বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৭ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯
রমজানের ঈদ এখন দোরগোড়ায়। চলছে ঈদ পোশাক কেনার ধুম। ঈদের দিনটিতে নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে শুরু হয়ে গেছে নানা প্রস্তুতি।
এবার ঈদ যেহেতু গরমকালে পড়েছে, তাই কাপড়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক ইত্যাদি। অ্যামব্রয়ডারি, হাতের সেলাই, হ্যান্ড পেইন্ট রয়েছে পোশাকের কাজে। হাতার নকশায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
এবার ঈদে পোশাকের নকশা ও ধরনে কী পরিবর্তন এসেছে, এ বিষয়ে কথা হয় ‘বিশ্বরঙ’-এর ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আসলে পোশাকের নকশায় প্রত্যেক হাউজই তাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এখন প্রচণ্ড গরম। এবার আমরা গরমের কথা মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সুতি উপাদান রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি রয়েছে সিল্ক, হাফসিল্ক। সুতি পোশাক দিনে এবং সিল্ক ও হাফ সিল্ক রাতে পরা যেতে পারে।’
এবার কামিজের গলায় পবিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘থ্রি কোয়াটার বেশি ব্যবহার করেছি। হাতার কাটে ইয়োগ ব্যবহার করেছি। কোটি ধরনের ফ্রক রয়েছে আমাদের। শর্ট কুর্তিগুলোতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে।’
বিপ্লব সাহা আরো বলেন, ‘পোশাকের নকশায় হ্যান্ড পেইন্ট, অ্যামব্রয়ডারির কাজ করেছি। এ ছাড়া সিঙ্গেল পিস কামিজ রয়েছে। এগুলো ঘরেও ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া এমন এক ধরনের পোশাক তৈরি করেছি আমরা যেটি দেখতে শাড়ির মতোই লাগবে। কিন্তু শাড়ি নয় বিষয়টি। কুর্তি ও ওড়না এমনভাবে থাকবে, যেটি শাড়ির মতো মনে হবে।’
রঙের ক্ষেত্রে আমরা উজ্জ্বল রঙের পাশাপাশি হালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাদা, হালকা ধূসর রং ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি আমাদের হাউজের গয়না রয়েছে অনেক ধরনের। এগুলো বেশ ট্রেন্ডি লুক দেবে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে।’
এবার ঈদ পোশাকের ধরন ও নকশা কেমন, এ বিষয়ে কথা বলেন ‘দেশাল’- এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা তো মোটিভ বা বিষয়ভিত্তিক কাজ করি। তাই ধরনে খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। বেশির ভাগ কাজেই রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও হাতের সেলাই। হাতার কাজে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। হাতার কাজ নিয়ে পরীক্ষা করেছি। পাশাপাশি পাজামাটা একটু অন্য ধরনের।’
‘আমরা সুতি কাপড়ে কাজ করি’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিনথেটিক কাপড় আমরা সাধারণত ব্যবহার করি না। আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সিনথেটিক কাপড়ে কোনো কিছুই বানাই না। এবারের শাড়ি থাকছে খুব উজ্জ্বল ও হালকা রঙের। গরম ও বর্ষা দুটোকেই মাথায় রেখে এবার ঈদের শাড়ি হচ্ছে। সি গ্রিন, ব্লুইশ, ধূসর, সাদা, অফ হোয়াইট রং ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়স ধরে ধরে মেয়েদের জন্য কাজ করেছি। সে বয়স অনুযায়ী নকশাগুলো করা হয়েছে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়