বঙ্গবন্ধু শিক্ষাব্যবস্থাকে দেখতেন উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০
ছবি- সংগৃহীত।
ড. মো. আনোয়ার হোসেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে আমাদের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি উপহার দিয়েছেন।
কিন্তু তিনি জানতেন, আসল মুক্তি আসবে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে আর শিক্ষার প্রধান নিয়ামক হল শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করছে। শিশুদের যথাযথ শিক্ষার ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে।’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই, শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণের প্রথম উদ্যোগও তিনি গ্রহণ করেছিলেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চেয়ে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না। ... দারিদ্র্য যেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেধাবীদের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’
এ উপলব্ধিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য তিনি ১৯৭২ সালে শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন এবং ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন পাস করেন। ব্যাপক সংখ্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন, গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটে তিনি সামরিক খাতের থেকেও শিক্ষা খাতে ৭ শতাংশ বেশি বরাদ্দ দেন।
শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ শ্রদ্ধাবোধ থেকেও বোঝা যায় তিনি শিক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দিতেন। বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষককে ছাত্ররা কিছু দাবি নিয়ে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করেন।
শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, যারা শিক্ষকদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে, তিনি তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক ঢাকায় তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাসভবনের গেটে উপস্থিত হলে বঙ্গবন্ধু নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পান এবং সব নিয়মকানুন উপেক্ষা করে নিজেই ছুটে আসেন এবং স্যারের পা ছুঁয়ে সালামের পর বুকে জড়িয়ে ধরেন।
বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিজের চেয়ারে বসিয়ে উপস্থিত মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গর্বভরে বলেছিলেন, ‘আমার শিক্ষক’। ১৯৭৪ সালে একবার তিনি নোয়াখালী জেলা সার্কিট হাউসে অবস্থানকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারেন, একজন বৃদ্ধ শিক্ষক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চান। বিষয়টি কানে পৌঁছামাত্র তিনি সেই শিক্ষককে তার কাছে আসার অনুমতি দেন।
সেখানেই তার সঙ্গে রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার সময়ও তার শিক্ষক অধ্যাপক সাইদুর রহমানের পায়ে হাত দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শিক্ষক সমাজকে তিনি এভাবেই সম্মান করতেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাব্যবস্থাকে দেখতেন দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হিসেবে।
২০১৮ সালের শেষের দিকে আমি ভারতের পুনেতে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করি। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-গবেষকও অংশগ্রহণ করেন।
সেখানে ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার রঘুনাথ মাশালকারকে বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল জিজ্ঞাসা করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল একই হওয়া সত্ত্বেও আপনারা বিজ্ঞানে এত এগিয়ে গেলেন কীভাবে? স্যার রঘুনাথ মাশালকার উত্তর দেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদরা বাইরে যাই-ই করুন না কেন, তারা শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করেন না।
এ জন্য ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বকীয় ধারা ও কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিক্ষা ও গবেষণায় সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে।
১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সাহিত্য সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি সর্বত্রই একটি কথা বলি, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ আকাশ থেকে পড়বে না, মাটি থেকেও গজাবে না।
এই বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্য থেকেই তাদের সৃষ্টি করতে হবে।’ আর সেই সোনার মানুষ গড়ার কারিগর হল শিক্ষক এবং সেই কারখানা হল শিক্ষালয়। জাতির পিতার আদর্শ, চিন্তা-চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হলে আমরা একসময় ভারতসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন : উপাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
(আগামীকাল প্রকাশিত হবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের লেখা)
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
- ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
- প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার
- ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
- প্রথম ধাপের চার উপজেলার প্রার্থীরা পেলেন প্রতীক
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- ঢাকায় কাতারের আমির: অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য,বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র হচ্ছেন কমান্ডার আরাফাত
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- নতুন করে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট
- কাতারের সাথে ৬ চুক্তি, ৫ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
- রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা
- বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
- খাগড়াছড়িতে তিন উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৬ প্রার্থী
- মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে
- খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
- খাগড়াছড়িতে বেড়েছে শিশু ও ডায়রিয়া রোগী