর নামে কোন অঙ্গীকার বা প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তাদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি সহজ করা। এতে স্বচ্ছতা ফিরে আসছে। অর্থাৎ স্বচ্ছ অভিবাসন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেটা আরও জোরদার করা হবে। কাজেই আগামী এক বছরে মালয়েশিয়া চালু হলে সেটা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশারের মতে, সরকার তো মার্কেট খুলেও নেয় না, ব্যবসাও করে না। ব্যবসায়ীরাই বিদেশে শ্রমবাজার আবিষ্কার করে। ব্যবসাও তারাই করে। সরকার শুধু পলিসি তৈরি করে, গাইড লাইন দেয়। বাস্তবায়ন করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তারপরও বলতে চাই, এক বছরে দশ লাখের টার্গেট পূরণ করে আরও বাড়ানো সম্ভব। যদি মালয়েশিয়ায় পূর্ণোদ্যমে চালু হয়, তাহলে সেটা ১২ লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে আগামী এক বছরের শ্রমবাজার।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের ৮০ শতাংশের বেশি মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর মিলিয়ে রয়েছে ১৫ শতাংশের মতো। অবশিষ্ট বাজার নানা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এর বাইরে নতুন শ্রমবাজার উন্মোচনের লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। তারপরই রয়েছে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। সৌদির পর মধ্যপ্রাচ্যের অন্য শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন ও জর্ডান। এক সময় কিছু শ্রমিক অবৈধভাগে গেলেও এখন বৈধভাবে পোল্যান্ড, রোমানিয়া বলিভিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকরা সম্প্রতি যেতে শুরু করেছে। এ সব দেশে দক্ষ ও অদক্ষ সব ধরনের শ্রমিকই যাচ্ছেন। বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেন, এখন শুধু সৌদি আরবেই প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার লোক যাচ্ছে। কারণ এটা আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। এখানে যাওয়া শ্রমিকদের বেশিরভাগই অদক্ষ শ্রমিক। তারা নির্মাণ খাত, রেস্তরাঁ, দোকান ও রাস্তাঘাটে ক্লিনারের কাজে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ভ্রমণ ভিসায় বা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ভিসায় গিয়ে নানা দেশে থেকে যাচ্ছেন। অনেকে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবৈধভাবে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
এদিকে বাংলাদেশীদের জন্য শীর্ষ শ্রমবাজার হচ্ছে সৌদি আরব ওমান, সিঙ্গাপুর, কাতার, জর্ডান, মরিসাস ও কুয়েত। সৌদি আরবে প্রতিমাসে এক লাখের বেশি দক্ষ অদক্ষ শ্রমিক যাচ্ছেন। আবার বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাতারে জোরেশোরে নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানেও প্রচুর বাংলাদেশী শ্রমিক যাচ্ছেন। আবার একসময় বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক কুয়েতে কাজ করতে গেলেও এখন সেখানে কর্মীদের যাওয়া অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কম হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া সুদান, মালয়েশিয়া দক্ষিণ কোরিয়া, ইটালি, মিসর, ব্রুনেই, জাপান, ইরাক ও যুক্তরাজ্যে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকরা যাচ্ছেন। অবশ্য এসব দেশে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে দুঃসময় চাঙ্গা রেখেছেন। এখনও সচল রাখছেন। সেজন্য চলতি বছর বিদেশের শ্রমবাজার আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করার জন্য এবার সরকার আগের চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে- জনশক্তি রফতানিই এখন জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির একটি বড় শক্তি। করোনা মহামারীর সময়ও এটা খুব ভালভাবেই বোঝা গেছে। তখন বিশ্বজুড়েই অর্থনীতি চাপের মুখে ছিল। বাংলাদেশও এর বাইরে ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল, শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। তখন মূলত দুটি খাতের ওপর ভিত্তি করে দেশের অর্থনীতি টিকে ছিল। একটি হলো কৃষি, অন্যটি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। দেশবাসী দেখেছে- কিভাবে মহামারীর মাঝেও প্রবাসীরা হাত খুলে দেশে ডলার পাঠিয়েছেন। এ সময় তাদের পাঠানো আয় অর্থনীতিকে দিয়েছে বড় স্বস্তি। প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উঠেছে নতুন উচ্চতায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। দেশের অনেক পরিবারে করোনার দুর্যোগকালে স্বস্তি ও সাহস জুগিয়েছে এ প্রবাসী আয়ের অর্থ।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশে শ্রমবাজার নিয়ে সরকার সর্বদাই সক্রিয়। এ বছর দশ লাখ লোক পাঠানোর ঘোষণা বাস্তবায়নযোগ্য। এটা সম্ভব। মালয়েশিয়াসহ বন্ধ থাকা মার্কেটগুলো সবাই খুলতে বলছে। আমিও চাই। সেভাবে কাজও চলছে। আমাদের তো মার্কেট খোলার পাশাপাশি নিরাপদ রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হয়। কারণ ইস্যু হচ্ছে আমার জাতীয় স্বার্থ।
এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় শুরু হওয়ায় জনশক্তি রফতানি এজেন্সিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও আপাতত ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই শ্রমিক নেয়া হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তারপরও অন্তত কমপক্ষে ৩ শত রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হবে। তারা ইতোমধ্যে দেশজুড়ে শ্রমিক সংগ্রহের কাজে লোক নিয়োগ করেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের বহুল কাঙ্খিত সম্মেলন কাল
- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে
- ৬ জুন সংসদে উঠবে নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- ৪৬তম বিসিএস প্রিলি আজ, মানতে হবে যত নির্দেশনা
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন
- বেনজীরের অর্থের হিসাব চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দুদকের চিঠি
- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
- ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত
- বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সাংবাদিকদের
- বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাক প্রধানমন্ত্রী
- যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন
- ভাষা সৈনিক বাদশার স্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব
- জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানির রাজকীয় অতিথি শেখ হাসিনা
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের কমতি নেই- প্রতিমন্ত্রী
- মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস
- ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক