• মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৬ ১৪৩০

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৪

দৈনিক খাগড়াছড়ি

ব্যক্তিজীবনে বেপরোয়া-উচ্ছঙ্খল অগাস্টিনা চাকমা

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২২  

সবসময় খোলামেলা পোশাক। একেবারে যেনতেনভাবে। টার্গেট তরুণদের নজরে আসা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে পুরুষদের বিছানায় নিয়ে যাওয়ার নানান ঘটনা। ব্ল্যামেইলিংর ঘটনা থেকে রেহাই পায়নি নিজ গোষ্ঠীর চাকমা তরুণরাও। কখনো বিদেশে বসেই পাহাড়ে জোর করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে বাধ্য করেছেন অনেককে। 

সমালোচিত পিসিজেএসএস এর পেইড প্রতিনিধি অগাস্টিনা চাকমাকে নিয়ে এবার বেরিয়ে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বিতর্কিত আদিবাসী প্রতিনিধি হিসেবে সরকার ও সেনাবাহিনীর' বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে এই প্রতিনিধি ভুয়া তথ্য দিয়ে সম্প্রতি পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। 

অথচ ব্যক্তি জীবনে বেপরোয়া, ভীষণ উচ্ছঙ্খল এই অগাস্টিনা চাকমা। তার ফেসবুক, ইস্ট্রগ্রামে রয়েছে নানান অশ্লীল ছবি। আপত্তিকর ছবি আপলোড করার কারণে একাধিকবার তিনি হয়েছে সমালোচিত। 

পাহাড়ের স্থানীয় জনগণ জানান, অগাস্টিনা চাকমার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এরা পিসিজেএসএস এর ছত্রছায়ায় সব ধরণের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। 

৩৮ হাজার নিরস্ত্র বাঙ্গালী হত্যাকারী ও পার্বত্য চুক্তির মৌলিক শর্ত লঙ্ঘনকারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি সন্তু লারমার সংগঠন পিসিজেএসএস। আর তার বিতর্কিত আদিবাসী প্রতিনিধি এই অগাস্টিনা চাকমা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন পাহাড়ি জানান, অগাস্টিনা চাকমা তার সহযোগীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল করেন। ছেলেদের সঙ্গে চক্রের মেয়ে প্রতারকরা আর মেয়েদের সঙ্গে চক্রের ছেলে প্রতারকরা সখ্য গড়ে তুলে কৌশলে তাদের ফাঁদে ফেলেন। পরে ভুক্তভোগীকে নির্যাতন করেন। মারধর করে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান সবকিছু কেড়ে নিয়ে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তোলা হয়। পরে সেই ছবি ও ভিডিও দিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা হয় ব্ল্যাকমেইলিং। আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। এভাবে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে তার চক্রটি মানুষকে হেনস্তা ও ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। তাদের সর্বশেষ শিকার ছিল এক চাকমা চাকরিজীবী। 

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অগাস্টিনার প্রতারকরা ধারণ করা ভিডিও ভিকটিমের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই ভিকটিমকে মারধর করে এবং তার কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল, ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে নিত। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিত প্রতারকরা। ভিকটিম আত্মসম্মানের ভয়ে তাদের সব দাবি মানতে বাধ্য হতো।

বাশরী চাকমা নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লেখেন, যে নারী নিজের পোশাক আশাক ঠিক রাখেন না, মানুষকে বিপদে ফেলেন, আর যাই হোক তিনি সত্যি আমাদের কোনো মঙ্গল চান না। 

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]