মহামারিতেও সঞ্চয়পত্রে জোয়ার
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ লক্ষ্য ধরা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
ব্যাংকে সুদের হার কমছেই, এই পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েই চলছে। মহামারিকালে নিশ্চিত মুনাফা হাতছাড়া করতে চাইছে না মানুষ।
চলতি অর্থবছরে সরকার এই খাত থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল, বছরের সাত মাসেই তার চেয়ে ৫ হাজার ৭০২ কোটি টাকা বেশি ঋণ হয়ে গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ লক্ষ্য ধরা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
এই সাত মাসে মোট বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার। আর মানুষ ভেঙেছে ৩৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকার।
আর সুদ হিসেবে সরকার পরিশোধ করেছে ১৮ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া ঋণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে তিন গুণেরও বেশি।
গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকার।
কোন মাসে কোন সঞ্চয়পত্র বিক্রি
গত সাত মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র যার অংক ১৩ হাজার ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়।
আগস্টে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে হয় ৪ হাজার ২০৭ কোটি টাকা।
আর অক্টোবরে আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমে যায়। ওই মাসে বিক্রি হয় ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
নভেম্বরেও বিক্রির পরিমাণ কম হয় আগের মাসের তুলনায়। ওই মাসে বিক্রি হয় ৩ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
ডিসেম্বরে আরও কমে হয় ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। তবে জানুয়ারিতে বিক্রি হয় চলতি অর্থবছরের সবচেয়ে বেশি যা ডিসেম্বরের সাড়ে তিন গুণের মতো।
সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ বেশি যে কারণে
ব্যাংকগুলোতে এখন সর্বোচ্চ সুদ হার ছয় শতাংশ। তবে ভল্ট উপচে পড়ার কারণে এখন টাকা নিতে খুব একটা আগ্রহী নয় ব্যাংক। বড় অংক আর দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় না হলে তিন থেকে চার শতাংশের বেশি সুদ দিতে চাইছে না তারা।
ফলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে অনেক বেশি লাভজনক।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আরও বেশি লাভজনক হতে পারে। তবে সেখানে ঝুঁকিও ব্যাপক। এটিও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বেড়ে চলার এক কারণ।
মূলত চার ধরনের সঞ্চয়পত্র সাধারণ মানুষ কেনে, যার সর্বনিম্ন সুদ হার ১১.০৪ শতাংশ, আর সর্বোচ্চ ১১.৭৬ শতাংশ।
একক মাস হিসেবে শুধু জানুয়ারি মাসে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা।
অথচ গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর দুই এক মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সঞ্চয়পত্র ভেঙেছিল মানুষ। কিন্তু জুলাই থেকেই পরিস্থিতি পালটে যায়।
সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি ঋণ করতে চায় না। এ জন্য নানা কড়াকড়িও আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার কাউকে ফিরিয়ে দিতে পারে না। এ কারণে বিক্রি বেড়েই চলেছে, যদিও এটি বছর শেষে সরকারি কোষাগারে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখা দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রেখে এখন তেমন মুনাফা মিলছে না। সেক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র নিরাপদ। এই মাধ্যমে মুনাফা বেশি, পাশাপাশি অর্থের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি ঋণ হলে, সরকারের সুদ দায় বাড়ে। কারণ এখানে সুদ ১০ ভাগের বেশি।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য সব ক্ষেত্রে সুদের হার কমে গেছে। আগে ব্যাংকে আমানত রাখলে ৭ বা ৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেটা ৫ শতাংশে নেমে গেছে। এজন্য নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সঞ্চয়পত্রে সাধারণ মানুষ ঝুঁকছে। এখানে ১১ বা তার চেয়ে বেশি সুদ দেয়া হয়।’
বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে চায় সরকার
বিপুল পরিমাণ সুদ দিতে হয় বলে সরকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে নানাভাবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে তিনি সুদ কমানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তবে নিজ দলের তীব্র আপত্তির মুখে সে প্রস্তাব থেকে সরে আসেন।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় বহু নেতার বক্তব্য ছিল, অবসরে যাওয়া বা সাধারণ প্রান্তিক মানুষ যারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন না, তারা টাকা রেখে মুনাফা দিয়ে সংসার চালান। তাদের জন্য সরকার বাড়তি সুদ দিলে সেটাকে সেবা হিসেবেই ধরা যায়।
এরপর বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সরকার বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এখন একক নামে ৫০ লাখ টাকা আর যৌথ নামে এক কোটি টাকার বেশি কেনা যাচ্ছে না।
আবার মুনাফার উপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ব্যাংক হিসাব না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ায় কমেছে ব্যাংক ঋণ
চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি আর সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।
এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ব্যাংকমুখী হচ্ছে কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সরকার সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে।
এই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ করেনি সরকার। উলটো আগের নেওয়া ঋণের প্রায় ৩১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা শোধ করেছে।
এতে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। অথচ এ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- ঢাকাসহ ২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- আজ বসছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- রোহিঙ্গা গণহত্যা: দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর সরকারীকরণ হচ্ছে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- পদ্মা রেল করিডোর সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- প্রধানমন্ত্রী
আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? - খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রতীক বরাদ্দ
- মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে
- আজ বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
- হৃদরোগের চিকিৎসায় অবদান রাখতে পারে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে কাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা