স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: প্রথম স্পর্শের সেই মাহেন্দ্রক্ষন আজ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২৩

ফাইল ফটো
সেই প্রথম স্পর্শ। স্বপ্নের স্বাধীন সোনার বাংলা প্রথম ছুঁয়ে দিলেন, হাতে-মুখে ধুলো মেখে একাকার হলেন মহানায়ক। মাটির স্পর্শে আবেগাপ্লুত জাতির পিতা কেঁদে বুক ভাসালেন।
মুক্ত আলো-বাতাসে সিক্ত হয়ে স্বজনদের বুকে টানলেন। দেশে ফিরে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। আজ সেই দেশে ফেরার মাহেন্দ্রক্ষণ, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি।
পাকিস্তান কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ থেকে লন্ডন, দিল্লি হয়ে স্বদেশে ফিরে এদিন প্রথম স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রাখলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এর আগে ইথারে ভেসে আসে- তার মুক্তির খবর, দেশে ফেরার বার্তা। মুহূর্তেই আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ে। চাতক পাখির মতো অপেক্ষমাণ সাত কোটি বাঙালি মেতে ওঠেন বাঁধভাঙা আনন্দে।
শুরু হয় মহানায়ককে বরণের প্রস্তুতি। প্রাণপ্রিয় নেতার প্রথম দর্শন পেতে লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে। সেই বিমানবন্দর থেকেই শুরু হবে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনার কার্যক্রম।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির ওপর আক্রমণ শুরু করার পরই ধানমণ্ডির বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক এই দিনে সদ্যস্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক।
জাতির পিতা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন- ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসতে চান। ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো তাকে তেহরান বা অন্য কোনো এয়ারলাইন্স বেছে নিতে বললে তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে আসার সিদ্ধান্ত নেন। লন্ডন পৌঁছে তিনি বিবিসিতে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে একটি ভাষণ দেন। তিনি যখন ভরাট কণ্ঠে তার সুস্থতার কথা জানান, ঠিক সেই মুহূর্তটিতে লাখ লাখ বাঙালি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তখনও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় নেতা হ্যারাল্ড উইলসনও তাকে স্বাগত জানাতে সাক্ষাৎ করেন। তাকে দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা।
লন্ডন থেকে দিল্লিতে পৌঁছান অবিস্মরণীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র দেশবাসী তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ভারতবাসী ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এরপর আসে সেই কাক্সিক্ষত মুহূর্ত। ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তিনি পা রাখেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত লাখ লাখ বাঙালি সেই মুহূর্তে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে পেয়ে।
পুরো দেশই তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিল, তার কিছুটা চিত্র ধরা পড়ে তেজগাঁও বিমানবন্দরে। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠা বিমানবন্দর যেন বাংলার আকাশ-বাতাসকেই প্রতিনিধিত্ব করছিল। পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ সেই মুহূর্তে এ অবিস্মরণীয় এই নেতাকে গ্রহণ করতে অংশ নিয়েছিলেন। মহান এই নেতাকে একটু ছুঁয়ে দেয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকুলতা কাজ করছিল। তাকে বহনকারী ট্রাকটিও সে সময় ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জনতার উদ্দেশে দেয়া প্রথম সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সেদিন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন বছর সাত মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কুচক্রী মহলের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হন তিনি। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শোধ করে যান সেই ঋণ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে।
লাখ লাখ নিরীহ বাঙালির ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরু করার ডাক দেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটকে রাখে। এ কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে কাটে বঙ্গবন্ধুর নয় মাস ১৪ দিনের কঠিন কারাজীবন। কারাগারে বন্দি করা হলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই চলে মুক্তিযুদ্ধ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয়ের লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দেয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতে সময় পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো
- বাংলাদেশিদের জমি দিতে রাজি মৌরিতানিয়া
- তিন মাস আগেই কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস পাবেন কৃষকরা
- সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানিঃ দায় নিতে হবে ব্যাংকারদের
- যে কোনো পর্যায়ে নির্বাচন বন্ধের ক্ষমতা পাচ্ছে ইসি
- জুনেই ট্রেন চলবে পদ্মা সেতুতে
- রোজার শুরুতেই বেড়েছে প্রবাহ, ৪ দিনে রেমিট্যান্স ১৬০ কোটি ডলার
- অগণতান্ত্রিক দল কীভাবে গণতন্ত্র দেবে?
- প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের শুভেচ্ছা
- বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
- দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
- দশ টাকায় সারা মাসের বাজার!
- দেশের ছয় বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত লবণ চাষিরা
- আজ থেকে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
- আটদিনের সফরে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
- আগামী জুনেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে রেল
- ৩১ মার্চ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়কে যান চলবে সীমিত
- পুদিনা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের চাষীরা
- আগামী ৩০ মার্চ থেকে চবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
- অপু-বুবলীর মধ্যে জন্মদিনে শাকিবকে কে আগে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন?
- প্রতি পিস বালিশ মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়
- বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন
- বিদেশীদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না: শেখ হাসিনা
- কুসুম ফুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু
- গমের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা
- তিন বইয়ের জন্য ভারতে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন বঙ্গবন্ধু
- নাসার অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী বাংলাদেশের ‘অলীক’ ও ‘মহাকাশ’ দল
- দেশের আট বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
- খাগড়াছড়ি ৪র্থ জেলা প্রশাসক টি২০ ক্রিকেট গোল্ডকাপ শুরু
- খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- মহালছড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সম্প্রীতি কনসার্ট
- পানছড়িতে নবীন বরণ, বিদায় ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে বিজিবির পুরস্কার ও সনদ বিতরণ
- দীঘিনালায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলন অনুষ্ঠিত
- দীঘিনালায় সেনা অভিযানে অস্ত্র -গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার
- সীমান্ত সড়কের কাজ ঠেকাতে ধর্ষণ অপপ্রচাররই যেখানে হাতিয়ার
- খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের সাথে রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় সভা
- মিজোরামে কেএনএফের দুই সদস্য আটক
- পাবর্ত্য এলাকার সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে সরকার
- খাগড়াছড়ির হার না মানা নারী বীনা ত্রিপুরা
- কচুরিপানা থেকে তৈরি হস্তশিল্প যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়
- খাগড়াছড়ি আইনজীবি সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন
- ভারত থেকে বাইসাইকেলে বাংলাদেশ ভ্রমনে এসেছে এক যুবক
- স্বাধীনতার মাসে মহালছড়িতে সেনাবাহিনীর অনন্য আয়োজন
- খাগড়াছড়ি সরকারি গণগ্রন্থাগারে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে পার্বত্য আবৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত
- প্রতিহিংসার আগুনে পুড়লো ফুলে ভরা লিচু বাগান
- খাগড়াছড়িতে পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গার তিন দিনের রিমান্ড