ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ: জাতির কলঙ্কিত অধ্যায়
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূত্রপাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ক্ষমতা দখল করে নেয় সেনাসমর্থিত খোন্দকার মোশতাক সরকার। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র ৯ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৪ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে অঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল।
একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো আর তার বিচার হবে না? রাষ্ট্রযন্ত্র সর্বোচ্চ অবস্থান গ্রহণ করে আইন প্রণয়ন করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে দেবে,এটা কী করে সম্ভব? খুনিরা প্রকাশ্যে খুন করার বাহাদুরি করবে আর একটি রাষ্ট্র, একটি জাতি, একটি সমাজ শুধু নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করবে? আইনের শাসনপথ হারালো কোথায়? সুশীল সমাজের বিবেক কি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছিল সেদিন? রাজনীতির হাল ধরা স্লোগান মুখরিত কণ্ঠগুলো সব কি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিল? আর বিশ্ব? নিহতদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কেউ কি ছিল না সেদিন? ষড়যন্ত্রের কালিমা মাথায় মেখে আমরা রক্তের হোলি খেলা খেললাম! কী আশ্চর্য! জাতির পিতার লাশের ওপর দাঁড়িয়ে এই জাতি ভবিষ্যতের শান্তির নীড় বাঁধার স্বপ্ন দেখতে পারল কীভাবে? মসনদের আশায়?
এরপর, ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী গৃহীত হয়। পঞ্চম সংশোধনীটি নিজে কোনো আইনের সংশোধনী নয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সকল অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে আইনি বৈধতা দান করা হয়।
১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে অঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক জারিকৃত ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশটি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। অতএব, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা ছিল না। কিন্তু “সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯-এর ক্ষমতাবলে ভবিষ্যতে কেউ যাতে ১৫ আগস্ট খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে সে ব্যবস্থাটিকে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে’ পরিণত করা হলো।”
একই সঙ্গে এটাও বোঝানো হলো যে, যেহেতু এটি সংবিধানের অংশ হয়ে গেছে এটি আর পরিবর্তন করা যাবে না। আর এই দোহাই দিয়েই জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরও বিচারপতি আবদুস সাত্তার, এইচ এম এরশাদ এবং ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি বাতিল বা রহিত করেননি। ফলে দায়মুক্তি পেয়ে খুনিরা ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াত।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, এক সুদীর্ঘ ২১ বছরের পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। অতঃপর, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের আইনগত দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিন উল্লাহর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তার রিপোর্টে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য সংবিধান সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতোই প্রায় ১৬টি আইন পঞ্চম সংশোধনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা পরবর্তীকালে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েই সংসদে বাতিল করা হয়েছে। সুতরাং কমিটির মতে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটিও একই রকমভাবে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েই সংসদে বাতিল করা সম্ভব।
কমিটির এই রিপোর্ট আইন কমিশনের মতামতের জন্য পাঠানো হলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এফ কে এম মুনীরের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশনও তা সমর্থন করে। এরপর তৎকালীন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিল বাতিলের জন্য ‘দি ইনডেমনিটি রিপিল অ্যাক্ট-১৯৯৬’ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সংসদে মানবতা ও সভ্যতাবিরোধী কলঙ্কিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল আইন প্রণয়ন করা হয়। ঘোচানো হয় ২১ বছরের জাতীয় কলঙ্ক। আর সেই সঙ্গে সুগম হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় একটি ফোজদারি মামলা দায়েরের মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পনেরো (১৫) জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। আসামিপক্ষের পনেরো জন উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিলে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় এবং ৩ জনকে খালাস দেয়া হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে এ মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকার আবার এ বিচারকার্য চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০০৯ সালে লিভ-টু-আপিলের মাধ্যমে এর বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আপিল শেষে বারোজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন মহামান্য আদালত। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখে এদের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি ছয়জন এখনো বিভিন্ন দেশের আশ্রয়ে পলাতক অবস্থায় আছেন। পলাতকদের মধ্যে একজন এরই মাঝে বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর সরকারীকরণ হচ্ছে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- পদ্মা রেল করিডোর সম্পূর্ণ খুলছে জুলাইয়ে
- প্রধানমন্ত্রী
আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? - খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রতীক বরাদ্দ
- মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে
- আজ বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
- হৃদরোগের চিকিৎসায় অবদান রাখতে পারে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে কাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- দেশে মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ বেকার : প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ল ২০ দোকান
- সম্পর্কের ব্যাপ্তি বাড়াতে আগ্রহী ঢাকা ও ওয়াশিংটন
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে কেন বাঙালি হত্যা, জবাব চান প্রধানমন্ত্রী
- ভাড়ায় খাঁটা এস অনন্ত বিকাশে অসহায় রাঙামাটি এলজিইডি!
- বাংলাদেশকে ২৮.৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে পারলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া সম্ভব
- ‘বর্তমান সরকার পাহাড়েই বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে’
- রামগড়ে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে
- বান্দরবানে গোলাগুলিতে দুই কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- রামগড়ে শহিদ ক্যাপ্টেন কাদের বীরউত্তমের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন
- চট্টগ্রাম বিভাগে সেরার সম্মাননা পেল খাগড়াছড়ি জেলা রোভার
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা