• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি প্রবাস মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা শোষণের শিকার: জাতিসংঘ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক- প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস-প্রধানমন্ত্রী ২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল মুজিবনগর দিবস বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ করতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের মিথ্যাচার

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১  

ছবি- সংগৃহিত।

ছবি- সংগৃহিত।

সন্তোষ চাকমা, রাঙামাটি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশাল অংশ জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম অর্জন বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। আর এই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশী সেনাবাহিনীকে না নিতে জাতিসংঘে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট রিপোর্ট প্রদান করে আসছে! সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করছে এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশ গুলোর কূটনীতিক মহল, এনজিও, দাতাসংস্থা সহ মিশনারীরা। এজন্যই অর্থ যোগান দিচ্ছে ডেনমার্ক ও নরওয়ের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের "ডনাক" নামের একটি প্রকল্প। ডনাক পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনী সম্পর্কে ২০০১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সেনাবাহিনী নিয়ে বেশ কয়েকটি বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদীত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলে সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাস্ট্রীয় বনজ সম্পদ রক্ষার জন্য এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোতায়েন করে বন বিভাগের উপর হামলার পর৷ এরপর সরকার বাধ্য হয়ে সমতল জেলাগুলা হতে বাঙালি পূর্ণবাসন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম। উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে রাস্ট্রের নাগরিকদের উপর গণহত্যা পরিচালনা করেছে। সেনাবাহিনী সেখানে রাস্ট্রীয় বনজ সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে গিয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য গিয়েছে। শান্তি স্থাপনের জন্য আত্মত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে আসছে।

১৯৯৭ সালের ২ -রা ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তুর সঙ্গে "পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি" সাক্ষরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম কিছুটা কমে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে সেনাবাহিনীর পূর্বেরকার ক্ষমতাবল নেই। ক্ষমতাবল অনেকটাই অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চুক্তির কারণ ও আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের চলমান সঙ্কট নিরসন, অস্থিরতা বন্ধ করা, সংঘর্ষ অবসান করে পাহাড়ের শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেওয়া, এবং পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা। কিন্তু তার কোনটিরই প্রতিফলন ঘটেনি উপরোক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে। বরং অতিরঞ্জিত সুবিধা ভোগ করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা রাস্ট্রের বিরুদ্ধে নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে বলা যায়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অবৈধ অস্ত্র পাহাড় থেকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার হয়নি। পাহাড় এখনো অশান্ত, তাই ৪টি বিগ্রেড ও কিছুসংখ্যক সেনাবাহিনী চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যমান রয়েছে। চুক্তির সহযোগিতাকারি হিসেবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত থাকার কারণ সম্পর্কিত বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক অবস্থান, পটভূমি সহ বাস্তবতা তুলে ধরা উচিত পাঠকমহলের জ্ঞাতার্থে। সে প্রেক্ষিতে পাঠকমহলের জ্ঞাতার্থে কিছু বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরছি বুঝার সুবিধার্থে।

১৯৭১ সালে সদ্য দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠন হয়! অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন হওয়ার এই প্রশ্নের জবাব কে দিবে? যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত ও অগোছালো নব্য স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে কেন অস্ত্র হাতে নেওয়া হয়েছিল? একটি দেশকে পূর্ণগঠন হওয়ার সুযোগ না দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্বায়ত্তশাসন দাবি এবং অস্ত্র হাতে নেওয়ার এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? বঙ্গবন্ধুর ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধতা করে অস্ত্র হাতে নেওয়া অধিকারের জন্য ছিল না। এর পেছনে ছিল অন্য নৈপুণ্য।

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল: উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে রাস্ট্রীয় স্থাপনা বন বিভাগের উপর হামলা শুরু করে ১৯৭৫ সালে। তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ছিল না। বাঙালিও ছিল না। তার পরেও রাস্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা! আর কেন এই এ হামলা হল?

অস্ত্র হাতে নেওয়া এবং হামলা এটা কি একটি স্বাধীন দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ ছিল না? সরকার তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক বনজ সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য হন। সেনাবাহিনী মোতায়েন করার পর ১৯৭৭ সালে বান্দরবান সাঙ্গু নদীতে সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা করে ৫ সেনাসদস্যকে হত্যা করে। তখন তো পাহাড়ে বাঙালি ছিল না, কেন পাহাড়ে সেনা ও রাস্ট্রীয় সম্পদের উপর হামলা হল? আজ যারা বলছে, পাহাড়ে সব সমস্যার মূল বাঙালি আর সেনাবাহিনী, তাদের কাছে প্রশ্ন ১৯৭৫ সালে পাহাড়ে কিসের সমস্যা ছিল? তখন তো বর্ণিত মহল পাহাড়ে ছিল না। কেন তখন হামলা হল আর তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠন হল? উদ্দেশ্যে কি ছিল? বাস্তবতার নিরিখে বলতে গেলে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা অধিকার আদায়ের সমস্যা নয়, সেনাবাহিনী কিংবা বাঙালিরও সমস্যা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার পেছনে অন্য অজানা কারণ লুকিয়ে আছে, এবং নৈপুণ্যে অন্য কিছু আছে। যেটা অদূরে বসে স্বাভাবিক ভাবে প্রতীয়মান করা প্রায়ই অসম্ভব।

পার্বত্য চট্টগ্রামের চরম বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উপজাতি জনগোষ্ঠীর একটি কতিপয় অংশ মেনে নিতে পারেনি। আত্মস্বীকৃত রাজাকার ত্রিদিব রায় তারই জলন্ত উদাহরণ। স্বাধীনতার পূর্বে থেকে তথাকথিত চাকমা রাজ পরিবার চায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম পশ্চিম পাকিস্তানের অংশে পড়ুক। তারা চেয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ভারতের অংশে পড়ুক এবং বান্দরবান বার্মার অংশে পড়ুক। সেজন্যই তারা ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগ কালে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিল, এবং বান্দরবান অংশে বৌমাং সার্কেল বার্মার পতাকা উত্তোলন করেছিল৷
স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়, তাদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তাদের রাজ প্রথা রাখবে না এদেশের শাসকরা। এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটবে। এই চিন্তা দ্বারা থেকে শুধু সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে রাজাকার ত্রিদিব রায় ও তার বংশধরা স্বাধীনতার যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল। এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পরে উপজাতিদের একটি উগ্রবাদী অংশ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারই অংশ হিসেবে ১৯৭২ সালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে তথাকথিত শান্তিবাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়। তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠনে প্রতিবেশী রাস্ট্রের ইন্ধন এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী মহল সহায়তা করেছিল। উপজাতিদের সেসব ষড়যন্ত্র ও দেশদ্রোহী বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানা হলেও ইতিহাসবিদদের কাছে অজানা নয়।

১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র নেওয়া এবং ১৯৭৫ ও ১৯৭৭ রাস্ট্রীয় স্থাপনা, সম্পদ ও রাস্ট্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা ও ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে সরকার তৎকালীন পাহাড়ের ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যেই বাঙালি পূর্ণবাসন করে।

বাঙালি পুর্ণবাসন করার পরে রাস্ট্রীয় বাহিনী ও বাঙালিদের উপর হামলা পরিচালনা করে সন্ত্রাসীরা। একে একে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩ টির মত বাঙালি গণহত্যা পরিচালনা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধে বহু উপজাতি-বাঙালি নিহত-আহত হয়।
শান্তি স্থাপন ও দীর্ঘ সংঘাত এবং রক্তারক্তি যুদ্ধ থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন সরকার তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখে। সে দ্বারা বজায় রাখে পরবর্তী সরকারও। তৎকালীন শেখহাসিনা সরকার তার ব্যতিক্রম করেনি। তবে তিনি তড়িঘড়ি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত করেন। চুক্তির বিষয়ে বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনপ্রকার আলোচনা করেন নি। শুধুমাত্র উপজাতি জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি চুক্তি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে পার্বত্য বাঙালি জনগোষ্ঠী মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়। অবহেলিত হয় পার্বত্য বাঙালিরা। বৈষম্যেমূলক পার্বত্য নীতিতে বাঙালির জীবন পিষ্ট হয়। যদিও এই চুক্তিতে অস্থিতিশীলতা, রক্তারক্তি সংঘর্ষ কিছুটা বন্ধ হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং উপজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে শেখহাসিনা সরকার ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তুর সঙ্গে "পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি" সম্পাদিত করেন। এই চুক্তিতে সরকার উপজাতি জনগোষ্ঠীর সকল চাহিদা-দাবিদাওয়া মেনে নেয় কোন শর্ত ছাড়া। সরকারের পক্ষ হতে তেমন কোন শর্ত ছিল না। চুক্তির মৌলিক ধারা ছিল অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সরকারের নিকট অস্ত্র আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। তার লক্ষ্যে সরকার তাদের পুর্ণবাসন সহ কর্ম পরিধি সৃষ্টি করবেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার সব ধারা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় অব্যাহত রেখেছেন। পাহাড় হতে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার ইতিপূর্বেই ২৪০ টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে ব্যারাকে ফিরে নিয়েছেন।
কিন্তু সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় যে, উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চুক্তির মৌলিক ধারা লঙ্ঘন করে পাহাড়ে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। সে ১৯৯৭ থেকে অদ্য পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করে আসছে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী বিদ্যমান থাকার কথা নয়, সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করে সুস্থ দ্বারায় ফিরিয়ে আসার তাগিদ আছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজকতা অবসান করার কথা ছিল। অথচ ভাঁওতাবাজি করে চুক্তির তৎকালীন সময়ে কিছুসংখ্যক ভাঙা মরচে ধরা অস্ত্র জমা দিয়ে "পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার শর্ত মোতাবেক রাস্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে।" আর বলছে তারা অভিযোগ করছে যে, সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না!
সরকার বক্তব্য, তারা ইতোমধ্যে চুক্তির ৪৮ টি ধারা বাস্তবায়ন করেছে, ১২ টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত করেছে এবং অবশিষ্ট ১২টি ধারা বাস্তবায়ন প্রতিক্রিয়াধীন বলছে। অথচ সন্ত্রাসীরা সবকিছুই পূর্বেকার মত বিদ্যমান রেখেছে!

যদিও এই পার্বত্য চুক্তিকে দেশবাসী দেশের জন্য মঙ্গলজনক মনে করে না। পার্বত্য বাঙ্গালিরা এটাকে কালো চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে এখনো চুক্তির বর্ষফুর্তিতে চুক্তি বাতিল ও সংশোধনের আন্দোলন করে আসছে। পার্বত্য বাঙালিদের দাবি এই চুক্তি সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এই চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে উচ্ছেদের শিকার হবে এবং বাংলাদেশ হারাবে তার এক-দশমাংশ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি বলেছে, এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য ভূখণ্ড অরক্ষিত হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য ভূখণ্ড। পার্বত্য চুক্তিকে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি দেশ বিক্রির কালো চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে চুক্তির বেশিরভাগ ধারা বাস্তবায়ন করেছিল!

চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হওয়ার পরেও পাহাড়ে সে সন্ত্রাসবাদ কায়েম কোন অংশেই কমেনি। বরং আগে ছিল একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, এখন চারটি সন্ত্রাসী সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। আগে চাঁদা দিতে হতো এক সংগঠনকে এখন চাঁদা দিতে হয় চার সংগঠনকে! সংগঠন গুলো হল-
১. জেএসএস মূল সন্তু,
২. জেএসএস এম.এন লারমা,
৩. ইউপিডিএফ প্রসিত,
৪ ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক বর্মা।
এসব সংগঠন গুলো বিভিন্ন নামে সৃষ্টি হয়েছে ঠিক কিন্তু আর্দশগত দিক দিয়ে তারা সবাই অভিন্ন। বরং তারা নামে আলাদা আলাদা হলেও তাদের সবার সাইনবোর্ড কিন্তু জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করা!

