রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২০
দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতায়ই নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কারণে আজ বাংলাদেশে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থননির্ভর নেতৃত্বের বেলায়ও শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিতে তিনিই অপ্রতিদ্বন্দ্বী। নিজেকে নিজে অতিক্রম করা ছাড়া শেখ হাসিনার বিকল্প সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরেও নেই। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সংঘটিত পরিবার-পরিজনসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ৩৯ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাই আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর ও তাঁর পিতার সব রাজনৈতিক উত্তরসূরি।
সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে পশ্চিমাদের কাছেও বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তোলার পরপরই হঠাৎ যেন চারদিকে নানামুখী ষড়যন্ত্রের গভীর আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এক ধরনের গুমোট হাওয়া ও অস্থিরতা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। একের পর এক গুজবে জনগণকে অশান্ত করে দিচ্ছে একটি অশুভ শক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বারবার একটি গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে সতর্ক করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এর পরও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাবে। যেন তার মনোবল, প্রবল আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তায় তিনি অবিচল।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, স্বাধীনতা-উত্তর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বহু নীলনকশা এ দেশে প্রণীত হয়েছে, যার অনেকটি যেমন কার্যকর হয়েছে তেমনি অনেকটি ব্যর্থ হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটেছে। কখনো দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা হয়েছে, কখনো বা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করা হয়েছে। কখনো বা দেশের অর্থনীতির মেরুদ ভেঙে দিয়ে জাতিকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির কোনো কর্মকা না থাকলেও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের নৈশভোজ, চা চক্র নিয়মিতই হচ্ছে। এমনকি চাউর হয়েছে, পশ্চিমা কূটনীতিকরা এসব বৈঠকে আগামী ছয় মাস পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সবাইকে নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন এবং এক বছর পর একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ফর্মুলা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায় কিনা এ প্রস্তাব নিয়ে কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের সমর্থনও আদায়ের চেষ্টা করা যেতে পারে বলে তারা মত রাখছেন। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও হেফাজতের সম্পর্ক রয়েছে।
একটি মহল যেন চাইছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে বা তাঁকে কর্তৃত্বহীন করে সরকার সাজাতে। এমন লক্ষ্য নিয়েই কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল? এমন প্রশ্ন পর্যবেক্ষকদের। তবে পর্যবেক্ষক মহল থেকে রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক শক্তির আগমন চলমান বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সুযোগ নেই। আর বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অসাংবিধানিক শাসনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সেই পথ রুদ্ধ করেছে। তাই পর্দার আড়ালে ওয়ান-ইলেভেনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুশীলবরা তৎপর হলেও সুবিধা করার সুযোগ নেই।
এদিকে নানামুখী একের পর এক গুজব সমাজ জীবনকে অস্থির করে সরকারের ওপর নানামুখী চাপ সৃষ্টির, কখনো বা কৌশলে সরকারের ইমেজহানির চেষ্টা চলছে। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে বলে মাঝখানে অগ্রসর বিজ্ঞানমনস্ক সমাজে গুজব ছড়িয়ে এতটাই হুলুস্থূল কা বাধিয়ে দেওয়া হলো যে, এ নিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষকে বিবৃতি পর্যন্ত দিতে হয়েছে। এরপর ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে মায়েদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে।
সরকারের অনেক মন্ত্রী-নেতা এমনকি ওপর মহলের সঙ্গে গভীর ঘনিষ্ঠতার সুবাদে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশাল সুবিধাভোগী অনেকের সঙ্গে প্রশাসনসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাও উদাসীন হয়ে পড়েছেন। ভাবখানা এমন, ক্ষমতায় থাকার দায়িত্ব পালন করবেন শেখ হাসিনা, চ্যালেঞ্জ নেবেন শেখ হাসিনা আর তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চেয়ারে আয়েশে দোল খাবেন। এদের একটা বড় অংশ যে ষড়যন্ত্রে নেই তার গ্যারান্টিও কেউ দিতে পারবেন না। উপাচার্যকে ঘিরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অস্থিরতা, বুয়েটে আবরারের মতো মেধাবী সন্তানের নৃশংস হত্যাকা থেকে ফেনীর নুসরাত হত্যার রোমহর্ষক ঘটনাও খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই দেখতে হয়। নুসরাত হত্যার দ্রুত বিচারে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আমজনতা সন্তোষ প্রকাশ করলেও, আবরার হত্যার বিচারও দ্রুতলয়ে অগ্রসর হওয়ায় দেশবাসী যখন স্বস্তিতে তখন পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সমাজে চরম অস্থিরতা তৈরি করেছে। সরকারের ইমেজে কড়া আঁচড় বসিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সময়মতো দায়িত্বশীলরা পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পিয়াজের মূল্য এতটা সীমাহীন হতো না। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এভাবে লাফালাফি করত না। সেই সঙ্গে মুনাফালোভী একটি সিন্ডিকেটও পিয়াজ মজুদ করায় দাম এতটা বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেক বাইরে যাওয়া পিয়াজ গুদামে পচেছে। বাইরে ফেলা হয়েছে। কথা নেই বার্তা নেই দাম না বাড়লেও এবং কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ সারা দেশে লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বিদ্যুৎ গতিতে গুজব দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। সবকিছুর নেপথ্যে মতলববাজ শক্তিশালী সিন্ডিকেট ও মুনাফালোভীদের হাত রয়েছে, তেমনি সরকারবিরোধী গণঅসন্তোষ তৈরির ষড়যন্ত্রও চলছে। যেমন অনেকে মনে করেন, তেমনি অনেকে এটাকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেখছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রতীক বরাদ্দ
- মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে
- আজ বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
- হৃদরোগের চিকিৎসায় অবদান রাখতে পারে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে কাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- দেশে মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ বেকার : প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ল ২০ দোকান
- সম্পর্কের ব্যাপ্তি বাড়াতে আগ্রহী ঢাকা ও ওয়াশিংটন
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে কেন বাঙালি হত্যা, জবাব চান প্রধানমন্ত্রী
- মে দিবসে সকল মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
- শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- ৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ
- গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের বৈঠক আজ
- চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে টানা ৩ দিন বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে
- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
- ফেনী-১ এর সব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার
- পাহাড়ে শান্তি কেড়ে নিয়েছে কেএনএফ