• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী আজ বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ : প্রধানমন্ত্রী দেশে মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ বেকার : প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে ৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের বৈঠক আজ প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ উপজেলা নির্বাচন: পাঁচদিন মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলেই জেল: ইসি হাবিব রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না- স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই- প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন আজ থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব- স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- রাষ্ট্রপতি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্যাটেলাইট ব্যবহারে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের আলোচনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

নাদিয়া মুরাদের জীবনী অবলম্বনে

দ্য লাস্ট গার্ল, পর্ব-৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ছবিঃ সংগৃহিত

ছবিঃ সংগৃহিত

 

 

 

সময়টা ১৯৯৩। যে বছর আমি জন্মগ্রহণ করলাম, সে বছরই আমার বাবা মায়ের সম্পর্কের চুড়ান্ত অবনতি ঘটে। সম্পর্কের এই অবনতির নিদারুণ পরিণাম সহ্য করতে হয় আমার মাকে। এসময় আমার বাবার প্রথম পুত্র মৃত্যু বরণ করে। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর গর্ভে ইরাক-ইরান যুদ্ধের কিছুদিন পূর্বে সে জন্মগ্রহন করেছিল। এবং তার মায়ের মৃত্যু পর,  আপন সন্তানের মতো আমার মা তাকে বড় করে তুলেছিলো। আমার মা সবসময়ই বলতো ওর মৃত্যুর পর দিনগুলো আর কখনোই আগের মতো সুন্দর সুদিন হয়নি।

 

কিছুদিনের ভেতরেই আমার বাবা সারা নামের আরেক নারী এনে ঘরে তোলে। এবং তাকে বিয়ে করে। দীর্ঘসময় আমার মা যে বাড়িটিকে নিজের বলে জেনে এসেছে সেই বাড়িরই আরেক প্রান্তে ঘর তুলে বাবা আমাদের সেখানে ঠেলে দেয়। আর আমার মায়ের বাড়িটিতে তাকে নিয়ে বসত শুরু করে।

 

খুব দ্রুত তাদের ঘরে আবার সন্তান আসে। পুরুষের বহুগামীতা ইয়াজিদি সমাজে অপরাধ হিসাবে গণ্য হয় না। সুতরাং আমার বাবাকে বহুগামিতার জন্য জবাবদিহিতা করতে হয়নি। যদিও কোচোর সব পুরুষ বহুগামী নয়। যখন আমার বাবা সারাকে বিয়ে করে তখন সে শুধু সারাকে নয়, সারার  সাথে বিশাল সম্পত্তি এবং ভেড়ার পালের মালিকানা লাভ করে। ইরানের সাথে যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইরাকের মানুষের জীবন-যুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়লো। কিন্তু যুদ্ধ অথবা নিষেধাজ্ঞা আমার বাবার অথনৈতিক অবস্থায় কোন পরিবর্তন আনেনি। আসলে আমার বাবার প্রয়োজন ছিল বিশাল এক পরিবার, যে পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে সে তার প্রয়োজন মতো শ্রম আদায় করতে পারবে।  কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হলো, আমার মায়ের পক্ষে এত বড় পরিবার উপহার দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

 

সারাকে বিয়ে করার কারণে আমি বাবাকে দোষারোপ করতে পারি না। আপনি যদি বুঝতে পারেন একজন মানুষের বেঁচে থাকার শর্ত যখন নির্ভর করে কত পরিমাণ টমেটো সে ঘরে তুলতে পারলো অথবা উন্নত ঘাসের জন্য কতঘন্টা ভেড়ার পালের পিছে হাঁটলো, তাহলে সহজেই অনুমান করতে পারা যাবেকেন আমার বাবা অধিক স্ত্রী গ্রহণ করেছিল; কেন আমার বাবা  অধিক সন্তান কামনা করেছিল। এমন প্রত্যাশায় ব্যক্তিগত কারণ নিহিত নেই।  যদিও বাবার এই চাওয়ায় কোন অপরাধ ছিল না কিন্তু আমি অন্তত এটা উপলদ্ধি করতে শিখেছিলাম বাবার এই বিয়ে করার কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ ছিল না।

 

আমার বাবা আইনসন্মতভাবে আমার মাকে পরিত্যাগ করে এবং আমাদের সবাইকে বসত বাড়ির মূল দালানের পেছনে দুই কামরার ছোট্ট একটি ঘরে পাঠিয়ে দেয় আর আমাদের জীবন ধারণের জন্য খুব সামান্য অর্থ এবং একটুকরো জমি বরাদ্দ করে।

 

বাবার নতুন বিয়েকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কী বা পছন্দ ছিল আমার? বাবার দ্বিতীয় বিয়ের মতো উপায়হীন যন্ত্রণা নীরবে আমিও মেনে নিয়েছিলাম আর মেনে নিয়েছিলাম মায়ের হৃদয় ভাঙ্গার কষ্টগুলোকে। বাবা আমার মায়ের থেকে অধিক ভালবাসাতো তার নববিবাহিত স্ত্রী সারাকে। মা প্রায়ই আমাকে এবং আমার দুই বোন দিমাল ও আদকীকে বলতো ঈশ্বর না করুন আমার ভাগ্যে যা ঘটেছে, তোমাদের ভাগ্যে যেন তা না ঘটে। আমার মা ছিল আমার আদর্শ। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি আমার মায়ের মতো হবার স্বপ্ন দেখতাম। শুধু মাত্র আমার বাবা কতৃর্ক পরিত্যাক্ত হবার ব্যাপারটি ছাড়া।

 

আমার মতো এরকম চিন্তা ও বোধ আমার ভাইদের ছিলো না।ঈশ্বর নিশ্চয় তোমাকে ক্ষমা করবে নাএবং তোমাকে অবশ্যই অন্যায়ের জন্য খেসারত দিতে হবেবাবার উদ্দেশ্যে এইসব বলে আমার ভাই মাসউদ প্রায়ই চিৎকার দিয়ে গালাগাল করতো। বাবার মনোযোগ আকর্ষনের জন্য, বাবার ভালবাসা পাওয়ার জন্য আমার মা এবং বাবার স্ত্রী সারা সব সময়ই নিজেদের ভেতরে প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত থাকতো। আমরা সব ভাইবোন উপলদ্ধি করেছি, আমার মা এবং সারাকে এক বাড়ীতেযদি বসত করতে না হতো তাহলে আমাদের জীবন অনেক সহজ আর সুন্দর হতো যদি।

 

বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক ছিল। যে বাড়িতে আমি জন্মগ্রহণ করেছি, জন্ম থেকে যার উঠোনে খেলে বড় হয়েছি, সেই বাড়ি পাশ দিয়ে হেটে পার হয়ে এ্যালিমেন্টরি স্কুলে যেতাম।

 

কোচো খুব ছোট শহর ছিলো। যে কারণে বাবা সারাকে নিয়ে বেড়াতে বের হলে সহজেই আমরা  চোখে সেটা ধরা পড়তো। এসব দেখা ছিল খুব কষ্টের, তবুও খুব দ্রুত আমরা সব পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছিলাম। বাবাদের বাড়ির কুকুরটার কাছে আমি এত পরিচিত হয়ে উঠেছিলাম যে, আমাকে দেখলে সে আর ঘেউ ঘেউ করে চেঁচাতো না। আমরা ভাইবোনেরা ছুটির দিনগুলো বাড়িতে এক সাথে কাটাতাম। বাবা প্রায়ই ড্রাইভ করে আমাদের সিনজার শহরে অথবা পর্বতের পাদদেশে বেড়াতে নিয়ে যেত।

 

২০০৩ সালে বাবা হৃদরোগে আক্রন্ত হয়। আমরা ভাইবোন সবাই নীরব দর্শকের মতো দেখলাম একজন শক্ত সবল মানুষ কিভাবে অসুস্থ হয়ে দ্রুত বৃদ্ধ হয়ে গেল। আর হাসপাতালের হুইল চেয়ার হলো তার আশ্রয়। কিছুদিনের ভিতরে যখন বাবা মৃত্যূবরণ করলো, তখন আমাদের মনে হলো বাবা যা কিছু লজ্জাজনক কাজ করেছে সেটা তার নৈতিক অবক্ষয়, চরিত্রের দূর্বলতার জন্য নয়। বরং এটা করেছে কারণ তার শারীরিক অবস্থার কারণে। বাবার সাথে দূর্ব্যবহার, চেঁচামেচি করা সেই দিনের কথা স্মরণ করে মাসউদ মানসিক কষ্ট ও অনুতাপে ভুগতো। তখন তার ভেতর এই অনুভূতির জন্ম নেয় আমাদের বাবা সবকিছু সামাল দেওয়ার মতো বীর পুরুষ ছিল।

 

আমার মা ছিলো অতিরিক্ত ধর্মভীরুও ধর্মপরায়ণ। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎবাণীর  জন্য ইয়াজিদিরা যেসব ধমীর্য় প্রতিকৃতি ব্যবহার করতো ও স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতো তার সবটুকুর ওপর আমার মায়ের গভীর ভক্তি ও বিশ্বাস ছিলো। যখন সন্ধ্যা হতোতখন তাকে দেখতাম উঠানে প্রদীপ জ্বালাতে। সে বলতো এই প্রহরে সন্তানরা দূর্ঘটনা, অসুস্থতা সহ নানা রকম বালা মসিবতের ঝুঁকিতে থাকে। আমার সন্তানদের মঙ্গলের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে সারাক্ষণ প্রার্থনায় থাকি।

 

প্রায়ই আমি হজমজনিত কষ্টে ভুগতাম। মা আমাকে তখন হারবাল চিকিৎসার জন্য ইয়াজিদি কবিরাজের কাছে নিয়ে যেত। আমি রীতিমতো ঘৃণা করতাম কবিরাজের দেয়া তরল ঔষধ আর চায়ের স্বাদটাকে। কিন্ত মায়ের আদর সোহাগ ভরা মিনতির কাছে হার মেনে আমাকে সেসব ঠিকই গিলতে হতো। আর যদি কেউ মারা যেত মা তড়িঘড়ি করে ইয়াজিদি তান্ত্রিক যাকে ইয়াজিদি ভাষায় কোচো বলা হয়, তার কাছে রীতিমতো ছুটে যেত। মৃতের আত্মা পরলোকের জীবনে প্রবেশ করেছে এই আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত সে কোচোর কাছে ঠাই বসে থাকতো।

 

তীর্থযাত্রী ইয়াজিদিরা লালিশ থেকে ছোট্ট মাটির টুকরা নিয়ে আসতো। লালিশ হচ্ছে উত্তর ইরাকের সেই উপত্যকা যেখানে আমাদের পবিত্র মন্দির অবস্থিত। ইয়াজিদিরা এই পবিত্র মাটির টুকরা তিনকোণা কাপড়ে পেঁচিয়ে পকেটে অথবা মানিব্যাগে রেখে দিত। ইয়াজিদিরা বিশ্বাস করতো ঈশ্বর প্রদত্ত এই মাটির টুকরা তাদের সাথে থাকলে ঈশ্বরের কৃপায় তারা সব রকম বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং তাদের জন্য মঙ্গলময় হবে।

 

আমার মা সর্বদা এই পবিত্র মাটির টুকরা সাথে রাখতেন। বিশেষ করে আমার ভাই যখন চাকরিতে যোগ দিল এবং সৈনিকদের সাথে প্রতিদিন কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হতো, মা আমাকে বলতোযত রকমের রক্ষকবচ আছে তার সবই তোমার ভাইদের জন্য দরকার নাদিয়া। কারণ জীবিকার জন্য ওরা যে পেশা গ্রহণ করেছে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। 

 

মা ছিল কঠোর পরিশ্রমী এবং বাস্তববাদী। স্বচ্ছল জীবনের স্বাদ দেয়ার জন্য সে যে কোন   প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্র্রস্তুত ছিল। ইয়াজিদিরা ছিল ইরাকের দরিদ্রতম জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম। কোচোর আর্থ-সামাজিক অবস্থানে আমাদের পরিবারের অবস্থান ছিল একেবারে নীচে। পিতার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কারণে আমরা আরও দরিদ্র হয়ে পড়ি। আমার ভাইয়েরা দিনের পর দিন কোদাল দিয়ে পাথরের মতো শক্ত মাটি কেটে কূপ খননের মতো কঠিন কাজ করেছে। এসব কাজে ভুল হলেই সম্ভাবনা থাকতো হাড়গোড় সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাবার। একটুখানি ভুলে ঘটে যেতে পারতো ভয়ংকর দূর্ঘটনা।

 

ওই সময়টাতেভাইদের সাথে আমার মা ও বোনেরা অন্যের জমিতে চাষাবাদের কাজ করতো।  টমেটো ও পিঁয়াজ চাষ করে যে আয় হতো তাই দিয়ে সংসার চালানো ছিলো কঠিন। জীবনের প্রথম দশ বছর রাতের খাবারের সাথে কখনো মাংস খেতে পাইনি। শুধু সবজি-সেদ্ধ দিয়ে রাতের খাবার খেতে হতো। আর আমার ভাইদের পুরাতন প্যান্ট ছিড়ে শরীর দেখা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আরেকটি নতুন প্যান্ট কেনা হতো না।

 

দারিদ্র বিমোচনে মায়ের কঠিন পরিশ্রমের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ। ২০০৩র পর নর্দান ইরাকের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটলে সমগ্র ইয়াজিদিদের সাথে আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটতে থাকে। সেন্ট্রাল এবং কুর্দিস সরকার ইয়াজিদিদের জন্য চাকুরি পদ উন্মুক্ত করলে আমার ভাইয়েরা বর্ডার গার্ড এবং পুলিশে চাকরি গ্রহণ করে। অবশ্যই এসব ছিল ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। আমার ভাই জালো পুলিশের যে বিভাগের চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছিল সেখানে তাদের দায়িত্ব ছিল তাল আফার এয়ারপোট পাহারা দেয়া। তাদের বেতন ছিল লোভনীয়। কিন্তু চাকুরীর প্রথম বছরেই সম্মুখ যুদ্ধে তাদের অনেকেই প্রাণ হারায়। আমার ভাইদের ভাল আয়ের কারণে প্রথম বছরেই আমরা বাবার দয়ার এক টুকরো ভিটে ছেড়ে আমরা আমাদের নিজ গৃহে চলে যেতে সক্ষম হই।

 

গভীর ধর্মভক্তি এবং সততার জন্য আমার মায়ের সুখ্যাতি ছিল। এছাড়া মানুষের মাঝে আনন্দ বিলানোতে মায়ের অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। এমনকি, কঠিন পরিশ্রমের কাজ করার সময়গুলো পর্যন্ত সে হাসি-ঠাট্টায় ভরিয়ে তুলতো। ঠাট্টার ছলে সব সময়ই বলতোআর যাই করি, দুবার বিয়ে বসবো না। কেউ বিয়ে করতে চাইলে তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করবো।

 

