• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

শেখ হাসিনাকে হত্যার আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা ২১ আগস্ট

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২০  

আবদুল মান্নানঃ

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করল জাতি। ৪৪ বছর আগে এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল ঘাতক এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু বিশ্বাসঘাতক এক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমণ্ডির নিজ বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের ১৭ জন সদস্য নিহত হন, যা সমসাময়িক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।

এই হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল শুধু একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবারকে হত্যা করা নয়, এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলা নামের দেশটা যাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশ ও তার জন্মদাতাকে হত্যা করা। ধারণা করা হয়েছিল, যদি রাষ্ট্রের স্রষ্টাকে হত্যা করা যায় তাহলে তাঁর সৃষ্টিকেও হত্যা করা সহজ হবে। যাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের কেউই পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হোক তা চাননি। তাঁদের প্রায় সবাই পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। যাঁরাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা প্রায় সবাই মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে এসে প্রবাসী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এঁদের কেউই যুদ্ধে অংশ নেননি। ধারণা করা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই যুদ্ধে তাদের পরাজয় অবধারিত জেনে এই ঘাতকবাহিনীকে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে মুক্তিবাহিনীতে অনুপ্রবেশ ঘটায়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া গোড়া থেকেই জড়িত ছিলেন, যা ঘাতক কর্নেল আবদুর রশিদ ও ঘাতক ফারুক রহমান লন্ডনে সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের কাছে এক টিভি সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করেছেন। অনেকে বলবেন, জিয়া তো একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। খেতাবপ্রাপ্ত তা ঠিক, তবে তিনি অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে নানা কারণে ব্যতিক্রম। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫-২৬ মার্চের মধ্যরাত পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অনুগত সেনা অফিসার ছিলেন। যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাপ্টেন আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ বা ক্যাপ্টেন রফিক পাকিস্তানি সেনা কমান্ডের বিরুদ্ধে তাঁদের ইউনিট নিয়ে বিদ্রোহ করে সেনানিবাসের বাইরে চলে এসেছেন, তখন, ঠিক তেমন একটা সময়ে জিয়া তাঁর পাকিস্তানি ঊর্ধ্বতন অফিসারদের হুকুমে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা পাকিস্তানি সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ ‘সোয়াত’ থেকে বাঙালি নিধনের জন্য আনা অস্ত্র খালাস করতে তৎপর ছিলেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯টির মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ছিল মূলত বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা। ছয় দফা ছিল বস্তুত একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট নকশা। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল নিরঙ্কুশ সত্য, কিন্তু পূর্ব বাংলায় প্রাপ্ত ভোটের মোট ৭৩ শতাংশ পড়েছিল নৌকা তথা আওয়ামী লীগের পক্ষে। যদি ধরে নিই এই ৭৩ শতাংশই বাংলার স্বাধীনতা চেয়েছে, তাহলে ধরে নিতে হবে বাকি ২৭ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না।

সত্তরের ২৭ শতাংশকেই পরবর্তীকালে বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি বলা যেতে পারে (কিছু ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে)। সমীকরণটা খুব সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু তা মোটেও সহজ নয়। সে সময় অন্য যে কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তার মধ্যে মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম আর পিডিএম অন্যতম। এদের পক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশ সমর্থন করা সম্ভব ছিল না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি, আর যখন ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ঘটে, তখন জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। আনুপাতিক হারে এই বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি জনসংখ্যাও ১৯৭০ সালের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর নানাভাবে তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়িত হয় এবং যে কারণে ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, সেই কারণটা বাস্তবায়ন করতে তারা অনেক দূর এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ হয়ে ওঠে একটি মিনি পাকিস্তান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পাকিস্তানের শীর্ষ দালাল, যিনি একাত্তর সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়েছিলেন, সেই শাহ আজিজকে ৩০ লাখ শহীদের রক্তবিধৌত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানান জিয়া। একাত্তরের ঘাতক আবদুল আলিম ও মাওলানা মান্নানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়। ঘাতকদের প্রধান পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে জিয়ার স্ত্রী খালেদা তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেন। কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের একটি নমুনা ছিল অভিযুক্তকে পা ওপরের দিকে আর মাথা নিচের দিকে দিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ১০-১২ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা। একাত্তরে তিনি পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানিদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। সেই মুস্তাফিজুর রহমানকে জিয়া প্রথমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানান। জিয়া এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন এবং পরবর্তীকালে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ভারত হয়ে পাকিস্তানে ফেরত গেছেন এমন ১৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে পুলিশ বাহিনীতে আত্তীকরণ করেন, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের পদ অলংকৃত করেন। ২১ আগস্ট যখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয় তখন পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন মো. শহুদুল হক, যিনি একাত্তরের পুরো ৯ মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ট্যাংক রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন হিসেবে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য চট্টগ্রামে স্বয়ং পুলিশ তাঁকে বহনকারী ট্রাকে গুলি করে। এতে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। অল্পের জন্য রক্ষা পান শেখ হাসিনা। সে সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন মির্জা রকিবুল হুদা, যিনি একাত্তরে আর্টিলারি রেজিমেন্টের একজন মেজর হিসেবে যশোর সেক্টরে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনিও একজন যুদ্ধবন্দি হিসেবে পাকিস্তানে ফেরত যান। পরে বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। মোদাব্বের চৌধুরী একাত্তরে ঢাকা সেনানিবাসে সিওডিতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনিও পুলিশের মহাপরিদর্শক হন। সেই মোদাব্বের চৌধুরীকে ২০০৬ সালে সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেগম জিয়ার নির্দেশে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিল একটি সন্ত্রাসবিরোধী জনসভা। এই জনসভার জন্য মুক্তাঙ্গন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, যা পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। পরে সভাস্থল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে স্থানান্তর করা হয়। সাধারণত এই ধরনের সভার সময় দলের কিছু কর্মী পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। যেহেতু এই সভাস্থল কিছু উঁচু দালানের মাঝখানে অবস্থিত, উচিত ছিল দালানের ওপর পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা, যা সেদিন ছিল না। আসলে আওয়ামী লীগ যখন তাদের সভার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন পর্দার অন্তরালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকে চিরতরে শেষ করে দিতে এক সূক্ষ্ম পরিকল্পনা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছিল, যার প্রধান কারিগরদের মধ্যে ছিল সেনা গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই ভয়াবহ কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল ছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে তারেক রহমান ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত লুত্ফুজ্জামান বাবর, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা তাজউদ্দিন প্রমুখ। কুখ্যাত হাওয়া ভবনে তাঁরা একাধিক বৈঠক করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করেন। উদ্দেশ্য, যেকোনোভাবে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের খতম করতে পারলে বাংলাদেশকে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মিনি পাকিস্তান বানানোর সামনে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। এই স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার শাসন চিরদিনের জন্য পাকাপোক্ত হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার পর তাঁর ছেলে তারেক রহমান, তারপর বংশপরম্পরায় চলতে থাকবে জিয়া পরিবারের শাসন। স্থাপিত হবে একবিংশ শতাব্দীর এক নয়া রাজতন্ত্র।

বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার জন্য সেদিন ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়াটা ছিল এক অলৌকিক ঘটনা, যা একমাত্র সৃষ্টিকর্তার রহমতের কারণে সম্ভব হয়েছিল। তাঁকে রক্ষা করতে মানববর্ম তৈরি করেছিলেন তাঁর দলীয় নেতাকর্মীরা, যা দেখা গিয়েছিল ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সেদিন নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন দলীয় নেতাকর্মী। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৫০০। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েক দিন পর মৃত্যুবরণ করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা ১৫ই আগস্ট একজন ব্যক্তিকে শুধু হত্যা করতে চায়নি, তারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে হত্যা করতে চেয়েছে। বাস্তবে তারা কিছুটা সফলও হয়েছিল; কারণ পরের ২১ বছর জিয়া-এরশাদ-খালেদা বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পূর্ববর্তী অবস্থায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। জিয়া থেকে খালেদা জিয়া সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিতাড়ন করেছিলেন। বাহাত্তরের সংবিধানে যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই রাজনীতিকে আবার ফিরে আসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজটি অত্যন্ত সুচতুরভাবে করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া। তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি পঁচাত্তরের ঘাতকদের সাংবিধানিকভাবে হত্যার দায়মুক্তি দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছিলেন। এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে সংযোজন করে তা আরো এক ধাপ ওপরে নিয়ে গিয়েছিলেন। খুনি কর্নেল ফারুককে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের ষোলোকলা পূর্ণ করেছিলেন। তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় পঁচাত্তরের ঘাতক কর্নেল রশিদ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী তামাশার বদৌলতে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন।

বাংলাদেশকে জিয়া-এরশাদ-খালেদার পাকিস্তানীকরণ কর্মসূচিতে ছন্দঃপতন ঘটে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার গঠনের মাধ্যমে। প্রথমে তিনি শুরু করেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া। সেই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন এবং বিচারকার্য বন্ধ করে দেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার জন্য একটি অশুভ আঁতাত কাজ করেছিল, যার মধ্যমণি ছিলেন শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু সাঈদ। সংসদে আসনসংখ্যা কম পেলেও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ভোটের শতকরা হিসাবের ব্যবধান ছিল খুবই কম। এই মেয়াদে খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান ছিলেন বেপরোয়া। তবে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, ২০০৭ সালের নির্বাচনে তাঁদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাঁদের পরিকল্পিত জিয়া বংশের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে হলে শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সরাতে হবে। পরিকল্পনা হলো ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার। তবে সেই যাত্রায়ও ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুকন্যা বেঁচে যান এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে এক ধস নামানো বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করেন। এই দফায় তিনি ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার সমাপ্ত করেন। একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান এবং বিচার শেষে রায় বাস্তবায়ন করেন।

বর্তমানে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে এক ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করেছেন। নিজে পরিচিত হয়েছেন একজন বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। কিন্তু তাঁর সামনে শুধু একটা মসৃণ পথ, তা ভাবলে ভুল হবে। একজন তারেক রহমান পলাতক, আর কয়জন কারাগারে, মোশতাকের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে, তা ভেবে সব কিছু নিরাপদ ভাবলে মারাত্মক ভুল হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় সব শত্রু ঘরেই ছিল। বঙ্গবন্ধু তা বুঝতে পারেননি বা বুঝতে চাননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা একই ভুল করলে জাতিকে দিতে হবে এক দীর্ঘমেয়াদি খেসারত। যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতেন তাঁরা বঙ্গবন্ধুকন্যাকেও ভালোবাসেন। তাঁরা আর কোনো ট্র্যাজেডি দেখতে চান না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত শনিবার এক সভায় বলেছিলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। রবিবার দেশের একটি দৈনিক তাদের প্রধান সংবাদে লিখেছে, যাঁরা একসময় ফারুক-রশিদের ফ্রিডম পার্টির নেতা ছিলেন, এই দলের পক্ষে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন শুধু আওয়ামী লীগের নেতাই নন, কেউ কেউ সংসদ সদস্যও বটে। আলামত ভালো নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া একটি গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি। এক মহিলা একটি অজগর সাপ পুষতেন। রাতে তাকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমাতেও যেতেন। কিছুদিন ধরে সাপটি খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। শখের সাপটি নিয়ে গেলেন এক ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের প্রশ্ন, সাপটি নিয়ে আপনি কি এক বিছানায় ঘুমান? উত্তর—হ্যাঁ। কিছুদিন ধরে ও আমার গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে। ডাক্তারের মন্তব্য, আপনার সাপটি অসুস্থ নয়। সে আন্দাজ করছে আপনাকে হজম করতে তার পেটে কতটুকু জায়গা লাগবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

সৌজন্যেঃ কালের কণ্ঠ

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]