শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া বাসা নাকি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তা এখনো ঠিক করতে পারেননি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। যদিও তার করোনা পরীক্ষার বিষয়টিই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করছে না দল ও পরিবার।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলছেন, আপাতত গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন তিনি। কারণ তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে আছেন লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা.জোবাইদা রহমান। তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার করোনার বিষয়ে এখনো আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। আজ বিকেল অথবা রাতের মধ্যে তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং একইসঙ্গে তার নিজের ইচ্ছাকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক বলেন, ‘আসলে বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক যে অবস্থা তাতে হাসপাতালেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কিন্তু এটা তো আর আমি চাইলে হবে না, কারণ তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে আছেন বড় ছেলের বউ। তাকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সাধারণত ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এখনও যদি তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়, তাহলে এই হাসপাতালেই নেবেন। সেই অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা আছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ম্যাডামের করোনা পরীক্ষাই করা হয়নি। তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।’
‘পজিটিভ রিপোর্ট’ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শায়রুল কবির বলেন, ‘যারা বলছেন তিনি করোনা পজিটিভ, তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন। আমি জানি ম্যাডামের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে তিনি কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন এই প্রশ্ন কেন আসবে?’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা.জাহিদ হোসেন ও তার ভাগ্নে ডা. মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে গত বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। পরে আরও ২ বার ৬ মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। বর্তমানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়