দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স: আদিলুর রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, গণ-আন্দোলন ও অনেক মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার যে সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পেয়েছি পালনে করে যাবো এবং দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ বা শূন্য সহনশীলতা থাকবে। এ ছাড়া সার কারখানায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সার উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, বিভিন্ন সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা শোনা যায়, কাজ না করে বিল নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
 
এর উত্তরে আদিলুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, এসব অবশ্যই আমলে নেয়া হবে। জনগণের আন্দোলনে ও এত মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে দায়িত্বে এসেছি, এখানে দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় নেই। অত্যন্ত কঠোর অবস্থান থেকে ছাত্র–জনতার রায় অনুযায়ী কাজ করে যাব। এখানে দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
 
শিল্প উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর কোন কাজে আগে অগ্রাধিকার দেবেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, গ্যাসের কিছু সমস্যা আছে, ক্ষুদ্র শিল্পেও কিছু বিষয় আছে; এ ছাড়া কিছু পরিবেশবান্ধব কাজ, যেমন সাভারের চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণশিল্প ও জাহাজশিল্প খাতকে পরিবেশবান্ধব অবস্থায় আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিনই বসা হবে এবং কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা করা দরকার তা করা হবে।
 
শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে আন্তমন্ত্রণালয় কিছু কাজ আছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করতে কাজ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা গেলে লোকসান কমে আসবে।
 
কয়েক মাস ধরে গ্যাস–সংকটের কারণে দেশের সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে; ফলে সার আমদানি করতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়—এ বিষয়ে শিল্প উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘গ্যাসের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- এ বিষয়ে যত দূর করা সম্ভব হয়, আমরা করব। এটা অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখা হয়েছে।