• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

শেখ হাসিনাকে কেন চেয়েছি

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

এদের মতামত এরকম-

১. বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তমূলক হয় না।
২. বিএনপি বা বিএনপি-জামায়াত সংসদে না এলে সংসদ কার্যকর হয় না, বিরোধিদল বলে কিছু থাকে না।
৩. বিএনপি জামায়াত এমন কিছু করেনি যার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। বরং বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন, রক্ষীবাহিনি করেছিলেন, শেখ হাসিনা বিরোধীদের দমন করেছেন।
৪. বর্তমান নির্বাচন ‘প্রতারণামূলক’।

আমার বিস্ময় এ কারণেই। প্রথমেই দেখা যাক, বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অন্তর্ভূক্তিমূলক হবে না কেন? নিবন্ধনকৃত দলের সংখ্যা অনেক। তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে তা কেন অর্ন্তভূক্তিমূলক হবে না? যদি না হয় তাহলে নিবন্ধনের দরকার কী? নির্বাচনের ব্যাপারে পৃথিবীর সব দেশে একটি নিয়মই কার্যকর। তা হলো, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। যার খুশি নির্বাচনে দাঁড়াবে। এখানে বারবার দেখা যাচ্ছে, গত এক যুগ ধরে যে নির্বাচনী দলের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে। বিশেষ করে বিএনপির আবদারসমূহ রাখতে হবে। না, রাখলে ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের ধামাধরা’-এরকম বিবৃতি আসতেই থাকবে। এগুলি অ্যাবসার্ড পর্যায়ে চলে এসেছে। ভোটের ধার নষ্ট করেছে তো বিএনপির স্রষ্টা জিয়াউর রহমান। বিএনপির আমলে প্রতিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের কিছু এনজিও প্রধান ও কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা মনে করেন, বিএনপি জামায়াত না এলে নির্বাচন অন্তর্ভূক্তিমূলক হয় না।

সংসদে বিরোধীদল গণতন্ত্রমনা থেকে শুরু করে সবাই চায়। কিন্তু জামায়াত বিএনপি না এলে সংসদ কার্যকর হবে না কেন? এক সময় আওয়ামী লীগও তো কম সদস্য নিয়ে বিরোধী দলে ছিল। বিজেপি প্রবল পরাক্রমে ভারত শাসন করার পর, পরবর্তী নির্বাচনে সংসদে দু’জন সদস্য পাঠাতে পেরেছিল। বর্তমান নির্বাচনে তো ঐক্যফ্রন্ট প্রায় ১০ টি আসন পেয়েছে। এ ১০ জনই চিৎকার শুরু করলে সরকারি দল অতিষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু নির্বাচন করে যে এরা সংসদে যাচ্ছেন না তাতে সুশীলরা কী কিছু বলছেন? এরা চান ৭০-১০০ জন অন্তত বিএনপি-জামায়াত সদস্য থাকা উচিত ছিল। সংসদে বিএনপি বা ড. কামাল হোসেনের পার্টি না গেলে কার কী আসে যায়?

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ এলে বারবার বাকশালের কথা বলা হয়। তিনটি রাজনৈতিক দল তাদের অস্তিত্ব বিলোপ করে একদল করেছে তাদের নিজ ইচ্ছায়। এ ছাড়া অন্য কোনও বড় দল তখন ছিল না। এখনতো বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে তারপরও তো বলা হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। বাকশাল তো কার্যকরই হয়নি যে ভালো-খারাপ বুঝবো। শুধু মওদুদ আহমেদের বই পড়ে দেখছি, বাকশাল হওয়ার পর দেশের আইন শৃঙ্খলা থেকে খাদ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের দিকে যাচ্ছিল। অচল গণতন্ত্র থেকে তো কিছুই পাওয়া যায় না। এখন বুঝি মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরের মানুষজন কেনো মাহাথির মোহম্মদ ও লিকুয়ান ইউ-কে মেনে নিয়েছিলেন। কারণ, দেশজুড়ে শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তারা গণতন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামাননি তা নয়। কিন্তু, যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তাদের হচ্ছিল এর বিনিময়ে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র তারা মেনে নিয়েছিলেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি এর বিরুদ্ধে। কিন্তু ইচ্ছাতো সাধারণ মানুষের। তারা এরকম চাইলে আমাদের বলার কী আছে?

বর্তমান নির্বাচন নিয়ে যা যা বলার সব বলা হয়েছে। এ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হয়নি এটি শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ মনে করে যারা জামায়াত-বিএনপির সমর্থক। না আওয়ামী লীগ সমর্থক বা দেশ নিয়ে নিয়মিত চর্চা করেণ না, এমন অনেকেও বলেছেন, বিএনপি বা ড. কামাল হোসেনকে ৩০/৪০ আসন দিলে কী হতো? এটি যদি যুক্তি হয়, তা’হলে, সোজা কথা দাঁড়ায় সরকারই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে। অর্থাৎ, এ সরকার থাকুক তবে, বিএনপিও ৩০/৪০ জন নিয়ে থাকুক কারণ, তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগই ‘ফেয়ার ভোট’ হলে চলত। এটি সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের ফরমুলা। ওই ধারণাবন্দি থেকে আমরা অনেকে বেরুতে পারি নি, আসলে, ড. কামাল হোসেন বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলের নেতৃত্ব নেয়ায় সবার ধারণা হয়েছিল একটি বিপ্লব হবে।

তবে, নির্বাচন সর্বাংশে সুষ্ঠু হয়েছে এমন স্পষ্ট উচ্চারণ করব না। এ দেশে কখনও নির্বাচন ১০০ ভাগ নিখুঁত হয় না ইউরোপের মতো। ইউরোপে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের মডেল। অনেকে ১৯৭০, ১৯৭৩-এর নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মোটামুটি নির্বাচন হলেই আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু কয়েকটি বিষয় তারা মাথায় নেন নি।

১. সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি প্রায় ৮০টি সভা করেছে যেখানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা / তাদের প্রতি হুমকি বেশি। এবং সরকার ও নির্বাচন কমিশন দৃঢ় ছিল সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হতে দেবে না। সংখ্যলঘুরা নিরাপদে ভোট দিয়েছেন।

২. গত এক যুগে নতুন ভোটার হয়েছে প্রায় দু’কোটি। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর প্রচেষ্টায় আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধীনস্ত সকল কলেজে ১০০ নাম্বারের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় নামে একটি কোর্স বাধ্যতামূলক করেছে। প্রায় ৫০ লাখ ছাত্র গত ৫ বছরে তা পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে খুব বেশি না জানলেও জামায়াত পাকিস্তানিরা কী করেছে তা তারা জানে। আমি গ্রামে গিয়ে দেখেছি, তরুণ ভোটাররা সব ‘নৌকা’ ‘নৌকা’ করছে। এ ছাড়া, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখি গত এক দশকে তরুণদের প্রভাবিত করেছে। বিএনপি, জামায়াতকে ত্যাগ করেনি, এটি তারা মানতে পারে নি। এ ছাড়া বিএনপি কোনও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাতে পারেনি। নাকি সুরে প্রতিদিন রিজভীর নেতিবাচক কথাবার্তা তরুণ ও প্রবীনদের বিরূপ করেছে। এছাড়া, সমাজের সর্বস্তরেরর বিভিন্ন পেশার মানুষ নৌকার পক্ষে ওকালতি করেছেন। যখন কোন ফিল্ম স্টার বা গায়িকা কারো পক্ষে বলেন তখন তা একেবারে সাধারণ ভোটারদের মোহিত করে। আওয়ামী লীগের পক্ষে সাংস্কৃতিক জগতের সবাই নেমে পড়েছিলেন। এ বিষয়টি বিএনপি অনুধাবন করেনি।

৩. বিএনপির মনোনয়ন এতো কেনাবেচা হয়েছে যে, যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এবং যিনি পায়নি তার মধ্যে বিরাট দ্বন্দ্ব ছিল। আমাদের এলাকায়, যিনি আগে প্রার্থী ছিলেন বিএনপির, তিনি তার সমর্থকদের বলে দিয়েছিলেন যেন তারা নতুন প্রার্থীর পক্ষে না নামে। এবং তারা নামেনি। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কী করার থাকে?

৪. তাছাড়া দৃশ্যমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি মানুষকে নিজের স্বার্থ বুঝতে শিখিয়েছে। এখন অনেকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো যদি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চায় তাতে অবাক হবো না।

৫. নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি অভিযোগ করেছে, ভালো ভাবে নামেনি। হ্যা, অনেক ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছে, যেরকম জিয়া বা এরশাদ আমলেও আওয়ামী লীগ নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছে। ১/১১-এর আগেও। কিন্তু মার খেয়ে তারা মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছে। বিএনপি তা করেনি। বিএনপি একাংশ খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যেতে চায়নি। তারা মাঠে নামেনি। মনোনীতদের অনেকে পার্টির হাইকমান্ডের মুখ চেয়ে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু মাঠের আবস্থা দেখে তাদের মনে হয়েছে তারা জিততে পারবেন না। সুতরাং তারা নমো নমো করেছেন। টাকা খরচ করে মাঠে নামতে চাননি।

৬. ব্যবসায়ীরা হাসিনা আমলে লাভবান হয়েছেন। তারাও জোটবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছেন। শুধু ব্যবসায়ীরা কেন, সব পেশার মানুষই হাসিনা আমলে লাভবান হয়েছেন। তারা বিএনপি-কে ভোট দিয়ে পরিবর্তন চান নি।

ব্যালটে সিল মারার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোনও নির্বাচন হয়নি যেখানে ব্যালটে সিল মারা হয়নি। এটি সমর্থনযোগ্য নয়, তা সত্ত্বেও গত পঞ্চাশ বছরে যে এলাকায় যে শক্তিশালী সে এলাকায় তার পক্ষে কিছু সিল মারা হয়। জিয়াউর রহমানের পক্ষে উৎসাহীরা সিল মেরে এমন অবস্থা করেছিল যে, জিয়াউর রহমান কখনও আর গণভোটের কথা বলেন নি।

আমাদের এলাকার কথা ধরা যাক, নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ভোট। ৭ হাজার পেয়েছেন ধানের শীষ। ধরে নেয়া হলো ৯০ হাজার সিল মারা হয়েছে। তারপরও তো এক লাখের ব্যবধান থাকে। প্রায় প্রত্যেক এলাকায় ভোটের দৃশ্য ছিল এরকম একটা ব্যবধান। আর একটি এলাকায় কারো পক্ষে কি ৮০/৯০ হাজার সিল মারা সম্ভব?

আমাদের একটি অংশের কাছে বিএনপির শাসনকাল মানেই লুঠ, দুর্নীতি, খুন, বিশৃঙ্খলা, ২০০১ থেকে ২০১৬-২০১৭ পর্যন্ত সে ইতিহাসের বদল হয় নি। তারা বিএনপি শাসনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চায় নি।

এ বিষয়গুলি অ্যাপোলজিস্টয়া আমলে আনতে চান না।

আমাদের জেনারেশনের অনেকে অন্তত শেষ বারের মতো হলেও শেখ হাসিনাকে চেয়েছেন। আমাদের কাছে বিষয়টি ছিল অন্য রকম। আমাদের পক্ষে এরকম দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী পাকিস্তানি দলকে সমর্থন করা সম্ভব ছিল না। বিএনপির গত প্রায় চার দশকের ইতিহাস হচ্ছে দুর্নীতি সন্ত্রাস জুলুমের ইতিহাস। বাংলাদেশের মূল স্পিরিটের বিরোধী একটি ইতিহাস। পাকিস্তানিকরণের ইতিহাস। খুঁটিনাটি উদাহরণ দিতে গেলে কয়েক পাতা খরচ হবে। আমি শুধু কয়েকটি উদাহরণ দেব।

১. জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া ও তার শাসনামলের অনেকে জড়িত।
২. জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত বিএনপি কর্তৃক তাদের পুরস্কৃত করা।
৩. পরাজিত ও খুনি আলবদর, রাজাকার ও জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করা অর্থাৎ পাকিস্তানি সহযোগীদের পুনর্বাসন করা যাতে সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানিকরণ করা যায়।
৪. সংবিধানের মূল নীতি বাদ দেয়া।
৫. ‘হা’ ‘না’ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকরণ শুরু করা।
৬. সামরিক বাহিনীকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আনা।
৭. খালেদা জিয়ার সময় থেকে পাকিস্তানপন্থি জামায়াতের সঙ্গে জোট ও তাদের কর্তৃত্ব মেনে নেয়া।
৮. জামায়াতের মতো খুনি পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় আনা যা পৃথিবীর ইতিহাস একমাত্র ঘটনা।
৯. ইতিহাস শুধু নয় ইতিহাসের দলিলপত্র বিকৃত করা।
১০. সরকারিভাবে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে খুনের প্রচেষ্টা।
১১. অবৈধ অস্ত্র পাচার।
১২. মৌল জঙ্গিবাদ সরকারিভাবে বিকশিত করা।
১৩. মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ অস্বীকার করা।
১৪. মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের বিরোধিতা করা।
১৫. এ বিচার শুরু হলে, পাকিস্তানি সংসদ যখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব করে তার প্রতিবাদ না কর।
১৬. ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত অব্যাহত সন্ত্রাস, লুট ও ধর্ষণ। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মানুষ, স্কুল, গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া। সাধারণ মানুষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের পর্যন্ত হত্যা করা।
১৭. খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার দুর্নীতি ও হত্যার দায়ে দণ্ডিত।
১৮. সবচেয়ে অভব্য কর্মটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের পার্টি ও ঘটা করে কেক কাটা, কোনও সভ্য মহিলা এধরনের কাণ্ড করেছে রাজনীতিতে এটি এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি।

মানুষ তাই বিশ্বাস করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসবই করবে এবং জামায়াতের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের সব অর্জন শুধু বিসর্জনই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে ফেডারেশনও করতে পারে। কে আর দেশে অস্থিতিশীলতা চায়? নিজের ভবিষ্যত বিসর্জন দিয়ে কি কেউ অনুন্নয়ন চায় বা বিদ্যুতের বদলে হ্যারিকেন চায়?

প্রবীণ সাংবাদিক জনাব আমানুল্লাহ। তিনি ছিলেন বি ডি হাবিবুল্লাহর পুত্র। মহিউদ্দিন আহমদ তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন বিএনপির রাজনীতি নিয়ে। উল্লেখ্য, আমানুল্লাহ কখনও সক্রিয়ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যেমন, এখন আছেন অধিকাংশ সাংবাদিকরা। আমানুল্লাহ বলেন- খালেদার শাসনকালে তারেক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল আনোয়ারুল কবিরকে ডেকে পাঠালেন যেটি তিনি পারেন না। তবু তালুকদার গেলেন, দেখলেন, রুমে একটি চেয়ার নেই। তিনি বললেন, “আপনি আমাকে ডেকেছেন আলাপ করার জন্য, চেয়ার নেই, আমি বসব কোথায়”, জেনারেল তালুকদার চলে এলেন এবং পদত্যাগ করলেন।

আমানুল্লাহ নির্বাচনের আগে মহিউদ্দিন-কে বলেন, “এই ছেলেকে যদি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসাতে চান, এ দেশের জন্য অমঙ্গল হবে। খালেদা জিয়ারে ভোট দেওয়ার এখন অর্থ হবে এই বাজে ছেলেটাকে ভোট দেওয়া, হুইচ বেঙ্গলি ক্যান নট অ্যাফোর্ড। শেখ হাসিনা ভালো করছেন কী খারাপ করছেন, সেটা অন্যকথা। কিন্তু আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেণ, আপনি কী ওই পসিবিলিটা একসেপ্ট করবেন? আমি বলবো, লেট হাসিনা কনটিনিউ উইন হার মিসরুল অর ব্যাডরুল। কারণ, ওই ছেলে যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে খুব খারাপ সিচুয়েশন হবে। ইউ উইল লিভ লং এনাফ টু সি দ্যাট। তবে, আমি তাদের ক্ষমতায় আমার সম্ভাবনা দেখি না, কী করব? পপুলার ভোট উইল নট বি অন হার সাইড। আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি। কিন্তু আপনার পর যে খারাপ লোকটা আসবে, এইটা বরদাশত করতে পারি না। এরকম একটা সিচুয়েশনে আছে দেশবাসী। আমিতো সাধারণ লোকের সঙ্গেও কথা বলি। আমি নিজেও চিন্তা করি। এটা একটা আনফরচুনেট সিচুয়েশন।

আরেকটা কথা। অপজিশন পার্টি হিসেবে যে রেসপনসিবিলিটি থাকে, টু প্রটেক্ট দ্য পিপল ফ্রম দ্য র‌্যাথ অব দ্য রুলিং ক্লিক, সেইটা পালন করেনি বিএনপি। এখনো করছে না। দে হ্যাভ লেফট দ্য পিপল অ্যাই দ্য মার্সি অব আওয়ামী লীগ।”
[মহিউদ্দিন আহমদ, ইতিহাসের যাত্রী, ঢাকা, ২০১৯]

