দীঘিনালায় মুজিববর্ষে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে ৪১৯ পরিবার

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষকী উপলক্ষে হতদরিদ্র গৃহহীন ৪১৯ পরিবার প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর পাচ্ছেন।

মজিববর্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন ৪১৯ হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার। উপজেলা হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারের ঘর করার পাশাপাশি যাদের বসবাস করার মতো জায়গা নেই। তাদের জন্য উপজেলার ১ নং মেরুং ইউনিয়নের ৫ নং ওর্য়াড বড় মেরুং’র জুরজুরি পাড়ায় ৪২টি ও ৪ নং ওর্য়াড বেতছড়ি পশ্চিম পাড়ায় ৬০ টি ঘর একসাথে সারিবদ্ধ করে ঘর তুলা হয়েছে। যাদের বসবাস করার মতো কোন জয়গা নেই তাদের বসবাস করার জন্য ২ শতাংশ জমিসহ ঘর গুলো বরাদ্ধ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সারিবদ্ধ করে ঘর নির্মাণ এবং ছাউনি রঙ্গিন(লাল রং) টি দেওয়ায় দূর থেকেই দৃষ্টি কাড়ছে মানুষদের। ঘর গুলো দেখতে পর্যটকদের মত ভীড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মজিববর্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ‍উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্র ৪১৯ পরিবার ঘর পাচ্ছে তার মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম ব্যাক্তিগত খরচে ২ টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। মজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘর ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় করে ১৬৭ টি ঘর নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘর ১লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে ২৫০ টি ঘরের জন্য ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছে সরকার । ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে তবে বাজারে টিন না থাকায় একটু ‍দেরি হচ্ছে হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করতে। তবে প্রথম পর্যায়ের ১৬৭ টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষে হতদরিদ্র ৩০ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

shodagor.com
মজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ার পর উপজেলার বেতছড়ির পৃতিপৃর্ণ চাকমা (৫৫)
অনুভূতি প্রকাশ করে পিবিএন২৪ কে পৃতিপৃর্ণ চাকমা(৫৫) বলেন, দিনমজুরী করে কষ্ট করে টেনেটুনে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। সন্তানদের নিয়ে বর্ষামৌসুমে ঘরে তেমন একটু আরামে থাকতে পারি না, পানি পড়ে ঘরের চাল বেয়ে, তবে শেখহাসিনা সরকার আমাদের এই দূর্গম পাহাড়ে মানুষের কথা চিন্তা করে এতো সুন্দর এবং মজবুত করে পাকা ঘর করে দিয়েছেন আমরা খুব আনন্দিত, আমাদের কথা শেখ হাসিনা চিন্তা করছেন। এসময় একই এলাকার বাচ্চু মনি চাকমা (৩৫) বলেন আমরা কখনো ভাবি নাই শেখ হাসিনা সরকার আমাদের জন্য ঘর দিবেন, আমরা প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা মনে রাখবো, আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে ঘর নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে থাকলেও বাজারে টিনের যোগান কম থাকায় ছাউনি শেষ করতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে শিগগিরই কাজ শেষে হয়ে যাবে ঘরের। ঘর গুলো হস্তান্তরে’র পর উপজেলায় ভাঙ্গাঘর এবং ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে থাকা দারিদ্র্য দুর্দশার মানুষ তেমন চোখে একটা পরবে না।মজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে তালিকা চূড়ান্ত করতে স্বামী পরিত্যক্ত, বয়স্ক, অসহায় রাবণের হত দরিদ্র’ দের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

মজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহারের বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি মোহাম্মদ কাশেম বললেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার ইচ্ছেকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনাে দেশে হতদরিদ্র গৃহহীনদের ঘর ও জমি প্রদানের উদ্যোগ বিগত দিনে কেউ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার সেই কাজ করে দেখিয়েছেন।আমরা আশাবাদী এই উপজেলার মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে সর্বদা থাকবে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের একমাত্র লক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের।