• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

বউয়ের মালিক শহীদুল হেফাজত করেন মামুনুল

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

ছবি- সংগৃহিত।

ছবি- সংগৃহিত।

 

পীর হাবিবুর রহমান

১. বিষাদগ্রস্ত পৃথিবীতে করোনার আরেক দফা ছোবল এসেছে। দেশে লকডাউন জারি হয়েছে। হাসপাতালে হাসপাতালে রোগী ধারণের ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা। কেবিন, শয্যা, আইসিইউ বাড়িয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজ অর্ধশতাধিক মানুষ সরকারি হিসাবে মৃত্যুবরণ করছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এক দিনেই ৭ সহস্রাধিক। কতজন করোনা রোগ বহন করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে, তা হিসাব নেই। ঘুম ভাঙলেই মৃত্যুর সংবাদ। রাত নামলেই শোক সংবাদ। সবকিছু বিষিয়ে উঠছে। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দিতে গিয়েও চিকিৎসকরা ঘাম ঝরাচ্ছেন। হঠাৎ বলা নেই, কওয়া নেই ঢাকার জনপ্রিয় এমপি আসলামুল হক অকালে আকস্মিক চিরনিদ্রা নিলেন। এই দুঃসময়ে লাশের মিছিল বাড়ছে। মানুষের শোক প্রকাশের সময়-সুযোগও মিলছে না। একটা অভিশপ্ত সময় আমরা অতিক্রম করছি। ইয়া নফসি ইয়া নফসি করছি। আল্লাহ আল্লাহ করছি। কখন কার ডাক আসে কেউ জানে না। আল্লাহ মহান সর্বশক্তিমান এই বিপদ থেকে মানুষকে হেফাজত করুন- এ আকুতি চারদিকে। সরকার সময়ে সময়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। সতর্কতা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শুরু থেকেই তাগিদ সবখানে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবখানে সবকিছুতেই আমাদের বেপরোয়া ঔদ্ধত্য মনোভাব। মূর্খতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে বীরত্বের আনন্দ লাভ দেখা যাচ্ছে। মাস্ক পরতে নারাজ। সামাজিক দূরত্ব মানতে অনীহা। স্যানিটাইজার ব্যবহারে অনাগ্রহ। কি সমাবেশ, কি ওয়াজ-মাহফিল, কি সামাজিক অনুষ্ঠান, কি জানাজা নামাজে মানুষের আবেগের ঢল- সবকিছুতে বেয়াড়া আবেগের কাছে ভেসে গেছে করোনা থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যবিধি। এখন জীবন-জীবিকার লড়াইয়ের সঙ্গে করোনার আগ্রাসন থেকে বেঁচে থাকার কি আকুতি। আমাদের সাহস, মনোবল আর বিচার-বুদ্ধি ও সচেতনতা কাজে লাগাতে না পারলে এ ঢেউয়ে পরিণতি কোথায় যাবে কেউ জানি না।

২. এর মধ্যে হেফাজতের তান্ডব চলছে। করোনাও তাদের সভা-সমাবেশ রুখতে পারেনি। গেল শুত্রুবারও বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর তাদের উগ্র বক্তৃতাবাজি চলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেছিলেন। হেফাজত আর তার সরকারবিরোধী মিত্ররা জঙ্গি মনোভাবে আচরণে বিরোধিতায় নামল। তিনি চলেও গেলেন। তবু থামাথামি নেই হেফাজতের। উগ্র-রণমূর্তি নিয়েই তারা তাদের অবস্থান বহাল রেখেছে। আসলে কি নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতার জন্যই হেফাজতের এ তান্ডব, প্রলয়লীলা? রক্তের হোলিখেলা? নরেন্দ্র মোদি তো আগেও এ দেশে এসেছেন, কই তারা তো এভাবে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে প্রতিবাদে নামেনি? তাহলে আজ কেন? হেফাজতের আমির আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর উগ্রপন্থি নেতা বাবুনগরীর হাতে এর নেতৃত্ব আসে। তার চেয়ে আরও কয়েক গুণ উগ্র তালেবানি ধাঁচের মামুনুল হকরা সাত কদম এগিয়ে আসেন। মোদি এদের কাছে অসিলা মাত্র। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক সরকার তাদের দুশমন। এ সরকারকে ফেলে দিতে পারলেই তারা মনে করে কাবুলের তালেবানি স্টাইলে ক্ষমতা তাদের। তাদের সঙ্গে রয়েছে হাজার হাজার মাদরাসার অন্ধ ছাত্র-শিক্ষক। যাদের তারা নিষ্ঠুরভাবে হাসতে হাসতে গুলির মুখে ঠেলে দিতে পারে। হাটহাজারীকে তারা বানিয়েছে প্রশিক্ষণ ও শক্তির দুর্গ। পবিত্র বায়তুল মোকাররম মসজিদকে বানিয়েছে তাদের প্রচারে আসার কেন্দ্র। গত কয়েক যুগে সারা দেশে রাস্তার আশপাশে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে কওমি মাদরাসা। এতিম ছাত্রদের লেখাপড়ার নামে তারা শিখিয়েছে ধর্মের নামে শহীদি জীবনলাভের শিক্ষা। রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি থেকে রেখেছে চিন্তা-চেতনায় উল্টো দিকে। মাদরাসাছাত্রদের কোরবানির ঈদে বাড়ি বাড়ি চামড়া আনতে পাঠায়। কোরবানি দিতে পাঠায়। মাদরাসা চালানোর সামর্থ্য নেই দেশের ক্ষমতা দখলের লোভ রাখেন এসব উগ্র সাম্প্রদায়িক হেফাজত নেতারা। সরকারের কাছ থেকে দাবি করে আদায় করতে করতে মাথায় এতটাই উঠে গেছে যে, এখন আর ভার রক্ষা করতে পারছে না। এরা লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের সব আবেগ-অনুভূতি, চেতনা ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে এক অন্ধকার তালেবানি যুগ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই তারা দাওরা পরীক্ষা মাস্টার্স সমতুল্য করেও তৃপ্ত হয়নি। পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এনেও স্বস্তি পায়নি। বাড়াবাড়ির সব সময়সীমা অতিক্রম করেছে। এই তালেবানি আদর্শের উগ্রপন্থিরা নারী শিক্ষা চায় না, নারীকে কালো বোরখায় ঢেকে দিতে চায়। নারীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুক তারা চায় না। তারা Bangladesh Pratidinগৃহবন্দী করতে চায়। পুরুষের পাশাপাশি নারী তার মেধা-যোগ্যতা ব্যক্তিত্বে নেতৃত্বে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করবে- এটা তাদের বিকারগ্রস্ত সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ চিন্তার বিষ। তারা ছেলেদেরই জ্ঞানে-বিজ্ঞানে আধুনিক ধ্যান-ধারণায় বেড়ে ওঠা, শিক্ষালাভের বিপরীতে। ছাত্ররা যত মাদরাসামুখী হবে পশ্চাৎপদ থাকবে, অন্ধকারে ডুবে থাকবে ততই তাদের লাভ। ধর্মের নামে তারা যখন তখন ব্যবহার করবে। যখন যা হুকুম দেবে বেহেশতের আশায় আগুনেও ঝাঁপ দেবে। এই যে মহাপ্রলয় ঘটাল, এই যে থানায় থানায় হামলা করাল, সরকারি অফিস-আদালত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে নামিয়ে দিল, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শাবল দিয়ে ভাঙচুর চালাল, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষাঙ্গন ধুলোয় মিশিয়ে দিল- সবই তাদের ঠান্ডা মাথার কাজ। জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতীককে আঘাত কর, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে দাও। শিল্প-সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর ধুলোয় মিশিয়ে দাও। সবই তালেবানি দর্শন। তুরস্কে কামাল আতার্তুক সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থিদের কাঠোর হাতে দমন করেছিলেন। সেখানে এরদোগানের নেতৃত্বে আজ সাম্প্রদায়িক শক্তি আধুনিক বেশে ক্ষমতায়। এখানকার জামায়াত যে রাজনীতি ও শাসন চায় তার মডেলই তুরস্ক। জামায়াত সব নিপীড়নের মধ্যেও তাদের নেতারা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুললেও হাল ছাড়েনি। নীরবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অর্থায়নে দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কাজ করছে। তারা তাদের দলের প্রতি আদর্শের প্রতি কমিটেড। কঠিন সময় পার করছে। তাদের অর্থকে তারা ব্যক্তিগত ভোগবিলাসে নয়, দলের স্বার্থে ব্যয় করে। তাদের অর্থ তারা সরকারবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা প্রচার-লবিংয়ে খরচ করে। হেফাজতের নেপথ্যেও তাদের অর্থ কথা বলছে। হেফাজতই নয়, এমন কোনো দল নেই আওয়ামী লীগ-বিএনপি হোক যেখানে জামায়াতের লোক নেই। জামায়াতের টাকা কথা বলে না এমন কোনো জায়গা নেই। শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী ছোট দল থেকে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও টাকার ভাগটা ঠিকমতো পায়।

