বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
ব্লু ইকোনমি থেকে বিপুল আয়ের অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছে খুব সামান্য। সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ করছে। যদিও সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। কোনো কোনো পরিসংখ্যানে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সমুদ্র সম্পদ আহরণে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে বিপুল সম্ভাবনা হাতছাড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্র খাতে বিনিয়োগ সীমিত। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, এ খাতে সরকারের নীতি বিনিয়োগের অনুকূল নয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সমুদ্র সম্পদ আহরণের প্রতি জোর দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। ফলে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার প্রায় ৭ বছর পরও সমুদ্র সম্পদ আহরণে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ছিটেফোঁটা কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়নের গতি খুবই ধীর। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে সমুদ্র সম্পদ আহরণে সব উদ্যোগ বলতে গেলে থেমে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মোতাবেক, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ৯০ ভাগই ২০২২ সাল নাগাদ মহামারির পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যাবে। পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তির কারণে ধনী দেশগুলোর অর্থনীতি এত বেশি দ্রুত বেড়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে নিম্নআয়ের দেশগুলোর উত্তরণের গতি অনেক ধীর। ফলে মহামারি পরবর্তী বিশ্বে ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্যে সমুদ্র সম্পদ আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠায় সহায়ক।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ ব্লু ইকোনমি থেকে আসে। এটার পরিমাণ বার্ষিক ৯৬০ কোটি ডলার। তবে এই খাত থেকে আয়ের সম্ভাবনা অবারিত। স্কাই ইজ দ্য লিমিট।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো আয় হয়। সমুদ্রের শুধু মাছ রপ্তানি থেকেই ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব’।
সম্ভাবনাময় সমুদ্র খাত থেকে আয় অর্জনে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকে সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না। তারা বিনিয়োগ করতে চান না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রীয় পলিসি এ খাতে বিনিয়োগে সহায়ক নয়।’
সমুদ্র-যোগাযোগ পথ ও সমুদ্র পরিবহণ, মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, জ্বালানি নিরাপত্তা, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা শিল্প, দক্ষ জনবল সরবরাহ, পর্যটন ও পরিবেশ সংরক্ষণ করে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা যায়।
বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে আগত ২৫০০ বাণিজ্যিক জাহাজের সাহায্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বিদেশি জাহাজগুলোকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ ব্যয় কমানো সম্ভব।
বাংলাদেশের মিঠা পানিতে যেখানে ২৫০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, সেখানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। তার মধ্যে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি রয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ওপর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভর করছে উপকূলীয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা। বড় ট্রলারের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ছোট নৌকা ব্যবহার করে জেলেরা মাছ ধরছেন।
জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে বড় ট্রলারের অভাব এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় দক্ষতা না থাকায় পর্যাপ্ত মাছ আহরণ করা যাচ্ছে না।’ তিনি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘সামুদ্রিক টোনা মাছের চাহিদা অনেক বেশি। এ মাছ খুব দ্রুত বিভিন্ন সাগরে ঘোরাফেরা করে। এগুলো গভীর সমুদ্র থেকে আহরণ করতে হয়। কিন্তু আমরা এসব মাছ আহরণ করতে পারছি না।’
বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস হাইড্রেট যা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপাদন সম্ভব, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস যাতে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ মূল্যবান ধাতু রয়েছে। গ্যাস হাইড্রেট, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস ছাড়াও পলিমেটালিক সালফাইড এবং কোবাল্ট সমৃদ্ধ ফেরোম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ম
হীসোপানে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। সমুদ্র সৈকতে প্রাপ্ত জিরকন, ইলেমেনোইট, ম্যাগনেটাইট, রিউটাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে। এসব খনিজ সম্পদের উত্তোলন ও ব্যবহার প্রয়োজন। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে সমুদ্রের ব্লকগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি বিনিয়োগ পর্যাপ্ত নয়। এটার কারণ কি জানতে চাইলে আমেরিকান চেম্বার ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘ব্লু ইকোনমিতে কিছু কিছু বেসরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার, সমুদ্র ভ্রমণে পর্যটন, মালামাল পরিবহণ, আরও অনেক খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। তবে বিনিয়োগে মানুষকে আগ্রহী করে তোলার জন্য ব্র্যান্ডিং ঠিকমতো হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পলিসির বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তৃত সমুদ্র তলদেশ ও উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি খাতের অর্থায়নে সমুদ্রের নৈকট্য পরিমাপসহ জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হাতে নিতে হবে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ল ২০ দোকান
- সম্পর্কের ব্যাপ্তি বাড়াতে আগ্রহী ঢাকা ও ওয়াশিংটন
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে কেন বাঙালি হত্যা, জবাব চান প্রধানমন্ত্রী
- মে দিবসে সকল মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
- শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- ৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ
- গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের বৈঠক আজ
- চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে টানা ৩ দিন বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে
- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
- ফেনী-১ এর সব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
- প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- উপজেলা নির্বাচন: পাঁচদিন মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
- উপজেলা নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন
- কক্সবাজারে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা জব্দ
- বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে চায় চীন
- ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলেই জেল: ইসি হাবিব
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- ৬ কেজি ভারতীয় গাঁজা জব্দ করল বিজিবি সদস্যরা
- রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আর থাকছে না দ্বিতীয় শিফট
- কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে
- বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার চায়না
- রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া: ২৬ দিনে এলো ১৬৮ কোটি ডলার
- বাজেট হবে জনবান্ধব, বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা, কমবে মূল্যস্ফীতি
- তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- পাহাড়ে শান্তি কেড়ে নিয়েছে কেএনএফ
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর