• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন আজ থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব- স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- রাষ্ট্রপতি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার- সিমিন হোসেন রিমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্যাটেলাইট ব্যবহারে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের আলোচনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের : রাষ্ট্রদূত যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ ও চীন সেনাবাহিনী- সিনহুয়া ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি: ইসি সচিব জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

ফলন বাড়ছে ফসলের

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১  

 

দেশে প্রথমবারের মতো অতিমাত্রায় কার্যকর একটি মিশ্র তরল সার উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসল ভেদে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমপক্ষে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এ সার প্রয়োগে দেখা গেছে, বোরো ধানের চারা কোল্ড ইনজুরির হাত থেকে রক্ষা করা, শীতকালে পানের পাতা ঝরে পড়া রোধ, মধ্যম মাত্রার লবণাক্ত এলাকায় ধানসহ বিভিন্ন ফসল ভালভাবে চাষ করা যায় এই সার প্রয়োগের মাধ্যমে। গম বীজ বপনের আগে এই মিশ্র সার বীজে প্রয়োগ ও পাতায় স্পে করলে ফসলের ফলন ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সবজি ফসলে অতিরিক্ত পরিপূরক হিসেবে ব্যবহারে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়ে। বিশেষ করে, কুমড়া জাতীয় পরিবারের ফসল যেমন- লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, শসা, তরমুজ, করলা ঝিঙ্গা প্রভৃতি ফসলের ফলন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

পাতার মাধ্যমে অতিরিক্ত পরিপূরক হিসেবে পুষ্টি প্রদান করে ধান ও গমের ক্ষেত্রে ১০-১৫ শতাংশ এবং সবজির ক্ষেত্রে ২০-৫০ শতাংশের মধ্যে ফসলের ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। শীত মৌসুমে বোরো ধানের চারার কোল্ড ইনজুরি অনেকাংশে রোধ করা যায়, তীব্র শীতের সময় পানের পাতা ঝরা রোগ ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া সম্ভব হয়, অম্লীয় বা লবণাক্ত এলাকার মাটিতে সহজেই অধিক ফসল ফলানো যায়। এছাড়া গম বীজ ফাটিলাইজেশন বা প্রাইমিং করে ও পাতার মাধ্যমে এই তরল সার প্রদান করে গমের ফলন ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। বীজ ফার্টিলাইজেশন এবং পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান কৌশল যুগপৎভাবে প্রয়োগ করে মাঠ পর্যায়ে গম এবং বিভিন্ন ডাল জাতীয় ফসলের ফলন ১০-২০ শতাংশের মধ্যে বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ ধারণাটি প্রয়োগ করে প্রায় ৩০ বছর আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাতে গম চাষ করা হচ্ছে। এভাবে তারা গড়ে ১২.৫ শতাংশ গমের ফলন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই সার ব্যবহারের মাধ্যমে কম ইউরিয়া প্রয়োগ করে বেশি ধান উৎপাদনের বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিএডিসির বিভিন্ন খামারের পরীক্ষাতে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অরকিড এবং ছাদ বাগানের বিভিন্ন ফসলের বৃদ্ধি এবং ফুল ও ফল ধারণে উদ্ভাবিত এই মিশ্র তরল সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অরকিডের ক্ষেত্রে এই তরল সার বিদেশী তরল সারের চাইতেও বেশি ভাল কাজ করছে বলে ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বিভিন্ন খামার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ও সবজি চাষে এই মিশ্র সার প্রয়োগে আশানুরূপ ভাল ফল পাওয়া গেছে। এসব খামার ও অঞ্চলে ধান ও সবজি চাষে এই সার প্রয়োগে যেমন উল্লেখযোগ্য পরিমান ইউরিয়া সাশ্রয় হয়েছে, তেমনি আশানুরূপ ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাট ফসলের ওপর এই সার অতিরিক্ত পরিপূরক হিসেবে প্রতি লিটার পানিতে ৭ মিলিগ্রাম হারে ফসলটি বপনের ৩০ দিন, ৪৫ দিন ও ৬০ দিনের সময় স্প্রে করার কারণে পাটের আঁশের ফলন ২৪.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক হেক্টর জমিতে একবার স্প্রে করতে ৫০০ লিটার দ্রবণ ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছ, উদ্ভাবিত তরল সার একটি কার্যকর মিশ্র সার এবং অতিরিক্ত পরিপূরক হিসেবে ব্যবহারে পাটের আঁশের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহী অঞ্চলে রবি মৌসুমে ধান ও পটলের ওপর এই মিশ্র সার প্রয়োগ করে দেখেছে, ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৯ এর ফলন হেক্টর প্রতি দশমিক ১৫০ টন থেকে দশমিক ৩০০ টন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর পটোলের ফলন বেড়েছে হেক্টরপ্রতি দশমিক ১৩৮ টন।

এ প্রসঙ্গে পাবনার টেবুনিয়া খামারের উপপরিচালক মহিবুর রহমান বলেন, এই তরল সারটি আমরা গম ও আলুতে প্রয়োগ করেছি। উভয় ফসলেই আমরা ভাল ফল পেয়েছি। উৎপাদন যেমন বেড়েছে, অন্যান্য সারও কম লেগেছে।

তিনি বলেন, গাছ শিকড় দিয়েও খাদ্য গ্রহণ করে, আবার পাতা দিয়েও খাদ্য গ্রহণ করে। এই তরল সার পাতায় স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হয়। যা গাছের পাতা সহজেই গ্রহণ করতে পারে। এতে গাছ দ্রুত পুষ্ট হয়ে উঠে এবং ভাল ফলন দেন। এই তরল সার সবচেয়ে কাজে দেয়, গাছ যখন কোন কারণে শিকড়ের মাধ্যমে মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণে অসুবিধার সম্মুখীন হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের ৭ জেলায় মিশ্র তরল সার ব্যবহারের ফলে ধানের (ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৪৯, বিআর-১১, বিনা-৭ ও স্বর্ণা) ক্ষেত্রে ইউরিয়া সাশ্রয় হয়েছে প্রতি হেক্টরে দশমিক ৭ টন এবং ফলন বেড়েছে হেক্টরপ্রতি দশমিক ২৭ টন। অন্যদিকে সবজির ক্ষেত্রে ইউরিয়া সাশ্রয় হয়েছে ৩৭.৫০ শতাংশ এবং ফলন বেড়েছে শিম ৫০ শতাংশ, লাউ ৫০ শতাংশ ও বেগুন ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ ধান ও সবজি চাষে ইউরিয়ার অপচয় রোধ ও ফলন বৃদ্ধিতে এই মিশ্র তরল সার একটি সময়োপযোগী প্রযুক্তি বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নীলফামারীর ভিত্তি আলু বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক এনামুল হক বলেন, এই তরল সার আমরা খামারে প্রয়োগ করে ভাল ফল পেয়েছি। এতে সারও যেমন কম লাগে, ফলনও বেশি হয়। এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলোতে এখন এই সার বেশি ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কেউ যদি তৈরি খাবার পায় তাহলে সে সেই খাবার আগে গ্রহণ করেন। আমরা মাটিতে যে সার প্রয়োগ করি, সেই সার মাটির সঙ্গে মিশে তারপর সেখান থেকে শিকড়ের মাধ্যমে গাছ খাদ্য গ্রহণ করে। আর তরল সার পাতাতে প্রয়োগ করা হয়। আর এটি একেবারে গাছের তৈরি খাবার, যা গাছ সহজে পায়। ফলে এই খাবারটি গাছ আগে এবং দ্রুত গ্রহণ করে। এ কারণে তরল সার ব্যবহার করলে অন্যান্য সার কম লাগে এবং ফলন বেশি হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিআর ২৬ ও ব্রি ধান ২৮ এর ওপর এই মিশ্র সার প্রয়োগে দেখা গেছে, হেক্টরপ্রতি ইউরিয়া সাশ্রয় হয়েছে দশমিক ১২ টন এবং ফলন বেড়েছে দশমিক ৪ টন। একই অবস্থা ডিএইর রাজশাহী অঞ্চলেও। বিভিন্ন প্রকার ধান আবাদে এই মিশ্র সার প্রয়োগের ফলে হেক্টর প্রতি ইউরিয়া সাশ্রয় হয়েছে ৬৩ কেজি এবং ফলন বেড়েছে ২৮ কেজি।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট রংপুর কেন্দ্রের পরীক্ষায় পাটের আঁশের ফলন শতকরা প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চা গাছের বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারছে বলে বাংলাদেশ টি বোর্ডের বান্দরবান এবং পঞ্চগড় কেন্দ্রের পরীক্ষাতে প্রমাণিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আবদুর রহিম বলেন, আমার ছাত্ররা এই তরল সারটি নিয়ে কাজ করেছে। তারা বিভিন্ন ফসলে প্রয়োগ করে ভাল ফল পেয়েছে। তাই আমাদের দেশের কৃষির স্বার্থে এই সারকে উৎসাহিত করা উচিত।

তিনি বলেন, এই সার গাছের জন্য খুবই উপকারী। এটা ব্যবহারে সারের অপচয় কম হয়, ফলন বাড়ে। অথচ সরকার কেন এই সার আমদানি ও ব্যবহার বন্ধ করে রেখেছে জানি না। অথচ পৃথিবীর বহু দেশেই এই সার ব্যবহার করছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ভিয়েতনামের মতো যে সকল দেশে কৃষির আবাদ বেশি, সেসব দেশেই তরল সার ব্যবহার করছে। অপচয় ও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আমাদের দেশেও অবশ্যই এই সার ব্যবহারের অনুমতি দেয়া উচিত।

ম্যাজিক গ্রোথ ব্যবহার করে বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক খিলগাঁওয়ের খোরশেদ আলম তার ছাদের টমেটো গাছের উপরে প্রয়োগ করে খুব ভাল ফলাফল পেয়েছেন বলে জানান। তার গাছের বৃদ্ধি যেমন বেশি ভাল হয়েছে তেমনি ফল ধরেছে বেশি এবং ফলের আকারও বেশি বড় হয়েছে। অরকিডের ওপরে ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছেন ঢাকার বুয়েট ক্যাম্পাসের তানিয়া সুলতানা। সিলেট অরকিড সোসাইটির সভাপতি শিরিন আকতার জানান, তিনি মূলত বিদেশী তরল সার তার অরকিডে ব্যবহার করেন তবে দেশী এই তরল সারের কার্যকারিতা বিদেশী মিশ্র তরল সারের চাইতে ভাল প্রমাণ পেয়েছেন। এছাড়াও ছাদ বাগানের বিভিন্ন ফসলে ব্যবহার করে যারা সুফল পেয়েছেন তার হলেন, নারায়ণগঞ্জের ইকবাল, যাত্রাবাড়ীর ফতেমা পারভেজ, মিরপুরের এজাজ শুভ। এছাড়া রাষ্ট্রের অনেক উঁচু পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তিবর্গও মিশ্র তরল সার ব্যবহার করে এর সুফল পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তার উপজেলার ছাদ বাগানের বিভিন্ন ফসলে ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছেন। চট্টগ্রামের কলি নাহার এবং তারেক ইফতেখার এই তরল সার ব্যবহারে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়েছে গাছের স্বাস্থ্য বেশি ভাল হয়েছে এবং ফুল-ফল বেশি হয়েছে। এ সময়ে আরবান এলাকার ব্যাপকসংখ্যক মানুষ উদ্ভাবিত মিশ্র তরল সার ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন।

ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে অধিক ভাল ফল পাবার মূল কারণ হলো। টবের অল্প মাটিতে পুষ্টি থাকে কম। এজন্য নির্দিষ্ট বিরতিতে পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান করলে গাছ সঠিকভাবে বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় ম্যাক্রো এবং মাইক্রো পুষ্টির জোগান পায়। ফলে ভাল ফল দিয়ে থাকে। অরকিডের বৃদ্ধি এবং ফুল দেবার কারণও এই তরল সারের মধ্যস্থিত পুষ্টি উপাদান। অধিকাংশ অরকিড গ্রোয়াররা অরকিডে শুধু পানি দেয় এজন্য একটা সময় পরে পুষ্টি ঘাটতিতে পড়ে অরকিড মারা যায় বা ফুল না দিয়ে কোনমতে বেঁচে থাকে। দেশের ছাদ বাগান সম্প্রসারণে এই তরল সার গাছে সুষম পুষ্টির জোগান দিয়ে উল্লেখযোগ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ফলিয়ার ফিডিং প্রযুক্তি কী ॥ পাতার মাধ্যমে গাছের খাদ্য গ্রহণকে ফলিয়ার ফিডিং প্রযুক্তি বলা হয়। আমরা মুখ দিয়েই আমাদের খাদ্য গ্রহণ করে থাকি কিন্তু কখনও যদি বেশি মাত্রায় অসুস্থ হয়ে যাই, তবে আমাদেরকে ভেইনের মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান করে (স্যালাইনের মাধ্যমে) সুস্থ করা হয়। গাছ সাধারণভাবে শিকড়ের মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। কিন্তু যদি কোন কারণে শিকড়ের মাধ্যমে পুষ্টি উত্তোলনে অসুবিধার সম্মুখীন হয় (সাময়িক খরা, জলাবদ্ধতা, পিএইচজনিত সমস্যা, নিম্ন তাপমাত্রা ইত্যাদি) তবে গাছকে পাতার মাধ্যমে পুুষ্টি দিয়ে বেশ ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। গাছকে পাতার মাধ্যমে খাদ্য বা পুষ্টি প্রদানের এই বিষয়টিকেই ফলিয়ার ফিডিং বা ফলিয়ার ফার্টিলাইজেশন বা ফলিয়ার ফার্টিগেশন বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে শুধু পাতা নয় মাটির উপরের যে কোন অংশ দিয়েই গাছ পুষ্টি উপাদানসমূহ গ্রহণ করতে পারে।

যতদূর জানা যায়, ফসল উৎপাদনের এই প্রযুক্তির প্রথম প্রয়োগ হয় ১৮৪৪ সালে আমেরিকাতে। তবে এটা যে বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য পদ্ধতি তা প্রমাণ হয় ১৯৫০ সালে। আমেরিকার মিসিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানী ড. এইচ বি টুকে এবং এস এইচ উইটার বিষয়টি সর্বপ্রথম সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করেন যে ফসলে পুষ্টি প্রদানের ক্ষেত্রে এই ফলিয়ার ফিডিং একটি অতিমাত্রায় কার্যকর পদ্ধতি।

এখন প্রশ্ন হতে পারে পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান করলে কেন ফসলের ফলন বৃদ্ধি পাবে? উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের সময় আজকাল আর জমিতে সেভাবে জৈব পদার্থ প্রদান করা হয় না। এজন্য মাটিতে অনুখাদ্যের ব্যাপকভাবে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। আবার যে সকল অনুখাদ্য ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশই ভেজালে ভরা, যা এসআরডিআইর রিপোর্ট থেকে জানা যায়। এসকল অনুখাদ্য খুব কম পরিমাণে প্রয়োজন হলেও এগুলোর গুরুত্ব ফসল উৎপাদনে খুবই বেশি। যেমন- কোন জমিতে দস্তার ঘাটতি থাকলে সে জমিতে ধান গাছ প্রতিষ্ঠিত করা যায়না, বোরণের ঘাটতি থাকলে গম এবং ভুট্টার পরাগায়নে সমস্যা হয়। বিভিন্ন ফল জাতীয় সবজির ফলন অনেক কমে যায়।

অম্লধর্মী মাটিতে ফসফরাস মৌলটি আয়রন এবং এলুমিনিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ফসফেটের কমপ্লেক্স তৈরি করে বলে গাছ সঠিকভাবে ফসফেট পায় না। ফলে গাছে ফুল ফল কমে যায়। কীটনাশকের অধিক ব্যবহার এবং জৈব সার ব্যবহার না করে কেবল রাসায়নিক সারের ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল চাষ করতে গিয়ে জমিতে উপকারী অণুজীব এবং কেঁচো আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। অণুজীবের অভাবে ব্যবহৃত ইউরিয়া পূর্ণমাত্রায় গাছের জন্য গ্রহণোপযোগী হতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জলাবদ্ধ বা সাময়িক ক্ষরার সময় ধানের জমিতে সময়মতো নাইট্রোজেন না দিতে পারলে ফলন অনেক কমে যায়। আবার লবণাক্ত মাটিতে ইউরিয়েজ এনজাইমের কার্যকারিতা কম থাকার কারণে প্রয়োগকৃত ইউরিয়া হাইড্রোলাইসি হয়ে এমোনিয়াম আয়ন তৈরি করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এছাড়া ফসফেট এবং পটাশ কম গ্রহণ করতে পারে। আবার কপার, আয়রন, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ অণুপুষ্টি উপাদানগুলোও গাছ সহজে গ্রহণ করতে পারে না বলে ভাল ফলন পাওয়া যায় না।

পাতার মাধ্যমে খাদ্য প্রদান সংক্রান্ত ফলিয়ার ফিডিং কৌশলের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা যায় এবং অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নত বিশ্বে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক বুম স্প্রেয়ার, বিমান, হেলিকপ্টার এমন কি ড্রোন পর্যন্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে সকল আমদানিকৃত বিদেশী ফল পাওয়া যায়, তার ১০০ ভাগই পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

ধানের ফলন বৃদ্ধিতে ফলিয়ার ফিডিং প্রযুক্তি ॥ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন নতুন জাতগুলো সেভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাষী পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। যেমন ২০২০-২১ বোরো মৌসুমে বিএডিসি থেকে জনপ্রিয় উচ্চফলনশীল জাত ব্রি ধান২৮ এবং ব্রি ধান২৯ এর বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ৫১০০০ মেঃ টন। কিন্তু এই দুটি জাতের ধানের চাইতে অধিক ফলনশীল, ব্রি ধান২৮ এর বিকল্প জাত ব্রি ধান৮১, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান, ব্রিধান ৮৬, ব্রি ধান ৮৮ এবং ব্রি ধান ৯৬ এবং ব্রি ধান ২৯ এর বিকল্প ব্রি ধান৮৯ এবং ব্রি ধান৯২ এর বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১০১৪ টন। এর সঙ্গে হয়তো সরাসরি ব্রি থেকে এবং ডিএইর মাধ্যমে চাষী পর্যায়ে বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ এবং বিতরণ প্রকল্পের কিছু বীজ থাকতে পারে। ফলে জাতের পাশাপাশি ধান উৎপাদনের নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ধানের উৎপাদনশীলতা যদি বৃদ্ধি করা যায় তবে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। গবেষণায় আজ প্রমাণিত যে, পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান করে ১০-১৫ শতাংশের মধ্যে ধানের ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। পৃথিবীর অনেক ধান উৎপাদনকারী দেশ ফলিয়ার ফিডিং কৌশলের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে ধানের ফলন বৃদ্ধি করছে। ব্রি’র এগ্রোনমি বিভাগের দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদান কার্যকর বিকল্প পদ্ধতি। বর্তমান সময়ে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট ঘনত্বে পটাশিয়াম (০.৬ শতাংশ ঘনত্বে) এবং সালফার (০.৬ শতাংশ ঘনত্বে) মৌলকে একত্রে স্প্রে করে পাতার মাধ্যমে প্রদানের জন্য ব্রি থেকেও সুপারিশ করা হচ্ছে, যা রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মিশ্র তরল সারের কার্যকারিতার বিষয়টিকেই প্রমাণ করে।

গত ২০১৯-২০ রোরো মৌসুমে কেজিএফের নির্দেশনাতে শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. অলক কুমার পালের সরাসরি সম্পৃক্ততায় গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে যে, পাতার মাধ্যমে পুষ্টি প্রদানের কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে মাটিতে ৩০ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১৫ শতাংশ ইউরিয়া সাশ্রয় করেও প্রায় ১১ শতাংশ (হেক্টরে ৬৪৬ কেজি) ধানের ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। এ গবেষণাতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর এবং বিএডিসির টেবুনিয়া বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক (খামার) সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বিএডিসির গবেষণা সেলের আওতায় টেবুনিয়া বীজ উৎপাদন খামারের গবেষণাতেও প্রায় একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া ২০১২-১৩ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ডিএইর শত শত প্রদর্শনীর পরীক্ষাতে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আমাদের দেশের কৃষিতে ধান চাষে অতিরিক্ত পরিপূরক খাদ্য হিসেবে যদি মিশ্র তরল সার প্রয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়, তাহলে এখনই সকল জাতের ধানের ফলন ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে মাঠ পর্যায়ে ধানের ফলন পার্থক্য (ইল্ড গ্যাপ) কমে আসবে।

উদ্ভাবিত তরল সারে কি উপাদান আছে ॥ উদ্ভাবিত মিশ্র তরল সারের মধ্যে রয়েছে উদ্ভিদের ১৩টি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পুষ্টি উপাদান ছাড়াও কিছু বেনিফিসিয়ারি উপাদান, যা গাছের পুষ্টির ঘাটতি তাৎক্ষণিক মিটাতে সাহায্য করে। সারটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো, নাইট্রোজেন-১০.৫১ শতাংশ, পটাশ ৭.৬২ শতাংশ, ফসফেট ১২.৬৬ শতাংশ, সালফার ০.১ শতাংশ, বোরণ ০.২৫ শতাংশ এবং দস্তা ০.১৬ শতাংশ রয়েছে। মূলত ২০০৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত চাষী, কৃষিবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে এই সারের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই এর কার্যকারিতা সম্বন্ধে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। অথচ মিশ্র তরল সার ব্যবহার বিষয়ে খসড়া নীতিমালা এবং সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা থাকার কারণে দেশে উদ্ভাবিত এই মিশ্র তরল সারের স্বীকৃতি এবং কৃষির কল্যাণে কাজে লাগার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী দফতরের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে তার এই উদ্ভাবনের বিষয়টিকে জাতীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন হিসেবে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট পর্যায়কে পত্র প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব গবেষণার অংশ হিসেবে কর্মপরিকল্পনাভুক্ত করে ফলাফল উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পত্র প্রদান করা হয়েছে।

এই মিশ্র তরল সারের উদ্ভাবক বিএডিসির বর্তমান অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীজ বিতরণ) কৃষিবিদ মোঃ আরিফ হোসেন খান। তিনি তার উদ্ভাবিত এই মিশ্র তরল সারের নাম দিয়েছেন ম্যাজিক গ্রোথ। অবশ্য এই উদ্ভাবনীটি তিনি করেছেন বিএডিসির রাজশাহী অঞ্চলে সার ব্যবস্থাপনা বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে দীর্ঘ ১৬ বছরের গবেষণার মাধ্যমে। তিনি বলেন, মাটি, পানি এবং পরিবেশ সুরক্ষাসহ টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে (এসডিজি-২) এগিয়ে নিতে দেশে মিশ্র তরল সারের ব্যবহার বিষয়ে যুগোপযোগী যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। কেননা পাশর্^বর্তী দেশ ভারতসহ উন্নত বিশ্বে ফসল উৎপাদনে তারা ব্যাপকভাবে মিশ্র তরল সারের ব্যবহার করে থাকেন। মরু এলাকার ফসল চাষে মিশ্র তরল সারের ব্যবহার বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ফসলের রেকর্ড ব্রেকিং ফলন ফলাতে মিশ্র তরল সারের সাহায্য নেয়া হয়। মিশ্র তরল সারের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অনেক ক্ষতির হাত থেকে চাষীরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারবে। তিনি বলেন, মাটির লবণাক্ততা, অম্লত্ব বা ক্ষারত্বজনিত সমস্যায় মিশ্র তরল সারের ব্যবহার চাষীদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে। অধিক ফলন পাবার কারণে চাষীদের উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে। ১০-১৫ শতাংশ রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ অধিক সুরক্ষিত থাকবে।

বর্তমান সময়ে দেশে তরল সার ব্যবহার বিষয়ে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ ও খসড়া নীতিমালাগত জটিলতা থাকার কারণে যুগান্তকারী এই উদ্ভাবনটি দেশের কৃষির কল্যাণে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে উদ্ভাবক জানান কৃষিবিদ আরিফ হোসেন খান। করোনা মহাদুর্যোগের সময়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে এ বিষয়ে তিনি কৃষিমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]