• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

বাংলাদেশ নাগরিকের রাষ্ট্র, কোন আদিবাসীর নয়

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

 

ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

রাষ্ট্রীয় সত্তা অর্জন পরবর্তী জাতিগঠণের (nation – building) নিরিখে বাংলাদেশ এখনও একটি অসম্পূর্ণ ও অপরিণত রাষ্ট্র। এমন মন্তব্য দুটো কারণনির্ভর। এক, বাঙালি ও বাংলাদেশী বিভাজন, যা অবশ্য পুরোটাই অভ্যন্তরীন রাজনীতির অনাকাংক্ষিত ফসল, এবং ইতিহাসবর্জিত। জাতীয়তাবাদ দীর্ঘ ও ধারাবাহিক ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তন ও আবর্তনের চূড়ান্ত পরিণতি; জাতীয়তাবাদের লেবেল তৈরি করে তা রাতারাতি কোন জনগোষ্ঠীর ওপর সেঁটে দেয়া সম্ভব নয়। দুই, প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বাস বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলে (limitrophic region) যারা সাংবিধানিকভাবে নাগরিক হলেও জাতিসত্তার বিচারে স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার। কিন্তু এমন নৃতাত্ত্বিক স্বাতন্ত্র্যে অতিরিক্ত মাত্রা সংযোজন আন্তর্জাতিক মহল প্ররোচিত।

অন্যদিকে বাঙালি জাতিসত্তাকে এককভাবে গুরুত্ব দেয়ার অর্থ ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে অস্বীকার করা। জনান্তিকে শ্রুত মত অনুসারে এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশী লেবেল বেছে নেয়া হয়েছিল; কিন্তু যা বালখিল্যসুলভ ও অনৈতিহাসিক।[1] কলমের এক মোচড়ে বা কারও এক কথায় হাজার বছরের ইতিহাস পাল্টে দেয়া যায় না। আর বাঙালিত্বের ওপর মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া আসলে গরিষ্ঠের ঔদ্ধত্যের ব্যাপার। (majoritarian arrogance), যা গণতন্ত্রের ধরণ হিসেবে নিন্দিত। বিকল্প কাংক্ষিত গণতন্ত্রের ধরণ বহুত্বভিত্তিক গণতন্ত্র (pluralist or polyarchic democracy)। কিন্তু এখনকার বাংলাদেশ মেধাশূন্য নেতৃত্ব ও সংস্কৃতিহীন রাজনীতির শিকার; ফলে কাজীর গরুর মতো আমাদের গণতন্ত্র- খাতায় আছে, গোয়ালে নেই; সংবিধানে আছে, বাস্তবে নেই।

এমন একটি অসম্পূর্ণ ও অপরিণত রাষ্ট্রব্যবস্থায় মেধাহীন নেতৃত্বের কারণে আদিবাসী প্রশ্নটি যে সংকট হয়ে উঠবে তা-ই স্বাভাবিক। বর্তমান নিবন্ধটির বক্তব্য আদিবাসী দাবিটির প্রশ্নবিদ্ধ সারবত্তা, ঐতিহাসিকতা এবং সে কারণে যৌক্তিক অসারতা নির্দেশ করা। শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইস্যুটির স্রষ্টা জাতিসংঘের নেতৃত্বে পশ্চিম দুনিয়া। শত শত বছর সারা পৃথিবী শোষণ করে স্ফীত হওয়া পুঁজিবাদী দুনিয়া এখন লগ্নি পুঁজির কারবারি। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তাদের এ বোধ ও অভিধা যে তাদের মানবিকতাবোধ উৎসারিত তা, বিশ্বাস করার মতো তথ্য- প্রমাণ আমাদের হাতে অপ্রতুল। বরং কোন্ উদ্দেশে আচম্বিতে এ অভিধার চয়ন তা তলিয়ে- খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

নৃতত্ত্বের মূল থেকে বিষয়টির বিবেচনা শুরু করা যেতে পারে। সমস্যার শিকড় নিহিত ethnicity এবং nation এর দ্বৈততার (dichotomy) মধ্যে। সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বে ethnicity শব্দ ও সংশ্লিষ্ট ধারণার সূত্রপাত করেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ভেবার (Max Weber)। তার সংজ্ঞায়নে ethnicity হল, “Those human groups that entertain a subjective belief in their common descent because of similarities of physical type or of customs or because of memories of colonization and migration; this belief must be important for group formation; furthermore, it does not matter whether an objective blood relationship exists..” ইংরেজ নৃবিজ্ঞানী এ্যান্থনী স্মিথ বলেন, “an ethnicity is group of human beings whose members identify with each other, usually on a presumed or real common heritage.”[2] রক্তসম্পর্কের বন্ধন ছাড়াও যে ethnicity-চেতনা গড়ে ওঠার অনেক বাস্তবিক ও ঐতিহাসিক কারণ আছে তা ম্যাক্স ভেবার স্বীকার করেন। অন্যদিকে nation- ও প্রায় সমধর্মী এক প্রপঞ্চ। দীর্ঘকাল একদল জনগোষ্ঠী এক ভূখণ্ডে অধিবাস করে অভিন্ন ঐতিহ্য ও চেতনার অধিকারী হলে তারা nation হয়। অর্থাৎ nation হলো, ঐতিহাসিক পরম্পরাভিত্তিক এক গোষ্ঠী মানুষের চেতনা (a state of mind)। পশ্চিম দুনিয়ায় জাতি-রাষ্ট্র (nation – state) গড়ে উঠতে থাকলে nation এবং ethnicity-র বৈপরীত্য পরিস্ফুট হয়। জাতি- রাষ্ট্রের ধারণা, এমন রাষ্ট্র সব ethnicity-র প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু লঘিষ্ঠ অন্যান্য ethnicity তা মনে করে নি। ফলে তারা কখনও সমতাভিত্তিক সাঙ্গীকরণ, (assimilation), কখনও স্বায়ত্তশাসন (autonomy) বা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা (independence) দাবি করেছে। সুতরাং মৌলিক সমস্যা হলো, nation – state শব্দযুগলের মধ্যে, যা এখন সেকেলে ও বাতিলযোগ্য। এখন হওয়া উচিত nation – state; কারণ সংখ্যায় ক্ষুদ্র হলেও ethnicity-র nation হবার সব বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গরিষ্ঠ ethnicity -র ঔদ্ধত্যে এমন ঐতিহাসিক সত্য বিস্মৃত হয়। এমন বিস্মৃতির শিকার যারা তাদেরকে স্বনামখ্যাত ইতিহাসবিদ বার্নার্ড লুইস (Bernard Lewis) বলেছেন blundering amnesiacs। বাংলাদেশসহ অনেক রাষ্ট্রই এখন blundering amnesiacs -এর মতো আচরণ করে। উপরন্ত নৃতত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে উপজাতি (tribe) ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (ethnic minority) বলা গ্রহণযোগ্য নয়; এরা ক্ষদ্র জাতিসত্তা (small national entities)। ক্ষুদ্রতা সংখ্যাবাচক, গুণবাচক নয়।

কিন্তু এ ক্ষুদ্রজাতিসত্তার আদিবাসীত্ব অযৌক্তিক এক সংকটের উৎস। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও যুক্তি এদের এমন অভিধার স্বীকৃতি দিতে নারাজ। আদিবাসী শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ indigenous, যার অর্থ the people regarded as the original inhabitants of an area (Oxford Advanced Learner’s Dictionary)। বুৎপত্তিগতভাবে আদিবাসী শব্দটির অর্থও অভিন্ন। নৃতত্তবিদ লুই মর্গান Louis Morgan) মনে করেন, ““The aboriginals are the groups of human race who have been residing in a place from time immemorial. They are the sons of the soil.”[3] এখন প্রশ্ন পার্বত্য চট্টগ্রামে যাদের অধিবাস তারা কি ভূমিপুত্র হিসেবে দাবি করতে পারে? যদি না পারে তাহলে তারা আদিবাসী হয় কীভাবে? জাতিসংঘ এযাবতকালের সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের পুঞ্জিত জ্ঞানকে নস্যাৎ করে যেন আদিবাসী নামের এক উদ্ভট (প্রায়োগিক বিচারে) শব্দ আবিষ্কার করেছে। সে কথায় পরে আসছি; এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্ত্বাসমূহের অতীত ইতিহাস সংক্ষেপে জানা যাক।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ১৪ টি জনগোষ্ঠীর অধিবাসঃ ১. চাকমা; ২. মারমা; ৩. ত্রিপুরা; ৪. তঞ্চঙ্গা; ৫. লুশাই; ৬. পাংখো; ৭. খিয়াং; ৮. মারমা; ৯. মুরঙ; ১০. উচাই; ১১. বম; ১২. খুমি; ১৩. চাক ও ১৪. সুজে সাঁওতাল।[4]  ইতিহাসের নিরিখে মোটা দাগে বললে, এরা কেউ ভূমিপূত্র নয়; সবাই বহিরাগত। কিন্তু স্বীকার্য, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এরা হয়ে গেছে ভূমিজ সন্তান। অতীতে এদের আদিবাস যেখানেই থাক, যেখান থেকে কোন কারণে তাদের আগমণ হোক না কেন ওরা বৃহত্তর বাঙালি সত্তার সংগে ভাগ করে নিয়েছে অভিন্ন বাসভূমি। একই অর্থে শংকর বাঙালি জাতির মিলিত ধারার মিথস্ক্রিয়ার ফসল আজকের বাঙালি জাতিকে কি অভিবাসী বলবো? নিশ্চয়-ই নয়। প্রাচীন ভারতবর্ষে বহিরাগত আর্যরা অভিবাসী থাকেনি, হয়েছে ভূমিলগ্ন সন্তান, গড়েছে সারা বিশ্বের বিমুগ্ধ বিস্ময়ের সভ্যতা- সংস্কৃতি। একই অর্থে বর্তমানের মার্কিন নাগরিক আর অভিবাসী নয়, তারা সবাই এক মহা melting pot- এ লীন হয়ে গেছে। কিন্তু এদের কাউকে তো আদিবাসী বলা হলো না। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ১৭ সতকের গোড়া থেকে ইউরোপীয় অভিবাসন শুরু হয়। ঠিক একই সময়ে পার্বত্য জনপদবাসীদেরও অভিবাসন শুরু হয়। তাহলে অভিবাসী মার্কিনীদের আদিবাসী না বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীদের কেন আদিবাসী বলা হচ্ছে? ব্যাখ্যা বোধ হয় এই যে, মার্কিন মুল্লকে রেড ইন্ডিয়ান নামে আদিবাসী আছে। ওদের ক্ষেপিয়ে তুললে অশনি সংকেত অনিবার্য। সুতরাং বিশ্বপুঁজিবাদপোষিত বুদ্ধিজীবী- গবেষক সে দিকে পা মাড়ান নি। তারা আগ্রহী তৃতীয় দুনিয়ার দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর প্রতি। কারণ নানা ছলছুতোয় এমন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে পারলে পুঁজিবাদী অনুপ্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণের পথ সুগম হয়।

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে বহিরাগত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের আনাগোনা শুরু হয় ষোল শতক থেকে। এ সময়ে আসামের মিজোরাম থেকে কুকি নামের উলঙ্গ জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। এদের অনেকে এদিক Ñ সেদিক বিচরণ করে ফিরে যেত; কিন্তু কেউ কেউ বসতি গড়ে, যাদের পরবর্তী প্রজন্ম আজও বিদ্যমান। একই সময়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী খাগড়াছড়ি এলাকায় বন কেটে বসত গড়ে, এবং জুম চাষ শুরু করে। ১৬৬০-এর দিকে, অর্থাৎ সতের শতকের মাঝামাঝি চাকমাদের একটি দল আদিবাস আরাকান থেকে বিতাড়িত হয়ে রামু থানার অদূরে সাময়িক অবস্থান নেয়। তারা পরে আরো গহীন অরণ্য আলী কদমের দিকে এবং রাঙামাটির দিকে যায় স্থায়িভাবে বাস করার জন্য। মগ বা মারমা জনগোষ্ঠীর অভিবাসন ঘটে ১৭৮৪Ñর দিকে। প্রায় একই সময়ে বোমাঙদেরও আগমন ঘটে। মোটামুটিভাবে বলা যায়, আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের অধিবাস তাদের অভিবাসন হয়েছিল ষোল থেকে আঠারো শতকের মধ্যে।

১৯৯৭-র ২ ডিসেম্বর যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি  স্বাক্ষরিত হয় তা যে দীর্ঘ এবং প্রলম্বিত আলোচনার ফসল তার কোন পর্যায়েই আদিবাসী দাবির সপক্ষে কোন প্রসঙ্গ ওঠেনি, বা চুক্তিতেও শব্দবন্ধটি স্থান পায় নি। কিন্তু ২০০৭-এর জাতিসংঘ ঘোষণার পর থেকে আদিবাসী সংক্রান্ত দাবিটি শ্রুত হচ্ছে। জাতিসংঘের ঘোষণাটিতে এমন জনগোষ্ঠীর জন্য আকর্ষণীয় বেশ কিছু প্রসঙ্গ আছে। যেমন তাদের আতœঅধিকার, অভ্যন্তরীন ও স্থানীয় বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন, ভূমির ওপর অধিকার, নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা, সামরিক কার্যক্রম প্রত্যাহার; এবং এমন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা। এছাড়াও প্রসঙ্গক্রমে আলোচ্য আই এল ও কনভেনশন। ’৫৭-র ১০৭ নং কনভেনশন বাংলাদেশ অনুমোদন করে ১৯৭২-এ। এ কনভেনশনের বিশেষ দিকগুলো ছিল:

– জনগোষ্ঠীসমূহকে জাতীয় মূল ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে।

– তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাষ্ট্র সহায়ক হবে।

– ভূমির ওপর তাদের ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

– নিরাপত্তা বা আর্থ-সামাজিক উদ্দেশে রাষ্ট্র এমন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার জমি ব্যবহার করতে পারবে, তবে এলাকার জনগণের মতামত প্রয়োজন হবে, এবং যথাযথ পুনর্বাসন / ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

-এমন জনগোষ্ঠী দেশের প্রচলিত এবং অভিন্ন আইনে বিচারযোগ্য হবেন।

বাংলাদেশের ’৭২-এর সংবিধানে এমন জনগোষ্ঠী সংক্রান্ত দু’টি বিশেষ ধারা আছে। ২৩ ধারায় বলা হয়েছেঃ “রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের এমন পরিপোষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, যাহাতে সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখিবার ও অংশগ্রহণ করিবার সুযোগ লাভ করিতে পারেন।” বোধগম্য যে, রাষ্ট্রীয় সামগ্রিক স্বার্থে আই এল ও কনভেনশন এমন ধারায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলিত হয় নি। কিন্তু ২৮ (৪) নং ধারায় ব্যাপকভাবে বলা আছে , “নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।” সংবিধানের এমন দিকনির্দেশনা এবং সরকার / রাষ্ট্রের বাস্তব ভূমিকার মধ্যে কোন ফারাক আছে কী না বা এমন জনগোষ্ঠী কোনভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছে কী না, তা প্রসঙ্গান্তরে বিবেচ্য হতে পারে; এবং সে ক্ষেত্রে পার্বত্য জনপদবাসী সহমর্মিতার দাবিদার হতে পারেন।
১৯৮৯-এর আই এল ও কনভেনশন-১৬৯ বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিব্রতকর ছিল;  ফলে তা অনুমোদিত হয় নি। এ কনভেনশনে জনগোষ্ঠীসমূহকে প্রকারান্তরে আদিবাসী (পুরনো / চিরস্থায়ী) বলা হয়েছিল। উপরন্তু, ছিল:

– সব ক্ষেত্রেই তারা স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হবে, এবং রাষ্ট্র তা নিশ্চিত করবে।

– তাদের আত্মপরিচয় তাদের নিজস্ব-আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানদণ্ডে বিবেচিত হবে।

-এমন এলাকায় কোন খাস জমি থাকবে না। আর প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অভিমত প্রাধান্য পাবে।

উল্লেখ্য, এ কনভেনশন অনুমোদন করলে বাংলাদেশের আঞ্চলিক অখন্ডতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতো। বলা যেতে পারে, জাতিসংঘের ২০০৭-এর ঘোষণা এ কনভেনশনের সম্প্রসারণ মাত্র।

চূড়ান্ত মন্তব্য
পার্বত্য চট্টগ্রামে যাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অধিবাস তারা ইতিহাসের নিরিখে মূলত অভিবাসী। কিন্তু এখন অভিবাসী নয়, নাগরিক-বাংলাদেশের যে কোন নাগরিকের মতোই। কিন্তু তারা আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোনটিই নয়, তারা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, এবং তা আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক মানদণ্ডে। সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তা আর বড় জাতিসত্তা বাঙালি নিয়ে বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশ মানচিত্রের ভেতর কোন গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক স্বাতন্ত্র্যের স্বীকৃতি যুক্তিযুক্ত হলেও তার আত্মঅধিকার প্রয়োগের প্ররোচনা অনাকাংক্ষিত ও বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রসূত। একই সমান্তরালে বিবেচ্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের উন্নয়ন ঘাটতি ও অধিকার বঞ্চনার বিষয়সমূহ। সুতরাং মনে হয়, সংবিধান ও শান্তিচুক্তি  অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলে বাইরের কোন দুরভিসন্ধি হালে পানি পাবে না। উপরন্তু, প্রয়োজন জনগোষ্ঠীসমূহের বাস্তবানুগ দৃষ্টিভঙ্গী ও ভূমিকা। অবশ্য সর্বাগ্রে অনুঘটকের ভূমিকা সরকারের-ই; এবং যাতে কোন ভ্রান্তি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কালক্ষেপন দেশ ও সরকারের জন্য আত্মবিনাশী হবে।

[1] বিস্তারিত আলোচনার জন্য দ্রষ্টব্য Syed Anwar Husain, Bangladesh, National Scenario, Foreign Policy and SAARC  (Dhaka: Agamee Prokashoni, 2003.
[2] Max Weber, “Economy and Society” in Guenther Roth and Claus Wittich (eds.) Trans. Ephraim Fischof  vol. 2. (Berkeley, University of California Press, 1998); Anthony D. Smith, The Ethnic Origins of Nations (Oxford: Blackwell, 1986).
 [3] Louis Morgan, An Introduction to Anthropology, 1972.
[4] দ্রষ্টব্য Syed Anwar Husain, War and Peace in the Chittagong Hill Tracts  (Dhaka: Agamee Prokashoni, 1999) P. 48. অবশ্য সুজে সাঁওতাল এ তালিকায় নেই, এদের সন্ধান পেয়েছি ২০০৭-এ ঐ এলাকায় তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে।

♦ লেখক: অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(সত্যান্বেষণ-গবেষণা ও নন্দনচর্চা কেন্দ্র আয়োজিত “বাংলাদেশ : জাতীয় সংহতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের গণদৃষ্টি” শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত।)

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]