• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- রাষ্ট্রপতি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্যাটেলাইট ব্যবহারে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের আলোচনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

মাহমুদ ইউসুফ

শিরোনাম দেখে যে কেউ অবাক হতে পারেন। আর অবাক হবারই কথা। পার্বত্য এলাকার উপজাতিদের যখন সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী প্রতিষ্ঠা করার তোড়জোর চলছে তখন এই নিবন্ধ সম্পর্কে অনেকের মনেই খটকা লাগতে পারে। আর কৌতূহল জাগাই স্বাভাবিক। পশ্চিমারা অনেক আগ থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে দেশের সেক্যুলার-বাম রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। বিশেষ করে প্রতিবছর ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে সামনের রেখে এদের মাতামাতি যেন অনেকটাই বেড়ে যায়। এই প্রবন্ধ তাদের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস গবেষক অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব সিরাজ উদ্দীন আহ্মেদ লিখেছেন, ‘বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ বাঙালি জাতির প্রধান আদি বাসস্থান। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে বাঙ জাতি এ অঞ্চলে বাস করত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রাচীন জনপদগুলো জনগোষ্ঠীর নামানুসারে নামকরণ হয়েছে। বাঙ্গাল জনগোষ্ঠীর নামকরণও বাঙ, কৌম বা গোত্র থেকে হয়েছে। ভাগিরথীর পূর্ব দিকে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় সুপ্রাচীনকাল থেকে বাঙ জনগোষ্ঠী বাস করত। … তাদের নামানুসারে বঙ্গ জনপদের নাম।’ আদিমযুগ থেকেই স্থান বা জাতির নামকরণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষ প্রাধান্য পায়। আধুনিক যুগেও এ প্রথা বিদ্যমান। যেমন বুদ্ধের অনুসারীরা বৌদ্ধ, যীশুখ্রিস্টের অনুসারীরা ক্রিশ্চিয়ান বা খ্রিস্টান, কার্ল মার্কসের অনুসারীরা মার্কসবাদী প্রভৃতি। আবার শ্রীলঙ্কার আদম চূড়া কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, ভারতের মম তাজমহল ইত্যাদি।

উল্লেখ্য পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ.) জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথম পদার্পণ করেছিলেন সিংহলে। এটি তখন ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে স্থানটি শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কার আদম চূড়া বা অ্যাডাম পিক্ এখনও হযরত আদম (আ.) এর স্মৃতি, ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিকতা বহন করে চলেছে। পাহাড়টি শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের শ্রিপাডা নামক প্রদেশে অবস্থিত। এটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট একটি আকর্ষণীয় স্থান। মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু ও খ্রিস্টান-এই চার ধর্মের অনুসারীদের কাছে পাহাড়টি অতি পবিত্র স্থান। চূড়াটির উচ্চতা ৭৩৬২ ফুট। চূড়ায় হযরত আদম (আ.) এর পায়ের যে চিহ্ন রয়েছে তার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং চওড়া হচ্ছে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। তাছাড়া আদি মানব আদম (আ.) এর পুত্র হযরত শিষ (আ.) এর কর্মক্ষেত্রও ছিল ভারতে। ভারতের অযোধ্যায় এক মন্দিরের পাশে সুদীর্ঘ কবর আছে। ওই সমাধি হযরত শিষ (আ.) এর বলে কেউ কেউ মনে করেন। তাই বলা যায়, মুসলমানরা শুধু আরব দুনিয়া কিংবা বাংলাদেশের আদিম নিবাসী নয়; গোটা ভারতীয় উপমহাদেশেরই ভূমিপুত্র।

ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মের মত অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ.)। তিনি মানবজাতির আদি পিতা এবং ইসলামের প্রথম নবী। বিষয়টি এখন আর শুধু ধর্মীয় উপকথা নয়। ঐতিহাসিকভাবে সত্য। পরবর্তীতে হযরত নূহ (আ.) এর সময় সংঘটিত প্লাবনে তার অনুসারী ৮০-৮৫ জন নাগরিক ব্যতিত সবাই ধ্বংস হয়ে যায়। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্লাবনের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশও এ বন্যা হতে বাদ যায়নি। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম, আক্রা এবং বদ্বীপ অঞ্চলের অন্যত্র মাটির নিচে বড় বড় প্রস্তর ও উপলখ-ের এক বিরাট স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে। এ প্লাবনের সঙ্গে তার যোগ আছে। ঘূর্র্ণিঝড় হতে রক্ষাপ্রাপ্ত নৌকারোহীদের সবাই ছিলেন আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত মুসলমান। ইসলামের অনুসারী এই কয়েকজন ব্যক্তিই বর্তমান বিশ্ব মানবগোষ্ঠির পূর্ব পুরুষ। তাদের থেকেই সৃষ্ট বর্তমান পৃথিবীর সাতশ’ কোটি নর-নারী। আল কোরআন ও বাইবেলের বক্তব্যও একই সূত্রে গ্রন্থিত। এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ হান্নান লিখেছেন, “হযরত আদম (আ.) থেকে আমাদের এই মানব জাতির শুরু। কিন্তু হযরত নূহ (আ.)-এর সময়ে সমগ্র পৃথিবীতে এক মহাপ্লাবন ঘটেছিল। এই মহাপ্লাবনে দুনিয়ার সকল কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কেউ জীবিত ছিল না, শুধু নূহ (আ.)-এর নৌকায় আরোহণ করেছিলেন ৮০ জন নূহের ভক্ত; এই ৮০ জন থেকেই মানব জাতির আবার নতুন যাত্রা।

“এই নতুন যাত্রায় জাতিরও সম্পর্ক ছিল। বেঁচে যাওয়া ৮০ জনের মধ্যে ছিলেন হযরত নূহের এক পুত্র; নাম তার ‘হাম’। নূহ তার পুত্র হামকে বললেন, ‘তুমি মানব বসতি স্থাপনের জন্যে চলে যাও পৃথিবীর দক্ষিণ দিকে’। পিতার নির্দেশ পেয়ে হাম চলে এলেন আমাদের এশিয়া মহাদেশের কাছাকাছি। সেখানে এসে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পুত্র হিন্দকে পাঠালেন ভারতের দিকে। অনেকে মনে করেন, হামের পুত্র হিন্দের নাম অনুসারেই ভারতের নাম হয়েছে হিন্দুস্তান।

“হিন্দের দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল ‘বঙ্গ’। এই ‘বঙ্গ’-এর সন্তানরাই বাঙালি বলে পরিচিতি লাভ করে। এই গল্প সত্যি হলে বলতে হবে বাঙালির আদি পুরুষ হচ্ছেন ‘বঙ্গ’।”

অষ্টাদশ শতাব্দির ঐতিহাসিক গোলাম হোসেন সলীম লিখেছেন, ‘হযরত নূহ (আ.) এর পুত্র হামের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিন্দ হিন্দুস্তানে আসার দরুণ এই অঞ্চলের নাম তার নামানুসারে রাখা হয়। সিন্ধু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সাথে এসে সিন্ধু দেশে বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চলের নাম তারই নামানুসারে সিন্ধু রাখা হয়। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্র বং (বঙ্গ)-এর সন্তানেরা বাংলায় উপনিবেশ স্থাপন করেন। আদিতে বাংলার নাম ছিলো বং।’ শেখ আবুল ফজল আলামি ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের মন্ত্রী, সভাসদ এবং নবরত্নের একজন। আবুল ফজল বাঙ্গাল ও বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে তার আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বাঙ্গালাহ’র আদি নাম ছিলো ‘বঙ্গ’। প্রাচীনকালে এখানকার রাজারা ১০ গজ উঁচু ও ২০ গজ বিস্তৃত প্রকা- ‘আল’ নির্মাণ করতেন। এ থেকেই ‘বাঙ্গাল’ এবং ‘বাঙ্গালাহ’ নামের উৎপত্তি।’ কিন্তু ‘আল’ কে বাংলা বা সংস্কৃত ভাষার শব্দ বা বর্ণ সমষ্টি বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ-ভারতে শব্দটির ব্যাপক ব্যবহারও দেখা যায় না। ‘আল’ সেমেটিক বা আরবি ভাষা থেকে উদ্ভুত। সেমেটিক ভাষায় ‘আল’ অর্থ আওলাদ, সন্তান-সন্তুতি ও বংশধর। এ অর্থে (বং+আল) বঙাল বা বঙ্গাল (অর্থাৎ বং-এর বংশধর) শব্দের উৎপত্তি হতে পারে। এখনও গ্রামে-গঞ্জে বংশ বা প্রজন্ম বুঝাতে আহ্ল বা আল শব্দ বুঝানো হয়। তাই বলা যায় হযরত নূহ (আ.) প্রোপৌত্র বং-ই হলো প্রথম বাঙালি এবং বাংলাদেশের প্রথম মানুষ। এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ হান্নান এর বক্তব্য প্রাণিধানযোগ্য। তিনি লিখেছেন, ‘… বাঙালির প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসের প্রাপ্ত নিদর্শনের সময়কালের সাথে নূহ (আ.)-এর পৌত্র এবং প্রপৌত্রদের আগমনের সময়পর্বকে ড. মরিস বুকাইলির অনুমানের সাথে মেলানো সম্ভব। প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনাদি কম করে হলেও দশ হাজার বছরের প্রাচীন এবং বাংলাদেশের সভ্যতা ও বাঙালি জনমানুষের বসতি এই সময়পর্বেরই ধারাবাহী। এ কথা অনুমান করতে দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’ আর তার ধর্মীয় পরিচয় ছিল ইসলাম। তাই মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী এবং আদিম নাগরিক। আর আদিম বা আদি শব্দ দুটির উৎপত্তিও ‘আদম’ থেকে হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক। এদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, উপজাতিসহ সকল সম্প্রদায়ই এ শব্দটি নিশঙ্কচিত্তে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লেখ্য এবং কথ্য উভয় ভাষাতেই ব্যবহার করে। অন্যদিকে জনসংখ্যা গণনা ও পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে ‘আদমশুমারি’ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত। এক্ষেত্রেও একই বক্তব্য প্রযোজ্য।

