• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না- স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই- প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন আজ থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব- স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- রাষ্ট্রপতি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্যাটেলাইট ব্যবহারে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের আলোচনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

১৫ আগস্ট ঘিরে যে ভাবনাগুলোর উত্তর খুঁজে ফিরছি

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৩  

মো. জাকির হোসেন

মো. জাকির হোসেন

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আমার মনে বেশ কিছু ভাবনা ঘুরপাক খায়। ওই ভাবনাগুলোর উত্তর খুঁজে ফিরছি বহু বছর। সন্তোষজনক উত্তর আজও খুঁজে পাইনি। উত্তর খুঁজে ফেরা সে ভাবনাগুলো হলো–

এক. বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত, নিষ্ঠুর ও অকৃতজ্ঞ। কেন বলছি? বঙ্গবন্ধুর মধ্যে এক ধরনের সম্মোহনী শক্তি ছিল। তাঁর উচ্চতায়, ভরাট কণ্ঠে, দেহ সৌষ্ঠবে, তর্জনী হেলনে, মানুষকে ভালোবাসবার ক্ষমতায়, ক্ষমার উদারতায়, কুসংস্কার ও বিদ্বেষ মুক্ত হৃদয়, আসাম্প্রদায়িকতার প্রতি দৃঢ়তা, অতল ত্যাগের মানসিকতায় তিনি ছিলেন এক বিরল ব্যক্তিত্ব। নিজের ব্যক্তিগত ও পরিবারের সুখ, স্বপ্ন, আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে কেবল দেশের ও দেশের মানুষের জন্য বছরের পর বছর কারাগারের জীবনকে মেনে নেওয়া; মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও স্বাধীন বাংলাদেশের দাবি ত্যাগ না করার দুর্বিনীত সাহসিকতায় বঙ্গবন্ধু এক অতুলনীয় চরিত্র ছিলেন। এমন একজন ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়ালে কোনও মানুষ যত কঠিন, কঠোর হৃদয়ের হোক না কেন, তার অন্তর বিগলিত হতে বাধ্য।

তাঁকে গুলি করে হত্যার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু খুনি রশিদ, ফারুক, নূর, হুদা গংরা ভয়ঙ্কর জিঘাংসায় উন্মত্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল বেরিয়ে বারান্দায় এসে দেখেন বাড়ির গেট দিয়ে মেজর নূর ও ক্যাপ্টেন হুদা এগিয়ে আসছে। কামাল তাদের দেখেই বলতে শুরু করেন, আপনারা এসে গেছেন, দেখেন তো কারা বাড়ি আক্রমণ করলো? শেখ কামালের কথা শেষ হতে পারলো না। তাদের হাতের অস্ত্র গর্জে উঠলো। কামাল সেখানেই লুটিয়ে পড়লো। পরম নির্ভরতায় যাদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানালো তারাই ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর নূর আর শেখ কামাল একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কর্নেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আর সে কারণে ওরা একে অপরকে ভালোভাবে চিনত। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য! সে চেনা মানুষগুলো কেমন অচেনা ঘাতকের চেহারায় আবির্ভূত হলো। নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করলো সহযোদ্ধা কামালকে। বঙ্গবন্ধু নিচে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন। কথা বলতে বলতে তিনি সিঁড়ির কাছে পৌঁছান। এ সময় সিঁড়ির মাঝের প্ল্যাটফরমে খুনিরা দাঁড়িয়েছিল, তারাও দোতলায় উঠে আসছিল। এদের মধ্যে হুদাকে চিনতে পারেন বঙ্গবন্ধু।

তার বাবার নাম ধরে বঙ্গবন্ধু বলেন— তুমি রিয়াজের ছেলে না? কী চাস তোরা? কথা শেষ করতে না করতেই গর্জে ওঠে ওদের হাতের অস্ত্র। তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছিল রিসালদার মোসলেউদ্দিন। ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে সিঁড়ির ওপর লুটিয়ে পড়লেন জাতির জনক। যে বাড়ি ছিল বাঙালির মুক্তির ঠিকানা, যে বাড়ি থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেই বাড়ি স্বাধীনতার স্থপতির রক্তে সিক্ত হলো। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘাতকের দল ততক্ষণে ওপরে ওঠে এসেছে।