এখন পাহাড়ে যেসমস্ত সেনাবাহিনী রয়েছে, তারা পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আছে। চুক্তিতে বলা আছে পাহাড়ে ৬টি ক্যান্টনমেন্ট আঁকারে সেনানিবাস থাকবে। কিন্তু এখন আছে মাত্র ৪টি বিগ্রেড! আর এ ৪টি ব্রিগ্রেড পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে তা চুক্তিতে উল্লেখ আছেই। চুক্তির সে ধারা মোতাবেক পাহাড়ে সেনাবাহিনী কাজ করছে। শর্ত অনুযায়ী অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প গুলো চলে গেছে। কিছুসংখ্যক সেনা ক্যাম্প রয়েছে স্থানীয় উপজাতি-বাঙালিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। ১৯৯৭ সালের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে স্থানীয় সাধারণ উপজাতি-বাঙালিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক, হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার সংকট তৈরি হয়েছে। এখানকার মানুষের জনজীবন হুমকির মুখে। তাই স্থানীয়দের দাবির মুখে সরকার কিছুসংখ্যক সেনা ক্যাম্প রেখেছে৷ সন্ত্রাসীদের অভিযোগ, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক শাসন জারি রয়েছে৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। ১৯৯৭ সালের চুক্তি শর্ত মোতাবেক সেনাশাসক এবং অপারেশন দাবানল পাহাড়ে বিলুপ্তি ঘটে। বর্তমানে অপারেশন উত্তোলন চলছে। অবৈধ অস্ত্রের সমাপ্তি ঘটলে সেনাবাহিনী চলে যাবে। পাহাড়ে এখনো অবৈধ অস্ত্রধারী রয়েছে। তারা এখনো হানাহানি, রক্তারক্তি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সাধারণ মানুষ হত্যা করে। চাঁদাবাজি, অপহরণ খুন-গুম করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে৷ পাহাড়ের আনাচে-কানাচে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিচরণ। চুক্তির পরেও পাহাড়ে রক্তের হোলিখেলা চলে৷ বারুদের গন্ধ এবং সারি সারি লাশ পার্বত্য জনজীবন বিষময় করে তুলছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত ও বার্মার সীমান্ত। এ সীমান্তের দীর্ঘ পথে নেই কাঁটা তারের বেড়া। প্রতিবেশী দেশগুলো হতে এবং প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসীরা অবাধে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র গ্রহণ করে থাকে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক রিপোর্ট কিন্তু তাই বলে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভারত মধ্যকার বিজিবি- বিএসএফ প্রধানের ৫১ তম সম্মেলনে বাংলাদেশে বিজিবি ভারতের বিএসএফ-এর কাছে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের উপজাতি সন্ত্রাসীরা ভারতের মাটিতে আশ্রয়-প্রশ্রয় গ্রহণ করে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতায়। এমনকি বাংলাদেশের উপজাতি সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলোর ভারতের মাটিতে ঘাঁটি থাকার অভিযোগও করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে ভারতের বিএসএফ-এর পক্ষ হতে আশ্বস্ত করা হয়। ভারত থেকে আগত অস্ত্র এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে সন্ত্রাসীরা। রাঙামাটি নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা সহ ৬ হত্যাকান্ডের ঘটনা, এবং রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকা সরকারি জনবলের উপর ব্রাশ ফায়ার করে ৭ জনকে হত্যার ঘটনা কি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের ব্যবহার করার প্রমাণ বহন করে না? পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কমবেশি সকলেরই জানা থাকার কথা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যে, উপজাতি সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসবাদ এবং রাস্ট্র বিরোধী তৎপরতায় নিয়োজিত তা এসমস্ত ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়।

এদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলা পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরে না! এর ফলে পাহাড়ের চরম বাস্তবতা ধামাচাপা পড়ে যায়৷ শুধুমাত্র বাঙালিদের বিষয়ে কাল্পনিক মিথ্যাচারকে প্রকৃত রুপ দেয় গণমাধ্যমগুলা। উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বছরে পাহাড় থেকে ৭০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার খবরটি ফলাও করে অদৃশ্য কারণে প্রচার করা হয় না! অন্যদিকে পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলে সেনাবাহিনী ও বাঙালির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে তথাকথিত গণমাধ্যমগুলা। আর ৭০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার খবর ফালাও করে প্রচার করে না। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও অপরাধ দামাচাপা দেওয়ার ঘটনা বিস্ময়কর।

সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যে যৌথবাহিনী সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা পূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। সেনাবাহিনী যখন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে, তখন উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজি সহ সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়। সেজন্যেই মূলত উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তথাকথিত গণমাধ্যম, এনজিও, দাতাসংস্থা ও মিশনারী সহ এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা জাতিসংঘের নিকট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনী নেওয়া বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে নানান ষড়যন্ত্র করছে। যাতে সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে চলে আসে এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে। মূলত উপজাতি সন্ত্রাসীদের প্রধান বাধা সেনাবাহিনী।
তাছাড়া উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর এবং দক্ষিণ সুদানের মত অবিকল রাস্ট্র গঠন করার দিকে হাঁটছে। সে পথে অন্যতম বাধা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৭২ সালে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর যাত্রার লক্ষ্য কিন্তু এটাই ছিল। বর্তমানে ইউপিডিএফও সে পথে হাঁটছে। উপজাতি সব সন্ত্রাসীরা জুম্মা লিবারেশন আর্মি (জেএলএ) নামে একটি অস্ত্রধারী বাহিনী গঠন করেছে কথিত স্বপ্নের জুম্মাল্যান্ড গঠন করার জন্য। ইতোমধ্যে জুম্মাল্যান্ডের প্রশাসনিক অবকাঠামো তৈরি করেছে। তারা মূদ্রা, মানচিত্র, পতাকা, প্রেসিডেন্ট, সরকার, মন্ত্রী পরিষদ তৈরি করে অনলাইন প্রচার করছে। এটিকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। রাস্ট্রও রাস্ট্রের যারা মঙ্গল কামনা করে তাদের ভাববার বিষয়।

সেনাবাহিনীকে পাহাড় থেকে বিতাড়িত করতে তারা কি না করছে-

সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালীকে পাহাড় থেকে সরাতে নানান রকমের ছক কষে আছে তারা-
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও বাঙালিরা উপজাতিদের ভূমি দখল করে, উপজাতি নারী ধর্ষণ করে এবং অপারেশন উত্তোলনের নামে জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন করে! এই ধরনের মিথ্যা-বানোয়াট কাল্পনিক অভিযোগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনেন তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক মাসিক ও বাৎসরিক পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে জঘন্যতম রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এসব রিপোর্ট মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ রিপোর্ট গুলো তৈরি করতে সহযোগিতা করে এদেশীয় তথাকথিত সুশীল, বাম ও গণমাধ্যমগুলা। আর এদের সবাইকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগীতা করে "ডেনমার্ক ও নরওয়ের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডনাক) নামের একটি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।" প্রতিবেদন গুলো জাতিসংঘের দপ্তরে পৌঁছাছে ভূমিকা রাখে এদেশে নিয়োজিত থাকা পশ্চিমা ও ইউরোপীয় কুটনৈতিকমহল ও জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম "ডয়েচে ভেলে।" ঢাকা অবস্থানরত নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও নরওয়ের কূটনীতিকগণ।

জাতিসংঘের বিভিন্ন অধিবেশনে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে উগ্রবাদী ও দেশদ্রোহী মনোভাবের ব্যক্তিদেরকে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পশ্চিমা কূটনীতিক মহল গুলো। এরা সন্ত্রাসীদের এজেন্ট হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন চলে বলে মিথ্যা-বানোয়াট রিপোর্ট প্রদান করে আসছে। সেনাবাহিনী দ্বারা উপজাতি ভূমি দখল, নারী ধর্ষণ, পর্যটন শিল্পের নামে তাদের ভাষায় (আদিবাসী) উচ্ছেদ এবং তথাকথিত আদিবাসীদের ঘর থেকে তুলে এনে হত্যা, বর্বরোচিত নির্যাতন করার মত মারাত্মকভাবে অভিযোগের রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। কুটনৈতিক রিপোর্ট ও উপজাতি সন্ত্রাসীদের এজেন্টের অভিযোগ এবং রিপোর্টের মাধ্যমে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নেওয়া বন্ধ করার হুমকি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার এবং নিষ্ক্রিয় করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখিতরা।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করা "পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) পার্বত্য চুক্তি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত করার সময় নিজেদের উপজাতি হিসেবে দাবি করে চুক্তি সম্পাদিত করে।" অথচ আজ তারা সহ উগ্রবাদী উপজাতিরা নিজেদের আদিবাসী দাবি করে জাতিসংঘের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সহ নানান সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে ২০০৭ সালে। এই ঘোষণাপত্রে উপজাতি ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কথা আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা আছে। অথচ উপজাতিরা "উপজাতি সম্পর্কিত ঘোষণাপত্রটি" না পড়ে শুধু আদিবাসী সর্ম্পকিত ঘোষণাপত্রটি পড়ে নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করছে! এই থেকে উপজাতিরা আন্তর্জাতিক আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের উপজাতি হতে আদিবাসী দাবি করে সুযোগ নেওয়ার নির্লজ্জ চেষ্টা করছে। আর জাতিসংঘও এদেশীয় "উপজাতি জনগোষ্ঠীকে যাচাই-বাছাই না করে তাদের আদিবাসীদের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রোগ্রামে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে এই উপজাতিরা আদিবাসী সেজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাঙালির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে জাতিসংঘের অধিবেশনে।

পাহাড় ও সেনাবাহিনী নিয়ে তারা সেসমস্ত রিপোর্ট আদান-প্রদান জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে করছে তার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই।
পাহাড়ের চরমবাস্তবতা হচ্ছে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাহাড়ে নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তার কিছু তথ্য তুলে ধরছি-

১. ২০০৮ রাঙামাটি নানিয়ারচর সেনা ক্যাপ্টেন গাজীকে জেএসএস সন্তু থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ প্রসিত গুলি করে হত্যা করে। যার মামলা চলমান। আসামীরা সব জামিনে আছে, প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে। যদি পাহাড়ে সেনাশাসন চলমান থাকতো তাহলে কি সেনা হত্যাকারীরা বেঁচে থাকতো?