ওপরে উল্লিখিত ‘বং’ জাতির পরবর্তী জনগোষ্ঠীই হয়ত অস্ট্রো-এশিয়াটিক অথবা অস্ট্রিক বা নিষাদ নামে পরিচিতি পেয়েছে। ‘কোনো কোনো ইতিহাসবিদ এদেরকেই বাংলাদেশের আদিম মানবগোষ্ঠী আখ্যা দিয়েছেন’। এখন প্রশ্ন হলো বং জাতি মুসলিম হলে পরবর্তী অস্ট্রিক-নিষাদ-দ্রাবিড়দের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে ধারণা নেয়ার সুযোগ কোথায়? এ কথা সত্য সময়ের বিবর্তনে মানুষ বিভিন্ন মতাদর্শ গ্রহণ করে। যুগে যুগে মানুষ ও রাষ্ট্র প্রণীত নানা মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে দুনিয়ার বুকে। কালক্রমে এদেশে বিভিন্ন ধর্মাদর্শ ও মতবাদ প্রবর্তিত হয়। এখানের বং জাতিও তাওহীদবাদী ধর্ম পরিত্যাগ করে একসময় ভ্রান্ত আকিদা বিশ্বাসে আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন তাদের মৌলিক জাতিসত্তাও বদলে যায়। মুর্তিপূজা, জড় পূজা, সূর্য পূজা, প্রতীক পূজা, প্রকৃতি পূজা তাদেরকে গ্রাস করে। ফলে স্বভাবতই তারা মূল ধর্মবিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়ে মানব রচিত মতবাদ গ্রহণ করে। তাই মুসলমানরাই যে বাংলাদেশের প্রাচীন বাসিন্দা সেক্ষেত্রে পরবর্তী ধর্মবিশ্বাসের বিষয়টি কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।

অন্যদিকে কোনো কোনো ঐতিহাসিক দ্রাবিড় জাতিকে বাঙালির আদি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ‘আর্যোপনিবেশের পূর্বে যে প্রাচীন জাতি ভূমধ্যসাগর হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত স্বীয় অধিকার বিস্তার করেছিল তাহারাই বোধ হয় ঋগ্বেদের দস্যু এবং তাহারাই ঐতরেয় আরণ্যকে বিজেতৃগণ কর্তৃক পক্ষী নামে অভিহিত হইয়াছে। এই প্রাচীন জাতিই বংগ মগধের আদিম অধিবাসী।’ ভারতবর্ষে দ্রাবিড়দের আগমন ঘটেছে সুপ্রাচীনকালে, প্রাগৈতিহাসিককালে এবং তারা এসেছে সেমেটিকদের আদি আবাসভূমি পশ্চিম এশিয়া থেকে। অর্থাৎ ব্যাবিলন বা মেসোপটেমিয়াই ছিলো দ্রাবিড়দের উৎপত্তিস্থল। সেমেটিক সভ্যতার উৎস সামের প্রোপৌত্র এবং হযরত নূহ (আ.)-এর সপ্তম অধস্তন বংশধর আবু ফীর ছিলেন উপমহাদেশের দ্রাবিড়দের আদি পুরুষ। অতএব, দেখা যায় দ্রাবিড়রা ছিল অহিভিত্তিক ধর্ম ইসলামের অনুসারী। এই তৌহিদী আদর্শের কারণেই আর্য হিন্দুদের সাথে তাদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে যত দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হয়, তার অধিকাংশই ঘটে ধর্ম ও আদর্শিক কারণে। যেমন: ইব্রাহীম-নমরুদের দ্বন্দ্ব, ফিরআউন-মুসার সংঘর্ষ, আর্য-অনার্য সংঘাত, মহানবী (সা.) ও মুশরিক-ইহুদিদের সংঘাত, তারিক-রডারিক সংঘর্ষ, ঘুরী-পৃথ্বিরাজ যুদ্ধ, ঐতিহাসিক ক্রুসেড, হিটলারের ইহুদি নিধন, রাশিয়ায় ধর্মের মূলোৎপাটন কিংবা উইলিয়াম বুশের ইরাক-আফগানিস্তান অভিযান সবই আদর্শিক সংগ্রাম। আর্য হিন্দু-দ্রাবিড় সহস্র বছরব্যাপী যে বিরোধ চলছিলো সেটা শুধু ঔপনিবেশিক তৎপরতা ছিল না; বরং তার মূলে ছিল ধর্ম-রাজনীতি-আদর্শ-নৈতিকতা। তাই দেখা যায় দ্রাবিড়রাও যদি এদেশের প্রাচীন অধিবাসী হয় তাহলেও বলা যায় মুসলিমরাই বাংলাদেশের ভূমিপুত্র।

ভৌগোলিক দিক বিশ্লেষণ করলেও দেখা যাবে মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিম অধিবাসী। ‘দশ কুমার চরিত’ হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত একটি প্রাচীন গ্রন্থ। এ গ্রন্থে প্রাচীন বাংলাদেশ সম্পর্কে যে তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সে সম্পর্কে শ্রী অক্ষয় কুমার দত্ত লিখেছেন, ‘দশ কুমার চরিতের প্রথম ও চতুর্থ উচ্ছ্বাসে কাল যবন-দ্বীপ এবং ষষ্ঠ-উচ্ছ্বাসে যবন ও যবন পোতের প্রসঙ্গ আছে। এইচ এইচ উইলসন ওই যবন জাতি, যবন-পোতকে আরব জাতি ও আরব পোত বলিয়া বিবেচনা করিয়াছেন।’ অতএব বাংলাদেশের সাথে আরব, অ্যারাবিয়ান সংস্কৃতি ভাষার যোগসূত্র বিদ্যমান। অতীতকাল থেকেই আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াতের সহজপথ সামুদ্রিক পানিপথ। ‘প্রতিটি উল্লেখযোগ্য সামুদ্রিক বন্দরেই আরবি ভাষা বুঝত ও বলত’। অর্থাৎ পৃথিবীর বড় বড় সামুদ্রিক বন্দর ও পানিপথগুলোতে আরব ও সেমেটিকদের আধিপত্য ছিল। বাংলাদেশ হলো একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। এখানে এ সত্যটি অধিক প্রযোজ্য। আরবরাই পৃথিবীতে প্রথম সভ্যতার আলো ছড়ায়। তারাই প্রথম লিপি বা বর্ণমালার উদ্ভাবন করেছেন। দক্ষিণ আরব বা ইয়েমেন ও ব্যাবিলন ছিল সভ্যতার আদি উৎসভূমি। পৃথিবীতে সকল দেশের সভ্যতা একই সময়ে একই সাথে সৃষ্টি হয়নি।

সেমেটিক বা ইসলাম অনুসারী আদিযুগের মানুষেরাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে নতুন নতুন সভ্যতার জন্ম দেয়। তাই প্রাচীন বাংলাদেশও মুসলমানদেরই সৃষ্টি। আর্য ব্রাহ্মণ্যবাদীরা বাংলাদেশের অধিবাসীদের দস্যু, ম্লেচ্ছ ও অসুর বলতো। ভিন্ন ধর্মমতের কারণেই তারা বাঙালিদের বিরুদ্ধে এরূপ আক্রোশ ও বিদ্বেষভাব পোষণ করতো বলে আমরা মনে করি। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ. এল, বালাম আর্যদের ওপর গবেষণা করে তার বিবরণীতে লিখেছেন, ‘আর্যরা নিরক্ষর ও বর্বর। নাগরিক সভ্যতার সাথে তাদের কোনো পরিচয় ছিল না। তারা যাযাবর জীবন-যাপন করতো এবং তাদের গোত্রপতির নেতৃত্বে হানাহানিতে লিপ্ত থাকত। রাষ্ট্রীয় ধারণা তাদের মাঝে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিল।’ রাজা গশতাসাপ-এর আমলে ইরানে ধর্ম নিয়ে মতবিরোধ, আত্মকলহ ও পরিণামে ভীষণ যুদ্ধ-বিগ্রহ শুরু হয়। যরদাশত বা যরথ্রুষ্ট সেখানে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। বাদশাহ গশতাসপ তার সভাসদসহ এ ধর্মমত গ্রহণ করেন। কিন্তু কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসে মগ্ন আর্য হিন্দু প-িত-পুরোহিতের দল পিতৃপুরুষের ধর্মের দোহাই দিয়ে জনসাধারণকে ক্ষেপিয়ে তোলে। ফলে নবদীক্ষিত মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হয়। ফলে পৈতৃক ধর্ম ও শিরকবাদী সংস্কৃতি নিয়ে যাযাবর আর্যরা বিদ্রোহী মুশরিকদের নিয়ে হিন্দুস্থানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে আসে। ভারতে এসেই তারা স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হরপ্পা মহেঞ্জোদারোসহ প্রাচীন সমৃদ্ধশালী সভ্যতাগুলো ধ্বংস করে। ইরানের ব্যর্থতা এখানে তারা সুদে-আসলে আদায় করে। ইসলাম ধর্ম বিকাশের কারণেই তাদেরকে ইরান ত্যাগ করতে হয়। প্রতিশোধ গ্রহণ করে ভারতে এসে। তাতে ধারণা করা যায় ইরান ও ভারতের দুই সম্প্রদায়ই একই ধর্মবিশ্বাসের (ইসলাম) অন্তর্ভুক্ত ছিল।

হিন্দুরা ভারত ভূমির আদিম নিবাসী ছিলেন না; দেশান্তর হতে আগমন করে এ স্থানে অবস্থিত হয়েছেন। প্রাচীনতার দিক থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ এদেশে অপেক্ষাকৃত নতুন সম্প্রদায়। হিন্দুদের আদি নিবাস নিয়ে পণ্ডিতগণ একমত হতে পারেননি। কেউ বলেছেন তুর্কিস্তান বা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, কারও মতে ইরান, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরী বা বোহেমিয়া। তবে অধিকাংশের মতে দক্ষিণ রাশিয়া। এরা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে এ উপমহাদেশের আগমন করেন। তাদের আক্রমণ ও লুণ্ঠনের ফলে দ্রাবিড় অধ্যুষিত সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়। এরপর তারা পাঞ্জাবের পঞ্চনদ অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন করেন।

প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগ্বেদের আর্যহিন্দুদের ভারতে আগমন সম্পর্কিত তথ্যের সন্নিবেশ ঘটেছে। ‘বৈদিক যুগের মানুষ ভারতে এসেছিল বাহির হতে এবং তারাও প্রাগৈতিহাসিক যুগের অন্তর্ভুক্ত’। এখন প্রশ্ন হলো এই আদিম জাতির বাসভূমি কোথায় ছিল। এই নিয়ে প্রচুর মতদ্বৈত আছে। জার্মান পণ্ডিত কোসিনা প্রতিপাদিত করতে চেষ্টা করেছিলেন যে, তাদের আদি বাসভূমি ছিল উত্তর ইউরোপিয় উপত্যকায়। ভারতীয় গবেষক বাল গঙ্গাধর তিলক প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন যে, প্রাচীন আর্য জাতির বাস ছিল ৬০০০ খ্রিস্টপূর্ব শতাব্দিতে উত্তর মেরু অঞ্চলে। … অধ্যাপক জে. এল. মায়ার্স, হ্যারল্ড পিক এবং চাইল্ড মনে করেন, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় ও দ্বিতীয় সহস্রাব্দিতে এদের নিবাস ছিল দক্ষিণ রাশিয়াতে এবং তার পূর্বাঞ্চল কাস্পিয়ান সাগরের তীরে। …পিগোটের ধারণায় খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ শতাব্দির পরবর্তী শতাব্দিগুলোতে উত্তর পশ্চিম থেকে ভারত একাধিক জাতি কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছিল। ভারত-ইউরোপিয় ভাষাভাষী মানুষও তাদের অন্যতম ছিল। …হুইলারের ধারণা এই সময়ই ঋগে¦দ বর্ণিত প্রাচীন আর্যজাতি উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে এবং হরপ্পা সংস্কৃতির ধারক যে মনুষ্যগোষ্ঠী ছিল তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দির গোড়ার দিকে ভারতে হরপ্পা সংস্কৃতি পূর্ণ মহিমায় অধিষ্ঠিত ছিল। তাদের সংস্কৃতি নগরকেন্দ্রীক এবং সেই নগরগুলো দুর্গ দিয়ে সুরক্ষিত ছিল। আর্যজাতি ভারতে প্রবেশ করলে তাদের (ভারতবাসির সাথে) সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাদের দুর্গগুলো ধ্বংস করে দেয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনারই ছায়াপাত হয়েছে ঋগ্বেদের ইন্দ্রের বীরত্বসূচক কীর্তির বর্ণনায়। উল্লেখ্য দেবরাজ ইন্দ্র পঞ্চাশ সহস্র কৃষ্ণবর্ণ শত্রুকে (ভারতীয়কে) বিনাশ করেছিলেন এবং শম্বরের নগরসমূহ ধ্বংস করেছিলেন। ইন্দ্র শম্বরের ৯৯টি পুরী (শহর) ধ্বংস করেছিলেন এবং দিবোদাসকে শততম পুরী বাসের জন্য দিয়েছিলেন।

