• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল মুজিবনগর দিবস বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

ফিরে আসা মসলিনের জিআই স্বত্ব

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২১  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

হারিয়ে যাওয়ার পরও আবারও ফিরে এসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিন। ঢাকাই মসলিনের শেষ প্রদর্শনী হয়েছিল ১৮৫০ সালে, লন্ডনে। এর ঠিক ১৭০ বছর পর বাংলাদেশে আবার বুনন শুরু হয় মসলিনের। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের এই মসলিনের জিআই স্বত্বের (ভৌগোলিক নির্দেশক) অনুমোদনও মিলেছে। জিআই স্বত্ব উৎপাদকদের নিজস্বতার স্বীকৃতি দেয়। এতে অন্য দেশের সমজাতীয় পণ্য থেকে তাদের পণ্য আলাদাভাবে চেনা যায়। এই পণ্যের আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়। বিশ্ববাজারে উৎপাদনকারীরা পণ্যের জন্য ভালো দাম পান। ট্রেডমার্কের সঙ্গে এর পার্থক্য হলোট্রেডমার্ক কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিতে পারেন কিন্তু ভৌগেলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ একটি দেশ প্যাটেন্ট করতে পারে। যা সেই দেশের পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে পরিচিতি পাবে। এতে স্থানীয় উৎপাদকরা ভালো দাম পান। মোট কথা জিআই পণ্য কোনো দেশ আমদানি করতে চাইলে তাহলে উৎপাদনকারী দেশকে একটি নির্ধারিত হারে রয়্যালটি পরিশোধ করতে হয়। যা জিআই সনদ না পাওয়া পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না। জিআই পণ্য প্রক্রিয়ায় একটি দেশ তার দেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যকে নিবন্ধন করে। এর ফলে ওই পণ্যটি যেমন নিজস্ব ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পায়, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে সেই পণ্যের মূল্যও বাড়ে। জিআই পণ্য হিসেবে অনেক আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের জামদানি। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো মসলিন।

২০১৪ সালের অক্টোবরে মসলিনের ঐতিহ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় শুরুতে বাংলাদেশে যে যে অঞ্চলে মসলিন তৈরি হতো তার একটি প্রতিবেদন বানানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় দৃক। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং মসলিন প্রকল্পের উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম তিন বছর ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন কাপড় নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করেন। অনুসন্ধান করেন আসল মসলিন কাপড়ের। এক পর্যায়ে ভারতের জয়পুরে খুঁজে পান মসলিন কাপড় তৈরির তুলা গাছ ‘ফুটি কার্পাস’। সেখান থেকে বীজ নিয়ে এসে গাজীপুরের শ্রীপুরের তুলা উন্নয়ন বোর্ড গবেষণা কেন্দ্রে নতুন করে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এ গাছের চাষ শুরু করে দৃক। বিলুপ্ত আসল ফুটি কার্পাসের সঙ্গে এ গাছের কোনো তারতম্য আছে কি-না তা জানতেও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ২০১৯ সালে এখানে প্রায় ৩০০ গাছের আবাদ হয়। পরের বছর প্রায় ১৫০টি গাছের চাষাবাদ হয়। আসল ফুটি কার্পাস গাছ বছরে দু’বার চাষ হতো। এ গাছে বছরে একবার চাষ হচ্ছে। সাধারণত জুলাই মাসে ফুটি কার্পাস হয় এবং ডিসেম্বরে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়। দৃক এসব গাছ থেকে তুলা সংগ্রহ করে ভারত থেকে সুতা বানিয়ে নিয়ে আসছে। সেই সুতা দিয়ে দেশীয় তাঁতে মসলিন কাপড় তৈরি করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের একটি কমিটি গঠন করা হলে সেখানে তারা গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন। এর মধ্যে ছিলেন গোলাম মোস্তফা, মঞ্জুরুল ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, আব্দুল আলিমসহ আরও অনেকে। তারা মসলিন নিয়ে একটি প্রকল্পের কাজে হাত দেন। এই প্রকল্পের প্রধান ছিলেন মঞ্জুর হোসেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধাপক।

কাজের শুরুতে তাদের কাছে মসলিন কাপড়ের বা তুলার কোনো নমুনা ছিল না। তাই তারা পরিকল্পনা করেন, যে সুতা দিয়ে মসলিন বোনা হতো সেই গাছ খুঁজে বের করার। সেই গাছ আসলেই কার্পাস কি না তা যাচাই করা হয়েছিল সবার আগে। সে কাজের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল মসলিন কাপড়ের। অর্থাৎ একদম প্রথম থেকে মসলিন কাপড় আর কার্পাস তুলা খুঁজে বের করাই ছিল তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। মঞ্জুর হোসেন জানান, মসলিন কাপড়ের নমুনা পেলেই তারা সেটি কার্পাস গাছের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন। এক সময় সেই গাছ খোঁজার জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। এরপর ২০১৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ রাঙ্গামাটি থেকে এই গাছের সন্ধান মেলে এবং বিভিন্ন গবেষণার পর এরা মসলিনের কার্পাসের সঙ্গে মিল খুঁজে পান। সব জল্পনা-কল্পনা শেষে প্রায় ১৭০ বছর পর বাংলায় আবার মসলিন সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় অনন্য ও নতুন এক ইতিহাস।

নানা ধরনের মসলিন

মসলিন সাধারণত এক প্রকার বিশেষ তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুতকৃত এক প্রকার অতি সূক্ষ্ম কাপড়। ঢাকাই মসলিন নামেও এটি পরিচিত। ফুটি কার্পাস নামক তুলা থেকে খুব চিকন সুতা দিয়ে মসলিন তৈরি করা হতো। চরকা দিয়ে কাটা কিংবা হাতে বোনা মসলিনের জন্য সর্বনিম্ন তিনশো কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হতো যার ফলে মসলিন একদম স্বচ্ছ কাচের মতো দেখাত। ঢাকার কাছের সোনারগাঁ অঞ্চলে এই মসলিন তৈরি করা হতো। রাজকীয় পোশাক তৈরিতেই এর ব্যবহার বেশি ছিল।  মূল্যবান এই কাপড়ের ধরন আছে প্রায় ২৮ রকমের। তবে এর মধ্যে জামদানি এখনো বেশ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে আনুমানিক আঠারো শতকের শেষে বাংলায় এই মসলিনের বুনন বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত মসলিনের পার্থক্য করা হতো এর সূক্ষ্মতা, বুনন শৈলী ও নকশার ভিত্তিতে। একেক কারণে এর প্রকারভেদও আলাদা আলাদা নামের হয়। মসলিনের প্রকারভেদগুলোর মধ্যে আছে- 

মলবুস খাস : মলবুস খাসের অর্থ হচ্ছে খাস বস্ত্র। সব ধরনের মসলিনের মধ্যে এই মসলিন সবচেয়ে বেশি দামি ছিল যা ব্যবহার করতেন প্রাচীন সম্রাটরা। পরে আঠারো শতকের শেষে একই রকম বৈশিষ্ট্য নিয়ে মলমল খাস নামে আরও একটি মসলিন আবিষ্কার করা হয়। এই কাপড়টিই একটি আংটির ভেতর দিয়ে পুরোটা ঢুকানো যেত অনায়াসেই। এই মসলিনই অন্য দেশে রপ্তানি করা হতো।

সরকার-ই-আলা : মলবুসের মতো এই মসলিনও বেশ উঁচুমানের ছিল। এই মসলিন তৈরি হতো সাধারণত বাংলার তৎকালীন নবাব বা সুবেদারদের জন্য। সরকার-ই-আলা নামের এক স্থান থেকে পাওয়া খাজনা দিয়ে এর দাম শোধ করা হতো বলে এর এমন নামকরণ।

ঝুনা : ঝুনা শব্দটি উঠে এসেছে হিন্দি শব্দ ‘ঝিনা’ থেকে যার অর্থ সূক্ষ্ম। এই মসলিনও বেশ সূক্ষ্ম সুতা দিয়েই তৈরি করা হতো। তবে অন্যান্য মসলিনের তুলনায় এর সুতার পরিমাণ বেশ কম থাকত যার কারণে এই মসলিন দেখতে বেশ পাতলা দেখাত। এই মসলিন কখনোই বাইরে রপ্তানি করা হয়নি। এই মসলিন পাঠানো হতো রাজদরবারে। রাজদরবারের মহিলারা এই মসলিনের কাপড় গরমকালে ব্যবহার করতেন।

আব-ই-রওয়ান : আব-ই-রওয়ান শব্দটি একটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ প্রবাহিত পানি। মসলিনের এমন নামকরণের কারণ হচ্ছে এই মসলিন বেশ সূক্ষ্ম এবং এর সূক্ষ্মতা বোঝাতে পানির মতো টলমলে উপমা থেকে এর নাম হয়ে যায় আব-ই-রওয়ান। এই মসলিনের প্রচলিত বেশ কিছু গল্প রচিত হয় যা খুবই চমৎকার ছিল। জানা যায়, একবার সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারে তার মেয়ে উপস্থিত হলে তিনি বেশ রাগ করেই তার মেয়েকে বলেন তার কি কোনো কাপড়ের অভাব রয়েছে? তখন তার মেয়ে বেশ আশ্চর্য হয়ে বলেন তিনি আব-ই-রওয়ান মসলিনের সাতটি জামা পরে আছেন। প্রচলিত এই গল্প থেকেই আন্দাজ করা যায়, আব-ই-রওয়ান মসলিন কতটা সূক্ষ্ম এবং পাতলা ছিল। 

খাসসা : এই শব্দটিও ফার্সি শব্দ। এই মসলিন মিহি ও সূক্ষ্ম তবে এর বুনন বেশ ঘন ছিল। আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে সোনারগাঁ বিখ্যাত হয় এই খাসসা কাপড়ের জন্য। এরপর ১৮-১৯ শতকের দিকে জঙ্গলবাড়ি বিখ্যাত হয় এই খাসসার জন্য। ইংরেজরা একে ডাকত কুষা বলে।

শবনম : শবনম শব্দের অর্থ ভোরের শিশির। এক প্রকার মসলিন তৈরি হতো যা শিশিরভেজা ঘাসে শুকাতে দেওয়া হলে আর দেখাই যেত না। এই মসলিনই শবনম মসলিন। মসলিনের এই রকমটি ছিল খুবই মিহি আর সূক্ষ্ম।

নয়ন সুখ : এই মসলিন ব্যবহার করা হতো গলার রুমাল হিসেবে। সব মসলিনের মধ্যে কেবল এটিই বাংলা নামে নামকরণ করা হয়।

বদন খাস : বদন খাস মসলিন ব্যবহার হতো শুধু গায়ের জামার জন্য। তাই এর নামও বদন খাস। অন্যান্য মসলিনের মতো এই মসলিনের বুনন ততটা ঘন ছিল না।

জামদানি : জামদানি সাধারণত কার্পাস তুলা দিয়ে তৈরি করা হতো। মসলিনের উত্তরাধিকারী এই কাপড় তৎকালীন বাঙালি নারীদের বেশ পছন্দের ছিল। এই জামদানি সরাসরি তৈরি হতো না। মসলিনের ওপর নকশা করে একে তৈরি করা হতো। বর্তমান যুগে জামদানি বলতে আমরা কেবল শাড়ি বুঝলেও আগের যুগে এই জামদানির ইতিহাসের পেছনে বেশ কিছু ঘটনা জড়িয়ে আছে। ১৭ শতাব্দীতে এই জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানি বানানো হতো। এখনকার জামদানিতে বেশ পরিবর্তন এলেও আগের যুগের জামদানি ছিল শুধুমাত্র নকশা করা মসলিন।

পুরনো দিনের তাঁতিরা

দেখতে সুন্দর হলেও অতি সূক্ষ্ম মসলিন তৈরি করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। মসলিন তৈরিতে তাঁতিদের দিনে প্রায় আট দশ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। কাজ সহজ করার জন্য মসলিন তৈরিতে তাঁতিরা তিনজন মিলে একটি দল গঠন করে নিত। এই তিনজনের মধ্যে একজন ওস্তাদ, একজন সহকারী এবং আরেকজন কারিগর হিসেবে কাজ করত। বড়রা ছাড়াও ১০/১২ বয়সী শিশুরাও মসলিন তৈরিতে নিকারি হিসেবে কাজ করত। অর্থাৎ সরাসরি মজুরি ছাড়া শুধু খাবার ও থাকার জায়গাই পেত শিশুরা। তিন-চার বছর কাজ করার পর তাদের মজুরি দেওয়া শুরু হতো। ওস্তাদ তাঁতিরা দিনে এক দিনার করে মজুরি পেতেন। সহকারী তাঁতিরা তাদের থেকে ৪০/৫০% কম মজুরি পেতেন। প্রচণ্ড পরিশ্রমের পরেও তারা ন্যায্যমূল্য পেতেন না। ভারতবর্ষে ইংরেজদের আধিপত্যের পর থেকেই অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে শুরু করে। তারা তাঁতিদের সুতা কিনতে উচ্চসুদে অর্থ প্রদান করতেন। তাঁতিরা সময়মতো তাদের সুদ প্রদান না করতে পারায় সুদের পরিমাণ এক সময় আকাশছোঁয়া হয়ে যায়।

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে

১৭ শতকের শুরুতে ব্রিটিশ ও ডাচ ব্যবসায়ী লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে ভারতে যাত্রা শুরু করেন। এই সময় এরা বাংলার মসলিনসহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী সিরিয়ায় বিক্রি করতে শুরু করেন। ইস্তাম্বুলের এক বাজারে সরকারি গুদামে আনুমানিক ১৬৪০ সালের পুরনো প্রায় বিশ ধরনের মসলিন পাওয়া গেছে। আসলে এর বেশ উচ্চমূল্য পাওয়ার কারণেই ধীরে ধীরে এর বাণিজ্য শুরু হতে থাকে।

এই শতকের শুরুতে অস্টেন্ড কোম্পানি বাংলায় ব্যবসা করতে আসে। তারা তাদের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বস্ত্র কিনতে শুরু করে। ব্যবসায় লাভ শুরু হলে ঢাকায় বাস করা শুরু করেন কর্মকর্তারা। ১৭৪৭ সালে ঢাকার বস্ত্রশিল্প পণ্যে মসলিনের বাণিজ্যের মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ টাকা।

কেন হারিয়ে গিয়েছিল

ম্যানচেস্টারে শিল্প বিপ্লবের পর ইংরেজদের ব্যবসায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। ইউরোপিয়ানরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা শুরু করলে বাজারে সরবরাহ করত ইংরেজরা। মোগল শাসনামলে রমরমা অবস্থা বেশ কমে আসে, যার কারণে তৎকালীন মসলিন তাঁতিদের দুর্দশা শুরু হতে থাকে। এক সময় বিভিন্ন কারণে তাঁতিদের মসলিন নিয়ে কাজ করার সুযোগ কমে আসতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বাংলায় ও ঢাকার আশপাশে মসলিনের তাঁত বন্ধ হয়ে যায়। এর পেছনে মূল ঘটনা ছিল কারিগরদের পালিয়ে যাওয়া, মসলিনের প্রধান উপকরণ কার্পাসের চাহিদা কমে আসা এবং কার্পাসের জমিতে বিকল্প চাষবাসের শুরু। জানা যায়, ব্রিটিশ শাসকরা মসলিন তাঁত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মসলিন বুননকারীদের হাতের বুড়ো আঙুল কেটে দিতেন। অন্য এক তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশরা নয়, বরং মসলিন তাঁতিরাই নিজেদের আঙুল কেটে ফেলতেন যেন তাদের আর তাঁতের কাজ করতে না হয়। আর এসব কারণেই ধীরে ধীরে মসলিনের বুনন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় একসময়।

এছাড়া ১৭৪২-১৭৮৭ সালে ব্রিটেনে শিল্প বিপ্লব শুরু হলে স্থানীয়ভাবে তুলা উৎপাদন করা শুরু হতে থাকে। আর ব্রিটেন থেকে তুলা আমদানি করার কারণে মসলিন শিল্প এক সময় হারিয়ে যায়। শস্য রপ্তানির ওপর এক সময় ট্যাক্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যার ফলে মানুষ মসলিন তাঁত ছেড়ে চাষের দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠতে শুরু করে। তাছাড়া ভয়াবহ বন্যা, দুর্ভিক্ষের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলা। মসলিন তৈরির ওপর শুল্ক ধার্য করার পর থেকেই মূলত বাংলার বাণিজ্যে এর পতন ঘটতে থাকে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]