শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩
শুটিং শেষে বাসায় ফেরার পথে উবারে কোন এক নামকরা সাংবাদিকের দ্বারা হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুললেন ছোটপর্দার আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।
অভিনয় শিল্পী সংঘ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভা বলেন, ওই সাংবাদিক উবারে বসে আমার পায়ে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে স্পর্শ করেন। তবে তিনি অভিযুক্ত সাংবাদিকদের নাম বলেননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভয় পান জানিয়ে প্রভা বলেন, আমার দুঃসময়ে সাংবাদিকরা আমাকে সাপোর্ট দেয়নি। যদি সাপোর্ট দিতেন তাহলে আমি অনেক কিছুই করতে পারতাম।
তিনি বলেন, ছোটবেলায় পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে ভয় পেতাম, কারণ আম্মু জানলে বকা দেবে। এখন ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হলেও হজম করে ফেলি, কারণ তার চেয়ে বড় ভয় হয় যদি জার্নালিস্ট জানতে পারে- তাহলে কী হবে! আমার জীবনে যারা (প্রেমিক) এসেছে, প্রত্যেকে যাওয়ার সময় একটা ব্লেম গেম খেলেছে। এটার মধ্যে মেন্টালি টর্চার হয়েছি, কিন্তু কাউকে কিছু মুখ ফুটে বলতে পারিনি। বরাবরই মনে হয়েছে, বললেই যদি জার্নালিস্ট জেনে যায়? ডিভোর্সের পেপার যখন ফাইল করি- নিয়ম অনুযায়ী আমার কিছু পাওনা থাকে। কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বলতে ভয় করে, যদি সেটা খবরে চলে আসে। আমি সব কিছুই করতে পারতাম- সাংবাদিকরা যদি আমাকে সাপোর্ট করতেন।
প্রভা বলেন, কিছুদিন আগে আমি বলেছিলাম- আমাকে না জানিয়ে কেউ নিউজ করবেন না। আমরাও তো চেষ্টা করি ধর্মীয়রীতি পালন করতে। যেমন রোজার সময় আমাদের মন নরম থাকে। সেই সময় প্রত্যেকেরই উচিত কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাওয়া। সেই সময় আমি এটা নিয়ে গুছিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিই ক্ষমা চেয়ে। এর পরই আমার কানে আসে— নিউজ হয়ে গেছে, অবশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রভা। আমি কেন ক্ষমা চাইতে যাব? ক্ষমা তো এই সমাজের আমার কাছে চাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রভা নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রভা বলেন, দেখেন দুইটা গল্প বলি। একটা মেকআপ রুমে। যেখানে আমরা শুটিং করে রুমে ঢুকি। মেকআপ করি। এসি খাই। আপনারা এলে বসে গল্প করি। তো এভাবে একদিন গ্রিনরুমে বসে আছি। একজন ফটোগ্রাফার ও একজন সাংবাদিক এলো। বসতে বললাম। এরপর আমি মুখে পাউডার মেখে মেকআপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে ক্লিক ক্লিক ক্লিক। আমি বললাম, ‘কেন ছবি তুলতেছেন?’ বলে, ‘আমি তো জার্নালিস্ট।’ এটার মানে কী বলেন তো? উনি সাংবাদিক বলে আমার কোনো প্রাইভেসি নাই?’
পরের অভিজ্ঞতাটি সম্পর্কে প্রভা বললেন, সেদিন শুটিং শেষ করে উবার নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও আমার সঙ্গে উঠলেন। ভাই মানুষ। বসলেন পাশে। বললেন এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিতে। তো সিটে বসে কথা বলতে বলতে সে আমার পায়ে হাত রাখল! বললাম, ‘তুমি আমার গায়ে হাত দিলা কেন? আমার কোনো কলিগও তো এভাবে হাত দেয় না।’ এরপর সে সরি বলেছে। নামকরা সাংবাদিক। আমি জানি, সে সরি বললেও তার ভুল রিয়ালাইজ করে নাই। সে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্যভাবে পরে। কিভাবে তাহলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্তরিক হবো?’
এসময় প্রভা সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়