৪০০ কুমির রপ্তানি করবে বাংলাদেশ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।
৪০০ কুমির রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। এসব কুমির যাবে মালয়েশিয়ায়। রপ্তানি করে এক বছরে এক খামার থেকে আয় হবে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কুমিরের খামারটি পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায়। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম মৌজার ২৫ একর পাহাড়ি জমিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ খামার গড়ে তোলে ২০০৮ সালে। বাণিজ্যিকভাবে সেখানে কুমিরের চাষ শুরু হয় ২০১০ সালে। কুমিরের এ খামারটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কাছাকাছি ঘুমধুম পাহাড়ি এলাকার তুমব্রু গ্রামে অবস্থিত। এ গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তের একেবারে কাছে। খামারের পাহাড় থেকে দেখা যায় মিয়ানমারও। বর্তমানে ওই খামারে কাজ করছেন দুজন প্রকল্প কর্মকর্তার অধীনে ২০ জন কর্মচারী। আসছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ ওয়াইল্ড লাইফ ফার্ম থেকে ৪ শতাধিক কুমির মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক রবীন্দ্র ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কুমির রপ্তানি আশার আলো দেখাচ্ছে। এ খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার।
২০১০ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে ৫০টি অস্ট্রেলীয় প্রজাতির কুমির আনা হয়। এর একেকটির দাম পড়ে ৩ লাখ টাকা। পরে নাইক্ষ্যংছড়ির ওই খামারের উন্মুক্ত জলাশয়ে সেগুলো ছাড়া হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৪টি কুমির। ৪৬টি সুস্থ কুমিরের মধ্যে পরে স্ত্রী কুমিরের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ ও পুরুষ ১৫-তে। সেই ৪৬টি কুমির থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মে বর্তমানে বাচ্চাসহ ছোট-বড় কুমিরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০০-তে। খামারে উন্মুক্ত জলাশয় ও খাঁচার ভিতর- দুই ভাবেই কুমির রাখা হয়েছে। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, এসব কুমির প্রায় ১০০ বছর বাঁচে। প্রাপ্তবয়স্ক হতে একেকটি কুমিরের লাগে ৮ থেকে ১২ বছর। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তারা হাঁস-মুরগির মতো ডিম দেয়। তবে কুমিরের ডিমের আকৃতি রাজহাঁসের মতো বড়। এরা ডিম দেয় সাধারণত বর্ষাকালে। ২০ থেকে ৮০টি করে ডিম দেয় একেকটি প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী কুমির। ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৮০ থেকে ৮৬ দিনেই ডিম থেকে কুমিরছানারা চোখ ফুটে বের হয়। এ খামারে কুমিরের বাচ্চা ফোটানো হয় ইনকিউবেটরে। ডিম ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চাদের সংগ্রহ করে আরেকটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়। কারণ বাচ্চাগুলোর নাভি থেকে কুসুম ছাড়তে লাগে ৭২ ঘণ্টা। এরপর শিশু কুমিরদের নার্সারিতে নিয়ে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হয়। জন্মের সময় একটি কুমির প্রায় ১২ ইঞ্চি লম্বা হয়। দুই বছর বয়স হওয়ার পর বাচ্চা কুমিরগুলোকে আকারভেদে পুকুরে স্থানান্তর করা হয়। রপ্তানির জন্য তৈরি এসব কুমির গড়ে ৫ ফুট লম্বা। এগুলোর ওজন ২০ থেকে ২৫ কেজি। চামড়া ছাড়াও কুমিরের প্রতি কেজি মাংস ৩০ ডলারে বিক্রি হয় বিদেশে। ১২ ডলারে বিক্রি হয় ১ বর্গ সেন্টিমিটার চামড়া। কুমির রপ্তানি থেকে বছরে কমপক্ষে আড়াই শ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। কুমিরের চামড়া বেশ দামি। এ চামড়া দিয়ে ব্যাগ, জুতাসহ অনেক দামি জিনিস তৈরি করা হয়। এ ছাড়া কুমিরের মাংস, হাড়, দাঁতও দামি। কুমিরের হাড় থেকে তৈরি হয় পারফিউম, দাঁত থেকে গয়না, পায়ের থাবা থেকে চাবির রিং। কুমিরের মাংসও বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই দেশে ও বিদেশে চাহিদা অনেক। এক কথায়, কুমিরের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। কুমিরকে বলা হয় গোল্ড আয়রন অর্থাৎ সোনালি লোহা। দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল। ২০০০ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র শুরু হওয়ার পর সেখানে কুমির প্রথম ডিম দেয় ২০০৫ সালে। এখন পর্যন্ত করমজলে বিভিন্ন সময় ২৯২টি কুমিরের ছানা জন্ম নিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর
- পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের কমতি নেই- প্রতিমন্ত্রী
- মানিকছড়িতে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস
- ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদি কর্তৃপক্ষের
- সব ধরনের অনলাইন সেবা আইনের আওতায় আসবে
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- আরও বিস্তৃত হবে তাপপ্রবাহ, তবে সিলেটে হতে পারে বৃষ্টি
- ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
- শেখ হাসিনা ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন না
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি
- উপজেলা নির্বাচন: সচিব-আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইসি
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- উপজেলা ভোট নিয়ে ডিসি-এসপিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ
- সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালায় প্রধান শিক্ষক শূন্য ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজ
- মাটিরাঙ্গায় নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন গৃহকর্মীর
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- দেশের এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯ মাসে ৪৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- নতুন করে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট