যেভাবে সফল হল শান্তিচুক্তি
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০
পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক সংঘাতরূপে পরিচিত। বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও তার সশস্ত্র উগ্র অঙ্গসংগঠন শান্তিবাহিনীর মধ্যে এ সংঘাতের সৃষ্টি হয়। বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী জুম্ম, চাকমা জনগোষ্ঠীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজাতির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায়ের প্রেক্ষিতে এ সংঘাত ঘটে। ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসনামলে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে শান্তিবাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পূর্ব পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২২ বছর এ সংঘাত চলমান ছিল।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস করে সরকার রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলায় স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করে। প্রত্যেক পরিষদের প্রধান ছিলেন চেয়ারম্যান। তিনি আদিবাসীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন।
৩০ সদস্যবিশিষ্ট এই পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ আদিবাসী এবং এক-তৃতীয়াংশ বাঙালি। আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন জেলার বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে পরিষদের সদস্যরা নির্বচিত হবেন।
স্থানীয় পরিষদ এর নিজস্ব বাজেট প্রণয়নের দায়িত্বপালন করবে। উল্লিখিত জেলা পরিষদ আইনের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি না থাকায় জনসংহতি সমিতি তা প্রত্যাখ্যান করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি পাহাড়ি জনগণের বিশেষ অবস্থান ও মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই শান্তিচুক্তির আওতায় তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়।
আঞ্চলিক পরিষদের গঠন কাঠামো নিম্নরূপ: চেয়ারম্যান ১, সদস্য (আদিবাসী) পুরুষ ১২, সদস্য (আদিবাসী) মহিলা ২, সদস্য (অ-আদিবাসী) পুরুষ ৬, সদস্য (অ-আদিবাসী) মহিলা ১। আদিবাসী পুরুষ সদস্যদের মধ্যে পাঁচ জন চাকমা, তিনজন মারমা, দুজন ত্রিপুরা এবং একজন করে মুরং ও তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন।
মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে একজন চাকমা এবং অপরজন অন্য আদিবাসী থেকে নির্বাচিত হবেন। অ-আদিবাসী সদস্যের ক্ষেত্রে প্রতি জেলা থেকে দুজন করে নির্বাচিত হবেন। তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হবেন।
তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদাধিকার বলে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হবেন এবং তাদের ভোটাধিকার থাকবে। আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা এই পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
এই পরিষদ তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও তত্ত্বাবধান করবে। উপজাতীয় আইন এবং সামাজিক বিচারকার্য এই পরিষদের অধীনে থাকবে।
পরিষদ এনজিওদের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করবে এবং ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেবে। পরিষদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করবে।
চুক্তিতে একজন উপজাতিকে প্রধান করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য একটি উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের কথাও বলা হয়েছে। তবে এটা সুস্পষ্ট যে, আঞ্চলিক পরিষদ একটি প্রতীকী প্রতিষ্ঠান। এর ক্ষমতা ও কার্যক্রম সমন্বয় সাধন ও তদারকি ধরনের।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়িদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তি চুক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তিবাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা। এরপর ধীরে ধীরে উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ হ্রাস পায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- খাগড়াছড়িতে পুলিশ কমান্ডো প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- বিমানবন্দরে মুদ্রা কেনাবেচা: ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- পদ্মা সেতু ঘুরে দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা
- গ্যাস উত্তোলন: কূপ খননে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চেহারা
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- কমতির দিকে ডলার সংকট, স্থবিরতা কাটানোর উদ্যোগ থাকবে আসছে বাজেটে
- নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিতে পারবে সরকার
- ভুটানের রাজার সফর: কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটকে স্বাগত জানিয়েছেন ইতালি প্রবাসীরা
- রেলের টিকিট কিনতে ৮ ঘণ্টায় দেড় কোটি হিট
- বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন যেভাবে
- জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতাসহ আটক ৩
- হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির
- সেন্ট মার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ থেকে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী: নজর কেড়েছে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র
- খাগড়াছড়িতে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করল বিজিবি
- রামগড়ে কম্পিউটার, সেলাই ও হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভা
- ১৭০০ ফুট উঁচুতে নান্দনিক দারুস সালাম জামে মসজিদ
- ইটভাটা ও তামাকচুল্লিতে পুড়ছে খাগড়াছড়ির বন
- ৩ কোটি ৩ টাকায় ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর
- স্বাধীনতা দিবসে ভারত, রাশিয়া ও চীনের শুভেচ্ছা
- এক শিশুর চিকিৎসায় লাখ টাকা সহায়তা দিল সেনাবাহিনী
- ৮০ ভাগ কাজ শেষ রংপুর-ঢাকা নতুন মহাসড়কের
- খাগড়াছড়িতে বিডি ক্লিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন
- পানছড়িতে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- পাহাড়ে এই বৈষম্যের শেষ কোথায়?
- খা.ছড়িতে আন্তঃ একাডেমি টুর্নামেন্ট বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- মাটিরাঙায় ক্লু-লেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ
- ১৭০০ ফুট উঁচুতে নান্দনিক দারুস সালাম জামে মসজিদ
- জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ: খাগড়াছড়ির টানা দ্বিতীয় জয়
- রামগড়ে সূর্যমুখী চাষে সম্ভাবনার হাতছানি
- রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে মার্চে যাত্রী পারাপার শুরু হবে
- জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে লালমনিরহাটকে হারালো খাগড়াছড়ি
- খাগড়াছড়িতে নদী রক্ষার ব্লক তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ
- খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ
- দীঘিনালায় কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক ৩
- সোমবার রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে সারা দেশ
- কমবে ডিজেল-পেট্রোল-অকটেনের দাম!
- মহালছড়িতে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ
- রেংমিটচ্য ভাষার প্রাণ ফেরানোর লড়াইয়ে সেনাবাহিনী
- পার্বত্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন জ্বরতী