তবে বাংলাদেশে তাদের অভিযান পরিচালিত হয় হয় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দিতে। এতে বোঝা যায়, এ উপমহাদেশে হিন্দু আক্রমণ ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার পর দু’হাজার বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে আর্যদের প্রভাব বিস্তার সম্ভব হয়নি। এরপূর্ব থেকেই বৌদ্ধধর্মের কিছুটা প্রভাব ছিল বাঙালি সমাজে। পরবর্তীতে বৌদ্ধ ও হিন্দুরা পালাক্রমে প্রায় সাতশত বছর রাজত্ব করেন। কিন্তু জনসাধারণ তাদের ধর্মমতকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেনি। ত্রয়োদশ শতকে মুসলিম শাসন কায়েম হলে সাধারণ মানুষ স্বতর্স্ফূতভাবে ইসলামকে মেনে নেয়। ‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে এখানকার মানুষ প্রচলিত কোনো ধর্মেরই অনুসারী ছিল না। তারা হয়তো সর্বপ্রাণেশ্বরবাদ জাতীয় কোনো কোনো ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল; কিংবা ধর্মীয় রীতি-নীতির সাথে সেভাবে পরিচিতও ছিল না। মুসলমানদের আগমনের আগে এই অঞ্চলে হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী শাসকদের শাসন জারি ছিল। এসব শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় উল্লিখিত ধর্মসমূহের উপাসনাগৃহও নির্মিত হয়েছে। অনেক শাসক তাদের ধর্মমত প্রচারের জন্য নানা কর্মসূচিও গ্রহণ করেছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বা পৌঁছায়নি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম, কামরূপ প্রভৃতি এলাকায়ও হিন্দুরা এবং বার্মায় বৌদ্ধধর্ম বিকশিত হলেও বর্তমানে বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলটিতে হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্ম বা কোনো ধর্মই মানুষের কাছে পৌঁছেনি। ফলে গ্রন্থভিত্তিক ধর্মের গণ্ডির বাইরে থেকে যায় এখানকার মানুষ’।

এদেশে খ্রিস্টানদের বয়স চারশত বছরের মতো। পর্তুগিজ নাবিক ও জলদস্যু ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৮ সালে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে। পরে ইটালিয়ান, স্পেনিশ, ফরাসি, ওলন্দাজ খ্রিস্টানরাও ভাগ্যান্বেষণে এদেশে আসে। ১৬০০ সালের ২৪ আগস্ট আসেন বৃটিশ খ্রিস্টান উইলিয়াম হকিন্স। সম্রাট জাহাঙ্গিরের দরবারে ব্যবসার অনুমতি চাইলে সম্রাট মঞ্জুর করেন। সর্বশেষ ১৭৫৭ সালে পলাশি ট্রাজেডির মাধ্যমে খ্রিস্টানরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করে। পর্যায়ক্রমে দখলে নেয় সমগ্র ভারতবর্ষ। ইংরেজ-হিন্দু সখ্যতা এবং তাদের যৌথ মুসলিম বিরোধিতার কারণেই এই বিশাল পরিবর্তন সম্ভব হয়েছিল।

বাংলাদেশ ভূমিতে সর্বশেষ আগমন ঘটে পার্বত্য উপজাতিদের। অথচ কী আশ্চর্য! তাদেরকেই নাকি আদিবাসী ঘোষণা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামই বাংলাদেশের একমাত্র অঞ্চল, যেখানকার মোট জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অবাঙালি এবং অমুসলিম। অঞ্চলটি একটি মিশ্র জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বিভিন্ন জাতি, উপজাতি, নানা ভাষাভাষী এবং নানা ধর্মাবলম্বীসহ বহু সংস্কৃতিবিশিষ্ট জনসংখ্যার একটি এলাকা। নৃতাত্ত্বিক এবং জাতিতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে একথা এখন সুস্পষ্ট যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী কোনো জনগোষ্ঠীই এখানকার কোনো আদিবাসী বা ভূমিপুত্রের দাবিদার হতে পারে না। উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমারা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মারমারা দ্বিতীয় অবস্থানে। চাকমারা ১৫০ থেকে ৩০০ বছর পূর্বে মুঘল আমলের শেষ থেকে ব্রিটিশ শাসনামলের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করে। বোমরা চীন পর্বত থেকে এখানে আগমন করে। খ্যাং, পাংখো এবং কুকিরা ২০০ থেকে ৫০০ বছর আগে এখানে স্থানান্তরিত হয়ে আগমন করে।

ভারতীয় গবেষক বিজি বারগিজ তার ‘নর্থ ইস্ট রিসারজেন্ট’ শীর্ষক গ্রন্থে লিখেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতীয়রা হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারীদের মতো তিব্বতি/বার্মা/মন খেমার বংশোদ্ভূত। এসব উপজাতি ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দির মধ্যে এ এলাকায় অভিবাসন করে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসায় তাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ভাষা আলাদা’।
ধর্ম ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে পাঁচটি শ্রেণিভুক্ত করা যেতে পারে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং উপজাতি। উপজাতিদের মধ্যে আবার নানা ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। বর্ণিত পাঁচ সম্প্রদায়ের মধ্যে শেষোক্ত চার সম্প্রদায় বাংলাদেশে বসতি গড়ে অনেক পরে। এদেশ আবাদ করে প্রথম মুসলিমরাই। বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে মুসলমানদের নাড়ির সম্পর্ক। এজন্যই বার শতকে সেন শাসক ও ব্রাহ্মণরা মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে নির্মূল করার জন্য হুকুম জারি করেছিল। ভাষাবিজ্ঞানী ড. দীনেশ চন্দ্র সেন তার ‘বৃহৎ বঙ্গ’ গ্রন্থে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। বাংলা ভাষায় তাদের ধর্মচর্চাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। অষ্টাদশ পুরানাম রামশ্য চরিতানেচ ভাষায়ং মানবাশ্রু তা রৌরবং নরকং ব্রজেত। অর্থাৎ মানব রচিত বাংলা ভাষায় যে অষ্টাদশ পুরাণ এবং রামচর্চা করবে তার ঠাঁই হবে রৌরব নরকে।