জামায়াতও হেফাজত দিয়ে সরকার পতন ঘটিয়ে তাদের ফ্যাসিস্ট শাসন চায়। বিএনপিও চায় হেফাজতে ভর করে ক্ষমতায় আসতে। আর হেফাজত চায় তাদের তালেবানি শাসন। এর কোনোটাই দেশের জন্য আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ।

 

৩. আওয়ামী লীগ বারবার বলে অনুপ্রবেশকারী বের করে দিতে হবে। সুবিধাবাদীদের দরকার নেই। কই কবে তালিকা করে কোথাও বের করেছে এমন নজির নেই। আশ্রয় কারা দিচ্ছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে? কারা নিজেদের পাল্লা ভারী করতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন তাদের চেহারা কি উন্মোচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকার অর্থে মনে-প্রাণে দলকে ভালোবাসে যারা এক যুগে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তাদের তো এই দুঃসময়ে উদার হাতে এ উগ্র সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে গণজাগরণ ঘটাতে অর্থ খরচ করার কথা। উগ্র সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ শক্তির ভোটের আশায় আর কালসাপ না পুষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ঐক্য সুসংহত ও শক্তিশালী করার কথা। কই কোথাও কাউকে তো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। নিজেরা নিজেরা গুঁতোগুঁতি মারামারি করতে পারেন আধিপত্য বিস্তারে, ক্ষমতার বলয় বাড়াতে, উগ্র সাম্প্রদায়িক হেফাজতকে দমনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামতে তো পারেন না। এ সর্বনাশা আত্মঘাতী খেলা কেন? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চিন্তা-চেতনা হৃদয়ে লালন ও ধারণ করলে ক্ষমতার অন্ধ মোহ থেকে মুক্ত হয়ে দুর্নীতির বাইরে সৎ ত্যাগের রাজনীতির পতাকা উড়িয়ে জনগণের মনটা জয় করতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করতে হবে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি ও ঠিকানা। জনগণের শক্তিতেই সারা দেশে উগ্র-সাম্প্রদায়িক তালেবানি হেফাজতকে প্রতিরোধ করতে হবে। ওরা হামেশা উগ্র দম্ভোক্তি দিচ্ছে। কোথাও না কোথাও অঘটন ঘটাচ্ছে। সব সীমা অতিক্রম করছে। আওয়ামী লীগকে তার সেই রণধ্বনি জয় বাংলা জনগণকে নিয়ে দিতে হবে। আবার সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের রক্তে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সেøাগান দিতে হবে দেশজুড়ে বীর বাঙালিকে জাগিয়ে, ‘তুমি কে আমি কে - বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা - পদ্মা মেঘনা যমুনা’, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর - তালেবানিদের প্রতিরোধ কর’। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের দীর্ঘ সংগ্রাম, ১৩ বছরের কারাজীবন, বারবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে আপসহীন থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা মাটিতে, সম্ভ্রমহারা আড়াই লাখ মা-বোনের আর্তনাদ। কত ক্ষয়ক্ষতি অগ্নিসংযোগ। একাত্তরের বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর ক্ষমা নেই। এখানে সাম্প্রদায়িক উগ্রতার জায়গা নেই। আইএসআই, জামায়াতের অর্থে, ইন্ধনে, সমর্থনে নব্য তালেবানি শক্তির উত্থান এখনই রুখতে হবে। সেদিন ওরা সেøাগান দিয়েছিল, ‘আমরা সবাই তালেবান - বাংলা হবে আফগান’ আমলে নিইনি। ওদের ঔদ্ধত্য ও শক্তি আজ বেড়েছে। ওদের এখনই রুখে দাঁড়াবার সময়।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সৈয়দ বোরহান কবীর এ উগ্র সাম্প্রদায়িক তালেবানি শক্তির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরেছেন। হেফাজতকে সামনে রেখে সব সরকারবিরোধী শক্তি একজোট হয়েছে। সবাই বুঝতে পারছেন। রাজনৈতিক দর্শনে অতিবামের এতিম অংশও মাঠে। রাজনৈতিক বর্ণচোরা সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুও রহস্যময় কারণে মাঠে। বলছে, রাজনীতি সরাতেই লকডাউন। কি অদ্ভুত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজ সরকারবিরোধী উগ্রপন্থিদের সরব অপপ্রচার নোংরামি চলছে। বৃহৎ দল আওয়ামী লীগ ও তার সুবিধাবাদীরা নীরব। একদম নিষ্ক্রিয়। আওয়ামী লীগের প্রচার সেল কই? বিভিন্ন গবেষণা সেল সিআরআইসহ সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কী করেন? আওয়ামী লীগ এক বছরে তার আদর্শিক গণমুখী কর্মীদের তাড়িয়েছে, নয় নষ্ট করেছে। তাই এ অবস্থা। কর্মীদের বাদ দিয়ে নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে পার্টিতে বেহুঁশ হয়েছিল। কোথায় আজ তারা? এই বিপদে দলের আদর্শের পক্ষে তাদের সাড়া নেই কেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলতে এত লজ্জা কীসের? এত উপকমিটির এত সদস্য কই কারও একটি স্ট্যাটাসও চোখে পড়ে না উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। কেন? সরকারবিরোধী উগ্রপন্থিদের মিথ্যাচারের জবাবও দিতে পারে না কেন?

৪. হেফাজত নেতা উগ্র তালেবানি মামুনুল হক সোনারগাঁয়ের রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে ধরা খেলেন। কই এটা যদি অন্য কেউ হতো কী অবস্থা বুঝছেন? প্রথমে পুলিশের ৩৬ ঘা। তারপর ট্রল আর ট্রল। মামুনুলরা সব সময় রিসোর্টে যাওয়া, অবকাশযাপনে যাওয়াকে বেলেল্লাপনা বলেন। ইহুদি-নাসারাদের সংস্কৃতি বলেন; কিন্তু তিনি গেলেন এমন এক নারীকে নিয়ে যিনি তার স্ত্রী কি না এ বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বলেছেন আল্লাহর কসম শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রী। নাম আমেনা তাইয়েবা। মামুনুলের মিথ্যাচার কত নির্লজ্জতার প্রকাশ। কিছু দিন থেকে শয়তান তাকে ভর করেছিল বলেই হয়তো ঘুরতে ঘুরতে তাকে নিষিদ্ধ গন্ধমের আকর্ষণের মতো সেখানে নিয়ে গেছে। মামুনুল প্রথম স্ত্রীকে মিথ্যা শিখিয়েছেন। আমাদের শহীদুলের ভাইয়ের স্ত্রী, এসে বুঝিয়ে বলব। কবে কোথায় কাদের নিয়ে বিয়ে করলেন, তার তথ্য নেই। কাবিনও নেই। দুষ্ট ছেলেরা এখন বলছে, বউয়ের মালিক শহীদুল হেফাজত করেন তালেবানি মামুনুল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সংসদে বলেছেন, যে নারীকে তিনি নিয়ে যান তিনি মামুনুলের স্ত্রী নন। আরও তথ্য আছে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তখন অনেক তথ্য পেয়েছে। মামুনুলকে মাদরাসাছাত্ররা লাঠিসোঁটা নিয়ে রিসোর্ট ভাঙচুর করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা আইন, বিধিবিধান মানছে না। এটা হতে পারে না। এটা চলতে দেওয়া যায় না। লকডাউনে কওমি মাদরাসা বন্ধ করা যাবে না, এমন ঔদ্ধত্য তারা দেখিয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ সেখানে মাদরাসা বন্ধের বাইরে। আপস করার সুযোগ নেই। এদের গ্রেফতার, আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কওমি মাদরাসা রাষ্ট্রের বাইরে নয়। এমনিতেই মাদরাসার অভ্যন্তরে যে বিকৃত যৌনাচার হয় তার খবর বেশ কিছু দিন ধরে প্রকাশ হচ্ছে। অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছে। ছাত্ররা মাদরাসার শিক্ষক দ্বারা দিনের পর দিন বলাৎকারের শিকার হচ্ছে। কি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ তো আছেই। এসবে সরকারের মনিটরিং বাড়াতেই হবে। একজন ছাত্রীকে ইমাম দিনের পর দিন ধর্ষণ করে অপবিত্র অবস্থায় কোরআন নিয়ে শপথ করায় কাউকে বলবে না। আল্লাহর আরশ কাঁপে তাদের বীভৎস বিকৃত যৌনাচারে, ধর্ষণে। মামুনুল হকের অতীত রেকর্ডও ভালো নয়। এসবের জন্য অনেক মাদরাসা থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এদের নামের সঙ্গে ‘আল্লামা’ কেন গণমাধ্যম ব্যবহার করে বুঝি না। সংবিধান মানবে না, আইন মানবে না, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মানবে না, রাষ্ট্রের রীতিনীতি মানবে না- তা হবে না। এদের একচুলও ছাড় আর দেওয়া হবে না। সরকারকে কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। এরা বাঙালির প্রাণের বর্ষবরণের বাংলা নববর্ষ নিয়ে কথা বললে তাদের কণ্ঠ রোধ করতে হবে। মাদরাসাকে মূলধারার আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। না মানলে এসব ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ তৈরির অপরাধে বন্ধ করে দিতে হবে। মাদরাসা আর ইসলাম এক নয়। একসময় এ দেশে কত আলেম-ওলামা ওয়াজ করতেন। ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার করতেন। এ কালের উগ্রপন্থিদের মতো সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষ বাতাসে ছড়াতেন না। মানুষ তাদের শ্রদ্ধা-সমীহ করত। কিন্তু হেফাজতি তালেবানরা যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন তা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, আইনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী, সমাজে অশান্তির আগুন ছড়ানোর। এদের  ছাড় নয়, আইনের আওতায় আনতে হবে।

৫. রাজনৈতিকভাবেই এ অন্ধকারের শক্তিকে রুখতে হবে। আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি। এদের বিরুদ্ধে জনগণের ইস্পাতকঠিন ঐক্য। ছাত্র-জনতার শক্তিশালী প্রতিরোধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ। এ দানব শক্তিকে রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অকুন্ঠ সমর্থন দিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রসমাজের উত্তাল মিছিল। চাই আগুন ঝরানো একেকটা মিছিল। নারীসমাজকে প্রতিরোধের আগুনে বিসুভিয়াসের মতো জনগণের সঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির গণমিছিলে আবার সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠতে হবে। সারা দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ অন্ধকার অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতেই হবে। ওরা আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওদের আক্রমণের আগে তাদের সরকারবিরোধী সব তৎপরতা ও তালেবানি শাসনের স্বপ্ন ধুলায় মিশিয়ে দিতে হবে। সব মন্ত্রী-এমপি জনপ্রতিনিধিদের উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির ভোটের হিসাব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে হবে। তাদের প্রতিটি অপ্রচারের জবাব সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে। গণমাধ্যমকেও এখানে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রেখে এ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। ওদের ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কেবল থানা নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও হামলা করছে। যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, লিখবে, তাদের পিষে মারার হুমকি দিচ্ছে। বায়তুল মোকাররম থেকে ওদের বের করে দিতে মুসল্লিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। হাটহাজারীর দুর্গ উচ্ছেদ করতে হবে। স্বাধীন দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ না মেনে সংবিধান, আইন, বিধিবিধান লঙ্ঘন করে  ওরা ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক তালেবানি শক্তিকেও আজ কঠোরভাবে দমন করতে হবে। এদের ক্ষমা নেই। এ দেশ উগ্র তালেবানিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। কতজন গ্রেফতার হলে এদের দম্ভের পতন হবে। কতজনের বিচার হলে এদের উগ্র ঔদ্ধত্য থেমে যাবে তা বুঝতে বাকি নেই। এত বিএনপি গ্রেফতার হলে, এত জামায়াত গ্রেফতার হলে, রাষ্ট্রের আদর্শ, সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করা, বিরোধিতা করা, আইন হাতে তুলে নিয়ে থানায় হামলা, উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষে সমাজকে বিষাক্ত করার অপরাধে হেফাজতের ১০০ জনকে কারাগারে নিক্ষেপ করলে সব চুপসে যাবে। সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না তার কারাজীবন নিয়ে ‘কারাগারে ২২ মাস’ বই লিখেছেন। পড়ছিলাম। অবাক হয়েছি অনেকের নির্দয় আচরণে। তার কন্যার আর্তনাদ বুকে এসে বাজল বড়। মান্না যদি ২২ মাস কারাগারে থাকেন রাষ্ট্রদ্রোহী মামুনুল হকরা কেন বাইরে? এ প্রশ্ন এসে যায়। এই মামুনুল হকের চরিত্র, ধুতরা ফুলের মতো পবিত্র। সে জাতির পিতার ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শরীরের সব রক্ত টকবগ করে দ্রোহের আগুনে ফুটেছে। ভাস্কর্য কেন স্থাপন হলো না? মামুনুলকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে জাতির পিতার ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করা হোক। এসব নিয়ে কোনো আপস হতে পারে না। শহীদের রক্তে আপসনামা লেখার অধিকার সরকার বা কাউকে ইতিহাস দেয়নি। দেবে না। বহু হয়েছে জাতির জনককে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর। সেই ভয়ংকর দিন কবে শেষ হয়েছে। এখন এদের দমন করার উপযুক্ত সময়। সারা দেশ রাজনীতির সংস্কৃতির উর্বর ভূমি হয়ে উঠুক। সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থিদের জন্য শহীদের রক্তে লেখা মাটি নিষিদ্ধ হোক। প্রকৃত আলেম যারা শান্তির সুললিত বাণী প্রচার করেন তাদের চারণভূমি হোক। এই যে হেফাজতের উগ্রপন্থি এদের আয়ের উৎস, অর্থের জোগান যাচাই-বাছাই অনুসন্ধান করা হোক। এই যে ফ্যাশনেবল আজহারী থেকে অনেকে ভোগ-বিলাসের জীবনে বসে হেলিকপ্টারে উড়ে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ান ওয়াজে ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন তাদের আয়ের উৎস সন্ধান করা জরুরি। সরকারকে কঠিন থেকে কঠিন হয়েই অ্যাকশনে নামতে হবে। গণজাগরণও ঘটাতে হবে। দেশের সর্বত্র বলতে হবে, ‘জাগো বাহে কুনঠে সবাই’।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]