ঘটনাটা ঘটেছিল তাই। মায়ের রূপের গল্প কোচোর বাইরেও বহুদূর ঘুরে বেড়াতো। আগেও বলেছি আর সেই রূপে মুগ্ধ হয়ে আমার বাবা তাকে বিয়ে করার জন্য পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিল। যা হোক, বাবার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর কোচোর এক ধনী মায়ের পানি প্রার্থনার জন্য আমাদের দরজায় এসে উপস্থিত। যে কথা সে কাজ, মা এতই ক্ষিপ্ত হয়েছিলো যে, একখানা লাঠি নিয়ে মা ছুটে এসেছিল সেই লোকটিকে পেটানোর জন্য। ভীত সন্ত্রস্ত ভেড়ার মতো লোকটা ইজ্জত নিয়ে পালিয়ে বেঁচেছিল সে যাত্রায়। বহুদূর খেদিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে মা যখন বাড়ি ফিরে আসে, হাসতে হাসতে তার দম আটকে যাচ্ছিল! হাসিতে গড়াগড়ি দিয়ে অভিনয় করে মা যখন দেখাচ্ছিল বেটা কী করে ল্যাজ গুটিয়ে, প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেবেটা এমন ভয় পেয়েছে তোদের দেখা দরকার ছিল। মায়ের এই বলার ধরনে আমরা ভাইবোনেরা সবাই হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে লুটিয়ে ছিলাম। মা তখন আমাদের আরও হাসানোর জন্য বলতোআমি যদি এখন ঐ ব্যাটাকে বিয়ে করি তাহলে লোকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবেএই সেই ব্যাটা, বুড়ির লাঠির খ্যাদানিতে যে পালিয়েছিল। হাসতে হাসতে আমাদের দম আটকে যাবার দশা হতো।

 

যে কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল আমার মায়েরযেভাবে আমার বাবা তাকে পরিত্যাগ করেছিলো, সাজগোজ মেক আপের ব্যাপারে আমার দূর্বলতা, এমন কী তার নিজের দাম্পত্য জীবনের ব্যর্থতা, সব কিছু নিয়েই সে মজা করতো। আমার জন্মের পূর্ব পর্যন্ত সে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে যেত।কিন্তু আমার জন্মের পর সেটা আর পেরে ওঠেনি। যখন আমি একটু  বড় হয়ে উঠলাম তখন সে আমার কাছ থেকে পুনরায় পাঠ নেয়া শুরু করলো। আমিও তাকে পড়িয়ে খুব মজা পেতাম। তার আশ্চর্যরকমের, খুব দ্রুত পাঠ রপ্ত করার ক্ষমতা আর আশ্চর্য স্মরণ শক্তি ছিলো।তার প্রাঞ্জল হাসি দিয়ে কোন ভুল হলে সে সেটা সহজে গ্রহন করতে পারতো, আর তার শুধরে নেয়ার ইচ্ছা শক্তি ছিল প্রবল।

 

শীতের সকালে আগুন পোহানোর জন্য যখন রুটি সেকার সময় আমরা মাটির চুলার পাশে বসে থাকতাম, তখন মায়ের সাথে অনেক মজার মজার গল্প হতো। আমার জন্মের পূর্বে জন্ম-নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতার গল্পগুলো সে যখন আমাকে এত মজা করে শুনাতো, আমার তখন মনে হতো বহুবছর আগে পড়া কোন গল্পের বইয়ের গল্প সে আমাকে শুনাচ্ছে। গর্ভধারনের ব্যাপারে তার অনীহা, অনিচ্ছার গল্পগুলো দারুন হাস্যকর হলেও এখন সে গভীর মমতায় বলেতুমি জন্মের সাথে সাথে তোমার মুখখানি দেখামাত্র আমি তোমাকে এত গভীর ভালবাসলাম এবং ভুলে গেলাম জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা। এখন তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকাটা কল্পনাও করতে পারি না।

 

যখন মা আমার ছোট বোন অথবা আমার ভাতিজিকে আদর করতো আমি তখন অভিমান করে মায়ের সাথে কথা বলতাম না। এটাতে মা খুব মজা পেত। সব সময়ই মায়ের কোলে মাথা রেখে বলতামতোমাকে ছেড়ে আমি পৃথিবীর কোথাও কখনো যাবো না। এবং সত্যিই জন্মের পর থেকে  আইসিসরা কোচোতে এসে আমাদের পরিবার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করার পূর্ব পর্যন্ত আমি আমার মায়ের সাথে এক বিছানায় ঘুমিয়েছি। যুগপৎভাবে সে ছিল আমাদের মা ও বাবা দুটোই। মাকে আমরা আরও গভীর ভালবাসি যখন আমরা অনুভব করতে শিখলাম কী ভয়ানক বিচ্ছেদ যন্ত্রণায় সে জর্জরিত হয়েছে! পরিবারের সাথে আমি এত বেশি জড়িয়ে ছিলাম যে, এই পরিবারের বাইরে অন্যত্র  বসত দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।

 

বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বসতের সম্পূর্ণ অযোগ্য একটি স্থান কোচো। বহিরাগতদের কাছে কোচো সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন দরিদ্রের কশাঘাতে জর্জরিত উৎপাদনের অযোগ্য ভুখন্ড। অন্তত আমেরিকার সৈন্যবাহিনী সেই ধারণা পেয়েছে। কারণ ওরা যখন আমাদেরকে পরিদর্শনে এসেছে ওদের গাড়ি বহরের পেছনে শত শত শিশু কিশোর ক্যান্ডি আর পেন এর জন্য ছুটেছে। ভিক্ষার চাওয়া সেই শিশু কিশোরদের মাঝে আমিও ছিলাম।

 

নির্বাচনের আগে কুর্দিস নেতাদের দু-একবার কোচোতে দেখা যেত বৈকি। তার ছাড়া কুর্দিস রাজনৈতিক নেতারা কখনোই কোচোতে আসতো না। ২০০৩ সালের পর কেচোতে বারযানি এর কুর্দিস্থান ডেমোক্রেটিক পার্টি কউচ নামে দুই কক্ষের ছোট অফিস রুম উদ্বোধন করে। এটা ব্যবহৃত হতো গ্রামের পুরুষদের ক্লাব ঘরের মতো। যারা পার্টির সদস্য তারাই মূলত এই পার্টি অফিসে আড্ডা দিত। কোচোর সাধারণ মানুষেরা অভিযোগ করতো এই ক্লাবে গেলে তাদেরকে বারযানির কুর্দিস্থান ডোমোক্রেটিক পার্টির সদস্য পদ গ্রহনে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাদেরকে জোরপূর্বক বলানোর চেষ্টা করা হয়, ইয়াজিদিরা পূর্বে কুর্দ ছিল এবং সিনজার ছিল কুর্দিস্তানের অংশ বিশেষ। ইরাকের রাজনীতিবিদরা ছিল আমাদের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। আর সাদ্দাম সব সময়ই প্রচেষ্টা চালিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে স্বীকার করাতে যে, আমরা আরবীয়। আমাদের জাতিগোষ্ঠী ও জাতিসত্তাকে সব সময়ই হুমকির সম্মুখে রাখা হয়েছে যাতে করে আমরা কখনোই বিদ্রোহী হয়ে উঠতে না পারি।

 

কোচোতে আমাদের বসতের ব্যাপারটা সাদ্দামের নিকট ছিলো অনেকটা বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের মতো। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাদ্দাম জোরপূর্বক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীদের তাদের গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তর করা শুরু করে। তারমধ্যে কুর্দ এবং ইয়াজিদিরাও ছিল। সিনডার-ব্লক হাউজিং নামে পরিকল্পিত হাউজিং কমিউনিটিতে এই সব ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বসতের জন্য নির্ধারন করা হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ। এটাকে উত্তরের জনগোষ্ঠীর আরবীয়করণ বলেপ্রচার চালাতে থাকে।

 

 

(চলবে)

 

পর্বঃ ১

পর্ব-০২

পর্ব-০৩

পর্ব-০৪

 

 

 

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]