• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক- প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস-প্রধানমন্ত্রী ২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল মুজিবনগর দিবস বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ভালোমন্দ

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

 

ড. মাহফুজ পারভেজ

বাংলাদেশের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা, বৈষম্য নিরসন ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নারীসমাজ, অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠী, দুর্গম এলাকার জনগণের জন্য শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নির্ধারিত যোগ্যতার মাপকাঠি কিছুটা শিথিল করে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষিত রেখে বিশেষ বিধান তথা কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে। 

১৯৭২ সালে জাতির সূর্যসন্তান, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে সর্বপ্রথম কোটাব্যবস্থা চালু করা হলেও ক্রমান্বয়ে দেশের অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে উন্নত ও অগ্রসর করার প্রয়োজনে কোটার পরিধি বৃদ্ধি করা হয়, যার আওতায় রয়েছে উপজাতি তথা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের মতোই পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোও উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা পেয়ে থাকেন এবং এতে জীবনমান ও আর্থ-সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। তবে সব নৃগোষ্ঠী সমভাবে কোটার সুবিধা পেয়ে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারছে না এবং কিছু সম্প্রদায়ের দ্বারা একচ্ছত্রভাবে কোটা সুবিধা ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি চলছে। এতে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বৈষম্য ও ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে বঞ্চিত উপজাতি গোষ্ঠীগুলো ও পার্বত্য বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভ, অসাম্য ও বঞ্চনা। অন্যদিকে, প্রধান কিছু উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আরও শক্তিশালী হয়ে অপরাপর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে পশ্চাৎপদ ও প্রান্তিক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিচ্ছে, যা সুষম উন্নয়ন ও সব নাগরিকের সম-অধিকারের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সামাজিক ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিভেদের অন্যতম মূল কারণ। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংবিধানের ২৯-এর ৩ (ক) অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলোকে অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে ১৯৮৫ সালে সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ কোটা সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে উপজাতি কোটা রাখা হয়। ২০১৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিধি-১ শাখা কর্তৃক সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে নিয়োগের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত কোটার ক্ষেত্রে ‘উপজাতীয়’ শব্দ ব্যবহারের পরিবর্তে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে প্রতিস্থাপন করা হয়। উপরন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরি এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা বিদ্যমান থাকার পাশাপাশি ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্যগণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে থাকেন।

কিন্তু তথ্য-পরিসংখ্যানগত বাস্তবতা এই যে, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য চাকরি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত কোটা সুবিধার দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সব নৃগোষ্ঠী সমভাবে উপকৃত হচ্ছে না। কোটার সিংহভাগ সুবিধা এককভাবে চাকমা ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মারমা ও ত্রিপুরা উপজাতিরা পেয়ে থাকে আর বাকি ১০-১১টি উপজাতি বলতে গেলে বঞ্চিত হচ্ছে। সবচেয়ে বৈষম্যমূলক চিত্র এটাই যে, একই পাহাড়ের দুর্গম ও বিরূপ পরিস্থিতিতে বসবাস করলেও পার্বত্য বাঙালি জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধাবঞ্চিত হয়ে শিক্ষা, চাকরি, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদায় চরমভাবে পিছিয়ে পড়ছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে জনসংখ্যার অর্ধেক হয়েও পরিসংখ্যানগত বাস্তবতায় তারাই অবহেলিত, প্রান্তিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। কয়েকটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং সামাজিক বঞ্চনা, অবহেলা ও প্রান্তিকীকরণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রতিভাত।

২০১৬ সালে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত গবেষক সুগত চাকমার গবেষণায় বলা হয়, খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী চাকমা জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষার হার ও পেশাগত ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কোনো কোনো চাকমা গ্রামের সর্বোচ্চ শতকরা ৮০ থেকে সর্বনিম্ন শতকরা ৪০ ভাগ লোক শিক্ষিত। শিক্ষিত চাকমাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকরি করছেন। উদাহরণস্বরূপ, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি কলেজে চাকমা জনগোষ্ঠীর ৭০ জন শিক্ষকতায় নিয়োজিত। জেলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাকমা নৃগোষ্ঠীর ৩০ চিকিৎসক কর্মরত। ৯টি ব্যাংকের শাখায় ৬৮ চাকমা কর্মরত, যার মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ এবং ২২ জন নারী। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন আর্থিক সেক্টরেও চাকমারা নেতৃস্থানীয় অবস্থানের অধিকারী। চাকমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় কোটাব্যবস্থার সুফল।

তবে শহরে বসবাসকারী চাকমারা এসব ক্ষেত্রে যত সুবিধা পাচ্ছে, গ্রামের চাকমা সম্প্রদায় তা পাচ্ছে না। অনুরূপভাবে চাকমাদের উন্নতির নিরিখে পার্বত্য বাঙালি সম্প্রদায় এবং বাকি ১২-১৩টি উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অনেক পেছনে। এ কারণে বাঙালিরা কোটা ও চাকরিসহ অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সম-অধিকারের দাবি করছে এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়, যেমনÑবম, খুমি, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, মং, চাক প্রভৃতি কোটা ও চাকরির সুবিধার ক্ষেত্রে একচ্ছত্র অগ্রাধিকার ও সুবিধার মাধ্যমে অতি অগ্রসর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা নৃগোষ্ঠীর সমপর্যায়ে আসার প্রয়োজনে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার ও তাদের অনুকূলে সমন্বয়সাধনের দাবি করেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে বিগত ১০ বছরের (২০১১-২০২১) সময়কালে উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলেও চাকমাসহ কয়েকটি সম্প্রদায়ের একচ্ছত্র প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়, যা থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে ‘অভ্যন্তরীণ বঞ্চনা ও আধিপত্য’র বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। 
বিগত ১০ বছরের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত মোট ৩১০৮টি আসনের অর্ধেকের চেয়ে বেশি (শতকরা ৫৬ ভাগ) এককভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা শিক্ষার্থীরা অধিকার করে। অথচ চাকমারা বাংলাদেশের মোট ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যার শতকরা ২৮ ভাগ। অনুরূপভাবে, মারমা সম্প্রদায় মোট ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শতকরা ১৫ ভাগ এবং তারা মোট সংরক্ষিত কোটা আসনের শতকরা ১৪ ভাগ, ত্রিপুরা সম্প্রদায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যার শতকরা ৮ ভাগ এবং কোটা আসনের শতকরা ৭ ভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে কোটা সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ করা যায়। সাঁওতাল সম্প্রদায় মোট উপজাতি জনসংখ্যার শতকরা ৯ ভাগ হলেও শতকরা ৩ ভাগ এবং মনিপুরী সম্প্রদায় শতকরা ৭ ভাগ হয়েও কোটার শতকরা ২ ভাগ সুবিধা লাভ করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে আরও অর্ধশত নৃগোষ্ঠী মিলিতভাবে কোটার মাত্র শতকরা ১৮ ভাগ সুবিধা নিতে পেরেছে, যদিও তাদের মিলিত জনসংখ্যা মোট উপজাতি জনসংখ্যার শতকরা ৩৩ ভাগ।

মূলত রাজনৈতিক প্রভাব, যোগাযোগ, নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত ও আঞ্চলিকতার মাধ্যমে চাকমা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা কোটার সিংহভাগ সুযোগ গ্রহণ করছে। তাদের মধ্যে শিক্ষার হার বেশি হওয়ায় উচ্চশিক্ষায় বা চাকরিতে চাকমা আবেদনকারীর সংখ্যাও অধিক হয়। দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই বহু চাকমা শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যারা চাকমা সম্প্রদায়ের ভর্তিচ্ছুদের দিকনির্দেশনা ছাড়াও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে। বিভিন্ন তথ্যও তারা দ্রুত নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে পারে। কিন্তু অন্যান্য উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা এমন সুযোগ না পেয়ে কোটার সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে। অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা উপজাতিসংক্রান্ত সনদ ও কাগজপত্র পেতে বিপত্তির সম্মুখীন হয়। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন অফিসের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাধান্য থাকায় তারা নিজ নিজ সম্প্রদায়কে সহযোগিতা ও অন্যান্য সম্প্রদায়কে অসহযোগিতা করে। কখনো কখনো অন্য নৃগোষ্ঠীর সম্ভাবনাময় ভর্তিচ্ছুদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়। ফলে অন্য নৃগোষ্ঠী সদস্য পাওয়া যায় না। তখন তদবিরের মাধ্যমে শূন্য কোটা আসনে চাকমা শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভর্তি নিশ্চিত করে। 

একটি-দুটি নৃগোষ্ঠীর অতিরিক্ত সুবিধাপ্রাপ্তির কারণে অন্য নৃগোষ্ঠীগুলো পিছিয়ে পড়ছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলো শিক্ষা ও পেশার ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সরকারের উন্নয়ন নীতি ও পরিকল্পনার সুফল সবার জন্য সমভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের গড় শিক্ষার হার শতকরা ৭২.৯ ভাগ হলেও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদে বঞ্চিত থাকার অভিযোগ উত্থাপনকারী চাকমাদের শিক্ষার হার শতকরা ৭৩ ভাগ। এই অগ্রগতি বঞ্চনা ও পশ্চাৎপদতার পরিচায়ক নয়। শিক্ষার কারণে পেশা ও কর্মক্ষেত্রে একচ্ছত্রভাবে চাকমা নৃগোষ্ঠীর প্রাধান্য বিরাজমান। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য নৃগোষ্ঠীগুলোর শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৪৫ ভাগ, যা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সুযোগের তারতম্য, ভারসাম্যহীনতা ও অভ্যন্তরীণ বৈষম্যের প্রমাণবহ। যার আরেকটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী পার্বত্য বাঙালি সম্প্রদায়। কোটা সুবিধা ও অন্যান্য সাংবিধানিক সম-অধিকার না পাওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কিছু বেশি হওয়ার পরেও তাদের মধ্যে শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ২৩ ভাগ। 

এতে শুধু সম্প্রদায় ও জাতিগত বৈষম্যই হচ্ছে না, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করে দেশ ও জাতি গঠনের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে জাতির বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণে কোটাব্যবস্থার সামগ্রিক সুফল একতরফাভাবে নেতৃস্থানীয় গোষ্ঠীর কব্জা থেকে জনসংখ্যার অনুপাতে এবং সম্প্রদায়গত পশ্চাৎপদতার নিরিখে সুবিধাবঞ্চিত উপজাতি ও পার্বত্য বাঙালি সম্প্রদায়কে দেওয়ার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়ন হবে এবং সম্প্রদায়গত বৈষম্য ও অসন্তোষ দূর হবে। 

উল্লেখ্য, শিক্ষাগত পশ্চাৎপদতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩-১৪টি নৃগোষ্ঠীর অধিকাংশই উচ্চশিক্ষা ও পেশা গ্রহণের সুযোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে নিজেদের দাবি ও বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির একতরফা সুযোগ নিচ্ছে চাকমা ও আরও দুই-একটি নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ এবং নেত্বত্ব-কর্তৃত্বকে ‘সমগ্র নৃগোষ্ঠীর দাবি’র নামে চাপিয়ে দিচ্ছে। যদিও এসব রাজনৈতিক তৎপরতায় অপরাপর নৃগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও বক্তব্যের কোনো সুযোগ ও স্বীকৃতি নেই। পার্বত্য উপজাতি দলগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বের শতকরা ৯০-৯৫ ভাগই চাকমা নিয়ন্ত্রণাধীন। 

ফলে ‘জুম্মু জাতীয়তাবাদ’কে প্রকারান্তরে ‘চাকমা জাতীয়তাবাদ’ বলা হয়। যেমনভাবে অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘জাতিগত সংঘাত’কে ‘চাকমাদের সশস্ত্র সংঘাত’ নামে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও নানা গবেষণায় নামকরণ করা হয়। বর্তমানেও উপজাতি তথা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নামে পরিচালিত নানা আন্দোলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ও জনগণের ওপর ‘চাকমা প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক প্রচেষ্টা’ স্পষ্ট, যাকে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ‘চাকমা গোষ্ঠীগত আধিপত্যবাদ’ নামে চিহ্নিত করে, যার আশু অবসান হওয়া প্রয়োজন এবং পাহাড়ে সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সম-অধিকার ও সমসুযোগ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংখ্যা অনুপাতে এবং চাহিদা ও পশ্চাৎপদতার নিরিখে প্রকৃত অবহেলিত ও বঞ্চিতদের শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে এগিয়ে আনার প্রয়োজনে কোটা সুবিধার আইনগত পরিবর্তন করাও আবশ্যক। 

একটি বা দুটি গোষ্ঠী কোটা সুবিধার সিংহভাগ পাবে আর অন্যরা বঞ্চিত হবে তা বাংলাদেশের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা, বৈষম্য নিরসন ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতের মর্মার্থকে ব্যাহত করার মাধ্যমে বরং নতুন অসন্তোষ ও বৈষম্যের সৃষ্টি করে। ফলে উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ভালোমন্দ দিকগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা দরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে চরমভাবে অবহেলিত, পশ্চাৎপদ ও বঞ্চিত পার্বত্য-বাঙালিদেরও কোটার আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন। সামগ্রিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব নাগরিকের জন্যই মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক সুযোগসহ সাংবিধানিক সব অধিকার সমভাবে ও বৈষম্যহীনভাবে প্রয়োগ করার আইনগত কাঠামো নিশ্চিত করা পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি, সামাজিক সম্প্রীতি ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অতীব জরুরি।

লেখক: অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]