শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩
গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিলে প্রায়ই চোখে পড়ে কচুরিপানা। কচুরিপানার ফুল দেখতে সুন্দর হলেও, কচুরিপানা তেমন কোনো কাজে আসে না। তবে এবার সেই ফেলনা কচুরিপানা থেকে পাবনায় তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্পের নজরকাড়া নানারকম পণ্য।
পরিবেশবান্ধব ও দামে কম হওয়ায়, এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে দেশ-বিদেশে। বর্তমানে জেলা থেকে তৈরি কচুরিপানার এসব পণ্য ইউরোপ, আমেরিকার অন্তত আটটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তাঁদের দাবি, এতে বছরে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা আয় হয়। একই সঙ্গে কচুরিপানা ঘিরে পাবনায় বাড়ছে কর্মসংস্থান।
তিন বছর আগে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জয়তুন খাতুন ও রফিকুল ইসলাম দম্পতির উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কচুরিপানার এমনই এক কুটিরশিল্প। এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কচুরিপানা কেনা-বেচা ও পণ্য উৎপাদন। কচুরিপানা থেকে টব, ফুলদানি, ফল ঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, ডাইনিং টেবিলের ম্যাটসহ দশ রকমের পণ্য তৈরি হচ্ছে এখানে।
রসুলপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, ওই দম্পতি গ্রামের নারীদের মাধ্যমে কচুরিপানা দিয়ে পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি হস্তশিল্প রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘বিডি ক্রিয়েশনে’ এগুলো বিক্রি করেন। সাঁথিয়া ও বেড়া বেড়া উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন কচুরিপানা কেনাবেচা করার কাজে জড়িত। দিনে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ মণ কাঁচা এবং ৫ থেকে ৭ মণ শুকনো কচুরিপানা কেনা-বেচা হয়। প্রতি মণ কাঁচা কচুরিপানা ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং শুকনো কচুরিপানা বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
শ্রমিকেরা জানান, বিভিন্ন আকারের হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করে প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। এসব পণ্য কেউ কারখানায় বসে তৈরি করেন; আবার কেউ বাড়িতে বসে কাজ করে সেগুলো কারখানায় জমা দেন। এ ছাড়া কচুরিপানা পরিবহন ও শুকানোর কাজ থেকে শ্রমিকেরা গড়ে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন।
আলাপকালে জয়তুন খাতুন বলেন, ‘আমার শ্বশুর বেতের ব্যবসা করতেন। একপর্যায়ে আমার স্বামীও ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিন বছর আগে বেতের জিনিসপত্র ক্রয় করা সম্পর্কে জানতে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বিডি ক্রিয়েশনে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি কচুরিপানা দিয়ে নানান পণ্য তৈরি করছে। সেখান থেকে উৎসাহ নিই।’
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়