• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

বঙ্গবন্ধুর ভাষা ও সাহিত্যচিন্তা

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।


ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী একজন মুক্তিসংগ্রামী এবং মহান রাজনীতিবিদ হিসেবে সমধিক পরিচিত। প্রকৃতপ্রস্তাবেই তিনি রাজনীতির মানুষ, রাজনীতিই তার জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। তিনিই বাঙালির শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা। রাজনৈতিক সত্তাই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় পরিচয়।


তবে শুধু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিই নয়, বাংলাদেশের ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মুক্তিসংগ্রামেরও অন্যতম নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বস্তুত তার সাধনার মধ্য দিয়েই ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেন্দ্রিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের পূর্ণাঙ্গ ভিত্তি রচিত হয়েছে।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি পালন করেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ভাষা, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রভিত্তিক জাতীয়তাবাদ।

রাজনীতির মানুষ হয়ে রাজনীতির বাইরেও নানা বিষয় নিয়ে ভেবেছেন বঙ্গবন্ধু- খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত- কোনো কিছুই তার চিন্তার বাইরে ছিল না। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ (২০১২), ‘কারাগারের রোজনামাচা’ (২০১৭) এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ (২০২০) প্রকাশের পর তাকে একজন লেখক হিসেবে চিনে নেয়ারও ঐতিহাসিক সুযোগ ঘটেছে বিশ্ববাসীর।

তবে এতসব বিষয় নয়, আজকের এ লেখায় বঙ্গবন্ধুর ভাষা ও সাহিত্যচিন্তা সম্পর্কেই আমাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখব। বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা এবং বাংলা সাহিত্য- সবকিছুর প্রতিই ছিল বঙ্গবন্ধুর গভীর ভালোবাসা। বাংলার ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার একটা নির্যাস পাওয়া যায় ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে দেয়া তার ভাষণ থেকে।

ওই ভাষণের নিম্নোক্ত অংশ থেকে ভাষা ও সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর ধারণার একটা সুস্পষ্ট রূপ প্রকাশিত হয়েছে :

‘আমরা বাঙালি। আমরা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। আমি যদি ভুলে যাই আমি বাঙালি, সেদিন আমি শেষ হয়ে যাবো। আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ, বাংলার মাটি, আমার প্রাণের মাটি, বাংলার মাটিতে আমি মরবো, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সভ্যতা আমার কৃষ্টি ও সভ্যতা।’

বাংলা ভাষার উন্নতি ও বিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও চিন্তা বিভিন্ন ভাষণ থেকে আমরা জানতে পারি। বাংলা ভাষার উন্নতি ও বিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধু সব সময় সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের প্রেরণা দিয়েছেন- তাদের নির্ভয়ে কাজ করার সাহস জুগিয়েছেন। ভাষা যে নদীর স্রোতের মতো প্রবহমান, বঙ্গবন্ধু তা যথার্থভাবে উপলব্ধি করেছেন।

কখনও কখনও এসব প্রসঙ্গে একজন ভাষাতাত্ত্বিকের মতোই বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করতেন তার ভাবনা। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যায় ১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের স্মরণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ।

সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছেন : ‘মুক্ত পরিবেশেই ভাষার বিকাশ হয়। ঘরে বসে ভাষার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যায় না। এর পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয় ব্যবহারের ভিতর দিয়ে। ভাষার গতি নদীর স্রোতধারার মতো। ভাষা নিজেই তার গতিপথ রচনা করে নেয়। কেউ এর গতি রোধ করতে পারে না।

এই মুক্ত পরিবেশে বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের অতীত ভূমিকা ভুলে স্বাজাত্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে বাংলা ভাষাকে গণমুখী ভাষা হিসেবে গড়ে তুলুন। জনগণের জন্যেই সাহিত্য। এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের লেখনীর মধ্যে নির্ভয়ে এগিয়ে আসুন, দুঃখী মানুষের সংগ্রাম নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করুন। কেউ আপনাদের বাধা দিতে সাহস করবে না।’ উদ্ধৃত অংশ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতির জন্য বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষার কথা সম্যক উপলব্ধি করা যায়।

বাঙালির অহংকার আর গৌরবের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও চিন্তক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রথম দিন থেকেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ছিলেন গভীরভাবে সম্পৃক্ত। ভাষা-আন্দোলনের সঙ্গে তার এই সম্পৃক্ততা বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসারই প্রত্যক্ষ প্রকাশ।

১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন মোহম্মদ আলী জিন্নাহ্র মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ বঙ্গবন্ধু তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। নাজিমুদ্দিনের ঘোষণায় ভাষা আন্দোলন নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

জেলে থেকেই গোপনে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিতে থাকেন, যোগাযোগ গড়ে তোলেন আন্দোলনের সংগঠকদের সঙ্গে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে অসুস্থতার কথা বলে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বঙ্গবন্ধুর নিজের ভাষ্য থেকেই নেয়া যাক ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা:

‘আমি তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেখানেই আমরা স্থির করি যে, রাষ্ট্রভাষার ওপর ও আমার দেশের ওপর যে আঘাত হয়েছে ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে তার মোকাবেলা করতে হবে। সেখানেই গোপন বৈঠকে সব স্থির হয়।

... কথা হয়, ১৬ই ফেব্রুয়ারি আমি জেলের মধ্যে অনশন ধর্মঘট করব, আর ২১ তারিখে আন্দোলন শুরু হবে। জেলে দেখা হয় বরিশালের মহিউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে। তাকে বললাম আমরা এই প্রোগ্রাম নিয়েছি। তিনি বললেন, আমিও অনশন ধর্মঘট করব। ১৬ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আমরা অনশন ধর্মঘট করলাম। এর দরুন আমাদের ট্রান্সফার করা হল ফরিদপুর জেলে। সূচনা হয় ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের।’

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। ভাষার প্রতি ভালোবাসা ছিল বলেই বন্দিজীবনেও তিনি পালন করেছেন দুঃসাহসিক ভূমিকা। হাসপাতালে বসেই তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, দিয়েছেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন- ‘আমি হাসপাতালে আছি। সন্ধ্যায় মোহাম্মদ তোয়াহা ও অলি আহাদ দেখা করতে আসে। ... আমি ওদের রাত একটার পরে আসতে বললাম।

আরও বললাম, খালেক নেওয়াজ, কাজী গোলাম মাহাবুব, আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে খরব দিতে। ... আরও দু-একজন ছাত্রলীগ নেতাকে আসতে বললাম, শওকত মিয়া ও কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মীকেও দেখা করতে বললাম। পরের দিন রাতে এক এক করে অনেকেই আসলো। সেখানেই ঠিক হল আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হবে এবং সভা করে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকেই জনমত সৃষ্টি করা শুরু হবে। আমি আরও বললাম, আমিও আমার মুক্তির দাবি করে ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করব।’

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং বাংলা ভাষা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর প্রাতিস্বিক ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। সব মানুষই মাতৃভাষাকে ভালোবাসে। প্রসঙ্গত এক জায়গায় তিনি লিখেছেন- ‘যে কোনো জাতি তার মাতৃভাষাকে ভালোবাসে। মাতৃভাষার অপমান কোনো জাতিই কোনো কালে সহ্য করে নাই।’

এখানে একটা কথা বিশষভাবে উল্লেখ করতে হয়। বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা তার মধ্যে কোনো সংকীর্ণ ভাষাচিন্তার জন্ম দিতে পারেনি। উদার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তিনি সব ভাষার প্রতিই তার ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানের বৃহত্তর বাস্তবতায় বাংলার পাশাপাশি উর্দুসহ অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষাকে স্বীকৃতির পক্ষে তিনি সুস্পষ্ট মত দিয়েছেন। অথচ বাংলা ভাষার প্রতি পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধাচরণের কারণে পশ্চিম পাকিস্তানে প্রচলিত ভাষার তিনি বিরুদ্ধাচরণ করতে পারতেন।

এ বিষয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে তিনি ব্যক্ত করেছেন সুস্পষ্ট অভিমত : ‘বাংলা পাকিস্তানের শতকরা ছাপ্পান্ন ভাগ লোকের মাতৃভাষা। তাই বাংলাই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত। তবুও আমরা বাংলা ও উর্দু দুইটা রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেছিলাম।

পাঞ্জাবের লোকেরা পাঞ্জাবি ভাষা বলে, সিন্ধুর লোকেরা সিন্ধি ভাষায় কথা বলে, সীমান্ত প্রদেশের লোকেরা পশুতু ভাষায় কথা বলে, বেলুচরা বেলুচি ভাষায় কথা বলে। উর্দু পাকিস্তানের কোনো প্রদেশের ভাষা নয়, তবুও যদি পশ্চিম পাকিস্তানের ভায়েরা উর্দু ভাষার জন্য দাবি করে, আমরা আপত্তি করব কেন?’

বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করতে ভালোবাতেন- বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা থেকেই তিনি বাংলায় বক্তৃতা করতেন। ১৯৫২ সালের অক্টোবরে বেইজিংয়ে আয়োজিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু অংশগ্রহণ করেন। আমাদের অনেকেরই অজানা যে, শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেন, যা ইংরেজি, চীনা, রুশ ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করে উপস্থিত প্রতিনিধিদের শোনানো হয়। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন- ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে আতাউর রহমান খান ও আমি বক্তৃতা করলাম। আমি বাংলায় বক্তৃতা করলাম। আতাউর রহমান সাহেব ইংরেজি করে দিলেন। ... কেন বাংলায় বক্তৃতা করব না? ভারত থেকে মনোজ বসু বাংলায় বক্তৃতা করেছেন।

পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে না জানে এমন শিক্ষিত লোক চীন কেন দুনিয়ার অন্যান্য দেশেও আমি খুব কম দেখেছি। আমি ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারি। তবু আমার মাতৃভাষায় বলা কর্তব্য।’ উত্তরকালে, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেছেন।

কেবল বক্তৃতা-বিবৃতি-ভাষণেই নয়, আইনসভায়ও বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার পক্ষে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন সাহসী ভূমিকা। ১৯৫৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো ছাড়াও তিনি বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ চান।

স্পিকার ওহাব খান পশুতু ভাষা না-জানা সত্ত্বেও একজন সদস্যকে ওই ভাষায় বক্তৃতা দেয়ার সুযোগদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করার সুযোগ চান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে বাংলায় বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ জানান, অন্যান্য সদস্য নিয়ে ওয়াক আউটের হুমকি দেন। একই দিনে গণপরিষদে তিনি বলেন, ‘আমরা ইংরেজি বলতে পারবো, তবে বাংলাতেই আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যদি পরিষদে আমাদের বাংলায় বক্তৃতার সুযোগ না দেওয়া হয় তবে আমরা পরিষদ বয়কট করবো। ... বাংলাকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করবো।’

পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তি বাংলা ভাষাকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলার পরিবর্তে রোমান বা উর্দু হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ‘এক রাষ্ট্র এক ভাষা’ স্লোগান উত্থাপন করে বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা করতে থাকে পাকিস্তানি শাসকরা।

বর্ণমালা পরিবর্তনের সরকারি এ প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরোধিতা করে বঙ্গবন্ধু যৌক্তিকভাবে বলেন : ‘কে না জানে যে, সমগ্র ইউরোপই রোমান হরফ ব্যবহার করিয়া থাকে। কিন্তু একই হরফের ব্যবহার ইউরেপীয় সংহতির জন্য সহায়ক হয় নাই। মধ্যপ্রাচ্যে ১১টি দেশে আরবি হরফ প্রচলিত রহিয়াছে। কিন্তু একই হরফ থাকা সত্ত্বেও আরব বিশ্বে কোনো একতা নাই।’

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের প্রাক্কালে বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার ওপর বঙ্গবন্ধু বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার জন্য, ১৯৫২ সালের মতো যে-কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারের জন্য বাঙালিকে আহ্বান জানান।

১৯৬৯ সালের ১ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের খসড়া ম্যানিফেস্টো প্রকাশ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষা-ভাবনার সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটে। সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন : ‘পাকিস্তানের সর্ব অঞ্চলে মাতৃভাষাকে সর্বোচ্চ শিক্ষার মাধ্যম রূপে গ্রহণ করিতে হইবে। পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষার সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে যত শীঘ্র সম্ভব শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রচলন করিতে হইবে এবং পাকিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের এবং ব্যবসা বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক জীবনে বাংলা ভাষার ব্যাপক প্রসারের চেষ্টা করিতে হইবে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকলার উন্নতি ও বিকাশের জন্য কার্যকরী উৎসাহ প্রদান করিতে হইবে এবং সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে হইবে।’

স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ে বাংলা ভাষায় সংবিধান রচনা করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। আদালতের রায় বাংলা ভাষায় লেখার নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। যথাযথ পরিভাষা না থাকার কারণেই রাষ্ট্রের সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিতে পারে- এ কথা অনুধাবন করে ১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘আমি ঘোষণা করছি, আমাদের হাতে যেদিন ক্ষমতা আসবে সেদিন থেকেই দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হবে। বাংলা ভাষার পণ্ডিতরা পরিভাষা তৈরি করবেন, তারপর বাংলা ভাষা চালু হবে, সে হবে না। পরিভাষাবিদরা যত খুশি গবেষণা করুন, আমরা ক্ষমতা হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষা চালু করে দেব, সে বাংলা যদি ভুল হয়, তবে ভুলই চালু হবে, পরে তা সংশোধন করা হবে।’

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু যে কত আন্তরিক ছিলেন, উপরের ভাষ্য থেকে তা সম্যক উপলব্ধি করা যায়।

কেবল মাতৃভাষা বাংলা নয়, বাংলা সাহিত্যের প্রতিও ছিল বঙ্গবন্ধুর গভীর অনুরাগ। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের কবিতা অবলীলায় উচ্চারণ করতেন। সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি গণমানুষের উন্নতির কথা ভেবেছেন- সাহিত্যিককে সাধারণ মানুষের কাতারে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু মনে করেন- জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোদিনই মহৎ সাহিত্য রচিত হতে পারে না। কেবল শহর নয়, গ্রামীণ জীবন ও জনপদকেও সাহিত্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহিত্য প্রসঙ্গে যে কথা বলছেন, তা তার প্রাতিস্বিক সাহিত্যভাবনারই শিল্পিত ভাষ্য। সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন : ‘আজকে যখন দেশ স্বাধীন হয়েছে, তখন সাহিত্যিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবীদের কাছে আমার প্রত্যাশা আরও অধিক।

যাঁরা সাহিত্য সাধনা করছেন, শিল্পের চর্চা করছেন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সেবা করছেন, তাদেরকে দেশের জনগণের সঙ্গে গভীর যোগসূত্র রক্ষা করে অগ্রসর হতে হবে। দেশের জনগণের চিন্তাভাবনা, আনন্দ-বেদনা এবং সামগ্রিক তথ্যে তাঁদের জীবনপ্রবাহ আমাদের সাহিত্যে ও শিল্পে অবশ্যই ফুটিয়ে তুলতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন- সাহিত্য শিল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রামের প্রতিরূপ নির্মাণই লেখকের মুখ্য কাজ। সাহিত্যের রস সৃষ্টির কথা মনে রেখেই তিনি সামাজিক উপযোগিতার কথাটাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যায় তার এই বিবেচনা- ‘সাহিত্যশিল্পে ফুটিয়ে তুলতে হবে এ দেশের দুঃখী মানুষের আনন্দ-বেদনার কথা।

সাহিত্যশিল্পকে কাজে লাগাতে হবে তাদের কল্যাণে। আজ আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুর্নীতি শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে তার মুখোশ খুলে ধরুন; দুর্নীতির মূলোচ্ছেদে সরকারকে সাহায্য করুন। আমি সাহিত্যিক নই, শিল্পী নই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস।

জনগণ থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে কোনোদিন কোনো মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম সৃষ্টি হতে পারে না। ... আপনাদের কাছে আমার আবেদন, আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতি যেন শুধু শহরের পাকা দালানেই আবদ্ধ না হয়ে থাকে, বাংলাদেশের গ্রাম-গ্রামান্তরের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দনও যেন তাতে প্রতিফলিত হয়।’

পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকরা বাঙালির সদর্থক সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধার সৃষ্টি করেছে। প্রচারমাধ্যমে রবীন্দ্রসঙ্গীত বর্জনের সিদ্ধান্ত এমনই একটা বাধার উদাহরণ। কিন্তু বাঙালি জনগোষ্ঠী ঔপনিবেশিক শাসকদের এই হীন ষড়যন্ত্র মেনে নেয়নি, মানেননি বঙ্গবন্ধুও। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে পরদিন সোহরাওয়ার্দী ময়দানে দেয়া সংবর্ধনা সভায় বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেন, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি তা তার ভালোবাসার উজ্জ্বল স্মারক। ওই সংবর্ধনা সভায় বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘আমরা মীর্জা গালিব, সক্রেটিস, শেকসপিয়র, এরিস্টটল, দান্তে, লেনিন, মাও সে তুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য। আর দেউলিয়া সরকার আমাদের পাঠ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙালি কবি এবং বাংলায় কবিতা লিখে যিনি বিশ্বকবি হয়েছেন।

আমরা রবীন্দ্রনাথের বই পড়বই, আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এই দেশে গীত হবেই।’ উত্তরকালে, স্বাধীনতার পর, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মর্মে-মর্মে রাজনীতিবিদ হয়েও ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, তা ভাবলে রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি- Poet of Politics। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মধ্যবিত্তের শাহরিক ভাষার পরিবর্তে তিনি ব্যবহার করেছেন লোকভাষা।

তার লেখা ও বক্তৃতায় লোকভাষা-আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের বিস্ময়কর সার্থকতা লক্ষ করা যায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা এ প্রসঙ্গে আমরা স্মরণ করতে পারি। বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন- তার ভাষা ও সাহিত্যচিন্তা যে স্বপ্নের সমার্থক এক অনুষঙ্গ।

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ : উপাচার্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ

(আগামীকাল প্রকাশিত হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের লেখা)

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]