• বুধবার   ২৯ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪২৯

  • || ০৬ রমজান ১৪৪৪

দৈনিক খাগড়াছড়ি

তিনদিনের ছুটিতে জমজমাট কক্সবাজার

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩  

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে বেড়েছে দেশীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটকের আশানুরূপ দেখা মিলছে না অনেকদিন ধরে।

সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ায় পর্যটকের আকর্ষণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আর বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়াতে কি করা প্রয়োজন তা নিয়ে খতিয়ে দেখছেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সেল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সৌন্দর্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবালসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রবাল দ্বীপও রাখতে হবে, সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যও রাখতে হবে এবং পর্যটকও যেতে হবে। এ দুটোর সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া অনেক সুন্দর। সেখানেও পর্যটক যেতে হবে। কুতুবদিয়া দ্বীপ ভারতের গোয়ার মত মনে হয়।

পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, কক্সবাজারের সাবরাং, নাফ ও সোনাদিয়াতে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিমানবন্দরকে আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কক্সবাজারের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পটের বিষয়টি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। ফলে ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্প আরো এগিয়ে যাবে। সরকার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

জানা যায়, কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ মানুষের রোজগার পর্যটন শিল্প নির্ভর। সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ কয়েকটি দিনে পর্যটকের সমাগম তেমন হয় না। পর্যটক থাকলে সবকিছু চাঙ্গা থাকে আর পর্যটক না থাকলে সবকিছু ঝিমিয়ে পড়ে। এছাড়া বিদেশি পর্যটক তেমন একটা নেই। এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কক্সবাজারে বিদেশিদের জন্য আলাদা জোন সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দুইটি পয়েন্ট সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়াতে বিদেশি পর্যটক জোন করার সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানান, পর্যটনশিল্প কক্সবাজারের প্রাণ। পর্যটক না থাকলে এর আর্থিক প্রভাব পড়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। সরকার বিদেশি পর্যটকের আকর্ষণ বাড়াতে পরিকল্পনা নেয়াটা এই শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক। বিভিন্ন পর্যটন দ্বীপে অবাধে আসা যাওয়ার পথ সহজ করলে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে। আমরা চাই, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]