• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক- প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস-প্রধানমন্ত্রী ২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল মুজিবনগর দিবস বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রাম, শান্তিচুক্তি, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২  

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধারা উপধারার জনবসতি আদিকাল থেকেই বিদ্যমান। মুঘল আমলে (১৬৬৬ থেেেক ১৭৬০ সাল) যা কর্পাস মহল নামে পরিচিত ছিল, ব্রিটিশদের সময়ে তা Chittagong Hill Tracts নাম ধারণ করে। অঞ্চলটি পার্বত্য ও জঙ্গলাকীর্ণ হওয়ায় দুটি কারণে বিভিন্ন উপজাতিরা অত্র অঞ্চলে আগমন করে এবং বসবাস শুরু করে। প্রথমত: দুর্গম ও বিশেষ ব্যবস্থায় বসবাস, চাষাবাদ, জীবিকাঅর্জন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত নিচু ও ভালো ভূমিপ্রকৃতি, চলাচলের উপযোগী বিধায় দুর্গম পাহাড়ে বসবাসে অভ্যস্ত বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা ত্রিপুরা, মিজোরাম, আসাম, আরাকান ইত্যাদি থেকে এখানে এসে বসবাস শুরু করে। দ্বিতীয় কারণ হলো, আরাকান রাজ্যের অস্থিরতা, যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগমন। এরমধ্যে ১৭৮৪ সালে বার্মার (মধ্যবার্মা) রাজা বাদপায়া’র আরাকান রাজ্য আক্রমণ ও দখল অন্যতম। এই যুদ্ধের ফলে অনেক উদ্বাস্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে, আরাকান থেকে খুমি, চাকমা ও মারমাদের আগমন উল্লেখযোগ্য। ইংরেজ শাসনামলে (১৮৬০ সাল থেকে) এই দুর্গম অঞ্চলে খাজনা আদায়ের জন্য চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল ও বোমাং সার্কেল নামে তিনটি ভাগে ভাগ করে এবং প্রত্যেক সার্কেলে একজন করে চিফ নির্ধারণ করে দেয়। পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর ১৯৪৭ সালে স্নেহকুমার চাকমা রাঙামাটিতে ভারতের পতাকা উঠিয়েছিলেন। আবার ১৯৭১ সালে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের পতাকা। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় (বর্তমান চাকমা সার্কেল চিফ ব্যরিস্টার দেবাশীষ রায়ের পিতা) পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানে চলে যান। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ ও পরবর্তীতে মন্ত্রিত্বও পান। ২০১২ সালে পাকিস্তানেই মৃত্যুবরণ করার পর সেখানেই সমাধিস্ত করা হয়। পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৬২ সালে ৮০ মেগাওয়াটের (পরবর্তীতে ২৩০ মেগাওয়াট) জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে ৪৫.৭ মিটার উচ্চতার কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে প্রায় ৫৪,০০০ একর জলমগ্ন হওয়াতে এই এলাকার প্রায় ১,০০,০০০ বসবাসকারী চাকমা জনগোষ্ঠি বাস্তুচ্যুত হয় এবং যা প্রথম অসন্তোষের বীজ বপন করে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও চাকমাদের দাবি অনুযায়ী সব অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছায়নি বা তাদের ন্যায্য হিস্যা পায়নি বলে দাবি করে, ফলে অসন্তোষ আরো গভীর হতে গভীরতর হতে থাকে।

স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস গঠন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে পিসিজেএসএস শান্তিবাহিনী নামে সশস্ত্র শাখা গঠন করে এবং গোপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তৎকালীন বিডিআর, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে ১৯৭৬ সাল থেকে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়। যা একটি স্বাধীন দেশের ভিতরে থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ও দেশদ্রোহিতার শামিল। ফলে বহু দেশপ্রেমিক সেনা সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, নিরাপরাধ বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের (আনুমানিক ৩০,০০০) প্রাণহানি ঘটে। উপজাতিদের অসন্তোষ আরো বৃদ্ধি পায়, যখন সত্তর ও আশির দশকে প্রায় লক্ষাধিক বাঙালিকে সমতল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনের জন্য নিয়ে আসা হয়।

শান্তিবাহিনী একদিকে যেমন স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিদের উপর জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজিতে মেতে ছিল, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নিজেদের বিপথে যাবার পথকে আরো সুগম করেছিলো। প্রাথমিকভাবে নব্য গঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুর্গম অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় কম অভিজ্ঞতা, অতি দুর্বল অথবা শূন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা, ম্যালেরিয়া, কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশনের কম অভিজ্ঞতা ইত্যাদি কারণে সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর হতাহতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারের সঠিক দিক নির্দেশনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের সমর্থন, এবং সর্বোপরি কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অভিযানে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা ও উপর্যোপরি আক্রমণের মুখে টিকে উঠতে না পেরে শান্তিবাহিনী সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়। সরকারের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পার্বত্যচুক্তি হিসেবে পরিচিত এবং এই চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ প্রায় ২২ বছরের সশস্ত্র সংগ্রামের কিছুটা পরিসমাপ্তি ঘটে।

পার্বত্যচুক্তি

পার্বত্যচুক্তির চারটি অধ্যায়, সাধারণ; পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/ পার্বত্য জেলা পরিষদ; পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং পুনর্বাসন, সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন ও অন্যান্য বিষয়াবলি। চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের স্বতন্ত্র জাতিস্বত্তা এবং বিশেষ মর্যাদাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পার্বত্যচুক্তির পর শান্তিবাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ জীবিকার্জনের জন্য বহু প্রাক্তন শান্তিবাহিনীর সদস্যকে পুনর্বাসন করা হয়। ইতোমধ্যে সাত শতাধিক অস্ত্র সমর্পণকৃত শান্তিবাহিনীর সদস্যকে পুলিশে চাকরি প্রদান করা হয়েছে। প্রায় ৫০,০০০ এর বেশি বাস্তুচ্যুত উপজাতিকে তাদের স্বীয় বাড়িতে পুনঃস্থাপন করা হয়। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩২টি বিষয়াবলীর ২২টি জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। পক্ষান্তরে পার্বত্যচুক্তির বিভিন্ন ধারা উপধারা নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি ও সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন (সংশোধিত) ২০১৬ ইত্যাদি প্রণয়ন করা হয়। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, উপজাতিদের অংশগ্রহণ পুলিশ ফোর্স গঠনসহ শান্তিচুক্তির বেশির ভাগ (৭২টি ধারার ৪৮টি) বাস্তবায়ন হলেও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন ভূমি সমস্যা সমাধান, কার্যকর জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ গঠন ইত্যাদি বিষয়ে যৌক্তিক ও আইনত জটিলতার সৃষ্টি হয়। রিজিয়নাল কাউন্সিল অ্যাক্টকে চ্যালেঞ্জ (এক কেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক, যা সংবিধানের আর্টিকেল ১ এবং ৫৯ এ বর্ণিত। তাছাড়াও আর্টিকেল ২৭ এর সাথেও সাংঘর্ষিক, যেখানে সকল নাগরিককে সমান সুযোগ দেয়া আছে) করে ২টি রিট পিটিশন দাখিল হলে হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে রায় দেন। পরবর্তীতে ঐ রায়ের উপর সরকার আপিল করাতে তা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

পার্বত্যচুক্তির সবচেয়ে বড় অর্জন হলো সশস্ত্র অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং সংক্ষুব্ধ গোষ্ঠির দাবির প্রতি সরকারের যথাযথ সম্মান, দৃষ্টিপাত ও বাস্তবায়ন। সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রক্ত, ঘাম, শ্রম, বুদ্ধিমত্তা; প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিশ্রম; সাধারণ জনগণের সমর্থন এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, সংলাপ ও সঠিক দিক নির্দেশনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছার কারণে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠি তাঁদের উৎপাদিত পণ্য শুধু স্থানীয় জেলা শহর নয়, ঢাকাসহ সারাদেশ এমন কি বিদেশেও রপ্তানি করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছে যাওয়াতে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রসার ঘটেছে। সমতলের জনগোষ্ঠির সাথে পাহাড়ের জনগোষ্ঠির সংযোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে পাহাড়ি জনগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিতরেই তাঁদের সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখতো, আজ তাঁদের সকল কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে ওঘএঙ, ঘএঙ বিভিন্ন পশ্চিমাদেশ, দেশে সুশীল সমাজ আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই পার্বত্য জনগোষ্ঠি নিয়ে। প্রশ্ন আসতে পাওে, তাহলে কি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে? সহজ উত্তর হবে এখনও সকল সমস্যার উত্তরণ হয়নি।

চলমান পরিস্থিতি

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভূকৌশলগত রাজনীতি বহুদিনের পুরোনো। এ অঞ্চলকে পৃথকিকরণ জনগোষ্ঠির ভারসাম্য বিনষ্টিকরণ এবং ধর্মান্তকরণের অপচেষ্টা সবই চলমান। পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের চাকরির অভিজ্ঞতায় অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করেছি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভক্তিকরণের রাজনীতি কখনো উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সহায়ক নয়। এই ধারা পরবর্তী প্রজন্মকে পথভ্রষ্ট করার পথে সহায়ক হচ্ছে এবং হবে যদি না এখনি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

পার্বত্য অঞ্চল ভূমির গঠন অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্ন। দুর্গম ও জঙ্গলাকীর্ণ হওয়ায় এই অঞ্চল বাংলাদেশের মূল ধারা ও অন্যান্য জেলা থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। এই অঞ্চলের অধিবাসীরাও বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাই বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। সে সাথে জাতিগত বৈশিষ্ট্য, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকারও নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে যে সকল উপজাতি সম্প্রদায় বসবাস করছে তারা কেউই এই অঞ্চলের মূল আদিবাসী নয়। বিগত কয়েকশো বছরের মধ্যে তারা সকলেই পাশর্^বর্তী অঞ্চল হতে আগমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেছে। অথচ, ২০০৯-১০ সালে কিছু কুচক্রিমহল যেমন ‘আদিবাসী’ ইস্যু তুলে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। এমনকি তারা জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলো এ দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব করতে। সরকারের যথাযথ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে তাদের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ‘আদিবাসী’ শব্দটি রহিত করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠি বা উপজাতি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়, যা এখন সকলের মেনে চলাই শ্রেয়।

২০১১ সালে চট্টগ্রামে ২৪ পদাতিক ডিভিশনে চাকরির সুবাদে অনন্য ও বিস্ময়কর এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। স্বচক্ষে দেখেছি, বাংলাদেশের স্বনামধন্য এবং সুশীল হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তি, INGO, NGO ও বামপন্থী লোকজন হয়তো টাকার(?) বিনিময়ে কীভাবে দেশের বিরূদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দোহাই তুলে সরকারের ও আইনশৃংখলাবাহিনীর কার্যক্রমের বিরূদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। গুইমারার এক ছোট্ট মেয়ের গায়ে রং মাখিয়ে ছবি তুলে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর কটাক্ষ করা হয়েছিল। জিওসিকে ডিভিশন সদরে চার্জ করেছেন। ঐ সকল তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের যখন সব প্রমাণসহ ঘটনার মূল চিত্র দেখানো হলো, তখন সেসব দেশদ্রোহীদের ষড়যন্ত্র নিমিষেই চুকিয়ে গেলো। সচেতনমহল ও বুদ্ধিজীবীরা তাদের এই হীন উদ্দেশ্য, অর্থায়নের উৎস এবং আঞ্চলিক দলগুলোর অহরহ চাঁদাবাজি ও অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেকটি মূল সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা। পার্বত্যচুক্তি অনুযায়ী সরকার ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন ২০০১ আইন ও তার সংশোধন (২০১৬) করে দিয়েছে। ভূমি কমিশন গঠন করা হলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতা, কমিশন চেয়ারম্যানের (একমাত্র বাঙালি) ক্ষমতা, ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত, বাঙালি ও উপজাতি জনগোষ্ঠির সুষম প্রতিনিধিত¦, জমির প্রকৃতি, জমির মালিকানা নির্ধারণ ইত্যাদি বহুবিধ কারণে কমিশন অদ্যাবধি উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করতে পারেনি। ভূমি সমস্যারও সমাধান হয়নি। সরকার সারা দেশের ভূমি জরিপ করতে পারলেও বিভিন্ন বাধার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো জরিপ করতে পারেনি। চলমান পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক রাজনীতিতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠির একাংশ আগ্রহী ও ব্যস্ত। আগ্রহের মূল কারণ অর্থ-সম্পত্তি এবং ক্ষমতার লোভ ইত্যাদি। অর্থ লাভের মূল উৎস চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, মুখ বন্ধ রাখার শর্তে অর্থ লাভ, টেন্ডারবাজি, বিদেশে স্কলারশিপ পাইয়ে দেয়া সংক্রান্ত ঘুষ, জমি বা সম্পদ দখল বা উদ্ধারে চাঁদাবাজি ইত্যাদি। আঞ্চলিক রাজনীতির মধ্যেও বহুদ্বা বিভক্ত পাহাড়ি জনগোষ্ঠি। মতানৈক্যের মূল কারণ অর্থ-সম্পত্তি ও তৎসম্পর্কিত ক্ষমতা লাভ। চাঁদাবাজির ব্যপ্তি পাহাড়ি নিরীহ কলা বিক্রেতা থেকে শুরু করে দোকান, যানবাহন, বাঁশবিক্রেতা, কন্ট্রাক্টর, কৃষক, পেশাজীবী পর্যন্ত বিস্তৃত। এক সময় এই চাঁদার টাকা অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিনিধির মাধ্যমে উত্তোলিত হলেও বর্তমানে চাঁদা আদায়ের নতুন মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো প্রযুক্তি। তার মানে হচ্ছে এখন আর চাঁদা হাতে হাতে প্রদান করতে হয় না। এর উপরে রয়েছে জাতিগত বৈষম্য। চাকমা জনগোষ্ঠি অন্য সকল জনগোষ্ঠির চেয়ে অধিক সুবিধাভোগী। তারপর রয়েছে মারমাত্রিপুরা ও অন্যান্যদের অবস্থান। তাদের এমন জাতিগত বৈষম্যের কারণে বম জনগোষ্ঠি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি কুকি, খুমি, তঞ্চঙ্গা, খেয়াং, ম্রোসহ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় গড়ে তোলে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এছাড়াও রয়েচে মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)। আর্মড সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবার মুসলিম জঙ্গি সংগঠনের সাথে আঁতাত করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল সরকারের, যার অধিকাংশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। পক্ষান্তরে চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ২টি ধারা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। এক. সকল অস্ত্র জমা দেওয়া; দুই. সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। দুটি শর্তের মধ্যে তারা একটি শর্তও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করেনি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরের পর যে কোনো অস্ত্রধারী অবৈধ (যদিও তারপূর্বেও অবৈধই ছিল)। শান্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সংখ্যা কমে যাওয়াতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তার সুযোগ নিচ্ছে এই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সশস্ত্রশাখা। সুযোগ পেলেই এক দলের সশস্ত্রশাখা অন্যদলের কর্মী সমর্থকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তিন পার্বত্য জেলাকে মোটামুটি তারা ভাগ করে নিয়েছে নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত এলাকা রূপে। নিরীহ সাধারণ পাহাড়ি বা বাঙালি তাঁদের স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা বা জীবিকা অর্জনে প্রতিনিয়ত বাধা অথবা বিপদে পড়ছে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে এক বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। ২০১১-১২ সালেও থানচির দক্ষিণে অতি দুর্গম লিক্রি, পানঝেরী ইত্যাদি স্থানে পপি চাষ হতো। থানচি থেকে ওইসব এলাকায় পায়ে হেঁটে এবং নৌকায় পৌঁছাতে প্রায় দুই দিন সময় লাগত। বছরে কমপক্ষে দুই বার আমরা পপি চাষ ধ্বংসের জন্য অপারেশন করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্ত পরিবেশকে কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল স্বীয় ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থে অশান্ত করে তুলেছে। অথচ, এখন হাঁটতে হবে উন্নয়নের পথে, হাটতে হবে ‘ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটির’ পথে, সম্প্রীতির পথে। তবেই অর্জিত হবে প্রত্যাশিত লক্ষ্য।

প্রত্যাশা

পার্বত্য চট্টগ্রাম (বাংলাদেশের এক দশমাংশ) বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা কোনো পরিস্থিতিতেই আপোস করা যায় না। বাংলাদেশের কোনো অংশকেই বিদেশি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল করতে দেয়া যাবে না। একই সাথে দেশের অভ্যন্তরের কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসী অথবা পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের সাথে হাত মিলাতে দেয়া যাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতিদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, সামাজিক স্বত্তা রয়েছে। তাদের স্বত্তার শুধু স্বীকৃতি নয়, চর্চারও সুযোগ দিতে হবে। যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে তাদের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠি (পাহাড়ি-বাঙালি) মিলেমিশে থাকবে। প্রত্যেকে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সকলের সমান অধিকার থাকবে। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী যে কোনো নাগরিকের যেমন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের যে কোনো সম্পদের মালিক হবার অধিকার আছে, বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের পার্বত্য অঞ্চলে বৈধভাবে সম্পত্তি ক্রয়ের অধিকার রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী পিছিয়ে পড়া প্রতিটি জনগোষ্ঠি, প্রতিটি নাগরিক সম্ভাব্য সকল নাগরিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। উপজাতিদের মধ্যেও যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি তাদের সার্বিক উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে। তা না হলে কেএনএফ এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। কেএনএফ আবার পার্শ্ববর্তী দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠির সাথে হাত মিলিয়ে এ অঞ্চল অশান্ত করে তুলতে পারে।

নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক ক্ষুদ্র বা স্বীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে সকল আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষিত সমাজ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, ধর্মীয় নেতাসহ সকল সচেতন নাগরিকের। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্য হওয়া দরকার, কীভাবে সবাই সবার সাথে হাত মিলিয়ে এ অঞ্চলের অবকাঠামোগত, সামাজিক, পরিবেশগত, প্রশাসনিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করা যায়। বয়কট করতে হবে অস্ত্রধারীদের, হীন স্বার্থ চরিতার্থকারীদের, চাঁদাবাজদের, সন্ত্রাসীদের, বৈষম্য সৃষ্টিকারীদের, উন্নয়নে বাধা সৃষ্টিকারীদের, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হরণে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তিদের, শান্তি বিনষ্টকারীদের। সাধারণ নিরীহ মানুষ অস্ত্রের ঝলকানি দেখতে চায় না। ঘুষ, চাঁদা দিতে চায় না। মুখ ফুটে তাদের মনের কথা বলতে চায়। স্বীয় উৎপাদিত পণ্য নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে, ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পেতে চায় সকল নাগরিক সুবিধা। তবেই হবে আমাদের শান্তির পার্বত্য চট্টগ্রাম।

লেখক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]