২. ২০১৭ সালে বাঘারহাট সেনা জোনের এক সদস্যের হাত ব্রাশ ফায়ার করে অকেজো করে দেয় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।

৩. মানবসেবায় গিয়ে পাহাড় ধসে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তানভীর সহ ৬ জন নিহত হয় রাঙামাটি মানিকছড়ি পাহাড় ধসের সময়!

৪. ২০২০ সালে রাঙামাটি রাজস্থলী সেনাসদস্য মোঃ নাছিমকে গুলি করে হত্যা করে। এবং সেনা ক্যাপ্টেনকে গুলিবিদ্ধ করে জেএসএস। যার মামলা চলমান। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে। যদি পাহাড়ে সেনাশাসন চলমান থাকতো তাহলে কি সেনা হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করা অবস্থায় পেতো?

৫. খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি সেনা মেজরকে পায়ে গুলি করে আহত করে ২০২০ সালে ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীরা।

৬. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাহাড় ভ্রমণে আসা পর্যটক দলের খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি আসার গাড়িবহরে পথিমধ্যে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য গুলিবর্ষণ করে। এতে হানিফ পরিবহন চেয়ার কোচের গাড়ির বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনারস্থলে পৌঁছাতে গিয়ে পাহাড় থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়।

এছাড়া পার্বত্য চুক্তির পরে আগে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী সহ আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে। তথাকথিত গণমাধ্যমের কারসাজি আর এদেশীয় অপশক্তি এবং বৈদেশিক অপশক্তির কারণে এ বিষয় গুলো অগোচরে রয়ে গেছে!

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঙালির চেয়ে উপজাতি জনগোষ্ঠী বেশি গ্রহণ করে। উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। পাহাড়ে, উপজাতি প্রসূতি নারী, ভাল্লুকে আক্রান্ত উপজাতি রোগী, হামে আক্রান্ত উপজাতি রোগীদের সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে সাহায্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে থাকেন। সেনাবাহিনীর এমন মানবসেবামূলক অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শুধুমাত্রই উপজাতি সন্ত্রাসীরা তা স্বীকার করে!

পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র উপজাতি জনগোষ্ঠীর মুক্তির অগ্রদূত্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর কারণে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম করতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তারজন্য মূলত তারা পাহাড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না। সেজন্যই দেশ-বিদেশ এবং জাতিসংঘে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা- বানোয়াট রিপোর্ট প্রদান করছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের এসমস্ত অভিযোগ যে, মিথ্যা-বানোয়াট সন্ত্রাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্মকান্ড দেখলে প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলা একতরফাভাবে সেনাবাহিনী এবং বাঙালিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাঙালি লেখক না থাকার কারণে উপজাতি সন্ত্রাসীদের মিথ্যা গুজব প্রচার ভালোই হচ্ছে। তারা পাহাড়ের চরম বাস্তবতা আড়াল করে পার্বত্য পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র সেনাবাহিনী এবং বাঙালিকে দায় করছে। অথচ পাহাড়ের প্রকৃত বাস্তবতা তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বেশ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। তা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার ও নিষ্ক্রিয় করার চক্রান্ত খুবই দুঃখজনক। হয়তো এ চক্রান্ত করে এখন সফল না হলেও অচিরে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা সফল হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশাল অংশ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার কারণে বাংলাদেশের প্রচুর সুনাম ও বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে।

বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ১৮০০ নারী শান্তিরক্ষীসহ ১লাখ ৭৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী ৫টি মহাদেশের ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে অংশ গ্রহণ করেছে।
তৎমধ্যে ৭ হাজারের অধিক বাংলাদেশী সেনা ও পুলিশ ১০টি মিশনে শান্তিরক্ষা উদ্দেশ্যে মোতায়েন আছেন।

নিরাপত্তা পরিষদে শান্তিরক্ষা মিশনে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সমস্ত সেনাবাহিনীগুলো বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাথে নিতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তৎপর উপজাতি সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ -জেএসএস সহ এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রিত অনলাইন মাধ্যমগুলা জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করার কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]