• শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩০

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৪

দৈনিক খাগড়াছড়ি

পুদিনা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের চাষীরা

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩  

রমজানের ইফতারিতে অনেকের পুদিনা পাতা ছাড়া যেন চলেই না, তাই রমজান এলে পুদিনার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুন। ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যায় পুদিনার। তাই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অনেক কৃষক এখন পুদিনা পাতা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ব্যাপক পরিসরে চাষ করা হয়েছে পুদিনাপাতা।

পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে এ অঞ্চলের কৃষকদের বড় একটি অংশ পুদিনার বাগান করেন। রমজানকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের চাষীরা। সীতাকুণ্ডের অন্যান্য স্থানের চেয়ে ভাটিয়ারি এলাকায় পুদিনা চাষে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অনেক নারীরাও স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ পুদিনা চাষে।

রমজান মাসে বড়া, চাটনি, সালাদ, বোরহানি বানানোর কাজে ব্যাপকহারে পুদিনা-পাতা ব্যবহার হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী বিশেষ করে টুথপেস্ট, তামাক, চা, শরবত, মিল্ক চকলেটসহ বিভিন্ন প্রসাধনীতে পুদিনার ব্যবহার রয়েছে। তাই পুদিনা-চাষও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুদিনা পাতার রয়েছে আবার বিভিন্ন ভেষজ গুণ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে ২০ হেক্টর জমিতে ২১০ জন কৃষক পুদিনাপাতা উৎপাদন করেছেন। এ বছর ফলন হয়েছে ১২০ মেট্রিক টন। প্রতি টন পুদিনা গড়ে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ১২০ মেট্রিক টন পুদিনায় আয় হয় ৬০ লক্ষ টাকা। তবে অনেক সময় আরও ভালো দামে বিক্রি হয় পুদিনা। তখন একই পরিমাণ পুদিনা বিক্রি করা যায় কোটি টাকায়।  

সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী, সলিমপুর, সোনাইছড়ি ও কুমিরায় ২০ হেক্টর জমিতে পুদিনার চাষ করেছেন কৃষকেরা। এরমধ্যে শুধুমাত্র ভাটিয়ারী খাদেমপাড়া এলাকাতেই পুদিনা চাষ করেন ৪০ থেকে ৫০ জন কৃষক। এ এলাকার ৬ হেক্টর পাহাড়ি ঢালু জমিতে এ বছর পুদিনার চাষ হয়েছে।

পুদিনা চাষী মো. শিবলু মিয়া বলেন, প্রতিবছর রমজানকে সামনে রেখে বাড়তি উৎপাদনের চেষ্টা করে সীতাকুণ্ডের পুদিনা চাষীরা। এ সময় চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। এবার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৯০ শতক জায়গায় পুদিনার চাষ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, এটুকু জায়গায় পুদিনা চাষ করতে শ্রমিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ তার খরচ পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বাজার দর ভাল হলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার পুদিনা বিক্রি করা যাবে।

কৃষি মো. শফি বলেন, রমজান মাসে ভালোমানের পুদিনা-পাতার বাজারজাত। আর সে কারণেই দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পুদিনা-চাষিরা।

আরেক কৃষক মো. সেলিম বলেন, আমরা বিগত ৩৫ বছর ধরে এই চাষে জড়িত। আগে আমার বাবা করতো এখন আমি এই চাষের দেখভাল করছি। আমরা চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০ শতক জায়গায় পুদিনা পাতার চাষ করেছি। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে আমাদের ব্যাপক বাজারজাত করার ইচ্ছা রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]