• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

কেন পাহাড়ে সেনাবাহিনী দরকার?

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২  

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সমাধানের দীর্ঘদিনের জাতীয় আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করেন। 

শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বিতর্ক ও সমালোচিত বিষয় হচ্ছে ‘অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার’। শান্তিচুক্তির ঘ খ-ের ১৭(ক) ধারায় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প অপসারণের কথা বলা হয়েছে। জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা ও তাদের সমর্থক সুশীল সমাজ শান্তিচুক্তির এই শর্ত বাস্তবায়িত হয়নি বলে ব্যাপক সমালোচনা করলেও সরকারের দাবি, এই শর্ত আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, চুক্তির শর্তানুযায়ী সরকার ইতোমধ্যেই একটি ব্রিগ্রেডসহ(কাপ্তাই) প্রায় আড়াইশো এর মতো নিরাপত্তা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, সরকার যেসকল নিরাপত্তা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিয়েছে, উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কৌশলে সেসকল নিরাপত্তা ক্যাম্পের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে নিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৯টি প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কৌশলে দখল করে নিয়েছে। কোথাও ধর্মীয় স্থাপনা, কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোথাও সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এসব নিরাপত্তা ক্যাম্প দখল করে নিয়ে তারা তাদের অস্থায়ী গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। কেননা, ক্যাম্পগুলোর ভূকৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব এলাকায় ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, সেসব এলাকা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী পুনরায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার স্থানীয় অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের এই দাবি মূল্যায়ন করে ইতোমধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিত্যাক্ত সেনা ক্যাম্পের স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো: শান্তিচুক্তির দুই যুগ পরে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু? কিংবা পুলিশ ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা রক্ষায় কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে? এ প্রশ্নের মীমাংসাতেই এই লেখার অবতারণা। তবে মূল আলোচনায় যারার পূর্বে শান্তিচুক্তিতে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার বিষয়ে কী বলা হয়েছে এবং কীভাবে বলা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

শান্তিচুক্তির ঘ খন্ডের ১৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি সই ও সম্পাদনের পর এবং জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সাথে সাথে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) ও স্থায়ী সেনানিবাস (তিন জেলা সদরে তিনটি এবং আলীকদম, রুমা ও দীঘিনালা) ব্যতীত সামরিক বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম হইতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী নিবাসে ফেরত নেওয়া হইবে এবং এই লক্ষ্যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হইবে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজে দেশের সকল এলাকার ন্যায় প্রয়োজনীয় যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণে বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা যাইবে। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন বা সময় অনুযায়ী সহায়তা লাভের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক পরিষদ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করিতে পারিবেন।’

শান্তিচুক্তিতে ৬টি স্থায়ী সেনানিবাসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই সেনানিবাসগুলোর ফর্মেশনের কথা সেখানে স্পষ্ট করে বলা নেই। এই ৬টি স্থায়ী সেনানিবাস কীরূপে সেখানে অবস্থান করবে, ডিভিশন আকারে, ব্রিগেড আকারে না ব্যাটালিয়ন আকারে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা নেই। এই অপশনটি রাষ্ট্রের হাতে রয়ে গেছে। রাষ্ট্র চাইলে প্রয়োজন মতো তা ব্যবহার করতে পারবে। এ চুক্তির ঘ খন্ডের ১৭(ক) ধারা গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এই ধারায় যেমন স্থায়ী সেনানিবাসের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হয়নি, তেমনি অস্থায়ী সেনানিবাসের সংজ্ঞাও দেয়া নেই। অর্থাৎ অস্থায়ী সেনানিবাস বলতে ব্রিগেড, ব্যাটালিয়ন, জোন, সাবজোন, কোম্পানি স্থাপনা নাকি সেনা আউট পোস্ট বোঝানো হবে তার কিছুই চুক্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এই ব্যাখ্যাটাও রাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। এছাড়া এখানে শুধু সেনা ক্যাম্পের কথাও বলা হয়নি। সেনা ও আনসার ভিডিপি ক্যাম্পের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান ৪টি ব্রিগেডের মধ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান ব্রিগেডে ৫ ব্যাটালিয়ন করে সৈন্য রয়েছে, গুইমারায় রয়েছে ৩ ব্যাটালিয়ন। সব মিলিয়ে ১৮ ব্যাটালিয়ন সৈন্য রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। (বিজিবি আলাদা)। একটি ব্যাটালিয়নে গড়ে ৭০০ করে সৈন্য ধরলে ১৮টি ব্যাটালিয়নে ১২-১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফর্মেশন অনুযায়ী ৩-৫টি ব্যাটিলিয়ন নিয়ে একটি ব্রিগেড গঠিত হয়। কাজেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪টি ব্রিগেড থাকলে সেখানে ১২-২০ ব্যাটালিয়ন সৈন্য থাকতেই হবে। ব্যাটালিয়নগুলো আবার গড়ে ওঠে কতকগুলো সাবজোনের সমষ্টিতে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, এই জোন, সাবজোনগুলো কোথায়, কীভাবে অবস্থান করবে? শান্তিচুক্তির ঘ খ-ের ১৭(ক) ধারায় আরো বলা হয়েছে, ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতির ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজে দেশের সকল এলাকার ন্যায় প্রয়োজনীয় যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণে বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা যাইবে।’ বাক্যটি বিশ্লেষণ করলে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা অবনতির ক্ষেত্রে বা জাতীয় অন্যান্য দরকারে রাষ্ট্র প্রয়োজনানুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের যেখানে প্রয়োজন যে কোনো ফর্মেশনে সেনাবাহিনী রাখতে পারবে। এ ক্ষেত্রে চারটি ব্রিগেড বা ৬টি স্থায়ী সেনানিবাস বিবেচ্য নয়, বরং রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন বিবেচ্য। একই ধারায় আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি বলা হয়েছে তাহলো, সেনাবাহিনী ফিরিয়ে আনার শর্ত বাস্তবায়িত হতে হবে ‘জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সাথে সাথে..।’ অর্থাৎ চুক্তিতে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও সেনাবাহিনী ফিরিয়ে আনার বিষয়টি শর্তহীন নয়। বরং এর সাথে ‘জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার’ শর্ত যুক্ত রয়েছে। এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই যে, জেএসএসের সকল সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। জেএসএস ও তার সকল সদস্যকে অস্ত্র সমর্পণ করিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারেনি। চুক্তি অনুয়ায়ী ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জেএসএসের অস্ত্র সমর্পণের সময় চুক্তির বিরোধিতা করে অস্ত্র সমর্পণ না করে তাদেরই একটি অংশ জেএসএস থেকে বেরিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে ইউপিডিএফ নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। এরপর স্বার্থগত দ্বন্দ্বে জেএসএসও ভেঙে জেএসএস (এমএন লারমা) নামে নতুন আরো একটি সংগঠন তৈরি হয়। আরো পরে ইউপিডিএফ ভেঙ্গে গিয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামে আরো একটি সশস্ত্র গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জেএসএসের মূলের সামরিক শাখাও সম্পূর্ণরূপে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি।


বর্তমানে এই চার পাহাড়ি সংগঠন প্রকাশ্য ও গুপ্ত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পাহাড়ে প্রকাশ্য ও গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গুপ্ত বা গোপন শাখা আসলে তাদের সশস্ত্র সামরিক শাখা। যদিও প্রকাশ্যে তারা কখনই এই সামরিক শাখার অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে না। তবে এই সব সামরিক শাখার দৌরাত্ম্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। প্রকৃতপক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমানে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চাঁদা ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ নাগরিক তো দূরে থাক, সরকারি কর্মকর্তাদেরও বসবাস অসম্ভব। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চারটি পাহাড়ি সংগঠনের নির্ধারিত চাঁদা দিতে না পারলে সেখানে বসবাস যে কারো জন্যই অসম্ভব। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে সাধারণ ও শান্তিপ্রিয় পাহাড়িদের জিম্মি করে তাদের নির্দেশিত পথে পরিচালিত করতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখ-তা, বাঙালি ও সরকার বিরোধী নানা তৎপরতায় লিপ্ত।

একথা বহুবার আলোচিত হয়েছে যে, জেএসএস কৌশলে তার সবচেয়ে চৌকস যোদ্ধাদের শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী আত্মসমর্পণ করায়নি, বরং উন্নত ও ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র জমা না দিয়ে ভাঙাচোরা ও পুরনো কিছু অস্ত্র সমর্পণ করে। সন্তু লারমা নিজেও একসময় সেকথা স্বীকার করেছেন। ২০১১ সালের ২৫ নভেম্বর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক শামিমা বিনতে রহমানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সন্তু লরমা সকল অস্ত্র জমা দেয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এটা ছিলো শান্তিচুক্তির সাথে, তথা রাষ্ট্রের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। ফলে শান্তিচুক্তির প্রভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের তীব্রতা কমলেও তা বন্ধ হয়নি কখনো। এরূপ পরিস্থিতিতে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী বাধ্যতামূলক বা প্রযোজ্য নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্পগুলো স্থাপন করা হয়েছে মূলত পাকিস্তান আমলে এবং বাংলাদেশ আমলের সত্তর দশকের শেষ ও আশির দশকের শুরুর দিকে। এসকল সেনা ক্যাম্প স্থাপনে তৎকালীন নিরাপত্তা ঝুঁকি, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, জনবসতি, যোগাযোগ, অর্থনৈতিক কর্মকা-, কৌশলগত অবস্থান, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের বিদ্রোহীদের অবস্থান প্রভৃতি বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এসকল বিচার্য বিষয়ের অনেক কিছুরই ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। কাজেই এহেন পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্পের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?

অনেকেই জানেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিশেষ সহানুভূতির চোখে দেখতো পাকিস্তান সরকার। এসকল গেরিলা গ্রুপকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ারও অভিযোগ ছিল পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে। এ কারণেই পাকিস্তান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক ভেতরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (ইপিআর) এবং সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেকোনো বিদেশি সন্ত্রাসী গ্রুপের অবস্থানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বরং এ ধরনের কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অত্যন্ত শক্ত অবস্থান নিয়েছে। সেকারণে সীমান্তে নতুন নতুন বিওপি, সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, যৌথ টহলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুধু ভারত নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে মিয়ানমারের ১৯৩ কি.মি. সীমান্ত রয়েছে। অত্যন্ত দুর্গম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপের অবস্থান রয়েছে। যারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তাড়া খেয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের অত্যন্ত দুর্গম সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যা, আরসা সমস্যা ইত্যাদি এ অঞ্চল নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে আরো অনেক নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। উল্লিখিত পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ভাবনা বা সেনা ক্যাম্পের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

ইতোপূর্বে যেসকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের পূর্বে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের কোনো কোনেটির হয়তো গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আগের মতো নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সেসকল সেনা ক্যাম্পের জায়গাগুলো যাতে সন্ত্রাসীদের দখলে চলে না যায় সেজন্য উত্তমরূপের সংরক্ষণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

শান্তিচুক্তি পরবর্তী সরকারগুলো উন্নয়ন পরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় এই জনপদকে পূর্বের মতো পশ্চাদপদ বিবেচনা করা যায় না। সড়ক, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা-, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অনেক জেলার থেকে এগিয়ে গিয়েছে। সরকারি, বেসরকারি, এনজিও ও দাতা সংস্থার বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এই তিন জেলা সমতলের অনেক জেলা থেকেই এগিয়ে রয়েছে। নতুন নতুন রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণের ফলে পাহাড়ের অনেক গভীরে মানুষের যাতায়াত ও বসতি গড়ে উঠেছে। সমতলের পাইকাররা এসব সড়ক ব্যবহার করে পাহাড়ের অনেক ভেতর থেকে মালামাল আমদানি করতে পারছে। এতে স্থানীয় উৎপাদকরা লাভবান হচ্ছেন। এই নতুন সড়ক, সেতু ও বসতির নিরাপত্তায় পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি স্থলবন্দর ও সীমান্ত হাট নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু হবে। বিপুল সংখ্যায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এবং যানবাহনের যাতায়াত, আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হতে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থায়ী সেনাক্যাম্প থাকবে কী থাকবে না কিংবা নতুন করে আরো সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে কীনা তা এই পরিস্থিতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ করে রামগড়-সাবরুম হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতকে যে করিডোর সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই রুটের সড়ক নির্মাণ ও ফেনী নদীর ওপরে সেতু চালু হলে দুর্গম এই রুট দিয়ে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালিত হবে। দু’দেশের পণ্য নিয়ে অধিক সংখ্যক ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান যেমন চলাচল করবে, তেমনি ভারতের বিভিন্ন বন্দর থেকে আগত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়ে এই রুট দিয়ে সেভেন সিস্টার্সে প্রবেশ করবে। এ প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে, যে এলাকা দিয়ে এসব পণ্য পরিবহন করা হবে তা মূলত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রভাবাধীন।

দিনরাতের এই বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে যেকোনো ভারতীয় পণ্যবাহী পরিবহন যদি হামলার শিকার হয় তাহলে তা আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে ওঠে আসবে। প্রায় একই ধরনের চ্যালেঞ্জ থেগামুখ ও ঘুমধুম স্থলবন্দরের জন্যও প্রযোজ্য। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উক্ত আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র ও বাণিজ্যিক রুটগুলোর নিরাপত্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাক্যাম্প বিন্যাসে নতুন ভাবনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিনোদনের প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্যটনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। প্রতিবছর যেভাবে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু বাংলাদেশে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটের স্বল্পতা রয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন, সাজেক, নীলগিরি মানুষ কতবার দেখবে? তাই আমাদের প্রয়োজন নতুন নতুন ও বৈচিত্র্যময় পর্যটন স্পট তৈরি করা। সেটা না করা গেলে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনখাত ব্যাপকভাবে মার খাবে। মানুষ ভারত, সিকিম, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার দিকে ছুটবে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভা-ার কমতে থাকবে।

কিন্তু বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া দেশে নতুন পর্যটন স্পট তৈরির মতো জায়গা তেমন একটা নেই। সেক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের বিকাশে পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন নতুন পর্যটন স্পট নির্মাণ ও পর্যটকবান্ধব করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে দেশের পর্যটকরা নিজ উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট খুঁজে বের করেছে। অন্যদিকে অ্যাডভেঞ্চারে আগ্রহী পর্যটকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর ও দুর্গম এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রেমাক্রি, তিন্দু, নাফাখুম জলপ্রপ্রাত, হাজাছড়া ঝর্ণা, বড় পাথর, দামতুয়া ঝর্ণা প্রভৃতি। এসব পর্যটন স্পটের কাছাকাছি সেনাক্যাম্প বা নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান না থাকায় স্থানীয় উপজাতীয় গাইডের হাওলায় পর্যটকদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে করে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বিশেষ করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পর্যটকদের হয়রানি, অপহরণ এমনকি হত্যাকা-ের ঘটনাও ঘটে থাকে। অনেক সময় স্থানীয় পর্যটকদের সাথে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সখ্য থাকে। তারা ধনী পর্যটক বুঝতে পারলে তাদের মুক্তিপণের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়। এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পর্যটন খাতের বিকাশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যটকদের নিরাপত্তা। সেক্ষেত্রে পর্যটন স্পট ও পর্যটকদের যাতায়াতের রুটগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের বিকল্প নেই। অর্থাৎ বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা, জননিরাপত্তা, পর্যটন, ইনসার্জেন্সি মোকবিলা, সন্ত্রাস দমন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ষড়যন্ত্র মোকবিলায় নিরাপত্তা ক্যাম্পের আওতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

সরকারও এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সদিচ্ছাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যেহেতু এ সরকার শান্তিচুক্তি করেছে, কাজেই এ চুক্তিকে সম্মান দেখানো তার নৈতিক বাধ্যবাধকতার অংশ। অবশ্য যারা সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি নয়, তাদের অভিমত হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো অত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত উপজাতীয় সন্ত্রাসী এবং আঞ্চলিক (ভারত ও মিয়ানমারের) বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকবিলা করা পুলিশ দিয়ে কতোটুকু সম্ভব? সন্দেহ নেই, এ প্রশ্নের সারবত্তা রয়েছে। কিন্তু মূল সমস্যা অন্যত্র এবং সেটা অনেকটাই অনালোচিত।

খেয়াল করলে দেখা যাবে, সরকার যখন পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, তখন উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নিরবতা অবলম্বন করেছে। তাদের এই নিরবতার মধ্যেই আসল খেলা লুকানো রয়েছে। যার উৎস শান্তিচুক্তি। শান্তিচুক্তির খ খ-ের ৩৪(খ) ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরকৃত বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ বিভাগের নাম। অন্যদিকে গ খ-ের ৯ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের ব্যাপারে আঞ্চলিক পরিষদ সমন্বয় সাধন ও তত্ত্বাবধান করিতে পারিবে।’ তবে খ খ-ের ২৪(ক) ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘৬২ নম্বর ধারার উপধারা (১) সংশোধন করিয়া নি¤েœাক্তভাবে এই উপধারাটি প্রণয়ন করা হইবে: আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পার্বত্য জেলা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও তদনি¤œ স্তরের সকল সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং পরিষদ তাহাদের বদলি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার বজায় রাখিতে হইবে।’

শান্তিচুক্তির এই শর্তানুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলায় পুলিশ বিভাগকে স্থানীয় জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে, যা আবার আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক সুপারভিশনের আওতায় থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী, জেলা পরিষদ তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য জেলা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও তদনি¤œ স্তরের সকল সদস্য নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতি, শাস্তি প্রদান করতে পারবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজাতীয় সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্মর্তব্য যে, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী পরিষদের চেয়্যারম্যান একজন উপজাতীয় হবেন এবং সদস্যসহ জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশভাবে উপজাতীয় প্রাধান্য অটুট থাকবে। শান্তিচুক্তির এই ধারা দীর্ঘদিন অবাস্তবায়িত ছিলো। সঙ্গতকারণে তিন পার্বত্য জেলায় উপজাতীয় পুলিশ সদস্যদের পোস্টিং দেয়া হতো না। সম্প্রতি তা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে, মিশ্র পুলিশের ধারণা প্রবর্তন করে তিন পার্বত্য জেলায় সমতলের পুলিশের পাশাপাশি উপজাতীয় পুলিশ পোস্টিং দেয়া হয়। এভাবে ধীরে ধীরে তিন পার্বত্য জেলায় নি¤œক্রম থেকে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা পর্যন্ত সকল পদে উপজাতীয় পুলিশ পদায়নের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক কৌশল বের করেছিলেন মন্ত্রণালের একজন সাবেক সচিব।

উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল উপজাতীয় ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাথে ছাত্রজীবনে সংযুক্ত থাকতে হয়। আর এখানে সংযুক্ত প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে এমনভাবে ব্রেনওয়াশ করা হয় যাতে তাদের মধ্যে রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি ঘৃণাত্মক মনোভাবের জন্ম হয়। এহেন পরিস্থিতিতে তিন পার্বত্য জেলায় যেসকল উপজাতীয় পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয় তা চরমভাবে নিরাপত্তার নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করে। উপজাতীয় পুলিশের মাধ্যমে অপারেশনাল সকল তথ্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পাচার হয়। এমনকি তাদের মাধ্যমে সরকারি অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। পুলিশের গুলি বাইরে বিক্রির দৃষ্টান্তও দেয়া যায়। এহেন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তিন পার্বত্য জেলা থেকে উপজাতীয় পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি সরকার প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্পে পুলিশ নিয়োগ দেয় এবং তারপর যদি কোনোদিন শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী বা উপজাতীয় নেতাদের চাপের মুখে ভবিষ্যতে পুলিশের কর্তৃত্ব জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তর করে, তাহলে শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী এসকল সেনাক্যাম্প উপজাতীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতিতে পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বিজ্ঞজনচিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। কাজেই পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার প্রয়োজন হলে তা অবশ্যই সেনাবাহিনী সদস্যদের দিয়েই তা করতে হবে বা ক্ষেত্র বিশেষে বিজিবি মোতায়েন করা যেতে পারে। কোনোভাবেই পুলিশ সদস্য নয়।

অতএব, উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান প্রেক্ষাপট, যোগাযোগ, উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকা-, পর্যটন সেক্টরের বিকাশ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন, রোহিঙ্গা সমস্যা প্রভৃতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পে পুনরায় সেনা মোতায়েন এবং সৃষ্ট বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন করে সেনা বিন্যাস ও নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]