সংস্কৃত ভাষাকে দেবভাষা আখ্যায়িত করে এর আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সর্বকৌশল প্রয়োগ করেছিল। বাংলার সঙ্গে তাদের বিরোধের কারণ হচ্ছে, বাংলা ভাষায় একটি মুসলমানী ঢং সুদূর অতীতকাল থেকেই ছিল। বাঙালিত্বের সাথে সরাসরি সম্পর্ক একত্ববাদ তথা ইসলামের মর্মবাণীর। তাই ঐতিহাসিকভাবেই মুসলমানরা বাঙালি। বাঙালিরাই মুসলিম। মুসলমানরাই বাংলার আদিম নিবাসী। বাংলাদেশের মূল ভূমিপুত্র মুসলিমরা। তাই সাংবিধানিকভাবে উপজাতি নয় মুসলমানদেরকেই আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া আবশ্যক।
প্রাগৈতিহাসিককালে একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বিনের অস্তিত্ব ছিলো না। মহান আল্ল¬াহ রাব্বুল আলামিন হযরত আদম (আ.) কে ইসলামি দ্বীন দিয়েই দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। আর প্রাচীন ধর্ম ইহুদিবাদ সৃষ্টি হয় আরও অনেক পরে। অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মের বয়স মাত্র দু’হাজার বছর। হযরত ইসা (আ.) বা যিশুখ্রিস্ট প্রথম শতাব্দিতে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। ইহুদি জাতি বা হিব্রুদের আদি নেতার নাম আব্রাহাম বা হযরত ইবরহিম (আ.)। তার আবির্ভাবকাল সম্পর্কে যে ধারণা ইতিহাসবিদরা দিয়েছেন তাতে দেখা যায় যে, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দ বা খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দের দিকে উত্তর-পশ্চিম মেসোপটেমিয়ার পশুপালক সম্প্রদায়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মগুলোর সাথে হযরত ইবরহিম (আ.)- এর বংশেই জন্ম নিয়েছিলেন ‘ইহুদিধর্মের প্রবর্তক’ (ইহুদিদের মতে) হিসেবে খ্যাত হযরত মুসা (আ.) এবং ‘খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক’ (খ্রিস্টানদের মতে) হিসেবে খ্যাত হযরত ইসা (আ.)। খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে হযরত মুসা (আ.) হিব্রু জাতিতে আবির্ভূত হন। তাই দেখা যায়, মানবসভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দুনিয়াতে মানুষের সূচনাকালে তাদের জীবনদর্শন হিসেবে ছিল একমাত্র ইসলাম।
অন্যসব ধর্ম পরবর্তী সময়ে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে মানুষ নিজেরাই সৃষ্টি করে। আর সভ্যতার শুরু থেকেই বাংলাদেশে মানবজাতির বসবাস ছিল। ওই সময়ের একমাত্র ধর্ম হিসেব তাদের জীবনাদর্শ ইসলাম বৈ অন্য কিছু হতে পারে না।

আল কোরআনে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ সকল প্রকারের প্রাণীকে পয়দা করেছেন পানি হতে’ (২৪:৪৫)। অন্যত্র বলা হয়েছে ‘অবিশ্বাসীরা কী ভেবে দেখে না যে, আকাশম-লী ও পৃথিবী একত্রে মিলিত ছিল? পরে আমি তাদের পৃথক করেছি এবং আমি প্রতিটি জীবন্ত জিনিসকে বের করেছি পানি হতে? তারপরও কী তারা বিশ্বাস করবে না?’ (২১:৩০)।

ওপরের কোরআনের আয়াতের অনুবাদে যেখানে ‘পানি’ শব্দের উল্লেখ রয়েছে তার মূল আরবি হচ্ছে ‘মা’। এর দ্বারা যেমন আসমানের পানি বুঝায়, তেমনি বুঝায় সমুদ্রের পানিও। শুধু তাই নয়, এই ‘মা’ শব্দের দ্বারা যেকোনো তরল পদার্থকেও বুঝানো হয়ে থাকে। সুতরাং এখানে এই ‘মা’ শব্দের দ্বারা প্রথম অর্থে যে ‘পানি’কে বুঝানো হয়েছে সে ‘পানি’ হচ্ছে জীবনের অপরিহার্য উপাদান। বিভিন্ন ভাষায় জন্মদাত্রীকে সন্তানেরা ‘মা’ নামে ডেকে থাকে। তার সূত্র বোধ হয় এখানেই নিহিত।

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্রই জন্মদাত্রী মাতাকে ‘মা’ নামে ডাকা হয়। ‘মা’ ডাক সর্বাপেক্ষা সুমধুর। সন্তানদের প্রথম বুলি ‘মা’। ছেলে-মেয়েদের কাছে দুনিয়ায় মায়ের চেয়ে প্রিয় আর কেউ নেই। মায়ের উদর থেকে যেমন সকল শিশুর আবির্ভাব, তেমনি পানি থেকেই সকল সৃষ্টজীবের জন্ম। এক্ষেত্রে পানি মাতৃসমতুল্য। পানি থেকেই প্রাণীর উদ্ভব। তাই পানির আরবি প্রতিশব্দ ‘মা’ থেকে ‘মা’ ডাকের উৎপত্তি বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এদেশের যারা আদিম অধিবাসী তারাই এই ‘মা’ ডাকের প্রচলন করে। আর তারা মুসলিম সম্প্রদায় বৈ অন্য কোনো জাতি বা ধর্মের নাগরিক হতে পারে না। আর তাদের মাতৃভাষা সেমেটিক বা আরবি হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তাই বাংলাদেশ মুসলমানদের পূণ্যভূমি, তারাই এদেশের আদিবাসী, তারাই এদেশের প্রাচীন অধিবাসী, তারাই এদেশের মাটির সন্তান, ভূমিজপুত্র।

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]