বঙ্গমাতাকে তারা বাধা দিল এবং বলল যে, আপনি আমাদের সঙ্গে চলেন। তিনি বললেন— আমি এক পা-ও নড়ব না, কোথাও যাব না। তোমরা উনাকে মারলে কেন? আমাকেও মেরে ফেলো। ঘাতকদের হাতের অস্ত্র গর্জে উঠল। লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। একটি দেশের স্বাধীনতার জন্য যিনি ব্যক্তিগত স্বপ্ন, সাধ-আহ্লাদকে বিসর্জন দিয়েছিলেন। দেশের জন্য স্বামীর কারাবরণকে হাসি মুখে মেনে নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত জীবনে বঙ্গবন্ধুর কারাবন্দী জীবনের ১৪ বছর স্বামীর সহচার্য বঞ্চিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সংসারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। নেপথ্যে থেকে দল পরিচালনা করেছেন, আন্দোলনে পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেশের স্বার্থে যিনি এত ত্যাগ স্বীকার করলেন তাঁকে হত্যা করতেও ঘাতকের বুক কাঁপেনি। ঘাতকদের অনেকের ৩২ নম্বরের বাসভবনে যাতায়াত ছিল। বঙ্গমাতার স্নেহের পরশে খুনিরা কতবার সিক্ত হয়েছে। জিঘাংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়েছে সেই স্নেহ ও ভালোবাসা।

স্মরণাতীত কাল থেকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বিশ্বে অনেকবার হয়েছে। বিশ্বের বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি দেশে জাতির পিতাকেও হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে এমন আরেকটি উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যায় না, যেখানে একটি জাতির স্থপতিকে হত্যার পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে জনকের শিশুপুত্রসহ হাতের কাছে যাদের পেয়েছে সবাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

১৫ আগস্টের নৃশংসতা অমোচনীয় ইতিহাস- বাঙালির কলঙ্কের ইতিহাস। এতটা অকৃতজ্ঞ আমরা কেন হলাম? এখনও কেন বাঙালিদের একটা অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই অকৃতজ্ঞদের দলে?

আমরা কেন এই অকৃতজ্ঞদের বিরুদ্ধে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হবো না? তাদের বর্জন করবো না?

দুই. বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের রাজনৈতিক দর্শন ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। এই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্রের পাশাপাশি সমাজতন্ত্রকেও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করেছেন। সংবিধানে গণতন্ত্রের পাশাপাশি সমাজতন্ত্রের সংযোজন সারা বিশ্বেই একটি অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। বরং, বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি সমাজতন্ত্রের কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ করেন। জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদে ৪০ শতাংশ শ্রমিকের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণকে বাঁচাতে হলে সমাজতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।’

বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন, ‘আমি মার্ক্সিস্ট নই। আমি একজন সমাজতান্ত্রিক, কিন্তু সেটা আমার নিজস্ব পথে।’ তিনি বিশ্বাস করতেন, যে সমাজতন্ত্র জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা সত্যিকারের সমাজতন্ত্র হতে পারে না। মানুষের মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, বিকাশ লাভ করে, সেই সমাজতন্ত্রই প্রকৃত সমাজতন্ত্র।’ তারপরও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দেশে কেন অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল? এ সময় পাঁচজন সংসদ সদস্যসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো, ঈদের জামাতে হামলা করা হয়েছিলো, পাটের গুদামে আগুন দেওয়া হয়েছিলো, থানা আক্রমণ করা হয়েছিলো, রেললাইন তুলে ফেলা হয়েছিলো। যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাষ্ট্র যখন সবাই মিলে মেরামত করার কথা তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অরাজকতার পেছনে কী কারণ ছিল? কেন এভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিলো? স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠিত ও পুনর্বাসিত হয়ে প্রতিবিপ্লবের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিলো?

তিন. খুনিরা বা তাদের মদদ দাতারা কী চেয়েছিল? অপবাদ দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। এই কথা কি সত্য? পুঁজি বা জমির মালিক উৎপাদনের প্রায় সবটুকু ভোগ করে। আর উচ্ছিষ্টভোগী শ্রমিক মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হয়। এভাবে সমাজে সৃষ্টি হয় ভয়ানক বৈষম্য। বঙ্গবন্ধু এই বঞ্চনা ও বৈষম্য দূর করতে উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা তথা সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র ছাড়া শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র অর্থহীন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসির গবেষকরা সম্প্রতি বিশ্বের ১৫৪টি দেশের ওপর এক জরিপ করে জানিয়েছেন যে গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টি চরম পর্যায়ে। জরিপের ফলাফলে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এখন ‘উদ্বেগের’পর্যায়ে রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি বা উচ্চমাত্রায় অসন্তুষ্টি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে। অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক ভেদাভেদে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের অসন্তুষ্টি বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভেদাভেদের এই কুফল অনুধাবন করে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সম্মিলনে নতুন রাজনৈতিক দর্শনের পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন। নতুন যাত্রার শুরুতে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা তিনি নিজেই বলেছেন। কৃষক-শ্রমিক, গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় নতুন দর্শনের যাত্রায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ যদি গণতন্ত্র হত্যা হয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

মোশতাক, বিচারপতি সায়েম ও জিয়া তিনজনই তো অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, ‘বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’

এই তিনজনের কেউই সংবিধানের বিধান মেনে সংসদ সদস্যদের কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হননি। তদুপরি জিয়া একই সঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কয়েক বছর সামরিক শাসন জারি ছিল। সামরিক শাসন বহাল থাকা অবস্থায় ‘হ্যাঁ, না’ ভোটের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এটা কি গণতন্ত্র?

চার. বিএনপি প্রতিষ্ঠা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার তিন বছরেরও বেশি সময় পরে। বঙ্গবন্ধু তো বিএনপির কোনও ক্ষতি করেননি, তবু বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিএনপির কেন এত বিদ্বেষ, এত শত্রুতা? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপির কেন পরিকল্পিত মিথ্যাচার? বঙ্গমাতা যদি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে স্বামীর বার বার জেলে যাওয়ার বিরুদ্ধে বাধা হয়ে দাঁড়াতেন; কিংবা দু’য়েক বছর জেল খাটার পর নিপীড়নের ভয়ে বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে সরে আসতেন; পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতা করতেন; কিংবা বঙ্গবন্ধু যদি দেশে ও দেশের মানুষের ভাবনা বাদ দিয়ে নিজের ঘর-সংসার আর পরিবারের প্রতি মনোযোগী হতেন এই দেশ কি স্বাধীন হতো?  

পাঁচ. ১৯৮৫ সনে অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস খুনি রশিদকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ছোট শিশুকেও আপনাদের কেন হত্যা করতে হয়েছিল?’ দাম্ভিক উত্তর ছিল, ‘শেখ মুজিবকে সবংশে নির্মূল করার জন্য রাসেলকে হত্যা করা দরকার ছিল।’

বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী রাসেলসহ সবাইকে হত্যা করা হত্যাকারীদের জন্য বিকল্পহীন প্রয়োজন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বিনাশ করতে হলে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে বিনাশ করলে চলত না, বিনাশ করতে হতো গোটা পরিবারসুদ্ধ। কারণ খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ শক্তি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মতই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতেন। রাসেলকে হত্যা করার পর খুনিদের একজন বলেছিলো, ‘অল আর ফিনিশড’। খুনিরা কি জানে না মানুষের ভালবাসায় যুগ যুগ যারা বেঁচে থাকে, মৃত্যু তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না? অল আর ফিনিশড বলে খুনিরা ভেবেছিলো তাদের মিশন সফল হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের দম্ভ ধূলিস্যাৎ হয়েছে; তারা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, রাসেলসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ অমর। আর আত্মস্বীকৃত খুনিদের স্থান ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। শহীদরা পান আমাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা; আর খুনিরা পায় ঘৃণা, নিরন্তর ঘৃণা।

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ থাকবে, ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারিত হবে। তাঁর মুক্তির দর্শন চর্চিত ও অনুসৃত হবে। খুনিরা এতটাই ক্রোধান্ধ ছিল যে, তারা অনুধাবন করেনি বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ। এটি ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাগ বা ক্ষোভের বিষয় নয়। ভয়ানক জিঘাংসা। খুনিদের মনে কেন এত সর্বনাশা জিঘাংসা ছিল? এই জিঘাংসা কে বা কারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উসকে দিয়েছিলো? মদদ জুগিয়েছিলো? হত্যাকাণ্ডে খুনিদের মদদদাতারা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক, না অন্য কোনও দেশের সম্পৃক্ততা রয়েছে?

ছয়. কয়েকজন মধ্যম সারির সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তির বিচার হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিলো সিআইডি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন কি কেবল এই কয়েকজন কিলিং মিশনের সাথে যুক্ত ছিল নাকি আরও মানুষ ছিল? তথ্য-প্রমাণ বলছে হত্যাকাণ্ডের দিন প্রায় ৬০০ সেনা সদস্য কিলিং মিশনের নানা প্রান্তে দায়িত্বপালন করেছে। খুনের সহযোগী ওই সদস্যদের বিচার হলো না কেন?

জাতির পিতা হত্যার মিশনে যারা ছিল তাদের কি বোধোদয় হয়েছে? তারা কি অনুতপ্ত? নাকি সেই বিনাশী জিঘাংসা নিয়ে তারা ও তাদের বংশধরেরা আজও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে? তাদের চিহ্নিত করে নাম, পরিচয়, অবস্থান কেন প্রকাশ করা হবে না?

সাত. নিরপেক্ষতার ভানধরা কিছু সুশিল গণতন্ত্র, মানবাধিকারের জন্য হাহাকার করছে। এরা ১৫ আগস্টের খুনের শিকার, খুনি ও খুনের সুবিধাভোগী সবাইকে এক পাল্লায় মাপতে চান। তারা একথা বলেন না যে, দায়মুক্তি আইন যারা সংবিধানে সংযোজন করেছে, খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তারা অপরাধ করেছে। অপরাধের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে হবে।

জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের প্রতি যে নৃশংসতা হয়েছে তার প্রতি সংবেদনশীল, সহমর্মী হতে। জাতির পিতাকে মানতে হবে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে মানতে হবে। তারা একথা বলে না যে, জাতির পিতাকে অস্বীকার-অসম্মান করে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে ছুঁড়ে ফেলে বাংলাদেশের পক্ষে হওয়া যায় না। এই নীরবতা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের মাধ্যমে সুশিলরা কি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার প্রতি মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করছেন না? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে অস্বীকার করাকে সমর্থন করছেন না?

আট. যার অঙ্গুলিহেলনে দেশের কোটি কোটি মানুষ জীবন দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুই প্রতাপশালী পরাশক্তির সমর্থন ও সাহায্যপুষ্ট পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন, জাতির সেই প্রাণভোমরাকে কয়েকজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা হত্যা করেছেন– এটি বিশ্বাসযোগ্য? কেউ খুন করেছেন, কেউ নেপথ্যে ষড়যন্ত্র করেছেন। কেউ পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু, তাঁর সরকার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কদাকার-কুৎসিত অপপ্রচার করে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। কেউ পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র ও খুনের পরিবেশ তৈরি করে প্রভাবকের কাজ করেছেন।

কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। নেপথ্যের এসব কুশীলবের মুখোশ উন্মোচন করতে, ইতিহাসের কাঠগড়ায় এসব বিশ্বাসঘাতকের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত কমিশন করতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে?

নয়. বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, হত্যায় যারা সহযোগিতা করেছে, হত্যাকারীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, হত্যার বিচার করা যাবে না মর্মে যারা আইন তৈরি করেছে তাদেরকে ইসলামের নামে রাজনীতি করা কিছু দল সমর্থন করে, তাদের সহযোগী। পবিত্র কোরআনে এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লানত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন। ’(সূরা নিসা: ৯৩)

কোরআনের বিধান অনুসারে হত্যাকারীকে আইনের সহায়তায় ঠিক সেভাবেই হত্যা করা হবে, যেভাবে সে হত্যা করেছে যদি না নিহতের নিকটজন হত্যাকারীকে ক্ষমা করে ছেড়ে দেয়। কোরআনে হত্যার বিচার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘মুমিনরা, তোমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে অন্যায়ভাবে হত্যার বিরুদ্ধে অনুরূপ প্রতিশোধ নিতে।’ (সূরা বাক্বারাহ: ১৭৮-১৭৯)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: ‘দুনিয়া ধ্বংস করার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণ্যতর কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (তিরমিজি, ১৩৯৫)

অন্য এক হাদিসে রাসূল(সা.) বলেছেন, ‘যদি আসমান ও জমিনের সব অধিবাসী একজন মুমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যার জন্য একমত হয়, তবে আল্লাহ তাদের সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (তিরমিযী, ১৩৯৮)

ইসলামে যুদ্ধক্ষেত্রেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা নিষিদ্ধ।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ: ষষ্ঠ খণ্ড, পৃ: ৪৮৭-৪৮৮) অথচ ১৫ আগস্ট নিরীহ, নিরস্ত্র নারী ও শিশু হত্যাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো আইন প্রণয়ন করে।

এখনও যারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে সমর্থন করে, আরেকটি ১৫ আগস্টের হুমকি দেয়, তাদেরকে সমর্থন ইসলাম সম্মত কি?

১৫ আগস্টের এই ভাবনাগুলো হামেশাই তাড়িয়ে বেড়ায়। নিরন্তর উত্তর খুঁজে ফিরি। জীবদ্দশায় এর অবসান হবে কি?

লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ই-মেইল: [email protected]

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]