অন্যান্য দেশে এরকম দু’একটি ঘটনা ঘটালেই [পাকিস্তান ছাড়া] রাজনীতির ইতি হতো। এখানে হয় না। এ দেশের আরেকটি বৈশিষ্ট্য- এ অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করলেই এ দেশের নাগরিক হওয়া যায়। বিজ্ঞ বিচারকরা এধরনের একটি রায় দিয়েছিলেন মানবতাবিরোধী গোলাম আযমের ক্ষেত্রে। আমার একবার সুযোগ হয়েছিল এ রায় প্রদানকারি অপরাধী একজন বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলীর সঙ্গে আলাপের যিনি শুধু সজ্জনই ছিলেন না, ছিলেন পণ্ডিতও। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এ রায় আপনি কীভাবে দিলেন?, ‘আইনে আছে, যিনি এদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি এ দেশের নাগরিক হবেন’, বললেন তিনি। আমি বললাম, ১৯৭১ সালে আপনি বাংলাদেশে ছিলেন না? দেখেননি কী হয়েছে? এখন কী রায় দেবেন ১৯৭১ সাল অবৈধ? আইনের একটা দর্শন থাকবে না? দর্শন না থাকলে সে আইন মানব কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়? তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, এটিতো ভাবিনি। বললাম, আপনি ‘বিজ্ঞ’, আপনি ভাববেন না তো কী আমরা ভাবব?

হয়ত আমার প্রশ্নে রুঢ়তা ছিল? কিন্তু তা কী মিথ্যা ছিল? অন্য দেশের নাগরিক হতে হলে, দেশের সংবিধান, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত মান্যের শপথ নিতে হয়। এখন তো বলা হচ্ছে, বিদেশি কেউ নাগরিক হলে তাকে ওই দেশের ইতিহাস ও ভাষা জানতে হবে। জন্ম থেকেই নাগরিকত্বের সঙ্গে দায়ের সম্পর্কটি না থাকার কারণেই এ দেশে পাকিস্তানিরা রাজনীতি করতে পেরেছে, তাদের লুপ্ত দর্শন পুনরুজ্জীবিত শুধু নয় বিকশিত করতে পেরেছে। ভাবতে অবাক লাগে যে, গত দু’ দশক আমরা ও মিডিয়া যৌথভাবে এদের বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রমোট করেছি, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে তাদের অভিষিক্ত করে হর্ষ অনুভব করেছি। মুজিব আমলে এদের অনেককে মস্কো পাঠানো হয়েছিল বিনে খরচায় উচ্চ শিক্ষিত করার জন্য।

বাংলাদেশের এভাবে সেনাবাহিনী [যাদের অধিকাংশ ছিলেন কাকুল প্রশিক্ষিত] ও অপরাজনীতির ধারক রাজনীতিবিদরা [যাদের একটা বড় অংশ ছিলেন লেফটি]। একটি শক্তিশালী সম্পন্ন এলিট শ্রেণি তৈরি করেছিল। এরা বিএনপি-জামায়াত বা পাকিস্তানি দর্শনের অভিজ্ঞান আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এ বলে যে- এটি রাজনীতি। যেমন, জামায়ত বলেছে, ১৯৭১ সালে যে খুন খারাবি করেছে তা রাজনীতি। এ ‘সুধীজন’ [যাদের অসাধুজনও বলতে পারেন] বা সমর্থকরা কী মনে করে এখনও বিএনপি-কে মুক্তিযোদ্ধার দল, দুর্নীতিহীন ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশি দল বলেন? এবং হা হুতাশ করেন বিএনপি’র প্রতি অবিচার করা হচ্ছে বলে? যেখানে এদের রাজনীতি করতে দেয়া উচিত না সেখানে তাদের এখনও জিয়ার কবর জেয়ারত ও প্রকাশ্য রাজনীতি করতে দেয়া হচ্ছে তাই তো আশ্চর্য !

জোর করে বিএনপি-জামায়াত বা তাদের রাজনীতির পুনর্প্রবর্তন করা কঠিন হবে। তারা সেটি মেনে নিয়েছে দেখেই সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এই বাতাবরণে ‘বিরোধী দলের’ প্রতীকটা বজায় রাখছে। কিন্তু, এখন নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। তো বিএনপি যদি এখন লেফটিদের মতো ক্ষমতা না চায় ভাল কথা। এনজিও হিসেবে তারা রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করতে পারে।

শেখ হাসিনার সময় উন্নয়নের চালচিত্র দেখে না যতোটা, তারচেয়ে বেশি পাকিস্তানিকরণ রোধে তার প্রচেষ্টার জন্য আমাদের একটি বড় অংশ তাকে ভোট দিয়েছি বা সমর্থন করেছি। শেখ হাসিনা ব্যতীত আওয়ামী লীগ এ সুবিধাটি পেত কিনা জানি না। এ কারণেই আমরা অনেকে তাঁকে চেয়েছি। এ ক্ষেত্রে তার সাফল্য বা আমলকে নেইনি। তার শাসনামলের অনেক সমালোচনাও গ্রাহ্য করেনি। আমরা ঘর পোড়া গরু। আমাদের মনে হয়েছে, তিনি ক্ষমতায় না এলে শুধু পাকিস্তানিকরণই নয়, প্রগতিশীল, আওয়ামী লীগ বা তাদের অনেক সমর্থক-কে হিজরত করতে হবে।

অনেকে বলবেন, আমরা যে ভুল করেছি তা অচিরেই প্রমাণিত হবে। অতিরিক্ত সাফল্য তাকে কর্তৃত্ববাদী করে তুলতে পারে। হ্যাঁ, পারে কিন্তু তা যদি এ ধরনের অপরাজনীতি রোধ করতে পারি তাও হয়ত সহ্য করা যেতে পারে। তবে, বিপদ অন্যখানে। এখন সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। আওয়ামী লীগের নেতারা তাতে বেশ আত্মতৃপ্ত। কিন্তু আমরা জানি, আমলাতন্ত্রে একটা বড় অংশ এখনও বিএনপি সমর্থক এবং তাদের একটি অংশ আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে, প্রমোশনে অগ্রণী। এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। এমপি-দের কয়েকজন যে আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন না তাও সবার জানা। ব্যবসায়ীদের একটা অংশ যাদের কেউ সামাজিক সম্মান দেয় না, ভয় করে, তারা সরকারের সমর্থক। শিক্ষার উন্নয়নে যে ঢাকঢোল উচ্চনিনাদে বেজেছিল এবং আমরা যারা তার সমালোচনা করায় মন্ত্রণালয় ও শেখ হাসিনার চক্ষুশীল ছিলাম, এখন বেঠিক তা প্রমাণিত হচ্ছে না। শিক্ষা সংস্কৃতির জিডিপি বৃদ্ধির চেয়ে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঝোঁক অন্তিমে সুফলতো বয়ে আনবে না বরং অপরাজনীতির পরিবর্ধন হবে। মানসিক জগতে মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তার করতে না পারা এ সরকারের একটি ব্যর্থতা।

অনেকে বলছেন, এককেন্দ্রিকতা, পার্টির অসহনশীলতা, নিরাপত্তা বাহিনী সমূহের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে আমরা শিগগিরই গাড্ডায় পড়ব। ব্যবসায়ীদের সুদ মওকুবসহ অন্যান্য সুবিধা মানুষকে ক্রমেই ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। এইতো অরুন্ধতী রায় নিয়ে একটি ঘটনা হলো। অতিউৎসাহী, মাথামোটা লোক ছাড়া এ ধরনের কাজের কেউ নির্দেশ দেয় না। এই অতি উৎসাহী লোকজনকে নিবৃত না করলে বা উচ্চ পর্যায়ে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অটুট থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আসলে বিষয়টা অরুন্ধতী রায় নয়, শহীদুল আলম। সরাসরি বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব যদি না করে, পাকিস্তানি ব্রিফ যদি ধারণ না করে- তাদের বাধা দেয়া অনুচিত। আওয়ামী লীগ বিরোধী, সরকার বিরোধী সমালোচনা কাম্য। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন তারা কি এই ধারণা পোষণ করেনি? এ সব হতে থাকলে বললেন একজন, আপনাকে লিখতে হবে শেখ হাসিনাকে চেয়ে কেন ভুল করেছি। হ্যাঁ, সে পরিস্থিতি হলে ভুল স্বীকার করে নেব। কিন্তু, এতোদিনে যদি আরো গুরুত্ব হারায় বিএনপি-জামায়াত রাজনীতি ও তাদের এলিটবর্গ সেটিই আমাদের লাভ।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকুক কিন্তু পাকিস্তানের ব্রিফধারীদের রাজনীতি বিলুপ্ত করতে হবে। এই বিএনপি-জামায়াত থাকার কারণে বাংলাদেশ পরিচিত পেয়েছে পৃথিবীর একমাত্র দেশ হিসেবে যেখানে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাজনীতি করে এবং ক্ষমতায় যায়। বিএনপি-জামায়াত দেশকে বিভক্তও করেছে। দেশে স্থিতিশীলতা একমাত্র বিরাজ করতে পারে এ ধরনের রাজনীতি বিলুপ্ত হলে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]