বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৭ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২
ছবি- সংগৃহীত।
শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই ‘খোকা ভাই’ পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন স্বাধীন বাংলার মুক্তির কান্ডারী । গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর জনক শেখ লুৎফুর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার বা হিসাব সংরক্ষণকারী। মাতা সায়েরা খাতুনের ৪ কন্যা এবং ২ পুত্রের মধ্যে শেখ মুজিবুর ছিলেন তৃতীয়।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাবের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুর্ভিক্ষের সময় সমিতি বানিয়ে, ধান-চাল সংগ্রহ করে গরিব ছাত্রদের মধ্যে বিলি করতেন তিনি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। পিতার বদলিজনিত কারণে ১৯৩১ সালে, তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেরিবেরি নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁর হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে ও অস্ত্রোপচার করাতে হয় । এই রোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্যলাভ করতে বেশ সময় লেগেছিল তাঁর। এ কারণে তিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সুস্থ হবার পর গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু। এ সময়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী কাজী আবদুল হামিদ ওরফে হামিদ মাস্টার নামের এক বিপ্লবী বঙ্গবন্ধুর গৃহশিক্ষক ছিলেন। এই হামিদ মাস্টারের সাহচর্যে এসেই, বৃটিশদের কাছে বাঙ্গালী জাতির পরাধীনতার বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করেন তিনি। এবং বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন হয়।
১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, যা বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে আই.এ. এবং ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়