শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
সাংগঠনিক অদক্ষতা ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে প্রাণহীন হয়ে পড়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল। এজন্য বর্তমান কমিটিকে দায়ী করেছেন সংগঠনের পদ প্রত্যাশী ও সাবেক নেতারা।
তারা বলেন, বর্তমান কমিটির নেতারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুব সমাজের উন্নয়নে তেমন কোনো কর্মসূচি হাতে নিতে পারেনি। গড়ে তুলতে পারেননি আদর্শ নেতৃত্ব। আন্দোলন সংগ্রাম এমনকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পর্যন্ত গঠনেও তারা ব্যর্থ।
হতাশার সুর নিয়ে তারা বলেন, বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যে সংগঠনটি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, সেই সংগঠনটি আজ যোগ্য, মেধাবী ও চৌকস নেতৃত্বের অভাবে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে। কার্যকারিতা হারিয়েছে অনেক আগেই। নেতৃত্ব কোন্দলে বিপর্যস্ত অবস্থা সংগঠনটির। নেই কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম।
গত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় সাইফুল আলম নিরব নিজস্ব বলয় গড়ে তুলেছিলেন, এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি হয়ে নিজের আস্থাভাজনদের রাখতে চান কমিটিতে। অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা থাকা অবস্থায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তার নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেছিলেন। তিনিও তার আস্থাভাজনদের কমিটিতে আনতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পদ প্রত্যাশী বলেন, দুই নেতার এই নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় না। যার ফলে নেতাকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন বা বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেয় না। কারণ রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে, নেতা-কর্মীরা সেটা বাঁচানোর জন্য হলেও মাঠে নামত।
তারা বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব তার ব্যক্তি স্বার্থে যুবদলকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন। যে লক্ষ্য আদর্শ নিয়ে বর্তমান কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা বিগত দিনে কার্যকর কিছুই দেখাতে পারেনি।
২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি পূর্ববর্তী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সংগঠনটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ১৯৭৮ সালে আবুল কাশেমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আবুল কাশেমকে সভাপতি, সাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ কাউন্সিলের মাধ্যমে যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন মির্জা আব্বাস এবং সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই দুইজনই আবারো যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে বরকতউল্লাহ বুলুকে সভাপতি ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১ মার্চ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাইফুল ইসলাম নীরব যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি সাইফুল ইসলাম নীরবকে সভাপতি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদলের কমিটি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
যুবদলের প্রথম আহ্বায়ক আবদুল কাশেম এখন বিএনপির কোনো পর্যায়ের রাজনীতিতে নেই। প্রথম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান যুবদলে থাকার সময়ে জাতীয় পার্টিতে চলে যান। মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আছেন। তাদের পরে বরকতউল্লাহ বুলু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়