সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২

ছবি- সংগৃহীত।
দেশের উচ্চশিক্ষায় আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আসা হচ্ছে একটি কাঠামোর মধ্যে। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে শর্ত পূরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে একটি স্কোর। এই স্কোরেই নির্ধারিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান। ৭০ শতাংশ বা তার বেশি স্কোর পেলে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ। এই স্কোরের নিচে পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘গুণগত মান’ থাকার এই সনদ পাবে না। আগামী ২০ জুলাই রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত পূরণ করে সনদ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একদিকে যেমন শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হবে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়েও এগিয়ে থাকবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠদান করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন কাঠামোর মধ্যে আনলে দায়সারা পাঠদান করে সার্টিফিকেট দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাদের দিক থেকে শিক্ষার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্মত শিক্ষা দেবে।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) আইন ২০১৭ অনুসরণ করে ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে অ্যাক্রেডিটেশন বিধিমালা ২০২১। এই বিধিমালা মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া হবে অ্যাক্রেডিটেশন। অ্যাক্রেডিটেশন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্ধারিত স্কোরের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি স্কোর পেলে কোন প্রোগ্রাম বা বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ৬০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ স্কোর পেলে দেওয়া হবে কনফিডেন্স সার্টিফিকেট। তবে ৬০ শতাংশের কম নম্বর পেলে কোনো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। কনফিডেন্স সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় অ্যাক্রেডিটেশন মানদণ্ড ও শর্তাবলি পূরণ করতে পারলে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট পাবে।
অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেটের মেয়াদ ইস্যুর তারিখ হইতে পাঁচ বছর। নির্দিষ্ট সময় পর ফের এই সনদ নিতে হবে। তবে কনফিডেন্স সার্টিফিকেটের মেয়াদ ইস্যুর তারিখ হইতে সর্বোচ্চ এক বছর। কনফিডেন্স সার্টিফিকেট কোনোভাবেই নবায়ন করা যাবে না। অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট পাওয়া উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনায় মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটালে কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি নির্দিষ্ট কারণে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট/ কনফিডেন্স সার্টিফিকেটের বৈধতা স্থগিত করতে পারবে।
জানা গেছে, অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেতে বিএসির নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। বিধিমালা অনুসরণে কাউন্সিল একটি অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি গঠন করবে। তিন সদস্যবিশিষ্ট বিএসির বিশেষজ্ঞ কমিটিতে একজন প্রধান ও দুজন সদস্য থাকবেন। একাডেমিক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশন কমিটির প্রধান হবেন। একই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক কমিটির সদস্য হবেন। প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশনের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কাজে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা এবং উচ্চ শিক্ষায় কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স বা অ্যাক্রেডিটেশন কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অধ্যাপক পদ মর্যাদার একজন শিক্ষক অ্যাক্রেডিটেশন কমিটির প্রধান হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার পর কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করবে। পরিদর্শনকালে অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- পাঠদান ও শিখন পদ্ধতি মূল্যায়ন ব্যবস্থা; অ্যাসাইনমেন্ট, প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র পর্যালোচনা পদ্ধতি; গবেষণা পদ্ধতি; পাঠদানের পরিবেশ; বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী; কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের বিভিন্ন বিষয়; অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরাজমান পরিস্থিতি ইত্যাদি। পরিদর্শন শেষে অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি কাউন্সিলের মানদণ্ড অনুযায়ী গুণগত মান নিরূপণ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। কাউন্সিল সভায় অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল প্রতিবেদককে বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন সনদ যথাযথ মানের স্বীকৃতি। যে কোর্স বা প্রোগ্রাম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় এ স্বীকৃতি পাবে সেটির পড়াশোনা, পাঠদান পদ্ধতিও মানসম্মত বলে বিবেচিত হবে। দেশের উচ্চশিক্ষা সেক্টরকে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আওতায় আনাই আমাদের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, আমাদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান ভালো নয়, এমন অভিযোগ শুনি হরহামেশাই। অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ায় আসার পর এমন অভিযোগ থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কারণ যারা মানসম্মত পাঠদান করবে না তারা অ্যাক্রেডিটেশন সনদও পাবে না। আর অ্যাক্রেডিটেশন সনদ না পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। কারণ, সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। ফলে বাধ্য হয়েই পড়াশোনার মান উন্নত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত পূরণ করলে তাদের মানও যেমন উন্নত হবে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়েও এগিয়ে থাকবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- পদ্মায় নৌকাবাইচ, দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
- মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পর সবচেয়ে আনন্দের দিন আজ
- চট্টগ্রামসহ ১৯ অঞ্চলে ৬০ কি. মি. বেগে ঝড়ের আভাস
- কলেরার টিকা দেওয়া শুরু রোববার
- ২৮ জুন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি
- দীঘিনালায় হতদরিদ্র পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী
- ৩ জেলায় আরও চাল-নগদ টাকা-শুকনো খাবার বরাদ্দ
- পদ্মার আকাশে লাল-সবুজের বর্ণিল আয়োজন উপভোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পদ্মা সেতুর জয়জয়কার
- ভোলার তাজা ইলিশের স্বাদ পাবে সারাদেশের মানুষ
- পদ্মা সেতু করে বাধাদানকারীদের সমুচিত জবাব দিলাম: প্রধানমন্ত্রী
- মাটিরাঙ্গায় ৭টি তক্ষকসহ পাচারকারী আটক
- পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উদযাপন করলো খাগড়াছড়িবাসীও
- পদ্মাসেতু তো হয়ে গেল: বিএনপি এখন কি করবে?
- প্রধানমন্ত্রী তো একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন!
- পদ্মাসেতু আমাদের স্বপ্ন পূরণের ‘স্বপ্নসারথি’
- খুললো শত-সহস্র স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার
- আমরা অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি: কাদের
- উন্নয়নের মহাকবি শেখ হাসিনার মুখে ‘পদ্মা সেতু’র গল্প
- ফিরলেন আবুল হোসেন!
- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন সত্য হচ্ছে আজ
- পদ্মা সেতু উদ্বোধন: জনসভায় আসতে শুরু করেছে মানুষ
- পদ্মাসেতু আর বন্যা ইস্যুতে সুনাম কুড়াচ্ছে সেনাবাহিনী
- পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে যা ভাবছেন খাগড়াছড়ির পেশাজীবীরা
- কমছে তামাকের আধিপত্য, বাড়ছে বিদেশী ফলের আবাদ
- গুইমারায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ কাঠ জব্দ
- গুইমারায় শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ ও স্যানিটারী ন্যাপকিন বিতরণ
- বেসরকারি খাতে ঋণের জোয়ার
- দক্ষিণের পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে
- দীঘিনালায় বৃদ্ধের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
- খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) এর ভয়াবহ গোলাগুলি
- দীঘিনালায় চা–দোকানিকে হত্যার ঘটনায় মামলা, চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ
- খাগড়াছড়িতে ২ ভুয়া চিকিৎসককে অর্থদণ্ড ও ৬ মাস কারাদণ্ড
- সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসার স্বার্থের দ্বন্দ্ব উত্তাপ ছড়ায় পাহাড়ে
- জেএসএস এর প্রতি পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহবান
- খাগড়াছড়িতে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন প্রকৌশলী সবুজ চাকমা
- খা.ছড়িতে ১টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা
- কেন পাহাড়ে সেনাবাহিনী দরকার?
- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ১১৮ ক্যামেরার সাতটি ডিভিআর জব্দ করেছে সিআইডি
- রাঙ্গামাটিতে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২
- জেলা পরিষদের সদস্য হলেন কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া
- মহালছড়িতে মাদক উৎপাদন ঠেকাতে সেনাবাহিনীর অভিযান
- রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী বোট
- দুর্গম পাহাড়ে গুলিতে নিহত ৩, তদন্ত করছে পুলিশ
- ‘উপজাতিরা কোটার অপব্যবহার করছে’
- খাগড়াছড়িতে মহানবী (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদ
- পাহাড়ে রক্তপাত, হানাহানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করবে সরকার
- রামগড়ে বিজিবির অভিযানে ৮ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি ভারতীয় গরু জব্দ
- রাঙামাটি
সড়ক উন্নয়ন কাজে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কোটি টাকা চাঁদা দাবি