• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

নাদিয়া মুরাদের জীবনী অবলম্বনে

দ্য লাস্ট গার্ল, পর্ব-২

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ছবিঃ দৈনিক-খাগড়াছড়ি-ডট-কম

ছবিঃ দৈনিক-খাগড়াছড়ি-ডট-কম

 

ইয়াজিদি জাতিগোষ্ঠী শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাদের নিজস্ব ধর্ম বিশ্বাসের কারণে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্যান্য ইয়াজিদি শহরের তুলনায় কোচো শহরের অবস্থান বহু দূরে আর মাউন্ট সিনজার সুউচ্চ ও সংকীর্ণ গিরিপথ আমাদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে রেখেছে বংশানুক্রমে। ইরাকি সুন্নী আরব এবং সুন্নী কুর্দি এই দুই পরস্পর প্রতিযোগী ধর্মগোষ্ঠী সব সময়ই চাপের মুখে রেখেছে আমাদের নিজস্ব ইয়াজিদি জাতিস্বত্তা ত্যাগ করে কুর্দি অথবা আরব পরিচয় গ্রহণ করতে। ২০১৩ সালে সম্পূর্ণ পাকা রাস্তা নির্মাণের পূর্ব পর্যন্ত কোচো এবং পর্বত এর মধ্যবর্তী রাস্তা ছিল ধূলিময় দূর্গম। পর্বতের পাদদেশ থেকে সিনজার শহর পর্যন্ত যেতে আমাদের সাদা ডাটসান পিকআপ-এ প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগে যেত। আমি বেড়ে উঠেছি পবিত্র মন্দির থেকে দূরে কিন্তু সিরিয়ার কাছে, নিরাপদ আশ্রয় থেকে দূরে কিন্তু বিপদজনক মানুষদের নিকটবর্তী এলাকায়।

 

পবর্তের পাদদেশ ধরে গাড়ি ভ্রমণ দারুন আনন্দের ছিল। সিনজার শহরে আমাদের প্রিয় ক্যান্ডি আর ভেড়ার মাংশের বিশেষ স্যান্ডউইচ পাওয়া যেত, যা কিনা কোচোতে পাওয়া যেত না। আমার বাবা প্রায় প্রতিদিনই আমাদের নিয়ে যেত অথবা আমাদের প্রিয় জিনিসগুলো কিনে দিতে যাতায়াতের পথে গাড়ি থামাতো । আমরা ধূলার মেঘ কেটে কেটে এগিয়ে যেতাম। ধূলা মেঘের মতো ঢেকে রাখতো আমাদের যাত্রাপথ, তারপরও আমি গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতাম খোলা হাওয়ার জন্য। আমাদের পরিচিত উৎসুক প্রতিবেশীদের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য আমরা ট্রাকের পেছনে শুয়ে থাকতাম, ওদের পার হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমি খাড়া হয়ে দাঁড়াতাম—আমার খোলা চুলের ভেতরে বাতাসের দাপট অনুভব করার জন্য। আর দু’চোখ ভরে রাস্তার দুপাশের চরে বেড়ানো প্রাণীদের ঘাস খাওয়া দেখার জন্য। ওভাবে খাড়া হয়ে ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে  দৃশ্যাবলীর ভেতর দিয়ে যেতে যেতে আমি এমন তন্ময় হয়ে যেতাম। যে কোন মুহুর্তেই হয়ত হাওয়ায় ভেসে যেতে পারতাম। কখনো আমার বাবা, কখনো আমার বড় ভাই চিৎকার দিয়ে বলতো সাবধান—একটু বেখেয়ালি হলেই তোকে কিন্তু পাহাড়ী বাতাস উড়িয়ে নিয়ে একেবারে রাস্তার ধারে ফেলবে।

 

পর্বতের মনোরম সৌন্দর্য আর সেই সুস্বাদু ভেড়ার মাংশের স্যান্ডউইচের দোকানের উল্টোদিকে দৃষ্টি মেলে দিলে যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টি যায় তার সবটুকু ইরাক। শান্তিপূর্ণ সময়ে যদি কোন তাড়া না থাকে তাহলে কোচো থেকে নিকটবর্তী সুন্নী শহরে শস্য অথবা দুধ বিক্রি করার জন্য নিয়ে যেতে একজন ইয়াজিদি পন্য বিক্রেতার মাত্র পনের মিনিট সময় লাগে। সেই সব গ্রামে আমাদের অনেক বন্ধু ছিল—আমাদের সখ্যতা হয়েছে—বিয়ে বাড়ির মেয়েদের সাথে—কোচোর স্কুলে রাত্রি যাপন করা টিচার, ছেলে শিশুদের মুসলমানির ধর্মীয় আচার রীতি পালনের সময় যে মানুষেরা আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলো মুসলমানি অনুষ্টানে, আমরা ওদের ছেলেদের ধরে রেখেছি ধর্মের আনুষ্টানিকতা পালন করার জন্য। এভাবে ক্রমেই এই সব পরিবারের সাথে ইয়াজিদি পরিবারের ‘কিরিভ’(Kiriv) অর্থাৎ পালক মাতাপিতার (God-Parent) সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

 

আমরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়তাম তখন মুসলিম ডাক্তাররা কোচো অথবা সিনজি শহরে এসে আমাদের চিকিৎসা সেবা দান করতো। পোশাক, ক্যান্ডি এই রকমের পন্য যা কোচোর দোকানে পাওয়া যেত না, সেই সব নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের সরবরাহ নিয়ে ব্যবসায়ী, ফেরিয়ালার আগমণ ঘটতো কোচোতে। আমার ভাইয়েরা যখন বেড়ে উঠছে তখন হাত খরচের অর্থ যোগানের জন্য ইয়াজিদি গ্রামে গিয়ে তারা নিন্ম মজুরির চাকরি করতো।

 

কিন্তু এসবের পরও আমাদের সম্পর্কের ভেতর গভীরতা ছিল না। আমাদের সব রকমের আতিথিয়েতা সত্বেও যখন মুসলমান অতিথিরা বিবাহ অনুষ্ঠান অথবা উৎসব সমূহে আমাদের খাদ্য গ্রহণ করতো না তখন সেটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হতো। সত্যিকারের বন্ধুত্ব কিছু কিছু অবশ্যই ছিল—এবং সেই বন্ধুত্বের সম্পর্কের সময়ের দিকে ফিরে তাকালে আমরা ফিরে যাই অটোম্যান (Ottoman) শাসন, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ (British Colonization), সাদ্দাম হোসেন (Saddam Hussein), এবং আমেরিকার দখলদারী (American Occupation) সময়ের দিনগুলোতে।

 

সুন্নি গ্রামবাসীর সাথে আমাদের পরিবারের সুসম্পর্কের কথা কোচোতে সকলেই জ্ঞাত ছিল। কিন্তু সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে থাকে। এর একমাত্র কারণ ছিল শতাব্দীব্যাপি পুঞ্জিভূত অবিশ্বাস। ইরাকে যখনই কোন প্রকার দাঙ্গা সৃষ্টি হতো—বলতে গেলে সব সময়ই ইরাকে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করতো, তখনই গ্রামবাসীর সব ধরনের ক্ষোভ এসে পড়তো আমাদের ওপর—ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি মানুষদের ওপর। এবং দীর্ঘদিনের বৈষম্য, ঘৃণা, সহজেই পরিণত হতো ক্ষোভ ও আক্রোশে।  বিগত দশ বছর যাবৎ যখন থেকে ইরাক ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ দানা বাঁধছিল, যা শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালে এসে বাস্তব রূপ নেয়—তখনই ওদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ দাঙ্গায় পরিণত হয় এবং ভয়াবহ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস আকারে (Terrorism) আর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে আমরা ছিটকে পড়ি বহুদূরে।

 

প্রতিবেশি গ্রাম বিবর্তিত হয় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে—যারা ঘোষণা করে খ্রীষ্টান এবং অসুন্নি মুসলমানেরা ইয়াজিদি কাফেরদের মতো এতো ঘৃণিত নহে এবং এই সব কাফেরদের হত্যা করা প্রয়োজন। কাফেরদের হত্যা ধর্ম সন্মত। ২০০৭ সালে সন্ত্রাসীদের একটি দল ট্যাঙ্ক এবং আগ্নেয়াস্ত্রা পরিপূর্ণ তিন গাড়ির বহর নিয়ে কোচো থেকে দশ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ইয়াজিদিদের অন্যতম ব্যস্ত শহরের দুটিতে আক্রমণ চালায়। ওরা হত্যা করে শতশত মানুষ আর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে শতশত যানবাহন। প্রথম দিকে এই দুই শহরের মানুষেরা মনে করেছিল আগন্তকেরা হয়ত পন্য বহন করে বানিজ্যের জন্য এসেছে ।

 

ইয়াজিদিয়ানিজম হলো বহু সনাতন মনোথেষ্টিক ধর্ম। আমাদের ধর্মীয় গুরু, যারা আমাদের পুরাতন ধর্ম কাহিনীতে বিশ্বাস করে তারা আমাদের ধর্মের পবিত্র বাণী মৌখিক ভাবে প্রচার করে এবং এভাবেই আমাদের ধর্ম  প্রচার লাভ করে। মধ্যপ্রাচ্যের অসংখ্য ধর্ম বিশ্বাসের সাথে এই ধর্মের বিশ্বাস ও রীতিনীতির সামঞ্জস্য আছে। মিথরাইজম (Mithraism), জুরোএ্যাসট্রিয়ানিজম (Zoroastrianism)  হতে শুরু করে ইসলাম (Islam) পর্যন্ত এই ধর্মের সাথে সামঞ্জস্য থাকলেও সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এই ধর্মের ব্যাখ্যা খুব কঠিন। এমন কি ধর্মগুরু, যারা পবিত্র প্রাচীন ধর্মকাহিনী মুখস্থ করেছে তাদের জন্যও প্রযোজ্য। আমি নিজেও বিশ্বাস করি আমার ধর্ম সেই প্রাচীনতম বৃক্ষ যার যার হাজার হাজার শাখা প্রশাখা পরিচ্ছেদ গল্পের ছলে বর্ণনা করে হাজার বছরের পুরাতন ইয়াজিদি ইতিহাস। আর এই সব ইতিহাসের অসংখ্যই হচ্ছে  দুঃখ ও বেদনার।

 

আজ পৃথিবীব্যাপী আনুমানিক এক মিলিয়নের মতো ইয়াজিদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। জন্মাবধি আজ পর্যন্ত আমি এবং আমারা এটাই জেনেছি এবং বিশ্বাস করি আমাদের ধর্ম আমাদের পরিচয় এবং অস্তিত্ব। এবং আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অন্যতম উপায় হলো একত্রে দলবদ্ধভাবে বসবাস। আর এটাই আমাদেরকে বড় বড় ধর্মীয় দলগুলো যেমন অটোম্যান (Ottoman) সাদ্দামের ব্যাথিষ্ট (Baathists) দল, ওদের আক্রমণের লক্ষ বস্তুতে পরিণত করে।  ক্রমাগত আক্রমণের মাধ্যমে আমাদেরকে ওদের অনুগত করার চেষ্টা চালাতে থাকে। ওরা সকলেই আমাদের ধর্মকে ঘৃণা করে, তাদের ভাষায় আমরা শয়তানের উপাসনা করি, অথবা আমরা সকলেই ঘৃণিত এবং আমাদের ধর্ম বিশ্বাস বিসর্জন দেয়ার জন্য বলা হয়।

 

ইয়াজিদি ধর্মকে বিলুপ্ত করার উদ্দেশ্যে  হত্যাযজ্ঞ, জোড়পূর্বক ধর্মান্তকরণ, জমিজমা, অর্থকড়ি, সম্পদ লুণ্ঠন করে নেয়া হয়েছে। এই সব হিংস্র আঘাত আর আক্রমন সহ্য করে ইয়াজিদিরা বংশানুক্রমিক তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। আমাদের ধর্মের অস্তিত্ব ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বহিরাগত শক্তি আমাদের ওপর নিষ্টুরতম আক্রমণ চালিয়েছে ৭৩ বার। ‘গণহত্যা’ (genocide) শব্দটি শেখার পূর্বে আমরা এই আক্রমণগুলোকে অটোম্যানদের ভাষায় বলতাম ইয়াজিদিদের বিরুদ্ধে ফিরম্যন (Yazidis Firman)

 

যখন দুইজন কৃষককে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো এবং মুক্তিপণ বাবদ চল্লিশ হাজার ডলার দাবী করা হলো তখন আমাদের ভেতরে নেমে এলো ভয়ানক ভয় ও শংকা। অপহরণকারীরা টেলিফোনের মাধ্যমে কৃষকদের স্ত্রীদের নিকট এই মুক্তিপণ দাবী করে। অপহরণকারীরা জানায় মুক্তিপণের অর্থ প্রদান করো আর না হয় পরিবার পরিজন সহ আমাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, অন্যথায় তোমাদের দুজনকে আমরা হত্যা করবো। এটা শুধু অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মুক্তিপণ দাবী ছিল না। শোকে মুহ্যমান কৃষকদের স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে গ্রামের মোখতার অথবা গ্রাম প্রধান আহমেদ জাসোর বলেন—এই চল্লিশ হাজার ডলার এর দাবী নয়, একটি ওছিলা মাত্র। আমরা জানি আমাদের কৃষকরা মৃত্যুকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত কিন্তু তারা ধমান্তরিত হবে না। গ্রাম প্রধানের এই আশ্বাসে গ্রামবাসীর চোখের জল প্রবোধ মানে। অল্প সময়ের ভেতরে অপহৃত দুইজন কৃষক ভাঙ্গা জানালা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। রাতভর বার্লি ক্ষেতের ভেতর হামাদিয়ে যখন তারা বাড়ী পৌঁছায় তখন তাদের হাটু পর্যন্ত ধূলায় ডুবে ছিল এবং তাদের চেহারা ছিল ভয়ে বিবর্ণ। কিন্তু কখনোই অপহরণের পরিসমাপ্তি ঘটেনি । 

 

দিসহান (Dishan)’র অপহরনের পরপরই একজন লোককে আমাদের বাড়িতে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। সিনজার পর্বতের নিকট থেকে তাহাসকে (Tahas) অপহরণ করা হয়, সেখানে কর্মচারীটি আমাদের ভেড়া পাহারা দিতো। ভেড়াগুলো ক্রয় করতে এবং সেগুলোর প্রজনন বৃদ্ধি করতে আমার মা এবং ভাইদের বছরের পর বছর লেগেছে। এক একটি ভেড়ার জন্ম ছিল আমার মা ও ভাইদের জন্য একটি বিজয় স্বরূপ। আমরা আমাদের এইসব প্রাণীদের নিয়ে অহংকার করতাম। যখন তারা গ্রামের বাইরে চরতে যেত না তখন আমরা তাদেরকে গৃহপালিত প্রাণীর মতো সেবাযত্ন করতাম। বছর শেষে সকলের মাঝে সমান ভাগে ভেড়ার লোম বন্টন ছিল আমাদের নিকট ধমীর্য় রীতির মতো পবিত্র-প্রিয় বিষয়। এই রীতি আমার ভীষণ প্রিয় ছিল। মেঘের গুচ্ছের মতো ভেড়ার নরম উল যখন স্তুপীকৃত হতো, ভেড়ার পালের নীরব আনুগত্যের মতো আমাদের বাড়ির বাতাসও ভরে উঠতো মদির মাস্কি গন্ধে। ফুল-ছাপা কাপড়ের দুই টুকরা জোড়া দিয়ে তার ভেতরে ভেড়ার কোমল উল দিয়ে আমার মা যে নরম কমফোর্টার তৈরি করতো, তার নিচে ঘুমাতে আমি খুব ভালবাসতাম। আর যখন মাংশের জন্য ভেড়াকে জবাই করার সময় আসতো সেই সময় আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতাম। কারণ আমি ভেড়াদের সাথে এতো বেশি ঘনিষ্ট হয়ে যেতাম যে, আমার পক্ষে এটা ধারণ করা কঠিন ছিল। যখন দিসহানকে অপহরণ করা হয়েছিল সে সময়ে আমাদের ভেড়ার সংখ্যা ছিল শতাধিক—যা ছিল সত্যিকার অর্থেই আমাদের সৌভাগ্য স্বরূপ।

 

আজও মনে পড়ে—যখন অন্যান্য কৃষকদের সাথে আমাদের মুরগি এবং মুরগির বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো সেদিন আমার ভাই সাঈদ সিনজার পর্বতের পাদদেশে   পিকআপ ভ্যানের পিছে প্রতিযোগীতায় নামার মতো দৌড়েছিল। সিনজার পর্বত-এর পাদদেশ থেকে মাত্র কুড়ি মিনিট, আমাদের ভেড়ার পালকে ঠেকানোর জন্য সেই রাস্তা এখন বাঁধানো। অবশ্যই আমাদের সমস্ত ভেড়ারপালদের কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং আমরা শোকে মাতম করেছি। কারণ এই ভেড়াগুলোই ছিল আমাদের জীবিকার একমাত্র সম্বল।

 

বেলাশেষে যখন আমার ভাই সাঈদ আমাকে ফোন করে, ওকে খুব বিপন্ন বিহ্বল শোনাচ্ছিল। মাকে সে জানায় শুধু মাত্র দুটো ভেড়া ছিনতাই করে নিয়ে গেছে—যার একটা যবুথবু চরে বেড়ানোর অযোগ্য বুড়ো মরদ ভেড়া এবং দ্বিতীয়টা বাচ্চা মাদী ভেড়া। পালের আর বাকী সবগুলো গাঢ় বাদামী সবুজ ঘাসের ভেতরে দলবেঁধে চরে বেড়াচ্ছে, ওদের নিয়ে আমার ভাই বাড়ি ফিরবে। ভাইয়ের এই কথায় আমরা খুব আনন্দিত হলাম, হাসির জোয়ার এলো যেন, আশ্বস্ত হলাম। কিন্তু আমার বড় ভাই ইলিয়াস খুব উদ্বিগ্ন হলো, তার চেহারায় তৎক্ষণাত দুশ্চিন্তা স্পষ্ট হলো, সাথে সাথে সে মন্তব্য করলো—আমি বুঝতে পারছি না, ঐ গ্রামের বাসিন্দারা ধনী নয়, ওরা তাহলে কেন ভেড়ার পাল ফেলে রেখে গেল? তৎক্ষনাত সে সক্ষম হলো এটার ভিন্ন অর্থ অনুধাবন করতে।

 

যেদিন দিসহানকে অপহরণ করা হলো সেদিন ভয়ংকর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কোচোর মানুষেরা। ঘরে ঘরে দানা বাঁধে উত্তেজনা।  আমাদের গ্রামের সীমানায় নতুন চেক পয়েন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য গ্রামবাসীরা সবাই জড়ো হয়। সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এখন থেকে কোন অচেনা গাড়ী কোচোতে প্রবেশ করতে দেখলেই তার ওপর নজরদারি করা হবে। হেনজি আমার আরেক ভাই যে সিনজার শহরে পুলিশে চাকরিরত। সে তখন বাড়ি ফিরছে, সেও তৎক্ষণাত সেই সমাবেশে উপস্থিত হয়। প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য দিশহানের চাচা কোচোর পুর্বাঞ্চলে অবস্থিত রক্ষণশীল সুন্নি গোত্রের গ্রামে অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে প্রতিজ্ঞা করে। ক্ষোভের সাথে সে ঘোষণা করে ”আমরা ওদের দুটি ভেড়া কেড়ে নেবো” তাহলে ওরা আমাদের দিসহানকে ফেরত দিতে বাধ্য হবে।

 

এটা ছিল খুব ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা, ফলে সকলেই দিসহান’র চাচাকে সমর্থন জ্ঞাপন করে না। এমন কি আমার ভাই—যে উত্তরাধিকার সূত্রে ধারন করে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্যমন্ডিত দুঃসাহসিকতা এবং আমার বাবার নিকট থেকে যুদ্ধের পারদর্শিতা, সেও দ্বিধান্বিত হলো এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে। সাঈদ ছিল আমার থেকে মাত্র কয়েক বছরের ছোট। সে সারাক্ষণ কল্পনার জগতে স্বপ্নে বিভোর থেকেছে যে, একদিন সে তার বীরত্ব ঠিকই প্রদর্শন করতে পারবে। যা হোক, সে প্রতিশোধ গ্রহনের পক্ষে সমর্থন জানালো। কিন্তু আমার থেকে এক যুগ অর্থাৎ বারো বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ সকলের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য ছিলো যে ব্যাপারটি সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক। পরবর্তীতে হেনজির নিষেধ উপদেশ অগ্রহ্য করে দিসহানের চাচা যে কয়েকজনের সমর্থক পায় তাদের সহযোগে সুন্নি আরব ভেড়াপালকের নিকট থেকে দুটি ভেড়া কেড়ে নেয়। এবং ভেড়ার পালকদের কোচোতে এনে নিজ গৃহে বন্দী করে রাখে।

 

(চলবে)

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]